বাংলা ২য় পত্র- ব্যকরণ বিষয়ক খুটিনাটি


১. ইন্দো ইউরোপীয় ভাষা(কেন্তম (হিত্তিক ও তুখারিক) ও শতম) - অনার্য ভাষা-আর্য ভাষা(বৈদিক ভাষা এবং পরবর্তীতে সংস্কার করে তা সংস্কৃত ভাষা নামে পরিচিত) - গৌরী প্রাকৃত - গৌর অপত্রংশ - বজ কামরুপী - বাংলা ভাষা। * প্রাকৃত ভাষা থেকে অপত্রংশ সৃষ্টি হয়েছে
২. সাধুরীতিতে ক্রিয়া, সর্বনাম ও অনুসর্গ বা অব্যয় এর পুর্ণরূপ ব্যবহার করা হয় আর চলিত রীতিতে এগুলোর সংক্ষিপ্ত রূপ ব্যবহার করা হয়।
৩. বাংলা ভাষার রূপ দুইটি লৈখিক রূপ এবং মৌখিক রূপ।
৪. Dialect এর পরিভাষা হলো উপভাষা।
৫. বাংলা ভাষার উপভাষা হলো ৫ টি।
৬. আলালি বা হুতুমি ভাষা বলা হয় চলিত ভাষাকে।
৭. সেন যুগে বাংলা লিপির গঠন কার্য শুরু হয় এবং পাঠান যুগে তার আকার লাভ করে৷
৮. ব্রাক্মী(ব্রাক্মী লিপির একটা রূপ হুল কুটিল)লিপিমালা বাম দিক থেকে লেখা হয় কিন্তু খরোষ্তী লিপিমালা ডান দিক থেকে লেখা হয়।
৯. বাংলা মুদ্রাক্ষরের জনক বলা হয় চাললস উইলকিন্সকে।
১০. বাংলা ভাষার প্রথম ব্যাকরণ রচনা করেন মনোএল দ্যা আসসুম্পসাও।
১১. বাংলা ব্যাকরণ প্রথম রচনা করেন এন বি হ্যাল হেড। তিনি সর্বপ্রথম বাংলা টাইপ সহযোগে বাংলা ব্যাকরণ মুদ্রণ করেন।
১২. ভাষার উপাদান- ধ্বনি, বাক্যের উপাদান - ধরনি,শব্দের উপাদান-ধুনি,ভাষার ক্ষুদ্ূতম একক- ধুনি, ভাষার উপকরণ-বাক্য,বাক্যের উপকরণ- শব্দ, শব্দের উপকরণ- ধ্রনি বা বর্ণ।
১৩. বাংলা স্বরবর্ণে হস স্বর চারটি - অ.ই,উ,ঝা।
১৪. বাংলা স্বরবর্ণে দীর্ঘস্বর সাতটি - আ.ঈ,উ,এ,এ,3,।
১৫. বাংলা ভাষায় মৌলিক স্বরধ্রনি ৭ টি।
১৬. বাংলা ভাষায় যৌগিক স্বরধরনি ২৫ টি।
১৭. বাংলা বর্ণমালায় যৌগিক স্বরবর্ণ দুইটি।
১৮. বাংলা ভাষায় মৌলিক ব্যঞ্জনধ্রনি ৩০ টি।
১৯. বাংলা ভাষায় স্পর্শ বর্ণের সংখ্যা ২০ টি। আগে ছিল ২৫ টি । স্পর্শ বর্ণ গুলো হুল পাঁচটি বর্গের প্রথম চারটি করে।
২০. বাংলা বর্ণমালায় উ্মবর্ন বা শিস ধ্বনী পুর্বে ছিল ৪ টি (স.ষ,স,হ) এখন ৩ টি (স.শ,হ)।
২১. বর্গের প্রথম দুটি হল অঘোষ ধনি পরের তিনটি ঘোষ ধ্বনি
২২. বর্গের প্রথম ও তৃতীয় হুল অক্লপ্রাণ ধনি আর দ্বিতীয় ও চতুর্থ হল মহাপ্রাণ পনি এবং পঞ্চম হল নাসিক ধ্রনি।
২৩. স্পর্শ ধনি ও শীষ ধনির মাঝামাঝিতে অবস্থিত বর্ণশুলোকেযে.র,ল) অন্তঃস্থ বর্ণ বলা হয়।
২৪. বাংলা বর্ণমালায় পুর্ণমাত্রা বর্ণ ৩২ টি,অর্ধমাত্রা বর্ণ ৮ টি.মাত্রাহীন বর্ণ ১০ টি।
২৫. স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে বলা হয় কার। বাংলা স্বরবর্ণে১০ টি কার আছে। অ এর কোন কার হয় না।
২৬. ব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপ হল অুনবর্ণ বা ফলা। বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণের ফলা ছয়টি।
২৭. ধনির পরিবর্তন মূলত তিন প্রকার। ধনির আগমন ঘটে, ধানি লোপ পায় এবং ধ্বনি রূপান্তরিত হয়।
২৮. মধ্য স্বরাগমকে বিপ্রকর্ষ বা স্বরভক্তি বলা হয় এটার প্রথম বা শেষ বর্ণ সংযুক্ত অবস্থায় থাকবে।
২৯. gggggggg এর অর্থ হলো অপিনিহিত।
৩০. অঘোষ অকল্পপ্রাণ হলো শ,ষ,স। ঘোষ মহাপ্রাণ হল হ।
৩১. বিসর্গ) শব্দটি “হ' বর্ণের রুপান্তর।
৩২. তৎসম শব্দ হলো এগুলা, যে শব্দে-ষ,ণ,হ:,,ল্ী,2,রেফ,রি কার থাকে।
৩৩. নিত্য মুর্ধন্য ণ-বাচক শব্দ- লবণ,মণ,মণি,বেণুকণিকা।
৩৪. নিত্য মুর্ধন্য ষ-বাচক শব্দ- মানুষ, আষাঢ,ভাষণ.ওষধ, ষড়খাতু।
৩৫. গঠনমুলকভাবে শব্দ দুই প্রকার - মৌলিক শব্দ,সাধিত শব্দ।
৩৬. মৌলিক শব্দগুলো হলো- আকাশ, মেঘ, ঢাকা, টাদ, গোলাপ, ফুল, গাছ, পাখি, মা, মাছ, নাক, মুখ, হাত, তিন, কলম, কালো, লাল।
৩৭. খাটি বাংলা উপসর্গ ২১ টি। তৎসম উপসর্গ ২০ টি।
৩৮. ধাতু বা প্রক্কাতির শেষে প্রত্যয় যুক্ত হয়।
৩৯. ক্রিয়ার মূল অংশকে ধাতু বলে ।
৪০. শব্দের মুল অংশকে প্রকৃতি বলে বা ক্রিয়া বা শব্দের মূল অংশই হলো প্রকৃতি।
৪১. শব্দদ্বিত্ব বা দিরুক্ত শব্দ ৩ প্রকার - অনুকার দ্বিত্ব,ধনাত্বক দ্বিত্ব, পুনরাবৃত্ত দবিত্ব। যুগ্মরীতিতে দ্বিরুত্তু)
৪২. পুরুষ তিন প্রকার - উত্তম পুরুষ,মধ্যম পুরুষ এবং নাম পুরুষ। নাম পুরুষকে প্রথম পুরুষ বা অন্য পুরুষও বলা হয়।
৪৩. সকল বিশেষ্য পদ নাম পুরুষ।
88. নিত্য পুরুষবাচক কিছু শব্দ - কবিরাজ, ঢাকী, অকৃতদার, কাপুরুষ, কেরানি, পুরোহিত, বিচা পতি।
৪৬. নিত্য স্ত্রীবাচক কিছু শব্দ - সধবা, বিধবা, সতীন, সৎমা, ডাইনি, অর্ধাঙ্গিনী, অন্তঃসত্ত্বা কলক্কিনী, কুলোটা, শাকচুন্নি, দাই, বারবনিতা।
৪৭. বচন একটি পারিভাষিক শব্দ।
৪৮. সংখ্যাবাচক শব্দ দুই প্রকার - ক্রমবাচক শব্দঅংক শব্দ, গণনা শব্দ), পুরণবাচক শব্দ (সাধারণ পুরণবাচক শব্দ,তারিখ বাচক শব্দ)।
৪৯. বিরাম চিন্কের অপর নাম হল ছেদ চিহু।
৫০. বাংলা ভাষাযর বিরাম চিহ্ন ১২ টি বা ১৪টি।
৫১. বাংলা বাক্যের শেষে তিনটি বিরাম চিহ্ন ব্যবহার করা হয় কোথাও কোথাও চারটির কথা বলা আছে।
৫২. কমা (,) এক বলতে যে সময় লাগে, সেমি কোলন (;)এক বলার দ্বিগুণ সময়। দাড়ি), প্রশ্ন চিহু?), বিষয় চিহ্ন (!), কোলন(), কোলোন ড্যাস(:- )ড্যাস() এগুলাতে এক সেকেন্ড |হাইফেন (-থামার কোন প্রয়োজন নাহ।
৫৩. ইলেক বা লোপ চিন্কে(*) থামার প্রয়োজন নেই।
৫৪. এক ইনভাটেড কমাতে(* ')এক সেকেন্ড,দুই ইনভাটেড কমাতে" ")এক বলতে যে সময় লাগে ততটুকু থামতে হবে।
৫৫. একটি আদর্শ বাক্যের তিনটি গুণ হলো - আকাঙ্ক্ষা, আসত্তি,যোগ্যতা।
৫৬. বাক্য গঠনের উপাদান হলো পদ।বাক্যের বাহন হল শব্দ।
৫৭. আকাঙ্ক্ষা হলো বাক্য শোনার যে ইচ্ছা,আসত্তি হলো বাক্যের অন্তর্গত পদের সুষ্্বিন্যাস,যোগ্যতা হল সঠিক সঠিক শব্দ দিয়ে বাক্য তৈরি করা।
৫৭. মডাদাহ(দেশী+তৎসম),সব পোড়া(তৎসম+দেশি), গরুর শকট(দেশী+তৎসম)।
৫৮. মিশ্র বা জটিল বাক্যে,যে-সে,যারা-তারা,যিনি-তিনি, যা - তা,যদি- থাকে।
৫৯. যৌগিক বাক্যে, এবং,৩ও,আর,কিন্ত,অথবা,বা,অথচ, কিংবা,বরং,তথাপি,তবে,নতুবা,সেজন্য,ফলে ইত্যাদি থাকে।
৬৯. অর্থ অনুসারে বাক্য সাত প্রকার।
৭০. অস্তিবাচক বাক্য মানে হ্য বোধক বাক্য।
৭১. বাচ্য তিন প্রকার - কতি বাচ্য,কর্মবাচ্য,ভাববাচ্য।
৭২. কর্তৃবাচ্য- ফ্যানটা অনেক জোরে ঘুরছে। কর্মবাচ্য- পুলিশ কর্তৃক ডাকাত ধৃত হয়েছে। ভাববাচ্য-আমার যাওয়া হবে না।
৭৩. বাংলা ভাষার অভিধান প্রথম রচনা করেন মনোএল দ্যা আসসুল্পসাও।
৭৪. বাংলা ভাষায় প্রথম অভিধান রচনা করেন রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ।
৭৫. মৃগয়া শব্দের অর্থ হরিণ শিকার।
৭৬. ছন্দ তিন প্রকার - স্বরবৃত্ত,অক্ষরবৃত্ত,মাত্রাবৃত্ত।
৭৭. স্বরবৃত্ত - মুক্তাকর একমাব্র,বদ্ধাক্ষর একমাব্র,মুল পর্ব ৪ মাত্বা।
৭৭. অক্ষরবৃত্ত - মুক্তাক্ষর একমাত্র, বদ্ধাক্ষর শুরুতেই একমাত্রা মধ্যে একমাত্র শেষে দুই মাত্রা,মুল পর্ব ৬ মাত্রা।
৭৮. মাত্বাবৃত্ত - মক্তাক্ষর একমাত্র, বদ্ধাক্ষর দুই মাত্বা,মূল পর্ব আট মাত্বা।
৭৯. এক প্রয়াসে উচ্চারিত ধনি বা ধৃনি সমষ্টরিকে অক্ষর বলে। উচ্চারণের একককে অক্ষর বলে।
৮০. 7318171 ৬০5০ অর্থ- অমিত্রাক্ষর।
৮১. বিদ্যুতের সমর্ক শব্দ ক্ষণপ্রভা।
৮৩. পর্বতের সমর্থক শব্দ ক্ষিতিধর।
৮৪. পরিভাষার আক্ষরিক অর্থ হলো বিশেষ ভাষা।
৮৫. দ্বন্দ্ব সমাস পুর্বপদ-পরপদ প্রধান। দ্বন্দ্ব সমাসের উভয়পদই বিশেষ্য। ব্যাসবাক্যে এবং,"ও", আর এই তিনটি অব্যয় ব্যবহার করা হয়। অলুক দ্বন্দ সমাসে পুর্বপদ এবং পর পদ দুই পদেই বিভক্তি থাকে৷
৮৬. বনুবীহি সমাসে পুর্বপদ এবং পর পদ কোনটির অর্থই সমস্ত পদে প্রকাশ পায় না। বহুবীহি সমাসের ব্যাসবাক্যের শেষে "যার" শব্দ ব্যবহার করা হয়।
৮৭. ব্যধিকরণ বনুতব্রীহি,ব্যতিহার বনুব্রীহি,অলুক বনুবীহি,সংখ্যা বাচক বনুবীহি,নঞ বনুবীহি।ব্যধিকরণ বনুবীহিতে দুটোই বিশেষ্য পদ। ব্যতিহার বন্ত বনুব্রীহিতে পূর্ব পদে গা ও পর পদে টি থাকে।
৮৮. পুর্ব পদের অব্যয় যোগ হয়ে অব্যয়ীভাব সমাস গঠিত হয়।
৮৯. পুর্ব পথে অব্যয় যোগ হয় অব্যয়ীভাব সমাস হয়।অব্যয়ীভাব সমাসে অব্যয়ের অই প্রধান থাকে।
৯০. অব্যয়ীভাব সমাসে নির,আ.অনু,প্রতি,উৎ,উপ,যথা ইত্যাদি অব্যয় ব্যবহার করা হয়।
৯১. অনু,প্রতি,প্র ইত্যাদি যুক্ত হয়ে প্রাদি সমাস গঠিত হয়।
৯২. কর্মধারয় সমাসে ব্যাসবাক্যে - যে,যিনি,যা ইত্যাদি যুক্ত থাকে।
৯৩. উপমান কর্মধারয় সমাসে পরপর বিশেষণ হয়। যার সাথে তুলনা করা হয় তাকে বলে উপমান।
৯৪. উপমান-মতো,উপমিত-ন্যায়,রুপক-রুপ।
৯৫. উপমান প্রথম এবং দ্বিতীয় দুটোই বাস্তব এবং ফলাফল বাস্তব। উপমিত প্রথম এবং দ্বিতীয় দুটো বাস্তব কিন্তু ফলাফল আবাস্তব।
৯৬. তৎপুরুষ সমাসের ব্যাসবাক্যে রাজা শব্দটি থাকলে সমস্ত পদে সেটা আগে উচ্চারিত হয়। মিস্বির রাজা -রাজমিস্ডি।
৯৭. উপপদ তৎপুরুষ, নঞ তৎপুরুষ,অলুক তৎপুরুষ।
৯৮. শব্দের আগে বসে উপসর্গ শব্দের পরে বসে অনুসর্গ প্রত্যয় বিভক্তি এবং পদাশ্রিত নির্দেশক।
৯৯. বিভক্তিযুক্ত শব্দ ও ধাতুকে পদ বলে।
১০০. পদ প্রধানত দুই প্রকার - অব্যয় পদ এবং সব্যয় পদ। সব্যয় পদ চার প্রকার - বিশেষ্য,বিশেষণ,সর্বনাম এবং ক্রিয়া।
১০১. বিশেষ্য পদের সাথে কেবলমাব্র বিভক্তি যুক্ত হয়।
১০২. সুন্দর বই এখানে সুন্দর হলো বিশেষণ সে বইকে বিশেষায়িত করেছে।
১০৩. বিশেষণ যদি অন্য কোন শব্দকে বিশেষায়িত করে তখন তা বিশেষণ যদি বিশেষায়িত না করে তখন সেটা বিশেষ্য হয়।
১০৪. ক্রিয়ার সাথে কি বা কাকে দিয়ে প্রশ্ন করলে যদি উত্তর পাওয়া না যায় তবে সেটা অকর্মক ক্রিয়া | আর যে ক্রিয়ার সাথে কি বা কাকে দিয়ে প্রশ্ন করলে উত্তর পাওয়া যায় তা সকরমক ক্রিয়া।
*ধাতুর সাথে বিভক্তি যুক্ত হয়ে ক্রিয়া গঠিত হয়।
১০৫. বাক্যে সমাপিকা ক্রিয়া পদ শেষে বসে।
১০৬. শাওন পড়ে এটা সমাপিকা ক্রিয়া । শাওন ভাত খেয়ে স্কুলে যাবে এটা অসমাপিকা ক্রিয়া।
১০৭. শাওন পড়ে এই বাক্যের ক্রিয়া অকর্মক। শাওন বই পড়ে বাক্যের ক্রিয়া স্বকর্ম ক্রিয়া।
১০৮. বাংলা ভাষায় যে অব্যয় শব্দগুলো কখনো স্বাধীনপদ রূপে আবার শব্দ বিভক্তির নেয় বাক্যে ব্যবহৃত হয় বাক্যের অর্থপ্রকাশ্যে সহায়তা করে সেগুলোকে অনুসর্গ বলে।
১০৯. অব্যয় হল স্বাধীনভাবে বাক্যে ব্যবহার করা হয় দুটো বাক্যকে সংযুক্ত করে। বাক্যের অলংকার বৃদ্ধি করে অব্যয় বাক্যে না থাকলেও সমস্যা হয় না








Previous Post Next Post

نموذج الاتصال