ষষ্ঠ শ্রেণি, বাংলা ১ম পত্র, সততার পুরস্কার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর:





বাংলা ১ম পত্র, সততার পুরস্কার
সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
প্রশ্ন: ০১

কালাম, আবুল ও হাফিজ একই গ্রামে বাস করে। তাদের অবস্থা তেমন ভালো নয়। কোনো মতে দিন অতিবাহিত করে। হাজী মকবুল সাহেব তার যাকাতের টাকা দিয়ে আবুলকে একটা রিক্সা কামালকে একটা ভ্যানগাড়ি আর হাফিজকে একটা সেলাই মেশিন কিনে দিল। আর বলল, তোমারা পরিশ্রম করে খাও আর হাজী সাহেব তাদের পরীক্ষা করার জন্য এক ভিক্ষুককে পাঠাল তাদের কাছে সাহায্য চাইতে। আবুল কালাম কোনো সাহায্যই করলো না। কিন্তু হাফিজ বিনে পয়সায় ভিক্ষুককে পাঠাল তাদের কাছে সাহায্য চাইতে। আবুল কালাম কোনো সাহায্যই করলো না। কিন্তু হাফিজ বিনে পয়সায় ভিক্ষুকের জামাটা সেলাই করে দিল।

(ক) স্বর্গীয় দূত কতজন ইহুদিকে পরীক্ষা করেছিলেন?
(খ) স্বগীয় দূত মানুষের ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন কেন?
(গ) কালাম ও আবুলের কাজের মাঝে সততার পুরস্কার গল্পের যে দিকটি প্রতিফলিত তা ব্যাখ্যা কর ।
(ঘ) হাফিজের কাজের মধ্যেই সততার পুরস্কার গল্পের মূল শিক্ষা নিহিতÑকথাটি বিশ্লেষণ কর।



প্রশ্নের উত্তর :

(ক) স্বর্গীয় দূত তিনজন ইহুদিকে পরীক্ষা করেছিলেন ।

(খ) স্বর্গীয় দূত মানুষের ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন ইহুদিও পরীক্ষা নেওয়ার জন্য। স্বর্গীয় দূত আল্লাহর নির্দেশে তিন ইহুদির নিকট াাসেন এবং তাদের চাহিদা অনুযায়ী তাদেরকে চাহিদা পূরণ করে দেন। অতঃপর তাদের যা যা প্রয়োজন তাকে তাই দেন ফলে তাদের ভাগ্যেও পরিবর্তণ ঘটে । আর পরীক্ষা নেওয়ার জন্য স্বর্গীয় দূত এক, এক করে তিন জনের কাছে আলাদা আলাদাভাবে সাহায্য চাইলেন এবং প্রথম দুজন কৃতজ্ঞতা অস্বীকার করে তাকে ফিরিয়ে দেয়। কিন্তু অন্যজন তাকে সহযোগিতা করে তার কৃতজ্্যঞার প্রকাশ করে। ইহুদিদের মধ্যে ফেরেশতার প্রথম দুজনের উপর অসন্তুষ্ট ও তৃতীয় জনের উপর খুশি হলেন। অতঃপর সে চলে গেলেন। আর এ কারণেই স্বর্গীয় দূত মানুষের ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন।

(গ) কালাম ও আবুলের কাজের মাঝে সততার পুরস্কার গল্পে মনুষ্যত্ব বোধের অভাব প্রতিফলিত হয়েছে । কালাম ও আবুলের কাজের মাধ্যমে সততার পুরস্কার গল্পের প্রথম ব্যক্তি ধবলরোগী ও দ্বিতীয় ব্যক্তি টাকওয়ালার অকৃতজ্ঞতার পরিচয় ফুটে ওঠে । আর মনুষ্যত্ববোধের অভাবেই মানুষ অকৃতজ্ঞা হয়ে পড়ে । উদ্দীপকে আমরা দেখতে পাই যে কালাম ও আবুল পূর্বে হতদরিদ্র থাকা সত্ত্বেও তারা যখন স্বাবলম্বী হলো তখন তারা ভিক্ষুককে সাকহায্য করল না আর যে ব্যক্তি তাদের সাহায্য তথ্য উপদেশ দিয়ে ছিলেন তার কথাও মনে করল না । আর এর দ্বারাই তদেও অকৃতজ্ঞতা ফুটে ওঠে । আর মনুষ্যত্ব বোধের অভাবেই কালাম ও আবুলের মাঝে অকৃতজ্ঞাতা ফুটে উঠেছে।
(ঘ) হাফিজের কাজের মধ্যেই সততার পুরস্কার গল্পের মূল শিক্ষা নিহিত রয়েছে। আর এই গল্পের মূল শিক্ষা হচ্ছে পরোপকার করা । পরোপকারই হচ্ছে আসল ধর্ম । আমরা সততার পুরস্কার গল্পে দেখতে পাই অন্ধ ব্যক্তি যখন আল্লাহর উপর কৃতজ্ঞ ছিলেন। ফেরেশতা বিদেশীর ছদ্মবেশ ধারণ করলে তার যা যা প্রয়োজন তাই নিতে বলল । আর আমরা উদ্দীপকে দেখতে পাই যে, ভিক্ষুকের জামা ছিড়ে যাওয়ায় তিনি তার জামাটা বিনা পয়সায় সেলাই কওে দেন। যার দ্বারা বুঝা যায় যে তিনি তার পূর্বেও অবস্থা সম্পর্কে অবগত রে য়ছেন। সততার পুরস্কার গল্পের দ্বারা আমরা বুঝতে পারি যে, অসময় অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে হয় এবং তাদের স্ববলম্বী করে তুলতে হয়। আর উপকারীর উপর কৃতজ্ঞতা বেশি থাকতে হয় । তাই বলা যায় যে, হাফিজের কাজের মধ্যেই সততার-পুরস্কার গল্পের মূল শিক্ষা নিহিত।

প্রশ্ন: ০
হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান রহিম ও করিম । তাদের স্ববলম্বী করার জন্য মতলুবর রহমান নামের এক ব্যক্তি তাদেরকে অর্থেও বিনিময়ে সাহায্য করেন। এই অর্থেও দ্বারা তারা ব্যবসা করে ধনীতে রুপান্তরিত হয় । একদিন এক অসহায় তাদের নিকট আসলে দেখা যায় তারা দুজনেই অসহায়কে অর্থের বিনিময়ে সাহায্য করেন।

(ক) কসম শব্দের অর্থ কী ?
(খ) সততার পুরস্কার গল্পের মূল বাণী কি?
(গ) উদ্দীপকের রহিম ও করিম সততার পুরস্কার গল্পের কার প্রতিচ্ছবি । ব্যাখ্যা ।
(ঘ) উদ্দীপকের এবং সততার পুরস্কার গল্পের উভয় ক্ষেত্রেই পরোপকার প্রাধান্য পেয়েছে মন্তব্যটির যথার্থতা মূল্যায়ন করো।


প্রশ্নের উত্তর :
(ক) কসম শব্দের অর্থ হচ্ছে শপথ।
(খ) সততার পুরস্কার গল্পের মূল বাণী হচ্ছে আল্লাহ মানুষকে পরীক্ষা করেন এবং সৎলোককে যথাযথ পুরস্কার দেন ফেরেশতারা মানুষের ছদ্মবেশ ধারণ করে বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট যান এবং তাদের বিভিন্ন পরীক্ষা গ্রহণ করে থাকে । আর যার দ্বারা তারা সৎ ও অসৎ রৈাকদের চিহ্নিত করেন। আর এর দ্বারা তারা সৎ লোকদের যথাযথ পুরস্কার ও অসৎ লোকদের যথাযথ শাস্তি দিয়ে থাকেন।

 (গ) উদ্দীপকের রহিম ও করিম সততার পুরস্কার গল্পের অন্ধ ব্যক্তিটিরই প্রতিচ্ছবি। সততার পরিচয় গল্পে- আমরা দেখতে পাই ফেরেশতা-অন্ধ ব্যক্তিটিকে তার চোখের দুষ্টি ফিরিয়ে দেয় ও ধনীতে পরিণত করেন। আর পরবর্তীতে দেখা যায় ঐ অন্ধ ব্যক্তিটি ও ঠিক অসহায়ের পাশে দাঁড়ায় ও তার ইচ্ছানুসারে যা প্রয়োজন তাই নিতে বলে । ঠিক তেমনি রহিম ও করিম হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়া সত্ত্বেও মতলুবর রহমানের সাহায্যেও বিনিময়ে তারা যখন স্বাবলম্বী হয় তখন তারাও ঠিক একই কাজ করে। তাদের নিকট যখন এক অসহায় লোক আসে তারা তাকে অর্থের বিনিময়ে সাহায্য করন। আর টিক এই ধরণের কাজই অন্ধ ব্যক্তিটি করেছেন। আর তাই বলা যায় যে, রহিম ও করিম সততার পুরস্কার গল্পের অন্ধের প্রতিচ্ছবি।




(ঘ) পরোপকার হচ্ছে অন্যের উপকার করাকেই বুঝানো হয়ে থাকে। আর উদ্দীপকে এবং সততার পুরস্কার গল্পের উভয় ক্ষেত্রেই পরোপকার প্রাধান্য পেেেছ মন্তব্যটি যথার্থ। আমরা উদ্দীপকে দেখি যে, রহিম ও করিম কে মতলুবর রহমান যেমনি স্বাবলম্বী করে তোলেন ঠিক তেমনি তারাও আবার ঠিক অন্য এক অসহায় ব্যক্তিকে সাহায্য করেন। আর যার দ্বারা ধীরে ধীরে সবাই স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে। আবার তেমনি করে সততার পুরস্কার গল্পে অন্ধ ব্যক্তিটি স্বাবলম্বী হওয়ার পরই ছদ্মবেশী বিদেশী অর্থাৎ ফেরেশতাকে সাহায্য করতে চাইলেন। এতে দেখা যায় উদ্দীপক ও গল্পে উভয় ক্ষেত্রে পরোপকার এর কথা বলা হয়েছে। আর তাই পরোপকার প্রাধান্য পেয়েছে।



প্রশ্ন: ০৩

একদা কালাম, আবুল ও হাফিজ নামে তিন অসহায় ব্যক্তি একই গ্রামে বাস করত । তাদের কোন কাজ না থাকায় জীবন চলা অতি দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে । এই সময় রহিম নামের এক ব্যক্তি তাদের সাহায্য করলে তারা স্ববলম্বী হয় । রহিম তাদের পরীক্ষা করার জন্য এক অসহায়কে পাঠালে হাফিজ অসহায়কে সাহায্য না করলেও কালাম ও আবুল দুজনেই অসহায়েয় প্রয়োজন অনুসারে সাহায্য করেন।

(ক) সততার পুরস্কার গল্পের কোন বংশের লোকের কথা বলা হয়েছে ?
(খ) তিনি তাহাকে একটি গাভিন গাই দিয়া বলিলেন, এই লও” এটি কেন কাকে বলল ও কেন?
(গ) উদ্দীপকের হাফিজের কাজের সাথে সততার পুরস্কার গল্পের চরিত্রের মিল লক্ষণীয় ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) উদ্দীপকের কালাম সততার পুরস্কার গল্পের কার প্রতিনিধিত্ব করছেন ? বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্নের উত্তর:

(ক) সততার পুরস্কার গল্পে “ইহুদি ” বংশের লোকের কথা বলা হয়েছে।

(খ) “তিনি তাহাকে একটি গাভিন গাই দিয়া বলিলেন এই লও” এটি ফেরেশতা বলল টাকওয়ালাকে। পেরেশতা পরীক্ষা নেওয়ার জন্য টাকওয়ালার নিকট আসলে প্রথমে তার টাক দূর করে দেন ও পরবর্তীতে তাকে তার ভাগ্যের উন্নতির জন্য গাভিন গাই দিলেন । আর এই কারণেই উক্ত কথাটি বলা হয়েছে।




(গ) উদ্দীপকের হফিজের কাজের সাথে সততার পুরস্কার গল্পের ধবলরোগী ও টাকওয়ালার চরিত্রের মধ্যে মিল লক্ষ্যনীয় । সততার পুরস্কার গল্পে আমরা দেখতে পাই ফেরেশতা ধবলরোগী ও টাকওয়ালাকে সুস্থ ও তাদের স্ববলম্বী করে তোলেন। কিন্তু পরবতর্েিত দেখা যায় তারা অন্যের উপকার করা থেকে বিরত থাকেন। ঠিক তেমনি হাফিজের নিকট ও এক অসহায় লোক সাহায্য চাইলে হাফিজ তার পূর্বের অবস্থা ভুলে যায় এবং সাহায্য করা থেকে বিরত থাকে এবং তার কৃতজ্ঞতা অস্বীকার করে। আর এ হতে দেখা যায় যে, হাফিজের কাজের সাথে সততার পুরস্কার গল্পের ধবল রোগী ও টাকাওয়ালার মধ্যে মিল লক্ষ্যনীয়।




(ঘ) উদ্দীপকের কালাম ‘সততার পুরস্কার গল্পে দেখওতে পাই যে, অন্ধ ব্যক্তি তার পূর্বেও অবস্থার কথা সর্বদা স্মরণ রাখতেন । আর তাই তিনি চাইতেন অসহায়কে সাহায্য করতে। আর আমরা উদ্দীপকে দেখতে পাই যে, কালাম অসহায় হতে ধনীতে পরিণত হওয়া সত্ত্বেও তার পূর্বের অবস্থা ভুলে যায় নি। কালাম তাই অসহায় লোককে অসহায়ের প্রয়োজন মতো সাহায্য করল। আর উপরোক্ত দিক হতে বলা যায়, কালাম যেমনি অসহায়কে সাহায্য করে ও তার পূর্বের কথা মনে রেখেছেন । আর তাই বলা যায় সে, উদ্দীপকের কালাম সততার পুরস্কার গল্পের অন্ধের প্রতিনিধিত্ব করছে।



প্রশ্ন: ০৪

দরিদ্র আবুল মিয়ার তিন সন্তান। অভাব হলেও ছেলেদের শিক্ষিত করেন এবং বতৃমানে তারা তিনজনই শহরে চাকুরী করেন। একদিন আবুল মিয়া অসুস্থ হলে ছেলেদের নিকট টাকা চাইলে বড় দুই সন্তান টাকা থাকা সত্ত্বেও দেয় নাই । অন্যদিকে তার ছোট সন্তান মজিদ বাবাকে টাকা পাঠায় ও সাথে সাথে দেখতে যায় ।

(ক) মুহম্মদ শহীদুল্লাহ কোন জেলায় জন্মগ্রহণ করেন?
(খ) স্বর্গীয় দূত কার নির্দেশে এসব কাজ করেছিল ? ব্যাখ্যা কর।
(গ) মজিদই উদ্দীপকের আবুল মিয়ার যোগ্য সন্তান সততার পুরস্কার গল্পের কার চরিত্রের মিল ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) মজিদই উদ্দীপকের আবুল মিয়ার যোগ্য সন্তান সততার পুরস্কার গল্পের আলোকে বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্নের উত্তর :

(ক) মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ভারতের পরিশ্চমবঙ্গের “চব্বিশ পরগনা” জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।




(খ) স্বর্গীয় দূত “আল্লাহর” নির্দেশে এসব কাজ করেছিল । আল্লাহ মানুষকে পরীক্ষার মাধ্যমে সৎলোককে যথাযথ পুরস্কার দেন । আর ফেরেশতারা অল্লাহর নির্দেশেই সকল ধরনের কাজ করে থাকেন।




(গ) উদ্দীপকের আবুল মিয়ার বড় দুই সন্তান এর সাথে সততার পুরস্কার গল্পের ধবলরোগী ও টাকওয়ালার মধ্যে মিল পাওয়া যায়।

“সততার পুরস্কার গল্পে আমরা দেখত পাই ধবলরোগী ও টাকওয়ালকে আল্লাহ স্বভাবিক চেহারা ও সাথে ধনবান বানিয়ে দেন। কিন্তু তারা ধনবান হওয়া সত্ত্বেও ফেরেশতা যখন গরিব বিদেশীয় রূপ ধারণ করেন তখন তারা বিদেশীকে সাহায্য করেন নি ও তাদের পূর্বের অবস্থার কথা ভুলে যা। আর ঠিক তেমনি উদ্দীপকের আবুল মিয়ার বড় দুই সন্তান বাবার অসুস্থাতার কথা শুনেও বাবাকে টাকা দেয় না এবং কৃতজ্ঞাকতা অস্বীকার করে এবং অকৃতজ্ঞাতার পরিচয় দেয়। আর এর দ্বারাই “সততার পুরস্কার গল্পের ধবলরোগী ও টাকওয়ালার সাথে আবুল মিয়ার বড় দুই সন্তানের মিল পাওয়া যায়।

(ঘ) মজিদই উদ্দীপকের আবুল মিয়ার যোগ্য সন্তান কারণ বাবার বিপদে তিনিই পাশে ছিলেন। ‘সততার পুরস্কার’ গল্পে আমরা দেখতে পাই যে, টাকওয়ালা ও ধবলরোগী ধনী হওয়ার পর আল্লাহর দান অস্বীকার করে অসহায়দের সাহায্য করা হতে বিরত থাকে তবে অন্দ ব্যক্তিটি আল্লাহার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও করে এবং অসহায়কে সাহায্য করেন। আমরা তেমনি উদ্দীপকে দেখতে পাই যে, আবুল মিয়া অসুস্ত হলে বড় দুই সন্তান টাকা না দিলেও ছোট সন্তান বাবাকে ঠিকই টাকা দিয়ে সাহায্য করেন আর এটিই ছিল একজন সন্তানের উপযুক্ত কাজ। আর তাই পরিশেষে বলা যায় যে, মজিদই উদ্দীপকের আবুল মিয়ার যোগ্য সন্তান।



প্রশ্ন: ০৫

কাজ শেষ করে দিন দিনমজুর আলাদা আলাদা বাবে বাড়ি ফিরছিলেন। পত হারিয়ে রাস্তার দারে এক শিশু কাঁদছিল। রহিম ও করিম প্রথমে দেখেও না দেকার মতো করে চলে যায়। কিন্তু অতঃপর মজনু শিশুটিকে দেখলে তার বাড়িতে নিয়ে যায় ও পরে তার পরিচয় জেনে বাড়তে রেখে আসে।

(ক)কাকে আল্লাহর দূত বলা হয়?
(খ) স্বর্গীয় দূতের কাছে অন্দ এক এক কোন দুটি জিনিস চাইল এবং কেন চাইল?
(গ) মজনুর মধ্যে সততার পরিচয় গল্পের কার চরিত্রে মিল ফুটে উছেছে?
(ঘ) উদ্দীপক ও ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের কাহিনী এক নয়।উদ্দীপক ও পাঠ্যবইয়ের আলোকে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।



প্রশ্নের উত্তর:

(ক) ফেরেশতাকে আল্লাহর দূত বলা হয়েছে।

(খ) স্বর্গীয় দূতের কাছে অন্ধ প্রথমত তার চোখ ভাল করতে চাইল এবং দ্বিতীয়ত একটি ছাগল চাইল। চোখ অন্ধ থাকায় তার চোখের জ্যোতি ফিরে পাবার প্রবল ইচ্ছা ছিল এবং দরিদ্রতা দূর করণের জন্য সে তার কাছে দ্বিতীয়ত একটি ছাগল চেয়েছিল।

(গ)মজনুর কাজের মধ্যে দিয়ে সততার পুরস্কার গল্পের অন্ধ লোকের কাজের সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়্ কারণ দুজনের মধ্যেই অসহাযকে সাহায্য করার প্রবণতা দেকা যায়। উদ্দীপকের আলোচনা থেকে আমরা দেখতে পাই যে, এক অসহায় শিশু রাস্তা হারিয়ে পতে দাঁড়িয়ে কাঁদছিল। রহিম ও করিম তাকে দেকেও কোনো সাহায্য না করে চলে গেল্ কিন্তু মজনু তা না কওে তাকে নিয়ে এসে তার পরিচয় জেনে তাকে তার বাবা-মার কাছে ফিওে দেয়।

অপরদিকে সততার পুরস্কার গল্পে ফেরেশতা দ্বিতীয়বার এক অসহায় বিদেশীয় রূপ নিয়ে আবিভর্’ত হল। সেই তিন ইহুদির কাছে সাহায্য চাইল। ধবল রোগী এবং টাকওয়ালা তাকে ফিরিয়ে দিল। কিন্তু অন্ধ তাকে তার সাধ্যমত সাহায্য করতে চাইল যা উদ্দীপকের মজনুর কাজের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।

(ঘ) উদ্দীপক ও সততার পুরস্কার গল্পের কাহিনী এক নয় কারণ দুই গল্পে বিষয়টি এরকম হলেও কাহিনী দুটি ভিন্ন্ উদ্দীপকে তিনজন লোক এক পথশিশুকে দেখল। প্রথম দুইজন তাকে কোনো সাহায্য করল না কিন্তু তৃতীয়জন তাকে যথার্থ সাহায্য করল। এক্ষেত্রে শিশুটিকে কোন আর্থিক সাহায্য করতে হয়নি। অপরদিকে সততার পুরস্কার গল্পে মানুষরূপি ফেরেশতা প্রথমবার ধবলরোগী, টাকওয়ালা ও অন্ধকে তাদের চাহিদা মত সাহায্য করল কিন্তু দ্বিতীয়বার তাদের পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আবার ফেরেশতা আবির্ভূত হয়েছিল।

অতএব আমরা দেখতে পাচ্ছি যে দুই গল্পের মধ্যে কাহিনীর অমিল রয়েছে। পাঠ্যবইয়ের গল্পটিতে আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতাকে মানুস রূপে তিন ইহুদীর কাছে তাহাদেও পরীক্ষা নেওয়ার জন্য।


Post a Comment

3 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
  1. সততার পুরস্কার গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন রহিম ৬ শেএনি ছাএ সে তার বন্ধু করিমের কাছ থেকে একটি গল্পের বই ধার নেয়। কিছুদিন পর করিম বইটি ফেরত চাইলে রহিম তাকে উল্টো গালাগালি করে৷ (গ) উদদীপকে রহিম চরিএ গল্পের কোন চরিত্রের সাথে সংগতিপূরন বুঝিয়ে লেখ।

    ReplyDelete
    Replies
    1. করিমের সাথে সততার গল্পের প্রথম দুই চরিত্রের সাথে মিল রয়েছে।
      মানুষ স্রষ্টার সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হলে ও মানুষের মধ্যে ভালো- মন্দ, সৎ-অসৎ এবং কৃতজ্ঞ-অকৃতজ্ঞ বান্দা রয়েছে। সৎ ও কৃতজ্ঞ ব্যাক্তিকে সমাজের সবাই যেমন ভালোবাসে তেমনি স্রষ্টার পছন্দ করে।কিন্তু অকৃতজ্ঞ ব্যাক্তিকে স্রাষ্টা ভালোবাসে না এবং সমাজের লোকও পছন্দ করে না। অকৃতজ্ঞ ব্যাক্তিরা স্রষ্টা ও মানুষের অনুগ্রহ উপভোগ করে তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না।
      উদ্দিপকে দেখা যায়, রহিম করিমের কাছ থেকে একটি গল্পের বই ধার নেয়।কিছুদিন পর করিম বইটি ফেরত চাইলে রহিম তা অস্বীকার করে এবং তাকে উল্টো গালাগালি করে। উদ্দিপকে রহিমের মতো গল্পের প্রথম দুই চরিত্রও প্রচণ্ড অকৃতজ্ঞতার পরিচয় দেয়। গল্পের প্রথমজন ধবলরোগী, দ্বিতীয়জন টাকাওয়ালা উভয়েই স্রষ্টার কৃপায় এবং ফেরেশতার মাধ্যমে সুস্থ হয় এবং অনেক সম্পদের মালিক হয়।আল্লাহ তাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য আবার সেই ফেরেশতাকে দরিদ্র বেশে পাঠান কিন্তু তারা পূর্বের অবস্থা অস্বীকার করে চরম অকৃতজ্ঞতার পরিচয় দেয়। উদ্দিপকের রহিমও করিম থেকে বই নিয়ে তা অস্বীকার করলো এবং করিমেকে গালাগালি করলো।
      তাই বলা যায়, লোভ ও অকৃতজ্ঞতার সাদৃশ্যে গল্পের প্রথম দুই চরিত্র ও রহিমের চরিত্রের সাথে মিল রয়েছে।

      Delete

#buttons=(Accept !) #days=(30)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !
Clicky