করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হার বিশ্বের মধ্যে ইটালি প্রথম, বাংলাদেশ দ্বিতীয়

ইতিমধ্যে বিশ্বের ২০৫টি দেশ ও অঞ্চলে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে । একই সঙ্গে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে দুটি প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেস ও এমএস জ্যান্দাম এর যাত্রীরা। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে ১১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৬৮ জন আর মৃত্যুবরণ করেছে ৬৪ হাজার ৩৮৭ জন আর সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরে গেছেন ২ লক্ষ ৪৬ হাজার ১১০ জন। এই হিসাবে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হার ৫.৫৯ শতাংশ। সফটওয়্যার সল্যুশন কোম্পানি ডারাক্সের পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার এই তথ্য প্রকাশ করেছে।


করোনাভাইরাসে বয়সভেদে মৃত্যুর হার নিচে দেওয়া হলো:
করোনাভাইরাস আক্রান্ত ২০৫ দেশের মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে । য়ার্ল্ডোমিটারে বাংলাদেশের অবস্থান নিচের দিকে থাকলেও হিসেব করলে মৃত্যুর হার বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান ২য়। ইতালি মৃত্যুর হারে প্রথম অবস্থানে রয়েছে আর তৃতীয় অবস্থানে আছে স্পেন।

ইটালিতে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১৫৩৬২ জন, স্পেনে ১১৮১১ জন, আমেরিকায় ৮৩৪৭ জন,  ফ্রান্সে ৭৫৬০ জন, ইরানে ৩৪৫২ জন, ব্রিটেনে ৪৩১৩ জন, চীনে ৩৩২৬ জন, নেদারল্যান্ড ১৬৫১ জন, জার্মানীতে ১৪২৭ জন, বেলজিয়ামে ১২৮৩ জন এবং বিশ্বের বাকী সব দেশগুলোতে এখন পর্যন্ত মৃত্যু সংখ্যা হাজার এর নিচে রয়েছে।


স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনলাইন প্রেস ব্রিফিং থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে  এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ০৮ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ৭০ জন। এর মানে বাংলাদেশে প্রতি ১০০ জন করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে প্রায় সাড়ে ১১ জন মারা যাচ্ছেন! তার মানে বাংলাদেশে মৃত্যুর হার ১১.৪৩ শতাংশ যেখানে ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনে মৃত্যুর হার ৪.০৪%। মৃত্যুর হারের দিক থেকে  বাংলাদেশ থেকে এগিয়ে থাকা একমাত্র দেশ ইতালি। দেশটিতে এই হার ১২.২৫ শতাংশ। ইতালির পর মৃত্যুপুরি হিসেবে বিবেচিত স্পেনেও এই হার বাংলাদেশের চেয়ে কম। স্পেনে মৃত্যুর হার ৯.৩৯ শতাংশ। আক্রান্তের দিক থেকে প্রথম অবস্থানে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুহার মাত্র ২.৬৭ শতাংশ।

করোনাভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কৃত না হওয়ায় বিশেষজ্ঞদের দেওয়া পরামর্শই এই প্রাণঘাতী ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায়। এ মহামারী প্রতিরোধে নাগরিক সচেতনতা একান্ত জরুরি। একইসঙ্গে সামাজিক দূরত্ব, লকডাউন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া নির্দেশাবলী মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের ওপর সরকারের উচিত আরও গুরুত্বারোপ করা।
Previous Post Next Post

نموذج الاتصال