চতুর্থ শ্রেণি - বিজ্ঞান - অধ্যায়: ১৩
জনসংখ্যা ও প্রাকৃতিক পরিবেশ
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর:
০১। বনভূমি ধ্বংসের ফলে কী ঘটতে পারে?
উত্তর: বনভূমি ধ্বংসের ফরে নিচের ঘটনাগুলো ঘটতে পারেÑ
(১) গাছপালা ও পশুপাখির আবাসস্থল নষ্ট হবে।
(২) উদ্ভিদ ও প্রাণীর বিলুপ্তি ঘটবে।
(৩) ভূমিক্ষয় ও ভূমিধ্বসের ঘটনা বাড়বে।
(৪) বন্যা, খরা ও ঝড়ের মতো দুর্যোগ দেখা দিবে।
০২। মানুষ কীভাবে বনভূমি ধ্বংস করছে?
উত্তর: মানুষ নিম্ন লিখিত কাজগুলোর মাধ্যমে বনভূমি ধ্বংস করছে
(১) জ্বালানি ও গৃহনির্মাণের জন্য গাছ কেটে।
(২) চাষের জমি, গো-খাদ্য, বাসস্থান ও রাস্তাঘাট তৈরির জন্য গাছপালা কেটে।
০১। বনভূমি ধ্বংসের ফলে কী ঘটতে পারে?
উত্তর: বনভূমি ধ্বংসের ফরে নিচের ঘটনাগুলো ঘটতে পারেÑ
(১) গাছপালা ও পশুপাখির আবাসস্থল নষ্ট হবে।
(২) উদ্ভিদ ও প্রাণীর বিলুপ্তি ঘটবে।
(৩) ভূমিক্ষয় ও ভূমিধ্বসের ঘটনা বাড়বে।
(৪) বন্যা, খরা ও ঝড়ের মতো দুর্যোগ দেখা দিবে।
০২। মানুষ কীভাবে বনভূমি ধ্বংস করছে?
উত্তর: মানুষ নিম্ন লিখিত কাজগুলোর মাধ্যমে বনভূমি ধ্বংস করছে
(১) জ্বালানি ও গৃহনির্মাণের জন্য গাছ কেটে।
(২) চাষের জমি, গো-খাদ্য, বাসস্থান ও রাস্তাঘাট তৈরির জন্য গাছপালা কেটে।
অতিরিক্ত সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর:
০১। মানুষের সাথে কোনটির সম্পর্ক নিবিড়?
উত্তর: মাুনষের সাথে প্রকৃতির সম্পর্ক নিবিড়।
০২। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য সর্বপ্রথম প্রয়োজন কোনটি?
উত্তর: মানুষের বেঁচে থাকার জন্য সর্বপ্রথম প্রয়োজন খাদ্য।
০৩। কোনটির উন্নতির ফলে মানুষ বিভিন্ন রোগ ও দুর্ঘটনা থেকে সহজেই বাঁচতে পারছে?
০১। মানুষের সাথে কোনটির সম্পর্ক নিবিড়?
উত্তর: মাুনষের সাথে প্রকৃতির সম্পর্ক নিবিড়।
০২। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য সর্বপ্রথম প্রয়োজন কোনটি?
উত্তর: মানুষের বেঁচে থাকার জন্য সর্বপ্রথম প্রয়োজন খাদ্য।
০৩। কোনটির উন্নতির ফলে মানুষ বিভিন্ন রোগ ও দুর্ঘটনা থেকে সহজেই বাঁচতে পারছে?
উত্তর: চিকিৎসা প্রযুক্তির উন্নতির ফলে মানুষ বিভিন্ন রোগ ও দুর্ঘটনা থেকে সহজেই বাঁচতে পারছে।
০৪। মানুষের দীর্ঘায়ু লাভের কারণ কোন প্রযুক্তি?
উত্তর: মানুষের দীর্ঘায়ু লাভের কারণ চিকিৎসা প্রযুক্তি।
০৫। অতিরিক্ত প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণের ফলে কোনটির পরিবর্তন ঘটছে?
উত্তর: অতিরিক্ত প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণের ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশের পরিবর্তন ঘটছে।
০৬। গাছপালা ও পশুপাখির আবাসস্থল নষ্ট হয় কোনটির ফলে?
উত্তর: গাছপালা ও পশুপাখির আবাসস্থল নষ্ট হয় বনভূমি ধ্বংসের ফলে।
০৭। বনভূমি ধ্বংসের ১টি ফলাফল লেখ।
উত্তর: বনভূমি ধ্বংসের ১টি ফলাফল হলো ভূমিক্ষয়।
০৮। বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রার পরিবর্তনের ১টি প্রভাব লেখ।
উত্তর: বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রার পরিবর্তনের ১টি প্রভাব হলো খরা।
বর্ণনামূলক প্রশ্নোত্তর:
০১। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে খাদ্য ও বাসস্থানের চাহিদার সম্পর্ক ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: মানুষের বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য ও বাসস্থান প্রয়োজন। জনসংখ্যা যত বাড়বে, তত বেশি খাবারের প্রয়োজন হবে। বাড়তি মানুষের বসবাসের জন্য আরও বেশি জায়গা প্রয়োজন হবে। জনসংখ্যা যদি ক্রামগত বাড়তেই থাকে তবে এক সময় খাদ্য ও বাসস্থানের সংকট দেখা দিবে। অর্থাৎ জনসংখ্যা বৃদ্দির সাথে খাদ্য ও বাসস্থানের চাহিদার সম্পর্ক গভীর।
০২। জনসংখ্যার উপর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতির প্রভাব কী?
উত্তর: পৃথিবীর জনসংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। একই সাথে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যাপক অগ্রগতিও হচ্ছে। এর ফরে বাড়তি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সহায়তায় মানুষ এখন যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্য উৎপাদন করতে পারছে। চিকিৎসা প্রযুক্তির উন্নতির ফলে বিভিন্ন রোগ ও দুর্ঘটনা থেকে সহজেই বাঁচা সম্ভব হচ্ছে। ফলে মানুষ দীর্ঘায়ু লাভ করছে। এভাবে অন্যান্য চাহিদা পূরণেও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সুতরাং জনসংখ্যার উপর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রভাব ব্যাপক।
০৩। বাড়তি জনসংখ্যা প্রাকৃতিক সম্পদের উপর কী প্রভাব ফেলছে?
উত্তর: পৃথিবীতে প্রাকৃতিক সম্পদের পরিমাণ সীমিত। এ সীমিত সম্পদ থেকেই মানুষ খাদ্য, বাসস্থান, জমি, শক্তি এবং অন্যান্য সম্পদের প্রয়োজন মেটায়। জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলে বাড়তি চাহিদা মেটানোর জন্য অতিরিক্ত প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ করতে হয়। এর ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশের পরিবর্তন ঘটে। কখনো পরিবেশ ধ্বংস হয়ে যায়। অর্থাৎ বাড়তি জনসংখ্যার বাড়তি চাহিদা মেটাতে গিয়ে প্রাকৃতিক সম্পদের ধ্বংস সাধন হচ্ছে।
অতিরিক্ত বর্ণনামূলক প্রশ্নের উত্তর:
০১। জনসংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ কী? জনসংখ্যার উপর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ২টি ইতিবাচক দিক লেখ। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতি না হলে জনসংখ্যা কী অবস্থায় থাকত? ২টি বাক্যে লেখ।
উত্তর: জনসংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যাপক অগ্রগতি।
জনসংখ্যার উপর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ২টি ইতিবাচক দিক হলো
(১) মানুষ এখন যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্য উৎপাদন করতে পারছে।
(২) মানুষ বিভিন্ন রোগ ও দুর্ঘটনা থেকে সহজেই বাঁচতে পারছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতি না হলে অধিক মানুষের জন্য খাদ্যের যোগান দেওয়া সম্ভব হতো না। অধিক জনসংখ্যার অন্যান্যা চাহিদাগুলো মেটানো সম্ভব হতো না।
০২। পৃথিবীতে কোন সম্পদের পরিমাণ সীমিত? অতিরিক্ত প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণের ২টি ক্ষতিকর দিক লেখ। বনভূমি ধ্বংসের ২টি প্রভাব ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: পৃথিবীতে প্রাকৃতিক সম্পদের পরিমাণ সীমিত।
০৪। মানুষের দীর্ঘায়ু লাভের কারণ কোন প্রযুক্তি?
উত্তর: মানুষের দীর্ঘায়ু লাভের কারণ চিকিৎসা প্রযুক্তি।
০৫। অতিরিক্ত প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণের ফলে কোনটির পরিবর্তন ঘটছে?
উত্তর: অতিরিক্ত প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণের ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশের পরিবর্তন ঘটছে।
০৬। গাছপালা ও পশুপাখির আবাসস্থল নষ্ট হয় কোনটির ফলে?
উত্তর: গাছপালা ও পশুপাখির আবাসস্থল নষ্ট হয় বনভূমি ধ্বংসের ফলে।
০৭। বনভূমি ধ্বংসের ১টি ফলাফল লেখ।
উত্তর: বনভূমি ধ্বংসের ১টি ফলাফল হলো ভূমিক্ষয়।
০৮। বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রার পরিবর্তনের ১টি প্রভাব লেখ।
উত্তর: বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রার পরিবর্তনের ১টি প্রভাব হলো খরা।
বর্ণনামূলক প্রশ্নোত্তর:
০১। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে খাদ্য ও বাসস্থানের চাহিদার সম্পর্ক ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: মানুষের বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য ও বাসস্থান প্রয়োজন। জনসংখ্যা যত বাড়বে, তত বেশি খাবারের প্রয়োজন হবে। বাড়তি মানুষের বসবাসের জন্য আরও বেশি জায়গা প্রয়োজন হবে। জনসংখ্যা যদি ক্রামগত বাড়তেই থাকে তবে এক সময় খাদ্য ও বাসস্থানের সংকট দেখা দিবে। অর্থাৎ জনসংখ্যা বৃদ্দির সাথে খাদ্য ও বাসস্থানের চাহিদার সম্পর্ক গভীর।
০২। জনসংখ্যার উপর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতির প্রভাব কী?
উত্তর: পৃথিবীর জনসংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। একই সাথে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যাপক অগ্রগতিও হচ্ছে। এর ফরে বাড়তি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সহায়তায় মানুষ এখন যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্য উৎপাদন করতে পারছে। চিকিৎসা প্রযুক্তির উন্নতির ফলে বিভিন্ন রোগ ও দুর্ঘটনা থেকে সহজেই বাঁচা সম্ভব হচ্ছে। ফলে মানুষ দীর্ঘায়ু লাভ করছে। এভাবে অন্যান্য চাহিদা পূরণেও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সুতরাং জনসংখ্যার উপর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রভাব ব্যাপক।
০৩। বাড়তি জনসংখ্যা প্রাকৃতিক সম্পদের উপর কী প্রভাব ফেলছে?
উত্তর: পৃথিবীতে প্রাকৃতিক সম্পদের পরিমাণ সীমিত। এ সীমিত সম্পদ থেকেই মানুষ খাদ্য, বাসস্থান, জমি, শক্তি এবং অন্যান্য সম্পদের প্রয়োজন মেটায়। জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলে বাড়তি চাহিদা মেটানোর জন্য অতিরিক্ত প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ করতে হয়। এর ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশের পরিবর্তন ঘটে। কখনো পরিবেশ ধ্বংস হয়ে যায়। অর্থাৎ বাড়তি জনসংখ্যার বাড়তি চাহিদা মেটাতে গিয়ে প্রাকৃতিক সম্পদের ধ্বংস সাধন হচ্ছে।
অতিরিক্ত বর্ণনামূলক প্রশ্নের উত্তর:
০১। জনসংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ কী? জনসংখ্যার উপর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ২টি ইতিবাচক দিক লেখ। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতি না হলে জনসংখ্যা কী অবস্থায় থাকত? ২টি বাক্যে লেখ।
উত্তর: জনসংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যাপক অগ্রগতি।
জনসংখ্যার উপর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ২টি ইতিবাচক দিক হলো
(১) মানুষ এখন যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্য উৎপাদন করতে পারছে।
(২) মানুষ বিভিন্ন রোগ ও দুর্ঘটনা থেকে সহজেই বাঁচতে পারছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতি না হলে অধিক মানুষের জন্য খাদ্যের যোগান দেওয়া সম্ভব হতো না। অধিক জনসংখ্যার অন্যান্যা চাহিদাগুলো মেটানো সম্ভব হতো না।
০২। পৃথিবীতে কোন সম্পদের পরিমাণ সীমিত? অতিরিক্ত প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণের ২টি ক্ষতিকর দিক লেখ। বনভূমি ধ্বংসের ২টি প্রভাব ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: পৃথিবীতে প্রাকৃতিক সম্পদের পরিমাণ সীমিত।
অতিরিক্ত প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণের ২টি ক্ষতিকর দিক হলো
(১) প্রাকৃতিক পরিবেশের পরবর্তন ঘটছে।
(২) বন্যা, খরা ও ঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
(১) প্রাকৃতিক পরিবেশের পরবর্তন ঘটছে।
(২) বন্যা, খরা ও ঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
বনভূমি ধ্বংসের ২টি প্রভাব হলো
(১) গাছপালা ও পশুপাখির আবাসস্থল নষ্ট হওয়া।
(২) ভূমিক্ষয় ও ভূমিধ্বস হওয়া।
(১) গাছপালা ও পশুপাখির আবাসস্থল নষ্ট হওয়া।
(২) ভূমিক্ষয় ও ভূমিধ্বস হওয়া।
০৩। পৃথিবীর জনসংখ্যা ক্রমাগত বাড়লেও খাদ্য সংকট হচ্ছে না কেন? ৫টি বাক্যে লেখ।
উত্তর: পৃথিবীর জনসংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। এ বাড়তি জনসংখ্যার জন্য বাড়তি খাদ্য প্রয়োজন হলেও খাদ্য সংকট হচ্ছে না। কারণ কৃষিক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে মানুষ এখন যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্য উৎপাদন করতে পারছে।
০৪। প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ ও ব্যবহারের সকলকে যত্নশীল হতে হবে কেন?
উত্তর: বাংলাদেশে প্রাকৃতিক সম্পদ অত্যন্ত কম। তদুপরি বাড়তি জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে এর প্রায় অনেক অংশই ইতোমধ্যে ধ্বংস হয়েছে। বাকী যে অংশ অবশিষ্ট আছে তা ব্যবহারে আমাদের যতœশীর হতে হবে। কারণ যত্নশীল না হলে অচিরেই প্রাকৃতিক সম্পদ শেষ হয়ে যাবে। এজন্যই প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ ও ব্যবহারের আমাদের যত্নশীল হতে হবে।