আমি করোনায় মরবো না, মরবো খিদায় || I will not die by Corona, I will die by hunger



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস এর তান্ডবে লন্ডভন্ড শুধু শিক্ষা, জনজীবনই নয়, প্রভাব পড়েছে চাহিদা-যোগানের মূল কেন্দ্র “অর্থনীতি” তে। সাজানো গোছানো সভ্যতা যেনো মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে কোন এক অদেখা মরণ নেশার আতঙ্কে।


আজকের এই অনিন্দ্য সুন্দর সভ্যতা, সংস্কৃতিতে সবচেয়ে বেশি অবদান শ্রমজীবী মানুষের তৈলাক্ত ঘামে। সেই তিলেতিলে সভ্যতা তৈরি করার কারিগরদের মুখে যেনো আজ বিষাদে ঢেকে গেছে, কোন এক অজানা বিষাক্ত সাপ ছোবলের অপেক্ষায় বসে আছে, সুযোগ পেলেই যেনো কামড়ে ধরবে, তেমনি বিষাক্ত সাপের মতো ধ্বংসলীলায় মেতে উঠছে করোনাভাইরাস।

করোনাভাইরাস আমাদের এই উন্নয়নশীল দেশে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে শ্রমজীবি মানুষের দৈনন্দিন জীবনে। সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল ধরনের জনসমাগম বন্ধ করেছে করোনার প্রাদুর্ভাব থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করতে। আমাদের সবার সচেতনতা বৃদ্ধি করতে।

কিন্তু করোনা কে কেন্দ্র করে অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে অর্থনীতি, বাজার। এক শ্রেনির মুনাফালোভী অসুস্থ বাণিজ্যচক্রের ঘটা করা পন্যের মূল্য বৃদ্ধির আয়োজনে শ্রমজীবী মানুষের হয়েছে দূর্ভোগ। করোনা ভাইরাসকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষ বাজারে, দোকানে উপচে পড়েছে, কথা তাদের একটাই দৈনন্দিন পণ্য যদি পরে না পাওয়া যায় তাই আজই গোটা দু-মাসের খাদ্যপণ্য কিনে রেখে দেই।

এমন বোকাসোকা সিদ্ধান্তই বিপাকে ফেলেছে সাধারণ শ্রমজীবী, রিক্সাচালক, গার্মেন্টসকর্মী সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের সাধারণ পেশাজীবী মানুষকে। চাল, ডাল, আলু সহ দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য দিনদিন যেনো বেড়েই চলেছে চাল, ডাল, আলুর দাম কেজি প্রতি ৫-১০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
এমনই উৎসুক পরিবেশকে পুঁজি করে এক শ্রেনির অসাধু ব্যবসায়ী তৈরি করেছে পণ্যের কৃত্রিম সংকট। মাঝে মাঝেই বাজার থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে অতিপ্রয়োজনীয় পণ্য। উধাও হওয়া পণ্য ও বৃদ্ধি পাওয়া মূল্য ও অসাধু ব্যবসায়ীদের যেনো রীতিমতো শত্রু হয়ে দাড়িয়েছে মোবাইল কোর্ট।

পুরো দেশে গত কয়েকদিনে প্রায় শত অভিযান চালিয়ে মোটা দাগে জরিমানা করেও থামানো যাচ্ছে না এমন অসুস্থ মূল্যবৃদ্ধির প্রতিযোগিতাকে। করোনার চেয়ে দেশে অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্মই যেনো দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।


দ্রব্যমূল্যের এমন অস্বাভাবিক অবস্থার শিকার এমনই এক শ্রমজীবি রিক্সা চালক কান্না জড়িত কন্ঠে আক্ষেপে বলে ফেলেছেন, আমি করোনায় মরবো না, আমি মরবো খিদায়। কারন এখন রাস্তায় মানুষ বের হয় কম, সারাদিনে আমি যে টাকা রিক্সা চালিয়ে পাই তা দিয়ে চাল কিনতে পারবো না, পারবো না ডাল কিনতে, পারবো না আমার ছোট মেয়েটার জন্য কিনতে ঔষধ, আমাদের তো করোনা হবে না আমাদের হবে “না খেয়ে থাকার রোগ”।

এমনই জানা অজানা হাজারো শ্রমজীবি মানুষের খাবার কেনার সুযোগ হারিয়ে বেঁচে থাকার সংশয়ে, আদরের-অসুস্থ পরিবার নিয়ে রাত্রি যাপন করতে হচ্ছে শুধু স্বচ্ছল মানুুষদের গোট ২/৩ মাসের চাল-ডাল-ডিম, দুধ, নিত্য দিনের বাজর কিনে ফ্রিজ কিংবা খাটের নিচে জমা করে রাখায়।

অসাধু মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের লাগাম টেনে ধরতে পারলেই অদেখা করোনারভাইরাসের ভয়ের মধ্যেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে শ্রমজীবী মানুষ।
আমাদের এ লেখাটি যাদ আপনার ভালে লাগে, তাহলে অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকবেন। যদি আরো কিছু জানার থাকে তাহলে আমার এই পোস্টের নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করবেন, আমি আমার সাধ্যমত আপনাদেরকে সঠিক তথ্যটি জানানোর চেষ্টা করব। আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক বাটন ক্লিক করে পরবর্তী নিউজের সাথে আপডেট থাকবেন। বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ সবাইকে। ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
Image Source: www.google.com
News Source: http://gestyy.com/w9q6Qk
Previous Post Next Post

نموذج الاتصال