অন্তঃসত্ত্বাকে ৭ কি:মি: বয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা

ভারতের তেলাঙ্গানার পুসুগুডেম গ্রামে হঠাৎ করেই প্রসব বেদনা ওঠে এক অন্তঃসত্ত্বার। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনায় পুরো দেশ লকডাউন থাকায় সেই মুহূর্তে কোন গাড়ির ব্যবস্থা করা সম্ভব ছিল না। তাই এক প্রকার কাঁধে করেই অন্তঃসত্ত্বা এক মহিলাকে সাত কিলোমিটার দূরের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।

ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ২৮ মার্চ শনিবার হঠাৎই প্রসব বেদনা ওঠে ওই অন্তঃসত্ত্বার। তখন তিনি গ্রামের জঙ্গলের দিকে যাচ্ছিলেন কোনও কাজে। গর্ভবতী মহিলার প্রসব বেদনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান স্থানীয় স্বাস্থ্য ও অঙ্গনওয়াড়ির কর্মীরা। কিন্তু তাকে সেখান থেকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনও গাড়ি নেই।

শেষ পর্যন্ত স্বাস্থ্য ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা ঠিক করেন একটি বড় বাঁশে দোলা বেঁধে স্ট্রেচার বানিয়ে ওই অন্তঃসত্ত্বাকে বসিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। কিন্তু সেই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও গ্রাম থেকে সাত কিলোমিটার দূরে ভদ্রদ্রি কোথাগুডেমের মুলাকালাপল্লিতে। শেষ পর্যন্ত ওই স্ট্রেচারে মহিলাকে নিয়ে তারা যাত্রা শুরু করেন।

২৯ মার্চ রবিবার সংবাদ সংস্থা এএনআই টুইটারে দু’টি ছবি পোস্ট করে জানিয়েছে। ছবি দু’টি পোস্ট হওয়ার পরই তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সেই সঙ্গে নেটিজেনরা ওই স্বাস্থ্য ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের প্রশংসা করেছেন।

রবিবার সংবাদ সংস্থা এএনআই টুইটারে দু’টি ছবি পোস্ট করে জানিয়েছে। ছবিতেই দেখা যাচ্ছে, স্বাস্থ্য ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের সঙ্গে আরও কয়েক জন স্থানীয় মানুষ কাঁধ মিলিয়েছেন মহিলাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আর অন্য ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, ওই মহিলা এক শিশুকে নিয়ে শুয়ে রয়েছেন। মহিলার পুত্র সন্তান হয়েছে বলে জানিয়েছে এএনআই।
আমাদের এ লেখাটি যাদ আপনার ভালে লাগে, তাহলে অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকবেন। যদি আরো কিছু জানার থাকে তাহলে আমার এই পোস্টের নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করবেন, আমি আমার সাধ্যমত আপনাদেরকে সঠিক তথ্যটি জানানোর চেষ্টা করব। আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক বাটন ক্লিক করে পরবর্তী নিউজের সাথে আপডেট থাকবেন। বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ সবাইকে। ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
Image Source: www.google.com 
Previous Post Next Post
banner
banner
banner

نموذج الاتصال