ষষ্ঠ শ্রেণি, বাংলা ১ম পত্র, কবিতা, সুখ অতিরিক্ত সৃজনশীল, প্রশ্ন উত্তর (২)

সুখ

কামিনী রায় 

 অতিরিক্ত সৃজনশীল, প্রশ্ন উত্তর


প্রশ্ন- ৪ 

বাংলাদেশের পুরনো শহরগুলোর বেশিরভাগই কোনো না কোনো নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। যেমন : ঢাকা বুড়িগঙ্গা নদী, ময়মনসিংহ ব্র‏হ্মপুত্র নদ, চট্টগ্রাম কর্ণফুলি নদী, চাঁদপুর মেঘনা নদীর তীরে গড়ে উঠেছে। নদীপথে মালপত্র আনা-নেওয়া তথা যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় এমনটি হয়েছিল।     [মিরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাব, ইনস্টিটিউট, ঢাকা; 
 ইউনাইটেড ইসলামিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, মাদারীপুর; ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক.    ‘তাগা’ কী?    ১
খ.    ‘সাজসজ্জার দিকে বেশ ঝোঁক ছিল প্রাচীন বাঙালির।’ ব্যাখ্যা কর।    ২
গ.    উদ্দীপকটি ‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধের কোন বিশেষ দিকটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ?    ৩
ঘ.    ‘প্রাচীনকালে বাংলায় জলপথই ছিল যাতায়াতের প্রধান পথ।’ মন্তব্যটি উদ্দীপক ও ‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ কর।    ৪
 ক     তাগা হচ্ছে বাহুতে পরার অলংকার, মাদুলি, তাবিজ বা তার সুতো।
 খ     ‘সাজসজ্জার দিকে বেশ ঝোঁক ছিল প্রাচীন বাঙালির’ বলতে প্রাচীনকালে বাঙালির পোশাক ব্যবহার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি যতœবান থাকা অর্থাৎ রুচিবোধের বিষয়টিকে নির্দেশ করে।
প্রাচীনকালে বাঙালি ছেলেরা কেউ বাবরি চুল রাখতে আবার কেউ মাথার উপরে চুড়ো করে চুল বাঁধত। অনেকে মেয়েদের মতো কোঁকড়া চুল কপালের ওপর বেঁধে রাখত। মেয়েরা নিচু করে খোঁপা বাঁধত, নয়তো উঁচু করে বাঁধত ঘোড়াচূড়। তারা কপালে টিপ দিত, পায়ে আলতা পরত, চোখে কাজল দিত আর খোঁপায় ফুল পরত। তারা নানা রকম প্রসাধনীও ব্যবহার করত।
 গ     উদ্দীপকটি ‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধের প্রাচীনকালে জলপথের উপযোগিতা ও সহজ দিকটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
চাকা আবিষ্কারের আগে মানুষ পায়ে হেঁটে বহু দূরের পথ পাড়ি দিত। নদী পার হতে তারা পানিতে ভেসে থাকে এমন সব জিনিসকে অবলম্বন করত; শুকনো কাঠের গুঁড়ি, কলাগাছ ইত্যাদি ব্যবহার করত। মানুষের বুদ্ধির উন্নতি হওয়ার পর তারা নৌকা বানাতে শেখে, পাল উড়াতে শেখে, নোঙর বানাতে শেখে। ফলে জলপথে যাতায়াতকে তারা প্রধান মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করে।
উদ্দীপকে প্রাচীনকালে নদীর তীরে শহর বন্দর গড়ে ওঠার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। এসব শহর-বন্দর গড়ে ওঠার পেছনে রয়েছে নদীপথে মালপত্র আনা-নেওয়ার সুবিধার ইতিহাস। উদ্দীপকের এই বিষয়টির সাথে ‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধের সেকালে নদীপথ ব্যবহারের বিষয়টি সাদৃশ্যপূর্ণ।
 ঘ     ‘প্রাচীনকালে জলপথই ছিল যাতায়াতের প্রধান পথ।’ মন্তব্যটি সঠিক।
মানুষ নিজের প্রয়োজনে কিংবা আনন্দ-বিনোদনের জন্য এক স্থান থেকে অন্যস্থানে গমন করে। তখন তাকে যাতায়াতের সহজ মাধ্যম আবিষ্কার করতে হয়। পায়ে হাঁটার দূরত্ব হলেও মানুষ ভাবে কোন পথে যাওয়া সবচেয়ে নিরাপদ ও সহজ হবে। মানুষের এ বিবেচনা বহু পুরোনো। প্রাচীনকালেও মানুষ সহজ যাতায়াত ব্যবস্থাকেই গ্রহণ করত।
উদ্দীপকে আমরা দেখি যাতায়াতের ক্ষেত্রে জনপথের গুরুত্ব প্রকাশিত হয়েছে। ব্যবসায়-বাণিজ্য ও নৌপথে যাতায়াতের সুবিধার জন্য বড় শহরগুলো নদীর ধারেই গড়ে উঠে ছিল। ‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধেও আমরা দেখি প্রাচীনকালের মানুষ নৌপথেই বেশি যাতায়াত করত। যদিও সে সময় পায়ে হেঁটে, গরুর নাড়িতে চড়ে মানুষ যাতায়াত করত। ধনিরা ঘোড়া বা হাতির পিঠে চড়ত। তবুও সার্বিক সুবিধার জন্য নৌপথই ছিল প্রধান।
সামগ্রিক আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, আধুনিক যুগ হোক আর প্রাচীন কালেই হোক যাতায়াতের ক্ষেত্রে জলপথই ছিল বাংলার প্রধান পথ।

প্রশ্ন- ৫

আমরা এখন দূর-দূরান্তে যাতায়াত করতে বাস, ট্রেন, লঞ্চ, স্টিমার বিমান ব্যবহার করি। মালামাল আনা-নেওয়া যেমন দ্রুত হয় তেমনি নিরাপদও বটে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও কাজেকর্মে যাতায়াত করতে কার, বাস ব্যবহার করি। নিকটে যাতায়াত করার জন্য ভ্যান, রিকশা ব্যবহার করি। যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতি সভ্যতাকে এগিয়ে দিয়েছে।
ক.    বাঙালির বহুকালের প্রিয় খাবার কী?     ১
খ.    ‘কতকাল ধরে কত মানুষ শুধু তার স্বপ্নই দেখে আসছে’- কোন স্বপ্নের কথা বলা হয়েছে?    ২
গ.    উদ্দীপকের যাতায়াত ব্যবস্থার সঙ্গে ‘কতকাল ধরে’ রচনার যাতায়াত ব্যবস্থার অমিল নির্ণয় কর।    ৩
ঘ.    বর্তমান যাতায়াত ব্যবস্থা সহজলভ্য হওয়ার কারণ ‘কতকাল ধরে’ রচনা ও উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ কর।    ৪
 ক     বাঙালির বহুকালের প্রিয় খাবার ভাত।
 খ     উদ্ধৃত উক্তিটিতে অভাব-অনটনে জর্জরিত একটি সমৃদ্ধ সমাজের কথা বলা হয়েছে।
প্রাচীনকালে মানুষ অর্থকষ্টে-অনাহারে জ্বালাময় বেদনায় দিন যাপন করত। তাই মানুষের সবসময়ের চাওয়া ছিল সমৃদ্ধি অর্জন করার। তাই তাদের স্বপ্ন ছিল সরু চালের সাদা গরম ভাতে গাওয়া ঘি। এ স্বপ্ন সাধারণ মানুষ পূর্বেও দেখেছে এখনো দেখছে।
 গ     উদ্দীপকের বর্তমান যাতায়াত ব্যবস্থার সাথে ‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধের প্রাচীন যাতায়াত ব্যবস্থার অমিল লিখ।
 ঘ     প্রবন্ধ ও উদ্দীপকের আলোকে যাতয়াত ব্যবস্থা সহজলভ্য হওয়ার কারণ আলোচনা কর।

প্রশ্ন- ৬

মোবারক শাহ একজন রাজা ছিলেন। তখন পুরো বাংলার পুরুষদের অত্যন্ত প্রিয় খেলা ছিল কুস্তি, তবে নারীদের ছিল সাঁতার। বড়লোকেরা দেখত ঘোড়া ও হাতির খেলা। গরিবরা মজা পেত ভেড়ার লড়াই দেখে। তবে বর্তমানকালে পুরুষদের মজার খেলা ক্রিকেট, ফুটবল; নারীরাও ঐ সমস্ত খেলা করে আজকাল আনন্দ পায়। তবে বর্তমানে মানুষ ষাঁড়ের লড়াই ও ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা দেখেও মজা পায়।
ক.    ‘কতকাল ধরে’ রচনার রচয়িতা কে?    ১
খ.    কীভাবে ইতিহাসে রাজাদের নাম লেখা হলো?    ২
গ.    মোবারক শাহ কোন আমলের রাজা ছিলেন? ‘কতকাল ধরে’ রচনার আলোকে বর্ণনা কর।    ৩
ঘ.    মোবারক শাহের আমলের মানুষের বিনোদন বর্তমানের বিনোদন ব্যবস্থার সম্পূর্ণ বিপরীত ‘কতকাল ধরে’ রচনার আলোকে মন্তব্যটির সত্যতা যাচাই কর।    ৪
 ক  ‘কতকাল ধরে’ রচনার রচয়িতা আনিসুজ্জামান।
 খ     তেইশ-চব্বিশ’শ বছর আগে রাজারাজড়া এসে এদেশ শাসন এবং শোষণ করতে থাকায় ইতিহাসে তাদের নাম লেখা হলো।
এককালে এদেশে মানুষ নিজেরাই যুক্তি পরামর্শ করে মিলেমিশে দেশ চালাত। কিন্তু রাজা আর তাদের দল এসে এদেশে নতুন নিয়মকানুন, লোক-লস্কর বহাল করে। তখন থেকেই ইতিহাসে রাজাদের নাম লেখা হয়ে যায়।
 গ     ‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধের আলোকে মোবারক শাহের আমল আলোচনা কর।
 ঘ     প্রবন্ধের আলোকে প্রাচীন আমলের বিনোদনের সাথে বর্তমান সময়ের বিনোদনের পার্থক্য আলোচনা কর।

প্রশ্ন- ৭  

লতা তার বাবার সাথে উত্তরবঙ্গে বেড়াতে এসেছে। তার বাবা হোটেলে খাবার তালিকায় দেখেন মৌরলা মাছের ঝোল, টাকি মাছের ভর্তা, আলু ভর্তা, কই মাছ ভুনা, মুরগি, খাসি ও গরুর গোশত রয়েছে। শুঁটকি ভর্তা ও ডাল রয়েছে তালিকায়। বাবা বললেন, “বুঝলি লতা, ‘বাঙালি সুপ্রাচীনকাল থেকেই ভোজনবিলাসী’ বর্তমানে খাদ্য তালিকা বদলালেও খাদ্যাভ্যাস বদলায়নি।
ক.    ‘তিলপল্লব’ শব্দের অর্থ কী?    ১
খ.    প্রাচীন বাংলার মানুষের সম্প্রীতির দিকটি ব্যাখ্যা কর।    ২
গ.    লতার বাবার দেখা খাদ্য তালিকার সাথে ‘কতকাল ধরে’ রচনায় উল্লিখিত প্রাচীন বাংলার খাদ্য তালিকার বৈসাদৃশ্য বর্ণনা কর।    ৩
ঘ.    ‘সুপ্রাচীনকাল থেকেই বাঙালি ভোজনবিলাসী’ ‘কতকাল ধরে’ রচনার আলোকে উক্তিটি মূল্যায়ন কর।    ৪
 ক     তিলপল্লব শব্দের অর্থ তিলের নতুন পাতা।
 খ     প্রাচীন বাংলার জীবব্যবস্থা ছিল একটি মিলিত জীবনব্যবস্থা।
বাংলার ইতিহাসে প্রায় আড়াই হাজার বছরের পুরোনো। সময়ের পরিবর্তনে অনেক কথাই ঢাকা পড়েছে। তবে ইতিহাস সব শ্রেণির মানুষ নিয়েই গঠিত হয়। একসময় যখন রাজারাজড়ারা ছিল না, তখন সাধারণ মানুষের দাম ছিল বেশি। লোকজন নিজেরাই যুক্তি-পরামর্শ করে কাজ করত, চাষ করত, ঘর বাঁধত, দেশ চালাত। আর এর মধ্য দিয়ে তাদের সম্প্রীতির দিকটিও ফুটে উঠত।
 গ     বাঙালি খাবারের সাথে প্রাচীন বাংলার খাদ্য তালিকার আলোচনা কর।
 ঘ     প্রাচীন ও বর্তমান সময়ের আলোকে ভোজনবিলাসী বাঙালির সম্পর্কে আলোচনা কর।

Photo source by Google
Previous Post Next Post

نموذج الاتصال