সুখ
অতিরিক্ত সৃজনশীল, প্রশ্ন উত্তর
কামিনী রায়
প্রশ্ন- ১
শ্রীপুর গ্রামের আশপাশে কোনো নদীনালা, খালবিল নেই।
বর্ষাকালেও শ্রীপুর গ্রামের মানুষ বন্যার পানি দেখতে পায় না। তাদের
যাতায়াতের কোনো সমস্যা হয় না। তারা অনেকেই হেঁটে বিভিন্ন জায়গায় যেতে পারে।
কিছু মানুষ পিকআপে যাতায়াত করে। সাধারণ মানুষ যাতায়াত করে বাইসাইকেলে।
অবস্থাপন্নরা নিজস্ব গাড়িতে যাতায়াত করে। এই গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ বসবাস
করে পাকা বাড়িতে।
ক. নিরানন্দ শব্দের অর্থ কী? ১
খ. ‘তখন মানুষের দাম ছিল বেশি’ উক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকের পথের সঙ্গে ‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধের পথের বৈসাদৃশ্য নিরূপণ কর। ৩
ঘ. ‘উদ্দীপকে উল্লিখিত মানুষের যাতায়াতের বাহন প্রাচীনকালের মানুষের যাতায়াতের বাহনের পরিপূরক’ ‘কতকাল ধরে’ রচনার আলোকে মন্তব্যটির সত্যতা যাচাই কর। ৪
খ. ‘তখন মানুষের দাম ছিল বেশি’ উক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকের পথের সঙ্গে ‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধের পথের বৈসাদৃশ্য নিরূপণ কর। ৩
ঘ. ‘উদ্দীপকে উল্লিখিত মানুষের যাতায়াতের বাহন প্রাচীনকালের মানুষের যাতায়াতের বাহনের পরিপূরক’ ‘কতকাল ধরে’ রচনার আলোকে মন্তব্যটির সত্যতা যাচাই কর। ৪
ক নিরানন্দ শব্দের অর্থ হয়েছে- আনন্দহীন বা বিষণœ।
খ “তখন মানুষের দাম ছিল বেশি” উক্তিটি দিয়ে প্রাচীনকালে বাংলাদেশের মানুষের সামাজিক মর্যাদা ও কদরের কথা বোঝানো হয়েছে।
বাংলাদেশের
ইতিহাস কয়েক হাজার বছরের। এক সময় এদেশে রাজরাজড়া ছিল না। সাধারণ মানুষ
নিজেরা পরামর্শ করে দেশ চালাত। তখন সবাই সমাজে নিজের সমানভাবে মূল্যায়ন
করত। নিজেদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ ছিল না। বড়-ছোট, উঁচু-নিচুর পার্থক্য
সমাজে ব্যাপক না থাকায় কে ক্ষমতাশালী আর কে ক্ষমতাহীন এমনটা ছিল না। তাই
বলা যায়, সেকালে মানুষের দাম ছিল বেশি।
গ উদ্দীপকের পথের সঙ্গে ‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধের পথের বৈসাদৃশ্য রয়েছে।
‘কতকাল
ধরে’ প্রবন্ধে দেখি বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। প্রাচীনকাল থেকেই নদনদী,
খালবিল দ্বারা বেষ্টিত। তাই ঘর থেকে বের হলেই আমাদের জলপথের সম্মুখীন হতে
হয়েছে। আমাদের যাতায়াতের প্রধান পথই ছিল জলপথ। কারণ আমাদের দেশের চারপাশ
পানি দ্বারা বেষ্টিত ছিল। কিন্তু উদ্দীপকে আমরা তার বিপরীত চিত্র দেখি,
শ্রীপুর গ্রামের আশপাশে কোথাও কোনো নদী নেই। এমনকি খালবিলও নেই। তাদের
যাতায়াতের কোনো সমস্যা হয় না। তারা সবসময় স্থলপথেই যাতায়াত করতে পারে।
বর্ষাকালেও শ্রীপুর গ্রামের মানুষকে জলপথে পারাপার হতে হয় না। তাদের
যাতায়াতের প্রধান পথ স্থলপথ।
উদ্দীপকের আলোচনায় দেখা যায়, উদ্দীপকের স্থলপথের সঙ্গে ‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধের জলপথের বৈসাদৃশ্য রয়েছে।
ঘ উদ্দীপকের উল্লিখিত মানুষের যাতায়াতের বাহন প্রাচীনকালের মানুষের যাতায়াতের বাহনে পরিপূরক মন্তব্যটি সঠিক নয়।
‘কতকাল
ধরে’ প্রবন্ধে দেখি নৌকা হচ্ছে জলপথে যাতায়াতের একমাত্র উপায়। তবে
স্থলপথেও তারা যাতায়াত করত। স্থলপথে যাতায়াতের জন্য বড়লোকরা ব্যবহার করত
ঘোড়ার গাড়ি। অনেকে হাতির পিঠে চড়েও যাতায়াত করত। আর সাধারণ দরিদ্র মানুষ
গরুর গাড়ি ব্যবহার করত। তবে দরিদ্র লোকেরা গরুর গাড়ি সবসময় ব্যবহার করতে
পারত না। কোনো বিশেষ উপলক্ষে ব্যবহার করত।
উদ্দীপকে দেখি শ্রীপুর
গ্রামে কোনো জলপথ নেই, স্থলপথই তাদের যাতায়াতের পথ। এই গ্রামের অনেক ধনী
লোক ভালো ভালো গাড়িতে চড়ে এবং নিজস্ব গাড়িতে চড়ে। আর দরিদ্র সাধারণ লোকেরা
বাইসাইকেলে যাতায়াত করে।
উপরের রচনায় উল্লিখিত মানুষের যাতায়াতের
বাহন ও উদ্দীপকে মানুষের ব্যবহৃত যাতায়াতের বাহনে বিস্তর পার্থক্য
বিদ্যমান। তাই মন্তব্যটি সঠিক নয়।
প্রশ্ন- ২
একসময় ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ সম্মিলিতভাবে ভারতীয়
উপমহাদেশ নামে পরিচিত ছিল। এই ভারতীয় উপমহাদেশে ইংরেজদের আগমন ঘটে। ইংরেজরা
এদেশ শাসন করে। তারা শাসক হলেও বিভিন্ন প্রদেশ সামন্ত রাজা দ্বারা শাসন
করাত। তখন থেকে শুরু হয় প্রজা নিপীড়ন। সে সময় কেউ সর্বস্ব হারিয়েছে কেউবা
ইংরেজদের খুশি করার বদৌলতে ধনী হয়েছে। তখন দেশজুুড়ে ছিল ইংরেজদের নাম,
প্রজা সাধারণের কোনো খবর ছিল না।
ক. ‘কতকাল ধরে’ রচনায় কয় জন প্রাচীন সংস্কৃত কবির রচনার ছবি ফুটে উঠেছে? ১
খ. হাজার বছর আগে পুরুষ এবং মেয়েরা কীরূপ পোশাক পরত? ২
গ. উদ্দীপকের ইংরেজ শাসকদের সঙ্গে ‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধের রাজার শাসনের সাদৃশ্য বর্ণনা কর। ৩
ঘ. ‘প্রজা সাধারণের কোনো খবর ছিল না।’ মন্তব্যটি ‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
খ. হাজার বছর আগে পুরুষ এবং মেয়েরা কীরূপ পোশাক পরত? ২
গ. উদ্দীপকের ইংরেজ শাসকদের সঙ্গে ‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধের রাজার শাসনের সাদৃশ্য বর্ণনা কর। ৩
ঘ. ‘প্রজা সাধারণের কোনো খবর ছিল না।’ মন্তব্যটি ‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
ক ‘কতকাল ধরে’ রচনার দুজন প্রাচীর সংস্কৃত কবির রচনার ছবি ফুটে উঠেছে।
খ হাজার বছর আগে বাঙালি সমাজে পুরুষ ও মেয়েদের পোশাকে বৈচিত্র্য ছিল।
তখন
পুরুষ এবং মেয়েরা ধুতি ও শাড়ি পরত। অপেক্ষাকৃত সচ্ছল বাড়ির পুরুষেরা ধুতির
সাথে চাদর পরত। আর সচ্ছল বাড়ির মেয়েরা শাড়ির সাথে ওড়না ব্যবহার করত।
মেয়েরা আঁচল বা ওড়না টেনে ঘোমটা দিত।
গ উদ্দীপকের ইংরেজ শাসকদের
সঙ্গে ‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধে রাজার শাসনের সাদৃশ্য আছে। ইংরেজ শাসক ও রাজা
উভয়েই অত্যাচারী ও প্রজা নিপীড়ক।
‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধে দেখি
প্রাচীনকালে এদেশে রাজা ছিল না। প্রায় তেইশ-চব্বিশ বছর পূর্বে এদেশে
রাজাদের আগমন ঘটে। তখন থেকে এদেশ শাসন করতেন রাজা-বাদশারা। রাজার সঙ্গে
মন্ত্রী এলেন। রাজাদের অধীনে দেশ শাসন করত সামন্ত-মহাসামন্তরা। আরো অনেক
লোক বহাল করা হয় অনেক কাজে। তখন শুরু নতুন নিয়মকানুন। সেই থেকেই প্রজাদের
ওপর শুরু হয় নানা ধরনের অত্যাচার। এতে কারো গেছে গর্দান আবার কেউ রাজাদের
খুশি রাখার বদৌলতে হয়েছে ধনী।
উদ্দীপকেও দেখতে পাই, ভারতীয়
উপমহাদেশের ইংরেজদের আগমন ঘটে। তখন থেকে ইংরেজরা এদেশ শাসন করে। তারা শাসক
হলেও বিভিন্ন প্রদেশ সামন্ত-মহাসামন্ত রাজা দ্বারা শাসন করাত। তখন তাদের
অত্যাচারে অনেক প্রজারা নিঃস্ব হয়েছে। আবার অনেকে ইংরেজদের খুশি রাখার
বদৌলতে ধনী হয়েছে।
এখানেই উদ্দীপকের ইংরেজ শাসকদের সঙ্গে ‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধের রাজার শাসনের সাদৃশ্য বিদ্যমান।
ঘ
“প্রজা সাধারণের কোনো খবর ছিল না” প্রশ্নে উল্লিখিত মন্তব্যটির
মাধ্যমে মূলত প্রজাদের দুরবস্থার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে যা ‘কতকাল ধরে’
রচনায় বর্ণিত আছে।
‘কতকাল ধরে’ রচনায় দেখা যায়, এককালে এদেশে রাজা
ছিল না। লোকজনের পরামর্শেই দেশ চলত। তখন মানুষ মানুষকে মূল্যায়ন করত।
কিন্তু যখন এদেশে রাজারা আসেন। তখন রাজার সঙ্গে সঙ্গে
মন্ত্রী-সামন্ত-মহাসামন্ত ও নানা রকমের লোক বিভিন্ন কাজে বহাল করা হয়। দেশে
নতুন আইনকানুন শুরু হয়। এতে অনেক প্রজার গর্দান গেছে। প্রজারা নিঃস্ব
হয়েছে। তখন বড় বড় অক্ষরে রাজাদের নাম লেখা হয়েছে। কিন্তু প্রজাদের কোনো
মূল্য ছিল না।
উদ্দীপকেও দেখা যায়, ভারতীয় উপমহাদেশে ইংরেজদের আগমন
ঘটে। তখন থেকে ইংরেজরা এই দেশ শাসন করে। তাদের অধীনে সামন্ত রাজাও ছিল।
তখন থেকেই প্রজাদের ওপর অত্যাচার শুরু হয়। শাসকদের অত্যাচারে সাধারণ মানুষ
অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে। দেশজুড়ে ইংরেজরা তাদের সংস্কৃতি প্রচার করতে থাকে। এতে
স্থানীয় মানুষ কোণঠাসা হয়ে পড়ে। এখানকার সমস্ত ব্যবসায়-বাণিজ্য নিজেদের
দখলে নিয়ে নেয়। ফলে প্রজাদের কোনো খবর ছিল না।
এভাবে দেখা যায়, প্রাচীনকালের রাজারা আর ইংরেজরা প্রায় একইভাবে প্রজাদের উপর নিপীড়ন করত। প্রজাদের আলাদা কোনো অস্তিত্ব তখন ছিল না।
প্রশ্ন- ৩
বঙ্গোপসাগরে একটি নতুন চর জেগে উঠেছিল। কিছু মানুষ
সেখানে বসতি স্থাপন করল। তারা নিজেরা স্বাধীনভাবে জমি চাষাবাদ করতে লাগল।
নিজেদের সমস্যা হলে তারা সবাই মিলে বসে ঠিক করে নিত। একসময় বসতি বেড়ে গেল। ঐ
চরের উপর চোখ পড়ল অনেকের। একজন ধনী মানুষ চেলা-চামুণ্ডা নিয়ে চর দখলে নেমে
পড়ল। শুরু হলো সংঘাত ও নির্যাতন।
ক. প্রাচীনকালে যাতায়াতের প্রধান পথ ছিল কোনটি? ১
খ. ‘ঘোমটা দেওয়ার রেওয়াজ তখনও ছিল এখনো আছে’ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের নতুন চরের ইতিহাসের সাথে ‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধের কোনো সাদৃশ্য আছে কী? তোমার মতের পক্ষে যুক্তি দাও। ৩
ঘ. “উদ্দীপকের ধনী ব্যক্তির সাথে থাকা চেলা-চামুণ্ডা ‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধের মন্ত্রী-সামন্ত, মহাসামন্তের প্রতিনিধিত্ব করছে” মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর। ৪
খ. ‘ঘোমটা দেওয়ার রেওয়াজ তখনও ছিল এখনো আছে’ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের নতুন চরের ইতিহাসের সাথে ‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধের কোনো সাদৃশ্য আছে কী? তোমার মতের পক্ষে যুক্তি দাও। ৩
ঘ. “উদ্দীপকের ধনী ব্যক্তির সাথে থাকা চেলা-চামুণ্ডা ‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধের মন্ত্রী-সামন্ত, মহাসামন্তের প্রতিনিধিত্ব করছে” মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর। ৪
ক প্রাচীনকালে যাতায়াতের প্রধান পথ ছিল জলপথ।
খ ‘ঘোমটা দেওয়ার রেওয়াজ তখনো ছিল এখনো আছে’ এ কথা দিয়ে মূলত বাঙালি রমণীদের চিরকালীন রীতি ও সংস্কৃতির কথা ব্যক্ত করা হয়েছে।
‘লজ্জা
বাঙালি রমণীর অঙ্গভূষণ’ এ কথা চিরন্তন বাঙালি মেয়েদের জন্য প্রযোজ্য।
আনিসুজ্জামান রচিত প্রবন্ধ ‘কতকাল ধরে’-তে প্রাচীনকালে বাঙালি মহিলাদের
মধ্যে ঘোমটা দেওয়ার রেওয়াজ ছিল বলা হয়েছে। যে মেয়েরা শাড়ি পরত তারা শাড়ির
আঁচল দিয়ে মাথায় ঘোমটা পরত। যারা ওড়না পরত তারা ওড়না দিয়ে ঘোমটা দিত।
প্রাচীনকালের এ রেওয়াজ আজও মেয়েদের মাঝে রয়েছে। আজও মেয়েরা শাড়ি পরে শাড়ির
আঁচল মাথায় দিয়ে ঘোমটা দেয়। এমনকি যারা সেলোয়ার কামিজ পরে তারাও ওড়না দিয়ে
ঘোমটা দেয়। ঘোমটা মূলত বাঙালি সংস্কৃতির অংশ।
গ উদ্দীপকের নতুন চরের সাথে ‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধের বেশ কিছু সাদৃশ্য আছে। তবে সামান্য বৈসাদৃশ্যও লক্ষ করা যায়।
‘কতকাল
ধরে’ প্রবন্ধে দেখা যায়, আমাদের দেশের ইতিহাস যেমন প্রাচীন, তেমনই সমৃদ্ধ।
আমাদের এই ইতিহাস নতুন সৃষ্ট নয়। পুরাতন হওয়ায় কালের আঁধারে ঢাকা পড়েছে
তার অনেক কিছুই। তবে সে সময়ে এদেশের মানুষ নিজেরা মিলে নিজেদের দেশ
চালাতেন। সমস্যা সমাধান করতেন নিজেরাই। তারপর রাজা এলেন। সৃষ্টি হলো
নিয়মকানুন। রাজার দল নতুন করে সমাজে শ্রেণিভেদ সৃষ্টি করল।
উদ্দীপকেও
আমরা দেখতে পাই নতুন করে সবাই মিলেমিশে হঠাৎ এক ধনী ব্যক্তি চেলাচামুন্ডা
নিয়ে চর দখল করলে দেখা দিল বিপত্তি। এভাবে দেখা যায় উদ্দীপক ও ‘কতকাল ধরে’
প্রবন্ধের ঘটনা প্রবাহের একটি যোগসূত্র রচিত হয়। যা সাদৃশ্যমূলক। তবে
বৈসাদৃশ্য হলো, নতুন চরটি নব্য সৃষ্ট আর আমাদের দেশ বহু প্রাচীন।
ঘ
উদ্দীপকের নতুন চরের ধনী লোকটির চেলা-চামুণ্ডা কতকাল ধরে প্রবন্ধের
মন্ত্রী-সামন্ত, মহাসামন্তের প্রতিনিধিত্ব করছেউক্তিটি সঠিক ও
সমর্থনযোগ্য।
‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধে দেখা যায়, বাংলাদেশের প্রাচীন
ইতিহাস অনেক সমৃদ্ধ। তখন এদেশে রাজা ছিল না। সুতরাং কেউ কারো প্রজাও ছিল
না। সবাই ছিল সমান। নিজেরা সবাই মিলে দেশ চালাতো। উদ্দীপকেও আমরা দেখি নতুন
চরে সবাই সমান থাকত। নিজেরাই নিজেদের সমস্যার সমাধান করত।
রাজার
সাথে আসা মন্ত্রী-সামন্ত, মহাসামন্ত যেমন দেশে শ্রেণি সৃষ্টি করল। নতুন চরে
ধনী ব্যক্তির সাথে আসা তার চেলা-চামুণ্ডারাও সংঘাত সৃষ্টি করল। সামন্ত,
মহাসামন্ত ও চেলা চামুণ্ডা দুই ক্ষেত্রেই একই ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে দেখা
যায়। দু’ক্ষেত্রে তারা বিভেদও সংঘাত সৃষ্টি করে শান্ত ও স্বাভাবিক পরিবেশ
বিনষ্ট করেছে।
অতএব, এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় উদ্দীপকের নতুন
চরের চেলা-চামুণ্ডা প্রাচীনকালের রাজাদের মন্ত্রী-সামন্ত, মহাসামন্তের
প্রতিনিধিস্বরূপ। মূলত সময়ের ব্যবধানে এরা সবাই এক।
Photo source by Google