সুন্দরবনের প্রাণী
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।১) ক্যাঙ্গারু ও সিংহ বললেই কোন কোন দেশের কথা মনে হয়?
উত্তর : ক্যাঙ্গারু বললেই মনে হয় অস্ট্রেলিয়ার কথা। আর সিংহ বললেই মনে হয় আফ্রিকা মহাদেশের কোনো একটি দেশের কথা।
২) বিভিন্ন ধরনের বাঘ সম্পর্কে তুমি যা জান লেখ।
উত্তর : বিভিন্ন ধরনের বাঘ সম্পর্কে আমি যা যা জানি তা নিচে উল্লেখ করা হলো-
১। রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার : এই বাঘের চেহারা ও স্বভাব রাজার মতো। তাই এর নাম রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। সুন্দরবনে এদের বাস। শিকার করে জীবজন্তু, সুযোগ পেলে মানুষও।
২। চিতাবাঘ : অন্য বাঘের সাথে এর পার্থক্য হলো এটি গাছে উঠতে পারে। অন্যান্য বাঘের চেয়ে দ্রুত দৌড়াতে পারে।
৩। ওলবাঘ : একসময় সুন্দরবনে এ বাঘ দেখা যেত। এখন বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে।
৪। মেছোবাঘ : দেখতে অনেকটা চিতাবাঘের মতো। এরা মাছ শিকার করে খায়। তবে নাম মেছো বাঘ হলেও মাছ এদের মূল খাদ্য নয়। এরাও এখন বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী।
৩) দেশের জন্য পশুপাখি, জীবজন্তু কী উপকার করে তা নিজের ভাষায় লেখ।
উত্তর : পশুপাখি ও জীবজন্তু দেশের অমূল্য সম্পদ। এরা নানাভাবে দেশের উপকার করে। যেমন- পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে এদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদের থেকে ডিম, দুধ, মাংস ইত্যাদি পাওয়া যায়। এগুলো আমাদের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। অর্থনীতির সমৃদ্ধিতে অবদান রাখে।
৪) শকুন কীভাবে মানুষের উপকার করে?
উত্তর : মানুষের পক্ষে যা অনুপযোগী ও ক্ষতিকর সেগুলোকে শকুন নিজের খাবার হিসেবে গ্রহণ করে। এর ফলে আমরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ দ্বারা আক্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা পাই। এভাবে শকুন মানুষের উপকার করে।
৫) পশুপাখি জীবজন্তু না থাকলে প্রকৃতির কী বিপর্যয় ঘটবে বলে তোমার মনে হয়?
উত্তর : পশুপাখি জীবজন্তু পরিবেশের প্রাণ। এরা না থাকলে প্রকৃতিতে নানা বিপর্যয় ঘটবে। বন্যা, খরা, ঝড় ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেবে। এতে মানুষের জীবনও মারাত্মক হুমকিতে পড়বে।
৬) সুন্দরবন কিসের কোল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে?
উত্তর : সুন্দরবন সমুদ্রের কোল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে।
৭) সুন্দরবনে রয়েছে এমন চারটি প্রাণী ও চারটি উদ্ভিদের নাম লেখ।
উত্তর : সুন্দরবনে রয়েছে এমন চারটি প্রাণী ও চারটি উদ্ভিদের নাম নিচে উল্লেখ করা হলো :
প্রাণী : বাঘ, হরিণ, কুমির, বানর।
উদ্ভিদ : কেওড়া, সুন্দরী, গেওয়া, গোলপাতা।
৮) সুন্দরবনে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার কোথায় ঘুরে বেড়ায়?
উত্তর : সুন্দরবনে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ভেজা স্যাঁতসেঁতে গোলপাতার বনে ঘুরে বেড়ায়।
৯) সুন্দরবনের কোন কোন প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেছে?
উত্তর : সুন্দরবনে একসময় ওলবাঘ, চিতাবাঘ,, গণ্ডার, হাতি, বুনো শুয়োর ইত্যাদি প্রাণী ছিল। কিন্তু এখন এগুলো আর দেখা যায় না।
১০) সুন্দরবনের প্রাণীগুলোকে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচাতে হবে কেন?
উত্তর : সুন্দরবনের প্রাণীগুলো আমাদের অমূল্য সম্পদ। এরা সমগ্র পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ভূমিকা রাখছে। এরা বিলুপ্ত হয়ে গেলে পরিবেশে নানা বিপর্যয় দেখা দেবে। তাই এ প্রাণীগুলোকে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচাতে হবে।
১১) বাংলাদেশে হাতি কোন অঞ্চলে দেখা যায়?
উত্তর : বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল ছাড়াও জামালপুর ও শেরপুর অঞ্চলের গারো পাহাড়ে হাতি দেখা যায়।
১২) শকুন কোথায় বাসা করে?
উত্তর : শকুন গাছের ডালে বাসা করে।
১৩) রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারকে ভয়ঙ্কর বলা হয়েছে কেন?
উত্তর : রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার বিভিন্ন জীবজন্তু শিকার করে খায়। এমনকি সুযোগ পেলে মানুষকেও আক্রমণ করে। এই কারণেই এ বাঘকে ভয়ঙ্কর বলা হয়েছে।
১৪) রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারকে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচানো দরকার কেন?
উত্তর : রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার সুন্দরবনের অমূল্য সম্পদ। এটি না থাকলে সুন্দরবনের পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে। তাই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করা খুবই জরুরি।
১৫) যেসব হরিণের বড় বড় শিং এবং গায়ে ফোটা ফোটা সাদা দাগ সেগুলো কী হরিণ?
উত্তর : যেসব হরিণের বড় বড় শিং এবং গায়ে ফোটা ফোটা সাদা দাগ সেগুলো চিত্রা হরিণ।
১৬) শকুন কীভাবে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখে?
উত্তর : শকুন আবর্জনা খায়। মানুষের জন্য যেসব ক্ষতিকর আবর্জনা রয়েছে তা শকুন খেয়ে ফেলে। এভাবে শকুন পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখে।
১৭) প্রকৃতির দানকে ধ্বংস করতে নেই কেন?
উত্তর : প্রাণী বৃক্ষলতা সবকিছুই প্রকৃতির দান। এগুলোকে ধ্বংস করলে প্রকৃতিতে নেমে আসে নানা বিপর্যয়। সৃষ্টি হয় বন্যা, খরা, ঝড় ইত্যাদি। তাই প্রকৃতির দানকে ধ্বংস করতে নেই।