এই দেশ এই মানুষ
পাঠ্যবই থেকে প্রশ্নের উত্তর লিখন
১) ‘একই দেশ, একই মানুষ অথচ কত বৈচিত্র্য’- কথাটি বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : বাংলাদেশে বাঙালি ছাড়াও নানা জাতিগোষ্ঠীর লোকজন বসবাস করে। এদের রয়েছে নিজস্ব ভাষা, জীবনযাপন পদ্ধতি ও আনন্দ-উৎসব। দেশের এই জাতিগত বৈচিত্র্যের কথাই বলা হয়েছে বাক্যটিতে।
২) আমাদের দেশে কোন কোন ধর্মের লোকজন বাস করে?
উত্তর : আমাদের দেশে মূলত মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মের লোকজনের বাস।
৩) সব পেশার মানুষদের শ্রদ্ধা করতে হবে কেন?
উত্তর : দেশের উন্নয়নে সব পেশার মানুষেরই অবদান আছে। একজন তার কাজ দিয়ে অন্যজনকে সাহায্য করছে। এভাবে আমরা পরস্পর পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল। এ কারণে সব পেশার মানুষদের শ্রদ্ধা করতে হবে।
৪) দেশকে কীভাবে ভালোবাসতে হবে?
উত্তর : দেশ আমাদের মায়ের মতোই। মাকে আমরা যেমন ভালোবাসি, দেশকেও ঠিক তেমনি ভালোবাসতে হবে।
৫) বাংলাদেশের গৌরব কিসে?
উত্তর : বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বাঙালি হলেও এদেশে রয়েছে আরও নানা ধরনের মানুষ। তাদের রয়েছে নিজস্ব ভাষা, জীবন-যাপনের নিজস্ব পদ্ধতি এবং আলাদা আনন্দ-উৎসব। বাংলাদেশে যে এত বৈচিত্র্যে ভরা মানুষ বসবাস করে এটিই এদেশের গৌরব।
৬) বাংলাদেশে বাঙালি ছাড়া আর কারা বাস করে?
উত্তর : বাংলাদেশে বাঙালি ছাড়াও বাস করে বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার লোকজন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-চাকমা, মারমা, সাঁওতাল, মুরং, তঞ্চঙ্গা রাজবংশী ইত্যাদি।
৭) বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মের উৎসবগুলোর নাম কী?
উত্তর : বাংলাদেশে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের নানা রকম উৎসব রয়েছে। নিচে বিভিন্ন ধর্মের উৎসবের নাম উল্লেখ করা হলো :
মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব : ঈদ-উল-ফিতর, ঈদ-উল-আযহা।
হিন্দুদের ধর্মীয় উৎসব : দুর্গাপূজাসহ নানা উৎসব ও পার্বণ।
বৌদ্ধদের ধর্মীয় উৎসব : বৌদ্ধ পূর্ণিমা।
খ্রিষ্টানদের ধর্মীয় উৎসব : ইস্টার সানডে, বড়দিন।
৮) বাংলাদেশের জনজীবনের বৈচিত্র্যসমূহ কী কী?
উত্তর : বাংলাদেশের জনজীবন খুবই বৈচিত্র্যপূর্ণ। নিচে তা তুলে ধরা হলোÑ
ধর্মীয় বৈচিত্র্য - এ দেশে বসবাস করে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ইত্যাদি ধর্মের মানুষ।
পেশাগত বৈচিত্র্য - এ দেশের একেক মানুষ একেক পেশায় নিয়োজিত। কেউ কৃষক, কেউ কুমোর, কেউ আবার কাজ করে অফিস-আদালতে।
জাতিসত্তার বৈচিত্র্য - বাঙালি ছাড়াও এ দেশে চাকমা, মারমা, মুরং, সাঁওতালসহ নানা ক্ষুদ্র জাতিসত্তার লোকজন বাস করে।
পোশাক-পরিচ্ছদের বৈচিত্র্য - এদেশের মানুষের পোশাক-আশাকেও অনেক বৈচিত্র্য দেখা যায়। কেউ পরে লুঙ্গি, কেউ শার্ট, কেউ শাড়ি, কেউ বা সালোয়ার কামিজ।
৯) “দেশ হলো জননীর মতো।” দেশকে জননীর সাথে তুলনা করা হয়েছে কেন?
উত্তর : জননী স্নেহ-মমতা-ভালোবাসা দিয়ে আমাদের আগলে রাখেন। তেমনি দেশও তার আলো-বাতাস-সম্পদ দিয়ে আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে। এ কারণেই দেশকে জননীর সাথে তুলনা করা হয়েছে।
১০) জেলেরা কী কাজ করেন? তারা যদি কাজ না করেন তাহলে আমাদের কী হতে পারে?
উত্তর : জেলেরা পুকুর, নদী, খাল-বিল ইত্যাদি থেকে মাছ ধরেন।
জেলেরা যদি তাঁদের কাজ না করেন তাহলে আমরা মাছ খেতে পাব না। এর ফলে আমাদের শরীরে আমিষের অভাব দেখা দেবে। তাই জেলেদের কাজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
১১) “ধর্ম যার যার, উৎসব যেন সবার।”Ñ এ কথার দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : আমাদের দেশে সব ধর্মের মানুষ যুগ যুগ ধরে মিলে-মিশে বসবাস করছে। প্রতিটি ধর্মের রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন ধর্মীয় উৎসব। আমরা সবাই মিলে এ উৎসবগুলো উদ্যাপন করি। উৎসবে আনন্দ করার সময় আমরা কে কোন ধর্মের তা মনে রাখি না। এ কারণেই বলা হয়েছে “ধর্ম যার যার, উৎসব যেন সবার।”
১২) দেশকে কেন ভালোবাসতে হবে?
উত্তর : মা আমাদের স্নেহ ও মমতা দিয়ে আগলে রাখেন। ঠিক সেভাবেই দেশও তার আলো, বাতাস, সম্পদ ইত্যাদি দিয়ে আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে। তাই দেশ আমাদের মায়ের মতোই। মাকে আমরা যেমন ভালোবাসি দেশকেও তেমনিভাবে ভালোবাসতে হবে। দেশকে ভালোবাসার মাধ্যমেই আমাদের জীবন সার্থক হয়ে উঠবে।
১৩) দেশ আমাদের কীভাবে বাঁচিয়ে রেখেছে?
উত্তর : দেশ আমাদের তার আলো, বাতাস ও সম্পদ দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে।
১৪) আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া উচিত কেন?
উত্তর : আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুরা আমাদের আপনজন। তাদের সাথে আমাদের মিলেমিশে থাকা উচিত। তাই দেশের নানা প্রান্তের আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের বাড়িতে আমরা বেড়াতে যাব। এতে পরস্পরের প্রতি আমাদের ভালোবাসা বাড়বে। দেশের মানুষকে ভালোবাসার অর্থ দেশকেই ভালোবাসা।
১৫) দেশকে কীভাবে দেখতে হবে?
উত্তর : দেশকে খুব কাছ থেকে দেখতে হবে। দেশের পাহাড়, নদী, সমুদ্র সব জায়গা ঘুরে ঘুরে দেখতে হবে। দেশের মানুষের সাথে আন্তরিকভাবে মিশলেও দেশকে দেখা হয়।
১৬) পয়লা বৈশাখ কিসের উৎসব?
উত্তর : পয়লা বৈশাখ হলো নববর্ষের উৎসব।
১৭) “তাদের পেশাও কত বিচিত্র?” কথাটি কেন বলা হয়েছে?
উত্তর : বাংলাদেশের মানুষ একেকজন একেক পেশায় নিয়োজিত। কেউ জেলে, কেউ কুমোর, কেউ কৃষক, কেউ আবার কাজ করে অফিস আদালতে। জীবিকা অর্জনের উপায়ের এমন ভিন্নতার কারণে কথাটি বলা হয়েছে।
১৮) সবাইকে ভালোবাসতে হবে কেন?
উত্তর : আমরা সবাই একে অন্যের বন্ধু, অতি আপনজন। প্রত্যেকেই একে অন্যের ওপর নির্ভর করি। তাই সুন্দরভাবে দেশকে গড়ে তোলার জন্য সবাইকে ভালোবাসতে হবে।
Image soruce by google