মাদার তেরেসা
সানজিদা খাতুন
অতিরিক্ত সৃজনশীল, প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্ন- ১ মানবসেবায় আত্মনিয়োগ
পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ আছে যারা মানুষের সেবায় নিজের ব্যক্তিগত সুখ বিসর্জন দেন। এমনই একজন মানুষ আমাদের বুলু আপা। মানুষ সুখে-দুঃখে সবসময় তাকে কাছে পায়। কোথাও যদি যৌতুক নিয়ে বিয়ের খবর পান তো তিনি হাজির, বাল্যবিবাহের সংবাদ পেলেও তাই। এসিড নিক্ষেপের বিপক্ষে তিনি সমাজে জোর প্রচারণা চালান। প্রখ্যাত পিতা মুহম্মদ আকরম খাঁর মেয়ে হয়েও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে জীবন কাটিয়েছেন। গ্রামের অসহায়, অসুস্থ মানুষদের তিনি চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিতেন। তার স্কুলের শিক্ষার্থীদেরও তিনি সেবা কাজে আগ্রহী করে তোলেন। শিক্ষার্থীদের দিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে তিনি গ্রামের রাস্তাঘাট মেরামত করাতেনÑ বুলু আপার সেবার ছোঁয়ায় গ্রামের সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফুটেছিল।
ক. পারিবারিক পদবি অনুসারে মাদার তেরেসার নাম কী? ১
খ. মাদার তেরেসা ‘প্রেমনিবাস’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কেন? বুঝিয়ে দাও। ২
গ. সেবামূলক কার্যক্রমে বুলু আপার সঙ্গে মাদার তেরেসার কী ধরনের দ্বন্দ্ব দেখা যায়? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘বুলু আপা ও মাদার তেরেসা দুজনই অসহায়, গরিব, দুঃখী ও সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছিলেন’Ñ মন্তব্যটি মাদার তেরেসা প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
ক পারিবারিক পদবি অনুসারে মাদার তেরেসার নাম হলো অ্যাগনেস গোনজা বোজাঝিউ।
খ মাদার তেরেসা কুষ্ঠরোগীদের আবাসনের জন্য ‘প্রেমনিবাস’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
কুষ্ঠরোগীদের শরীরে দগদগে দুর্গন্ধময় ঘা হয় বলে সমাজের অনেকে এ ধরনের রোগীকে এড়িয়ে চলে। অসুখটা ছোঁয়াচে ভেবে অনেকে রোগীর কাছ থেকে দূরে থাকে। ফলে কুষ্ঠরোগীদের জীবন হয়ে ওঠে কষ্টকর। তাই মরণাপন্ন এসব মানুষের আবাসন ও সেবার জন্য তিনি ‘প্রেমনিবাস’ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি নিজের হাতে কুষ্ঠরোগীদের দগদগে ঘা পরিষ্কার করে গোসল করিয়ে দিতেন। পরম যতেœ তিনি তাদের সেবা করতেন।
গ সেবামূলক কার্যক্রমে বুলু আপার সঙ্গে মাদার তেরেসার আংশিক ধরনগত দ্বন্দ্ব দেখা যায়।
উদ্দীপকের বুলু আপা সেবার প্রচণ্ড মানসিকতা নিয়ে মানবসেবায় আত্মনিয়োগ করেছেন। গ্রামের যেখানে বাল্যবিবাহ হতো সেখানে তিনি বাধার সৃষ্টি করতেন। যৌতুক দেওয়া-নেওয়া বন্ধ করার জন্য তিনি বর-কনে উভয় পক্ষকেই বোঝাতেন। এসিড নিক্ষেপের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে তিনি সমাজে গণসচেতনতার সৃষ্টি করেছেন। রুগ্ণদের চিকিৎসার টাকা জোগাড় করে দিতেন। বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের দিয়ে তিনি স্বেচ্ছাশ্রমে গ্রামের রাস্তাঘাট মেরামত করাতেন। তার এসব কার্যক্রম ছিল সমাজ সচেতনতামূলক মানবসেবা।
মাদার তেরেসাও একজন মানবতাবাদী ও মানবসেবী। সাধারণ মানুষের সেবা করার ব্রত নিয়ে তিনি ১৮ বছর বয়সে ঘর ছেড়েছেন। স্কুলে শিক্ষকতাকালে তিনিও ছাত্রছাত্রীদের মাঝে সেবার আগ্রহ জাগাতে চেষ্টা করতেন। তিনি অসুস্থদের জন্য চিকিৎসাকেন্দ্র খুুললেন। সেখানে তিনি নিজের হাতে অসুস্থদের সেবা করতেন। কুষ্ঠরোগীদের দগদগে ঘা নিজের হাতে পরিষ্কার করতেন তিনি। তাই বলা যায়, মাদার তেরেসার সব কাজই ছিল শারীরিক ও আর্থিক সেবামূলক। কিন্তু উদ্দীপকের বুলু আপা মানুষের শারীরিক ও আর্থিক সেবার পাশাপাশি সমাজ সচেতনতামূলক সেবা কাজ পরিচালনা করেছিলেন। এখানেই বুলু আপার ও মাদার তেরেসার সেবামূলক কাজের দ্বন্দ্ব দেখা যায়।
ঘ ‘বুলু আপা ও মাদার তেরেসা দুজনেই অসহায়, গরিব, দুঃখী ও সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছিলেন’-মন্তব্যটি যথার্থ।
মমতাময়ী মাদার তেরেসা মানবসেবার ব্রত নিয়েই মাত্র ১৮ বছর বয়সে ঘর ছেড়েছিলেন। অসুস্থ মানুষের জন্য তিনি বিভিন্ন সেবাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করলেন। সেখানে তিনি নিজের হাতে অসুস্থদের সেবা করতেনÑ মৃত্যুমুখী অসহায় মানুষদের জন্য তিনি ‘নির্মল হৃদয়’ নামে এক ভবন প্রতিষ্ঠা করলেন। কুষ্ঠরোগীদের জন্য তিনি প্রেমনিবাস’ প্রতিষ্ঠা করেন। মাদার তেরেসা কুষ্ঠরোগীদের তুলে এনে প্রেমনিবাসে আশ্রয় দেন। মাদার তেরেসার মমতার পরশে কুষ্ঠরোগীদের মুখে হাসি ফোটে।
উদ্দীপকের বুলু আপাও একজন সমাজসেবী। সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান হয়েও তিনি সারাজীবন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো বিতরণ করেছেন। গ্রামের অসহায় মানুষদের তিনি আর্থিক সাহায্য করতেন। রুগ্ণদের পাশে থেকে তিনি তাদের সেবা করতেন। অসহায়দের সাহায্য করে তিনি তাদের মুখে হাসি ফোটাতেন।
উল্লিখিত আলোচনায় বলা যায়, প্রশ্নোল্লিখিত মন্তব্যটি যথার্থ।
প্রশ্ন- ২ মানবসেবার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত
আমেরিকার কাছ দিয়ে সমুদ্রপথে একটি যাত্রীবাহী জাহাজে এক ইংরেজ পরিবার যাচ্ছিলেন। ছেলেমেয়েদের মধ্যে বড় মেয়েটির বয়স আঠারো বছর। দূরে একটি জাহাজের বিপদসংকেত শুনে জাহাজটি সেদিকে গেল। জাহাজটি প্রায় জনমানবশূন্য। জাহাজটিতে কালাজ্বরে সবাই মারা গেছে। যারা বেঁচে আছে তারা মৃতপ্রায়। তাদের দেখার কেউ নেই, কালাজ্বরের ভয়ে কেউ যেতে চাইল না। কিন্তু আঠারো বছরের মেয়েটি মা-বাবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে জাহাজে উঠল। মেয়েটি তার সেবা ও ভালোবাসা দিয়ে বিপন্ন জাহাজের যাত্রীদের ভালো করে তুলল। মেয়েটি মানবসেবায় এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করল।
ক. কোন প্রতিষ্ঠানের দ্বারা কুষ্ঠরোগীর সেবা করা হতো? ১
খ. মাদার তেরেসা ভোজসভা বাতিল করেছিলেন কেন? ২
গ. উদ্দীপকের আঠারো বছরের মেয়েটির সাথে পাঠ্যবইয়ের কোন চরিত্রের সাদৃশ্য রয়েছে- বর্ণনা কর। ৩
ঘ. ‘মেয়েটি মানবসেবায় এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে’ উদ্দীপক ও ‘মাদার তেরেসা’ প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। ৪
ক ‘প্রেমনিবাস’ প্রতিষ্ঠানের দ্বারা কুষ্ঠরোগীদের সেবা করা হতো।
খ ভোজসভার টাকা ক্ষুধার্ত মানুষকে দেয়ার জন্য মাদার তেরেসা নোবেল কমিটির ভোজসভা বাতিল করেছিলেন।
মাদার তেরেসা মানবসেবায় আত্মনিয়োগ করেছেন। সেবা দ্বারা সারাবিশ্বকে তিনি জয় করেছেন। এ সেবামূলক কাজের জন্য তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। নোবেল পুরস্কার প্রদান উপলক্ষে ভোজসভার আয়োজন করা হয়। মাদার তেরেসা ভোজসভা বাতিল করে সেই অর্থ গরিব-দুঃখীদের দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
গ উদ্দীপকের আঠারো বছরের মেঘেটির সাথে পাঠ্যবইয়ের মাদার তেরেসার সাদৃশ্য রয়েছে।
উদ্দীপকে বিপন্ন জাহাজের প্রায় যাত্রীই কালাজ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। যারা বেঁচে ছিল তারাও মৃতপ্রায়। কেউ বিপন্ন জাহাজটিতে যেতে চাইল না। ইংরেজ পরিবারের ১৮ বছরের মেয়েটি রাজি হলো এবং বাবা-মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে তাদের সেবা করার জন্য জাহাজে উঠল। সে তার সেবাযতœ ও ভালোবাসা দিয়ে অসুস্থ মানুষগুলোকে সুস্থ করে তুলেছিল। একাকী এ মেয়েটি নিজের জীবনের কথা ভাবেনি।
তেমনি মাদার তেরেসাও কুষ্ঠরোগীদের সেবা করার জন্য ‘প্রেমনিবাস’ প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। তিনি আন্তরিক সেবা ও ভালোবাসা দিয়ে কুষ্ঠরোগীদের ভালো করে তোলার চেষ্টা করেন। তাদের গা ধুইয়ে স্নান করিয়ে দিতেন। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের মেয়েটির সাথে মাদার তেরেসার সাদৃশ্য রয়েছে।
ঘ উদ্দীপকে ইংরেজ পরিবারের ১৮ বছর বয়সের মেয়েটির সেবাকর্মের কথাই বলা হয়েছে।
অষ্টাদশী মেয়েটি নিজের জীবন বিপন্ন করে কালাজ্বরে আক্রান্ত মানুষের সেবা করেছে। সে ভালোবাসা ও সেবা দিয়ে অসুস্থ মানুষদের সুস্থ করে তোলে। কোনো বাধা, কারো নিষেধ সে মানেনি। সে মানবপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়েই এ কাজ করেছে।
‘মাদার তেরেসা’ প্রবন্ধেও এ সেবাকর্মের প্রমাণ মেলে। মাদার তেরেসাও কুষ্ঠরোগীর সেবা করেছেন, প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন; যা তার সেবার হাতকে আরও প্রসারিত করেছিল।
উল্লিখিত আলোচনায় বলা যায় যে, মানবসেবার মাধ্যমেই জীবনকে স্মরণীয় করে রাখা যায়। যা করেছিল ১৮ বছরের মেয়েটি ও মাদার তেরেসা। তাই প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
প্রশ্ন- ৩ আত্মমানবতার মনোভাবের প্রতিফলন
ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল ছিলেন মানবতার সেবায় নিবেদিত একজন ইংরেজি নার্স। তার জš§ ইতালির ফ্লোরেন্স শহরে। তিনি অভিভাবকের আপত্তির মুখে অবিবাহিত থেকে আর্তপীড়িতদের সেবায় জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন। ১৮৫৩ সালে ক্রিমিয়ার যুদ্ধ শুরু হলে যুদ্ধাহত সেনাদের সুচিকিৎসা ও শুশ্রƒষার কাজে তিনি এগিয়ে যান। ৩৮ জন নার্স নিয়ে স্কুটারি হাসপাতালে সেবাকাজে যোগ দেন। দৈনিক প্রায় ২০ ঘণ্টা পরিশ্রম করে সেবার হাত বাড়িয়ে দিয়ে ‘আলো হাতে মহিলা’ নামে পরিচিত হন। [ইউনাইটেড ইসলামিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, মাদারীপুর]
ক. ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’ কী? ১
খ. বাংলাদেশের মানুষের জন্য মাদার তেরেসার সেবামূলক কাজের ব্যাখ্যা দাও। ২
গ. উদ্দীপকটি ‘মাদার তেরেসা’ প্রবন্ধের সাথে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ? ৩
ঘ. ‘উদ্দীপকের ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল এবং ‘মাদার তেরেসা’ প্রবন্ধের মাদার তেরেসা দুজনই মানবতার সেবায় নিবেদিতপ্রাণ।’ মন্তব্যটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর। ৪
ক ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’ হলো মানবসেবা সংঘ।
খ বাংলার মানুষের দুঃখদুর্দশা মাদার তেরেসাকে খুব বিচলিত করেছিল। তাই তিনি এসব মানুষের দিকে বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সেবার হাত।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে এক কোটির বেশি লোক ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিল। সেই সময়ে শরণার্থী শিবিরের দুর্গত মানুষের সেবার কাজ করেন মাদার তেরেসা। ১৯৭২ সালে তিনি প্রথম ঢাকায় আসেন। বাংলাদেশে শুরু করেন তাঁর ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটির সেবা কাজ। এছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় রয়েছে তাঁর সেবাপ্রতিষ্ঠান। ১৯৯১ সালের প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়ের পর একাশি বছর বয়সি মাদার তেরেসা বাংলাদেশে ছুটে আসেন। উদ্দেশ্য নিজ হাতে দুর্গত মানুষের মাঝে ত্রাণের কাজ করা।
গ উদ্দীপকটি ‘মাদার তেরেসা’ প্রবন্ধের মাদার তেরেসার সেবাধর্মী কাজের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
উদ্দীপকে উল্লিখিত ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল একজন ইংরেজ নার্স। মানবতার মূর্তপ্রতীক এই নারী যুদ্ধাহত, মৃতপ্রায় মানুষের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করে জগতে কীর্তি স্থাপন করেছেন। মানুষ তার সেবায় খুশি হয়ে তাকে তাদের একান্ত আপন মানুষ ভেবে ‘আলো হাতে মহিলা’ বলে অভিহিত করেছেন।
উদ্দীপকের এই সেবাব্রতীর সাথে মাদার তেরেসার সাদৃশ্য রয়েছে। মাদার তেরেসাও তার জীবনের সব সুখ ত্যাগ করে মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করেছেন। তাদেরকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে উপার্জিত সব অর্থ দিয়ে সেবাশ্রম খুলেছেন। এমনকি নোবেল পুরস্কারের অর্থ তুলে দিয়েছেন অসহায় মানুষদের সেবার জন্য। মহৎ মানবের নিঃস্বার্থ সেবাধর্মিতার দিক থেকে উদ্দীপকটি ‘মাদার তেরেসা’ প্রবন্ধের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ “উদ্দীপকের ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল এবং ‘মাদার তেরেসা’ প্রবন্ধের মাদার তেরেসা দুজনই মানবতার সেবায় নিবেদিতপ্রাণ” মন্তব্যটি যথার্থ।
উদ্দীপকের ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল একজন ইংরেজ তরুণী। পরিবারের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও তিনি সেবাধর্মে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। সারাজীবন অবিবাহিত থেকে নার্সিং-এ আত্মনিয়োগ করে মানবতার কল্যাণে কাজ করেছেন। তার এ মনোভাবের প্রতিফলন লক্ষ করা যায় মাদার তেরেসা প্রবন্ধের মাদার তেরেসার মধ্যে। মাদার তেরেসাও জীবনের সবই নিয়োগ করেছিলেন রুগণ মানুষের মুক্তির জন্য, শান্তির জন্য, কল্যাণের জন্য। তিনি সন্ন্যাসব্রত গ্রহণ করে, মানুষের সেবায় নিয়োজিত হন।
উদ্দীপকের ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল ১৮৫৩ সালে ক্রিমিয়ার যুদ্ধে আহত সৈনিকদের, হাসপাতালে মৃতপ্রায় অসহায় ব্যক্তিদের সেবায় এগিয়ে আসেন। ৩৮ জন নার্স নিয়ে স্কুটারি হাসপাতাল পরিচালনা করেন। প্রতিদিন প্রায় ২০ ঘণ্টা করে পরিশ্রম করে তাদের সুস্থ করে তোলেন। ‘মাদার তেরেসা’ প্রবন্ধের মাদার তেরেসাও ১৯১৪ থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত চলা প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অসংখ্য মানুষের মৃত্যুতে মানসিকভাবে আহত হন। মৃত্যুমুখী মানুষের সেবায় ১৯৫২ সালে কলকাতার কালিঘাটে ‘নির্মল হৃদয়’ ভবন নির্মাণ করেন। ১৯৭১ সালে ভারতে আশ্রিত বাংলাদেশি শরণার্থী শিবিরে মানুষের সেবায় এগিয়ে আসেন। তিনি ‘নির্মল হৃদয়’, ‘প্রেমনিবাস’, ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’ প্রভৃতি প্রতিষ্ঠা করে মানবতার সেবায় স্বীয় জীবন উৎসর্গ করেছেন।
উল্লিখিত আলোচনায় বলা যায়, মন্তব্যটিকে যথার্থ হিসেবে প্রতিপন্ন করা যায়।
খ. বাংলাদেশের মানুষের জন্য মাদার তেরেসার সেবামূলক কাজের ব্যাখ্যা দাও। ২
গ. উদ্দীপকটি ‘মাদার তেরেসা’ প্রবন্ধের সাথে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ? ৩
ঘ. ‘উদ্দীপকের ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল এবং ‘মাদার তেরেসা’ প্রবন্ধের মাদার তেরেসা দুজনই মানবতার সেবায় নিবেদিতপ্রাণ।’ মন্তব্যটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর। ৪
ক ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’ হলো মানবসেবা সংঘ।
খ বাংলার মানুষের দুঃখদুর্দশা মাদার তেরেসাকে খুব বিচলিত করেছিল। তাই তিনি এসব মানুষের দিকে বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সেবার হাত।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে এক কোটির বেশি লোক ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিল। সেই সময়ে শরণার্থী শিবিরের দুর্গত মানুষের সেবার কাজ করেন মাদার তেরেসা। ১৯৭২ সালে তিনি প্রথম ঢাকায় আসেন। বাংলাদেশে শুরু করেন তাঁর ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটির সেবা কাজ। এছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় রয়েছে তাঁর সেবাপ্রতিষ্ঠান। ১৯৯১ সালের প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়ের পর একাশি বছর বয়সি মাদার তেরেসা বাংলাদেশে ছুটে আসেন। উদ্দেশ্য নিজ হাতে দুর্গত মানুষের মাঝে ত্রাণের কাজ করা।
গ উদ্দীপকটি ‘মাদার তেরেসা’ প্রবন্ধের মাদার তেরেসার সেবাধর্মী কাজের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
উদ্দীপকে উল্লিখিত ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল একজন ইংরেজ নার্স। মানবতার মূর্তপ্রতীক এই নারী যুদ্ধাহত, মৃতপ্রায় মানুষের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করে জগতে কীর্তি স্থাপন করেছেন। মানুষ তার সেবায় খুশি হয়ে তাকে তাদের একান্ত আপন মানুষ ভেবে ‘আলো হাতে মহিলা’ বলে অভিহিত করেছেন।
উদ্দীপকের এই সেবাব্রতীর সাথে মাদার তেরেসার সাদৃশ্য রয়েছে। মাদার তেরেসাও তার জীবনের সব সুখ ত্যাগ করে মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করেছেন। তাদেরকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে উপার্জিত সব অর্থ দিয়ে সেবাশ্রম খুলেছেন। এমনকি নোবেল পুরস্কারের অর্থ তুলে দিয়েছেন অসহায় মানুষদের সেবার জন্য। মহৎ মানবের নিঃস্বার্থ সেবাধর্মিতার দিক থেকে উদ্দীপকটি ‘মাদার তেরেসা’ প্রবন্ধের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ “উদ্দীপকের ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল এবং ‘মাদার তেরেসা’ প্রবন্ধের মাদার তেরেসা দুজনই মানবতার সেবায় নিবেদিতপ্রাণ” মন্তব্যটি যথার্থ।
উদ্দীপকের ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল একজন ইংরেজ তরুণী। পরিবারের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও তিনি সেবাধর্মে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। সারাজীবন অবিবাহিত থেকে নার্সিং-এ আত্মনিয়োগ করে মানবতার কল্যাণে কাজ করেছেন। তার এ মনোভাবের প্রতিফলন লক্ষ করা যায় মাদার তেরেসা প্রবন্ধের মাদার তেরেসার মধ্যে। মাদার তেরেসাও জীবনের সবই নিয়োগ করেছিলেন রুগণ মানুষের মুক্তির জন্য, শান্তির জন্য, কল্যাণের জন্য। তিনি সন্ন্যাসব্রত গ্রহণ করে, মানুষের সেবায় নিয়োজিত হন।
উদ্দীপকের ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল ১৮৫৩ সালে ক্রিমিয়ার যুদ্ধে আহত সৈনিকদের, হাসপাতালে মৃতপ্রায় অসহায় ব্যক্তিদের সেবায় এগিয়ে আসেন। ৩৮ জন নার্স নিয়ে স্কুটারি হাসপাতাল পরিচালনা করেন। প্রতিদিন প্রায় ২০ ঘণ্টা করে পরিশ্রম করে তাদের সুস্থ করে তোলেন। ‘মাদার তেরেসা’ প্রবন্ধের মাদার তেরেসাও ১৯১৪ থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত চলা প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অসংখ্য মানুষের মৃত্যুতে মানসিকভাবে আহত হন। মৃত্যুমুখী মানুষের সেবায় ১৯৫২ সালে কলকাতার কালিঘাটে ‘নির্মল হৃদয়’ ভবন নির্মাণ করেন। ১৯৭১ সালে ভারতে আশ্রিত বাংলাদেশি শরণার্থী শিবিরে মানুষের সেবায় এগিয়ে আসেন। তিনি ‘নির্মল হৃদয়’, ‘প্রেমনিবাস’, ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’ প্রভৃতি প্রতিষ্ঠা করে মানবতার সেবায় স্বীয় জীবন উৎসর্গ করেছেন।
উল্লিখিত আলোচনায় বলা যায়, মন্তব্যটিকে যথার্থ হিসেবে প্রতিপন্ন করা যায়।
প্রশ্ন- ৪ আত্মমানবতার সেবায় নিবেদিত সংস্থা
হেনরি ডুনান্টের আহ্বানে সাড়া দিয়ে জেনেভায় পাবলিক ওয়েলফেয়ার সোসাইটি পাঁচজন সদস্য নিয়ে গঠন করে কমিটি অব ফাইভ। এর পর পরই বিশ্বের ১৬টি দেশের প্রতিনিধি নিয়ে জেনেভায় আন্তর্জাতিক সম্মেলন বসে ১৮৬৩ সালের ২৬শে অক্টোবর। এ সম্মেলনেই প্রতিষ্ঠা লাভ করে বিশ্বের আর্তমানুষের সেবায় নিবেদিত সংস্থা রেডক্রস। বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে রেডক্রসের সেবা কার্যক্রম।
ক. মাদার তেরেসা ‘নির্মল হৃদয়’ ভবন প্রতিষ্ঠা করেন কোথায়? ১
খ. “মরণাপন্ন এসব মানুষকে বুকে তুলে নেন মাদার তেরেসা।” ব্যাখ্যা কর। ২
গ. হেনরি ডুনান্টের ‘রেডক্রস’ সেবা প্রতিষ্ঠানটির মধ্যে মাদার তেরেসার কোন প্রতিষ্ঠানের চিত্র ফুটে ওঠে- ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের ‘রেডক্রস’ ও ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’ মূলত একই ধরনের উদ্দেশ্য নিয়ে গঠিত। মন্তব্যটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর। ৪
ক মাদার তেরেসা কলকাতার কালিঘাটে ‘নির্মল হৃদয়’ ভবন প্রতিষ্ঠা করেন।
খ ‘মরণাপন্ন এসব মানুষকে বুকে তুলে নেন মাদার তেরেসা।’ লাইনটি দ্বারা বোঝানো হয়েছে মুমূর্ষুদের সেবাযতেœ মাদার তেরেসা সর্বোচ্চ আত্মনিয়োগ করতেন।
বাংলার মানুষের দুঃখদুর্দশা মাদার তেরেসাকে খুব বিচলিত করেছিল। আর্তমানবতার সেবায় বিভিন্ন স্থানে তিনি সেবাকেন্দ্র খোলেন। মৃত্যুমুখী অসহায় মানুষের সেবার জন্য তিনি কলকাতার কালিঘাটে নির্মল হৃদয় নামে একটি ভবন প্রতিষ্ঠা করেন। সহায়-সম্বলহীন মরণাপন্ন মানুষদের তিনি এখানে এনে মমতাময়ী মা কিংবা বোনের মতো সেবা করতে থাকেন।
গ হেনরি ডুনান্টের ‘রেডক্রস’ সেবা প্রতিষ্ঠানটির মধ্যে মাদার তেরেসার ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’ নামক সেবা প্রতিষ্ঠানিটির চিত্র ফুটে উঠেছে।
১৮ বছর বয়সে মাদার তেরেসা ‘লরেটো সিস্টার্স’ নামে খ্রিষ্টান মিশনারি দলে যোগ দেন। এরপর মানুষের সেবায় আরও কাজ করার জন্য যখন তাগিদ অনুভব করলেন তখন মিশনারিজ থেকে বিদায় নিলেন। শুরু করলেন একেবারে গরিবদের সেবার কাজ। কলকাতার নোংরা বস্তিতে তিনি প্রথম স্কুল খুললেন। অসুস্থদের সেবার জন্য খুললেন চিকিৎসাকেন্দ্র। খুললেন মিশনারিজ অব চ্যারিটি।
মাদার তেরেসার সেবার কাজ কোনো দেশ বা সমাজে সীমাবদ্ধ ছিল না। তাঁর সেবাপ্রতিষ্ঠান আছে বিশ্বব্যাপী। উদ্দীপকের হেনরি ডুনান্ট গড়ে তোলেন জেনেভার ‘পাবলিক ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’। বিশ্বের ১৬টি দেশ নিয়ে জেনেভায় আন্তর্জাতিক সম্মেলন বসে। তাই বলা যায়, হেনরি ডুনান্টের ‘রেডক্রস’ প্রতিষ্ঠানটির মধ্যে ফুটে ওঠে মাদার তেরেসার ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’ সেবা প্রতিষ্ঠানটির চিত্র।
ঘ উদ্দীপকের রেডক্রস ও মিশনারিজ অব চ্যারিটি মূলত একই ধরনের উদ্দেশ্য নিয়ে গঠিত। এ মন্তব্যটি যথার্থ।
কলকাতার নোংরা বস্তিতে সেবার ব্রত নিয়ে মাদার তেরেসা প্রথম খুললেন একটি স্কুল। মাটিতে দাগ কেটে শেখাতে লাগলেন বর্ণমালা। অসুস্থদের সেবার জন্য খুললেন চিকিৎসাকেন্দ্র। ধীরে ধীরে সাহায্যের হাত বাড়ালেন অনেক মানুষ। তার সঙ্গে যোগ দিলেন অনেক সন্ন্যাসিনী। তাদের নিয়ে গড়লেন তিনি মানবসেবার সংঘ ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’। মাদার তেরেসার কাজের পরিধি ক্রমাগত বেড়ে চলল।
উদ্দীপকে হেনরি ডুনান্টের আহ্বানে সাড়া দেয় জেনেভার পাবলিক ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। ১৮৬৩ সালে তিনি গড়ে তোলেন আর্তমানবতার সেবাপ্রতিষ্ঠান ‘রেডক্রস’। বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে রেডক্রসের সেবাকার্যক্রম। এ দুটি সেবা সংঘেরই উদ্দেশ্য হলো এক আর তা হলো মানবসেবা।
উল্লিখিত আলোচনায় বলা যায় যে, উদ্দীপকে রেডক্রস ও মিশনারিজ অব চ্যারিটি মূলত একই ধরনের উদ্দেশ্য নিয়ে গঠিত।
খ. “মরণাপন্ন এসব মানুষকে বুকে তুলে নেন মাদার তেরেসা।” ব্যাখ্যা কর। ২
গ. হেনরি ডুনান্টের ‘রেডক্রস’ সেবা প্রতিষ্ঠানটির মধ্যে মাদার তেরেসার কোন প্রতিষ্ঠানের চিত্র ফুটে ওঠে- ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের ‘রেডক্রস’ ও ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’ মূলত একই ধরনের উদ্দেশ্য নিয়ে গঠিত। মন্তব্যটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর। ৪
ক মাদার তেরেসা কলকাতার কালিঘাটে ‘নির্মল হৃদয়’ ভবন প্রতিষ্ঠা করেন।
খ ‘মরণাপন্ন এসব মানুষকে বুকে তুলে নেন মাদার তেরেসা।’ লাইনটি দ্বারা বোঝানো হয়েছে মুমূর্ষুদের সেবাযতেœ মাদার তেরেসা সর্বোচ্চ আত্মনিয়োগ করতেন।
বাংলার মানুষের দুঃখদুর্দশা মাদার তেরেসাকে খুব বিচলিত করেছিল। আর্তমানবতার সেবায় বিভিন্ন স্থানে তিনি সেবাকেন্দ্র খোলেন। মৃত্যুমুখী অসহায় মানুষের সেবার জন্য তিনি কলকাতার কালিঘাটে নির্মল হৃদয় নামে একটি ভবন প্রতিষ্ঠা করেন। সহায়-সম্বলহীন মরণাপন্ন মানুষদের তিনি এখানে এনে মমতাময়ী মা কিংবা বোনের মতো সেবা করতে থাকেন।
গ হেনরি ডুনান্টের ‘রেডক্রস’ সেবা প্রতিষ্ঠানটির মধ্যে মাদার তেরেসার ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’ নামক সেবা প্রতিষ্ঠানিটির চিত্র ফুটে উঠেছে।
১৮ বছর বয়সে মাদার তেরেসা ‘লরেটো সিস্টার্স’ নামে খ্রিষ্টান মিশনারি দলে যোগ দেন। এরপর মানুষের সেবায় আরও কাজ করার জন্য যখন তাগিদ অনুভব করলেন তখন মিশনারিজ থেকে বিদায় নিলেন। শুরু করলেন একেবারে গরিবদের সেবার কাজ। কলকাতার নোংরা বস্তিতে তিনি প্রথম স্কুল খুললেন। অসুস্থদের সেবার জন্য খুললেন চিকিৎসাকেন্দ্র। খুললেন মিশনারিজ অব চ্যারিটি।
মাদার তেরেসার সেবার কাজ কোনো দেশ বা সমাজে সীমাবদ্ধ ছিল না। তাঁর সেবাপ্রতিষ্ঠান আছে বিশ্বব্যাপী। উদ্দীপকের হেনরি ডুনান্ট গড়ে তোলেন জেনেভার ‘পাবলিক ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’। বিশ্বের ১৬টি দেশ নিয়ে জেনেভায় আন্তর্জাতিক সম্মেলন বসে। তাই বলা যায়, হেনরি ডুনান্টের ‘রেডক্রস’ প্রতিষ্ঠানটির মধ্যে ফুটে ওঠে মাদার তেরেসার ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’ সেবা প্রতিষ্ঠানটির চিত্র।
ঘ উদ্দীপকের রেডক্রস ও মিশনারিজ অব চ্যারিটি মূলত একই ধরনের উদ্দেশ্য নিয়ে গঠিত। এ মন্তব্যটি যথার্থ।
কলকাতার নোংরা বস্তিতে সেবার ব্রত নিয়ে মাদার তেরেসা প্রথম খুললেন একটি স্কুল। মাটিতে দাগ কেটে শেখাতে লাগলেন বর্ণমালা। অসুস্থদের সেবার জন্য খুললেন চিকিৎসাকেন্দ্র। ধীরে ধীরে সাহায্যের হাত বাড়ালেন অনেক মানুষ। তার সঙ্গে যোগ দিলেন অনেক সন্ন্যাসিনী। তাদের নিয়ে গড়লেন তিনি মানবসেবার সংঘ ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’। মাদার তেরেসার কাজের পরিধি ক্রমাগত বেড়ে চলল।
উদ্দীপকে হেনরি ডুনান্টের আহ্বানে সাড়া দেয় জেনেভার পাবলিক ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। ১৮৬৩ সালে তিনি গড়ে তোলেন আর্তমানবতার সেবাপ্রতিষ্ঠান ‘রেডক্রস’। বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে রেডক্রসের সেবাকার্যক্রম। এ দুটি সেবা সংঘেরই উদ্দেশ্য হলো এক আর তা হলো মানবসেবা।
উল্লিখিত আলোচনায় বলা যায় যে, উদ্দীপকে রেডক্রস ও মিশনারিজ অব চ্যারিটি মূলত একই ধরনের উদ্দেশ্য নিয়ে গঠিত।
প্রশ্ন- ৫ সেবামূলক কাজের মানসিকতা
ব্লু বার্ড স্কুল এন্ড কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা সপ্তাহে একদিন টিফিনের টাকা দিয়ে অসহায় শিশুদের সাহায্য করে। বস্তি ও রাস্তার পাশে থাকা শিশুদের খাবার পোশাক, বই, খাতা কিনে দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। তাদের এই মহৎ কাজে অনুপ্রাণিত হয় অন্য বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা।
[ব্লু বার্ড উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, সিলেট]
ক. মাদার তেরেসার পুরো নাম কী? ১
খ. মাদার তেরেসা বাংলাদেশে ছুটে আসেন কেন? ২
গ. বস্তিবাসীদের জন্য তোমার পঠিত প্রবন্ধের ‘মাদার তেরেসা’ ও উদ্দীপকের ছাত্রদের কাজের সাদৃশ্য তুলে ধর। ৩
ঘ. অনাথ শিশুদের তিনি ছিলেন আশ্রয়দাতা-উদ্দীপক ও তোমার পঠিত ‘মাদার তেরেসা’ রচনার আলোকে বিচার কর। ৪
ক মাদার তেরেসার পুরো নাম অ্যাগনেস গোনজা বোজাঝিউ।
খ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সাহায্য করার জন্য মাদার তেরেসা বাংলাদেশে ছুটে আসেন।
মানবদরদি মাদার তেরেসা বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে এসেছেন কিন্তু ১৯৯১ সালে বাংলাদেশে প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড় হয়। এ সময় মাদার তেরেসা বাঙালিদের সাহায্য করার জন্য বাংলাদেশে আসেন। ঘূর্ণিঝড়ে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে এবং নিজ হাতে দুর্গত মানুষের ত্রাণের কাজ করার জন্য তিনি বাংলাদেশে ছুটে আসেন।
গ মাদার তেরেসা বস্তিবাসীদের জন্য যেভাবে সেবার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন, ঠিক তেমনিভাবে ব্লু বার্ড স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরাও বস্তিবাসীর প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল।
মাদার তেরেসা ছিলেন এক অসাধারণ মানবসেবী। তিনি যখন কলকাতার সেন্ট মেরিজ স্কুলে শিক্ষকতা করতেন, তখন ছাত্রদের মানবতাবাদী হওয়ার শিক্ষা দিতেন। ছাত্রদেরকে অন্যকে সেবা করার আগ্রহ জাগাতেন। আর এ কারণে ছাত্রদের সপ্তাহের একদিনের টিফিনের টাকা বস্তির দরিদ্র শিশুদের জন্য খরচ করতে উৎসাহ দিতেন।
প্রবন্ধের মাদার তেরেসার মতো উদ্দীপকের ছাত্ররাও মানবদরদি। ব্লু বার্ড স্কুলের ছাত্রদের মাঝে সেবা করার মানসিকতা আছে। এ কারণেই তারা একদিনের টিফিনের টাকা দিয়ে বস্তি ও পথশিশুদের নানাভাবে সাহায্য করে। আর ব্লু বার্ড স্কুলের ছাত্রদের মহৎ কাজ দেখে অনেকের মাঝে অনুপ্রেরণা সৃষ্টি হয়। সুতরাং গরিব, অসহায় শিশুদের নানাভাবে সেবা করার মানসিকতার দিক থেকে মাদার তেরেসা এবং উদ্দীপকের ছাত্রদের সঙ্গে সাদৃশ্য বিদ্যমান।
ঘ মাদার তেরেসা এবং উদ্দীপকের ছাত্ররা নানাভাবে অনাথ শিশুদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
মাদার তেরেসা ছিলেন এক অনন্য মানবদরদি। শিশুদের তিনি বেশি ভালোবাসতেন। তাইতো শিক্ষিকা থাকাকালীন সময়ে ছাত্রদেরকে দরিদ্র শিশুদের পাশে দাঁড়ানোর উৎসাহ দিতেন; এমনকি শিশুদের উন্নতির জন্য তিনি কলকাতার নোংরা বস্তিতেও স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। সেখানে শিশুদের পড়ালেখা করানোর মতো প্রয়োজনীয় উপকরণ কিছুই ছিল না, তবুও তিনি মাটিতে দাগ কেটে শিশুদের অক্ষরজ্ঞান দিতেন। এভাবে অনাথ ও অসহায় শিশুদের তিনি নানাভাবে সাহায্য করতেন।
উদ্দীপকের ব্লু বার্ড স্কুলের ছাত্ররাও অসহায় শিশুদের নানাভাবে সাহায্য করে। ছাত্ররা তাদের টিফিনের টাকা দিয়ে বস্তি ও পথশিশুদের খাবার, জামাকাপড় এমনকি বইখাতা দিয়েও সাহায্য করে। এটা ছাত্রদের একটা মহৎ উদ্যোগ। আর ছাত্রদের এ উদ্যোগ দেখে আরো অনেক ছাত্র উৎসাহিত হয়েছে গরিব শিশুদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়ানোর জন্য।
প্রবন্ধ এবং উদ্দীপকের আলোচনা থেকে দেখা যায়, অনাথ শিশুদেরকে নানাভাবে সাহায্য করে মাদার তেরেসা এবং ছাত্ররা এক মহৎ মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন।
খ. মাদার তেরেসা বাংলাদেশে ছুটে আসেন কেন? ২
গ. বস্তিবাসীদের জন্য তোমার পঠিত প্রবন্ধের ‘মাদার তেরেসা’ ও উদ্দীপকের ছাত্রদের কাজের সাদৃশ্য তুলে ধর। ৩
ঘ. অনাথ শিশুদের তিনি ছিলেন আশ্রয়দাতা-উদ্দীপক ও তোমার পঠিত ‘মাদার তেরেসা’ রচনার আলোকে বিচার কর। ৪
ক মাদার তেরেসার পুরো নাম অ্যাগনেস গোনজা বোজাঝিউ।
খ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সাহায্য করার জন্য মাদার তেরেসা বাংলাদেশে ছুটে আসেন।
মানবদরদি মাদার তেরেসা বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে এসেছেন কিন্তু ১৯৯১ সালে বাংলাদেশে প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড় হয়। এ সময় মাদার তেরেসা বাঙালিদের সাহায্য করার জন্য বাংলাদেশে আসেন। ঘূর্ণিঝড়ে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে এবং নিজ হাতে দুর্গত মানুষের ত্রাণের কাজ করার জন্য তিনি বাংলাদেশে ছুটে আসেন।
গ মাদার তেরেসা বস্তিবাসীদের জন্য যেভাবে সেবার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন, ঠিক তেমনিভাবে ব্লু বার্ড স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরাও বস্তিবাসীর প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল।
মাদার তেরেসা ছিলেন এক অসাধারণ মানবসেবী। তিনি যখন কলকাতার সেন্ট মেরিজ স্কুলে শিক্ষকতা করতেন, তখন ছাত্রদের মানবতাবাদী হওয়ার শিক্ষা দিতেন। ছাত্রদেরকে অন্যকে সেবা করার আগ্রহ জাগাতেন। আর এ কারণে ছাত্রদের সপ্তাহের একদিনের টিফিনের টাকা বস্তির দরিদ্র শিশুদের জন্য খরচ করতে উৎসাহ দিতেন।
প্রবন্ধের মাদার তেরেসার মতো উদ্দীপকের ছাত্ররাও মানবদরদি। ব্লু বার্ড স্কুলের ছাত্রদের মাঝে সেবা করার মানসিকতা আছে। এ কারণেই তারা একদিনের টিফিনের টাকা দিয়ে বস্তি ও পথশিশুদের নানাভাবে সাহায্য করে। আর ব্লু বার্ড স্কুলের ছাত্রদের মহৎ কাজ দেখে অনেকের মাঝে অনুপ্রেরণা সৃষ্টি হয়। সুতরাং গরিব, অসহায় শিশুদের নানাভাবে সেবা করার মানসিকতার দিক থেকে মাদার তেরেসা এবং উদ্দীপকের ছাত্রদের সঙ্গে সাদৃশ্য বিদ্যমান।
ঘ মাদার তেরেসা এবং উদ্দীপকের ছাত্ররা নানাভাবে অনাথ শিশুদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
মাদার তেরেসা ছিলেন এক অনন্য মানবদরদি। শিশুদের তিনি বেশি ভালোবাসতেন। তাইতো শিক্ষিকা থাকাকালীন সময়ে ছাত্রদেরকে দরিদ্র শিশুদের পাশে দাঁড়ানোর উৎসাহ দিতেন; এমনকি শিশুদের উন্নতির জন্য তিনি কলকাতার নোংরা বস্তিতেও স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। সেখানে শিশুদের পড়ালেখা করানোর মতো প্রয়োজনীয় উপকরণ কিছুই ছিল না, তবুও তিনি মাটিতে দাগ কেটে শিশুদের অক্ষরজ্ঞান দিতেন। এভাবে অনাথ ও অসহায় শিশুদের তিনি নানাভাবে সাহায্য করতেন।
উদ্দীপকের ব্লু বার্ড স্কুলের ছাত্ররাও অসহায় শিশুদের নানাভাবে সাহায্য করে। ছাত্ররা তাদের টিফিনের টাকা দিয়ে বস্তি ও পথশিশুদের খাবার, জামাকাপড় এমনকি বইখাতা দিয়েও সাহায্য করে। এটা ছাত্রদের একটা মহৎ উদ্যোগ। আর ছাত্রদের এ উদ্যোগ দেখে আরো অনেক ছাত্র উৎসাহিত হয়েছে গরিব শিশুদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়ানোর জন্য।
প্রবন্ধ এবং উদ্দীপকের আলোচনা থেকে দেখা যায়, অনাথ শিশুদেরকে নানাভাবে সাহায্য করে মাদার তেরেসা এবং ছাত্ররা এক মহৎ মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন।
অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)
প্রশ্ন- ৬ মহানুভবতার পরিচয়
এরফান আলী যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত । প্রচণ্ড কাশি হয়, সঙ্গে আবার রক্তও পড়ে। এসব দেখে পরিবার এবং আত্মীয়স্বজন সবাই তাকে পরিত্যাগ করেছে। যক্ষ্মা রোগটি ছোঁয়াচে ভেবে সবাই তাকে একঘরে করে রেখেছে। কিন্তু স্কুল শিক্ষক ফজলুল হক তার এ শোচনীয় অবস্থা দেখে কষ্ট পান। তিনি এরফান আলীকে ‘যক্ষ্মা নিরাময় কেন্দ্রে’ নিয়ে যান এবং ঠিকমতো ওষুধ ও সেবা দিয়ে তাকে সুস্থ করে তোলেন।
ক. যুদ্ধে অসংখ্য মানুষের মৃত্যু কার কোমল মনে খুব আঘাত করেছিল? ১
খ. মাদার তেরেসা পুরস্কারের অর্থ নিজের জন্য রাখেননি কেন? ২
গ. উদ্দীপকের ফজলুল হক মাদার তেরেসার কোন গুণটি ধারণ করে আছেন- ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “সাদৃশ্য থাকলেও ফজলুল হক পুরোপুরি মাদার তেরেসা হয়ে উঠতে পারেননি” মন্তব্যটির যৌক্তিকতা বিচার কর। ৪
ক যুদ্ধে অসংখ্য মানুষের মৃত্যু মাদার তেরেসার কোমল মনে খুব আঘাত লেগেছিল।
খ দুঃখী মানুষের সেবার জন্য পুরস্কারের সব অর্থ ব্যয় করেছেন মাদার তেরেসা। তাই নিজের জন্য কোনো অর্থ রাখেননি।
মানুষের সেবা করাই ছিল মাদার তেরেসার একমাত্র উদ্দেশ্য। নিজের আয়েশি জীবন ত্যাগ করে তিনি নেমে এসেছিলেন দুস্থ মানুষের স্তরে, সুস্থদের সেবা করার জন্য নিজে কখনই বিলাসী জীবনযাপন করতেন না। ব্যক্তিগতভাবে মাদার তেরেসা তিনটির বেশি শাড়ি ব্যবহার করতেন না। জীবনের সব অর্থ তিনি অসহায় মানুষের কাজে ব্যয় করেছেন। এমনকি নোবেল পুরস্কারের মতো বড় অঙ্কের অর্থও তিনি দুস্থ মানুষের সেবায় ব্যয় করেন।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ মাদার তেরেসার মানবপ্রেমের স্বরূপ ব্যাখ্যা কর।
ঘ মাদার তেরেসা রচনায় মূলবক্তব্য মানবসেবা এ বিষয়টি বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্ন- ৭ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো
খালেদা
আক্তার একজন জনদরদি মানুষ। যেখানেই তিনি মানুষকে অসহায় অবস্থায় দেখেন
সেখানে তিনি ছুটে যান। তিনি অসহায় ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়ান। তাঁর কাছ থেকে
কেউ কষ্ট পাননি। তিনি তাঁর সাধ্যমতো চেষ্টা করেন মানুষকে সেবাযতœ করার
জন্য। তিনি গ্রামের মহিলাদের শিক্ষিত করার জন্য একটি নৈশবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা
করে নিজে সেখানে বয়স্ক নারীদের শিক্ষা দিয়ে থাকেন। শুধু তাই নয়, অসুস্থ ও
দুস্থ ব্যক্তির সেবায়ও তিনি এগিয়ে আসেন।
ক. মাদার তেরেসা কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? ১
খ. মাদার তেরেসা খ্রিষ্টান মিশনারিতে যোগ দিলেন কেন? ২
গ. উদ্দীপকের খালেদা আক্তার ‘মাদার তেরেসা’ প্রবন্ধের কার প্রতিচ্ছবি? নিরূপণ কর। ৩
ঘ. ‘কিছু সাদৃশ্য থাকলেও উদ্দীপকের খালেদা আক্তার পুরোপুরি মাদার তেরেসা নয়’ বিশ্লেষণ কর। ৪
খ. মাদার তেরেসা খ্রিষ্টান মিশনারিতে যোগ দিলেন কেন? ২
গ. উদ্দীপকের খালেদা আক্তার ‘মাদার তেরেসা’ প্রবন্ধের কার প্রতিচ্ছবি? নিরূপণ কর। ৩
ঘ. ‘কিছু সাদৃশ্য থাকলেও উদ্দীপকের খালেদা আক্তার পুরোপুরি মাদার তেরেসা নয়’ বিশ্লেষণ কর। ৪
ক মাদার তেরেসার জন্ম আলবেনিয়ায়।
খ মাদার তেরেসা মানুষের সেবার উদ্দেশ্যে সন্ন্যাসিনী হয়ে খ্রিষ্টান মিশনারি দলে যোগ দেন।
১৯২৮
সালে ১৮ বছর বয়সের তরুণী মাদার তেরেসা ‘লরেটো সিস্টার্স’ নামে খ্রিষ্টান
মিশনারি দলে যোগ দেন। ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারতে এরা কাজ করত। এই দল থেকে
সন্ন্যাসিনী হওয়ার প্রশিক্ষণ নেন তিনি। বাঙালিদের মধ্যে কাজ করতে বাংলা
ভাষা রপ্ত করেন। এরপর কলকাতার সেন্ট মেরি’জ স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পান। ১৭
বছর সে স্কুলে চাকরি করেন। স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেবার আগ্রহ
জাগাতে চেষ্টা করেন তেরেসা। সপ্তাহে একদিন তাদের টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে
বস্তির শিশুদের জন্য খরচ করতে উৎসাহ দেন।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ মাদার তেরেসার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য তুলে ধর।
ঘ মাদার তেরেসার সামাজিক দিক মূল্যায়ন কর।