খাবারকে ষুস্বাদু করতে মরিচের বিকল্প নেই। রান্নায় সাধারনত দু’ধরনের মরিচ ব্যবহার হয়।
1. কাঁচামরিচ
2. শুকনো মরিচ
শুকনো মরিচটা লাল, কাঁচা মরিচটা সবুজ । দু’ধরনের মরিচেরই আলাদা স্বাদ রয়েছে। একই ভাবে রয়েছে আলাদা স্বাস্থ্য গুণা গুণ । সাধারণত প্রথমে সকল মরিচই সবুজ থাকে। মরিচ শুকিয়ে গেলে এটি লাল বর্ণ ধারণ করে। তখন এটা থেকে তীব্র গন্ধ বের হয়। মরিচ শুকিয়ে লাল হয় ঠিক সাথে সাথে কিছু পুষ্টি উপাদানও হারিয়ে ফেলে । এখন প্রশ্ন হল শুকনো মরিচ না কাঁচামরিচ কোনটা খাবার জন্য ভাল?
আসুন জেনে নিন কাঁচামরিচ বনাম শুকনো মরিচ সম্পের্ক...
১. কাঁচামরিচকে শুকিয়েই শুকনো মরিচ তৈরি করা হয়।
২. তবে শুকনো মরিচকে গুঁড়ো করে খাওয়ার তল বেশি।
৩. কাঁচামরিচে ক্যালোরি নেই তবে এর মধ্যে জলীয় উপাদান বেশি।
৪. গ্যাস অম্বলের সমস্যাকে শুকনো মরিচ বাড়িয়ে দিতে পারে তবে অনেক কিছু কোমাতেও পারে ।
শুকনো মরিচের উপকারিতা:
১. শুকনো মরিচ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
২.শুকনো মরিচ ভিটামিন সি-এর উৎস হিসাবে কাজ করে।
৩. শুকনো মরিচ হার্টের রোগের সম্ভাবনাকে দূরে রাখে।
৪. শুকনো মরিচ চর্বি গলাতেও সাহায্য করে।
কাঁচামরিচের উপকারিতা:
*কাঁচামরিচ হজমের সহায়ক: কাঁচামরিচ থাকে প্রচুর তন্তু যা হজমে সাহায্য করে।
* কাঁচামরিচ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ: কাঁচামরিচ ডায়াবেটিসের অন্যতম ভালো টোটকা কাঁচামরিচ।
* কাঁচামরিচওজন কমায়: কাঁচামরিচ হজমশক্তি ভালো করে এবং কাঁচামরিচে জলীয় উপাদান বেশি থাকায় ওজন কমাতে সাহায্য করে।
* কাঁচামরিচ হার্ট সুস্থ রাখে: কাঁচামরিচে থাকে বেটা ক্যারোটিন যা হার্ট সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
*কাঁচামরিচ ক্যানসার প্রতিরোধ: কাঁচামরিচের মধ্যে থাকা স্বাভাবিক অ্যা্টি অক্সিডেন্টের মধ্যে কানসার প্রতিরোধী ক্ষমতা বেশি রয়েছে ।