জন্মভূমি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
অতিরিক্ত, সৃজনশীল
প্রশ্ন- ৩ স্বদেশের প্রকৃতি
সবুজের
ঢেউ খেলানো বাংলার এই প্রকৃতি। যেদিকেই তাকাই, শুধু সবুজের মেলা।
বৈচিত্র্যময় এ সবুজ প্রকৃতি সৌন্দর্যপিপাসুর চোখে নেশা ধরিয়ে দেয়। মধুমাখা
গ্রামগুলো সবুজে ঢাকা। বড় বড় সবুজ গাছেরা বুক উজাড় করে ছায়া দেয় গ্রামের
মানুষগুলোকে। গ্রামের পাশ দিয়ে এঁকেবেঁকে যে নদীটি দিগন্তে হারিয়ে গেছে,
তার কোল ঘেঁষেও রয়েছে আদরমাখা সবুজ গুল্ম। খালবিলের বুকজুড়ে সবুজ পদ্মপাতা।
এক কথায়, বাংলার প্রকৃতি মানেই বৈচিত্র্যময় সবুজের সমারোহ।
ক. জন্মভূমির ছায়ায় এসে কার অঙ্গ জুড়ায়? ১
খ. ‘জানি নে তোর ধন রতন/আছে কি না রানির মতন।’ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘জন্মভূমি’ কবিতার ভাবগত সাদৃশ্য তুলে ধর। ৩
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘জন্মভূমি’ কবিতার সমগ্র ভাব ধারণ করে না।” মতের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন কর। ৪
খ. ‘জানি নে তোর ধন রতন/আছে কি না রানির মতন।’ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘জন্মভূমি’ কবিতার ভাবগত সাদৃশ্য তুলে ধর। ৩
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘জন্মভূমি’ কবিতার সমগ্র ভাব ধারণ করে না।” মতের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন কর। ৪
উত্তর
ক জন্মভূমির ছায়ায় এসে কবির অঙ্গ জুড়ায়।
খ
‘জানি নে তোর ধনরতন/আছে কি না রানির মতন।’ পঙ্ক্তি দুটি দ্বারা কবি
মাতৃভূমির সম্পদের প্রতি তার অবহেলা এবং প্রকৃতি ও জন্মভূমির প্রতি তার
অপরিসীম ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন।
মাতৃভূমিতে অনেক ধনসম্পদ লুকানো
আছে কি না, এটা নিয়ে কবির মনে আগ্রহ নেই। মাতৃভূমিতে সম্পদ থাক বা না থাক,
এর প্রতি কবির কোনো প্রশ্ন নেই। মাতৃভূমিই কবির কাছে সবচেয়ে বড় সম্পদ।
আলোচ্য পঙ্ক্তি দুটি দ্বারা মাতৃভূমির প্রতি কবির প্রবল বিশ্বস্ততা আর
ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছে।
গ উদ্দীপকে বাংলার সবুজ প্রকৃতির মনোরম বর্ণনা দেয়া হয়েছে, যা ‘জন্মভূমি’ কবিতার সঙ্গে সাদৃশ্য প্রকাশ করে।
‘জন্মভূমি’
কবিতায় কবি স্বদেশের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছেন। মাতৃভূমির প্রাকৃতিক
সৌন্দর্যই কবির কাছে মাতৃভূমিকে মহিমান্বিত করেছে। কবির মতে, সারা
পৃথিবীতেই ফুল ফোটে। কিন্তু কবির দেশে যেমন আকুল করা গন্ধের বুনোফুল ফোটে,
তেমন ফুল পৃথিবীর আর কোথাও ফোটে কি না-এ ব্যাপারে তিনি সংশয় প্রকাশ করেছেন।
এদেশের ছায়ায় কবির অঙ্গ শীতল হয়ে যায়।
সবুজের ঢেউ খেলানো প্রকৃতির
অনাবিল সৌন্দর্যের প্রকাশ ঘটেছে উদ্দীপকে। বড় বড় গাছের ছায়া গ্রামগুলোকে
পরম মমতায় ঢেকে রেখেছে। নদীর দু’কূল ভরে রয়েছে সবুজের সৌন্দর্য। নদীর বুকেও
সবুজ দেখা যায়। বাংলার সবুজময় এই প্রকৃতি সৌন্দর্যপিপাসুদের মনে নেশা
ধরিয়ে দেয়। এভাবে ‘জন্মভূমি’ কবিতার মতো উদ্দীপকেও দেশের প্রাকৃতিক
সৌন্দর্যের প্রকাশ ঘটেছে। তাই বলা যায় উদ্দীপকের সঙ্গে ‘জন্মভূমি’ কবিতার
ভাবগত সাদৃশ্য রয়েছে।
ঘ “উদ্দীপকটি ‘জন্মভূমি’ কবিতার সমগ্র ভাব ধারণ করে না।” এ উক্তিটি যথার্থ।
বাংলার
সবুজময় প্রকৃতির নৈসর্গিক সৌন্দর্যের কথা উদ্দীপকে প্রকাশ পেয়েছে। বাংলার
প্রকৃতি সবুজ দিয়ে ঢাকা। যেদিকেই দৃষ্টি যায়, সেদিকেই শুধু সবুজের সমারোহ।
ছোট ছোট গ্রামগুলো যেন জমাটবাঁধা সবুজের প্রতিকৃতি। এঁকেবেঁকে বয়ে চলা নদীর
দু’কূলে রয়েছে সবুজের ছড়াছড়ি। মূলত স্বদেশের প্রকৃতির এই অনাবিল সৌন্দর্য
উদ্দীপকেও চিত্রিত হয়েছে।
অপরদিকে, ‘জন্মভূমি’ কবিতায় স্বদেশের এ
সৌন্দর্যের দিক ছাড়াও আরো নানা বিষয় বর্ণিত হয়েছে। ‘জন্মভূমি’ কবিতায় কবি
অত্যন্ত আবেগী ভাষায় স্বদেশের প্রতি বিশ্বস্ততা ও ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন।
কবি স্বদেশকে ভালোবেসে নিজের জন্মকে সার্থক মনে করেন। স্বদেশের বুকে রানির
মতো কোনো সম্পদ লুকিয়ে আছে কি না, সে প্রশ্ন কবির মনে জাগে না। স্বদেশই
কবির কাছে সবচেয়ে বড় সম্পদ। স্বদেশের ছায়ায় কবির দেহ স্নিগ্ধতায় শীতল হয়ে
যায়। প্রকৃতির সৌন্দর্য কবির মনে প্রশান্তি জাগায়। এদেশেই কবি শেষ নিঃশ্বাস
ত্যাগ করবেন, এটা কবির কাছে বিরাট প্রশান্তির ব্যাপার। অর্থাৎ ‘জন্মভূমি’
কবিতায় আলোচিত এসব বিষয় উদ্দীপকে অনুপস্থিত।
তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি ‘জন্মভূমি’ কবিতার সমগ্র ভাব ধারণ করে না।
প্রশ্ন- ৪ গভীর দেশপ্রেম
‘এই বাংলার আকাশ বাতাস
এই বাংলার ভাষা
এই বাংলার নদী, গিরি, বনে
বাঁচিয়া মরিতে আশা।’
ক. কবির মন আকুল হয় কীসে? ১
খ. ‘শুধু জানি আমার অঙ্গ জুড়ায় তোমার ছায়ায় এসে’ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে যে আশার কথা বলা হয়েছে তার সঙ্গে ‘জন্মভূমি’ কবিতার কোন দিকটির মিল পাওয়া যায়? ৩
ঘ. উদ্দীপকে মাতৃভূমির প্রতি যে ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছে তা ‘জন্মভূমি’ কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
খ. ‘শুধু জানি আমার অঙ্গ জুড়ায় তোমার ছায়ায় এসে’ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে যে আশার কথা বলা হয়েছে তার সঙ্গে ‘জন্মভূমি’ কবিতার কোন দিকটির মিল পাওয়া যায়? ৩
ঘ. উদ্দীপকে মাতৃভূমির প্রতি যে ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছে তা ‘জন্মভূমি’ কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
উত্তর
ক ফুলের গন্ধে কবির মন আকুল হয়।
খ জন্মভূমির শীতল ছায়ায় কবির অঙ্গ জুড়িয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে আলোচ্য উক্তিটি করা হয়েছে।
এদেশের
অপরূপ রূপে কবি মুগ্ধ ও অভিভূত। এমন একটি সুন্দর দেশে জন্মগ্রহণ করে কবি
নিজেকে সার্থক মনে করেন। বাংলার আকাশ, বাতাস, মাঠ, পাহাড়, পর্বত, ফুলের
গন্ধ, চাঁদের আলো সবই কবিকে আকৃষ্ট করে। কবির দৃষ্টিতে জন্মভূমি মাতৃসম,
তাই মা এবং দেশ উভয়ের প্রতি তিনি একই ভালোবাসা পোষণ করেন। জন্মভূমিতে কবির
অঙ্গ জুড়ায় কারণ দেশ তথা দেশের সব কিছুই কবির কাছে আদরণীয়, জন্মভূমির শীতল
ছায়ায় কবির অঙ্গ জুড়িয়ে যায়।
গ উদ্দীপকে কবির মাতৃভূমিতে
মৃত্যুবরণ করার আশার সঙ্গে ‘জন্মভূমি’ কবিতার কবির জন্মভূমিতে মৃত্যুবরণ
করার আশার দিকটির মিল পাওয়া যায়।
‘জন্মভূমি’ কবিতায় কবি তার মাতৃরূপ
জন্মভূমির কোলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, যা উদ্দীপকের
কবিরও আশা। তারা উভয়েই শেষ বারের মতো দেশের অপরূপ রূপ দেখে তবেই মৃত্যুকে
কামনা করেন। এ বৈশিষ্ট্যটি উভয়ের মধ্যে সাদৃশ্য বলে বিবেচিত।
‘জন্মভূমি’
কবিতায় বারংবার এদেশের মমতাময়ী স্পর্শে কবি পরম আনন্দ অনুভব করেন। কবির
জীবন সার্থক এদেশে জন্মেছেন বলে। কবির শেষ ইচ্ছা তিনি যেন এ দেশের মাটিতে
মাথা রেখে, এদেশের প্রকৃতির উজ্জ্বল আলোতে নয়ন রেখে শেষবারের মতো নয়ন মুদতে
পারেন। উদ্দীপকের কবিও এদেশের নদী-গিরি-বনে বেঁচে থেকে এদেশেই মরার ইচ্ছা
ব্যক্ত করেছেন। তিনি বাংলা মায়ের আকাশ, বাতাস, ভাষা সকল কিছু মিলে বেঁচে
থাকতে চান। অর্থাৎ কবির জন্ম এদেশে এবং তিনি এদেশের মাটিতেই মরতে চান।
‘জন্মভূমি’ কবিতায়ও কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এদেশের বুকে মৃত্যুবরণ করার আশা
ব্যক্ত করেছেন। এদিক থেকে উদ্দীপকের সঙ্গে ‘জন্মভূমি’ কবিতার মিল খুঁজে
পাওয়া যায়।
ঘ উদ্দীপকে মাতৃভূমির প্রতি যে ভালোবাসা ও প্রাণের টান প্রকাশ পেয়েছে তা ‘জন্মভূমি’ কবিতায়ও প্রতিফলিত হয়েছে।
উদ্দীপকের
কবি বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ ও বিমোহিত। প্রাকৃতিক
সৌন্দর্যের দিক থেকে কবি তার প্রিয় দেশকে সব দেশের সেরা বলে মনে করেন।
বাংলাদেশের আকাশ, বাতাস, ভাষা, সবকিছুই কবির মনকে আকৃষ্ট করেছে। তাই কবির
ইচ্ছা, তিনি যেন এদেশের প্রকৃতিতে বেঁচে থেকে এদেশের মাটিতে চিরনিদ্রায়
শায়িত হতে পারেন।
‘জন্মভূমি’ কবিতায়ও কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
মাতৃভূমির প্রতি উদ্দীপকের অনুরূপ ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন। তিনি এদেশকে
মায়ের মতো ভালোবেসেছেন। প্রকৃতির রূপ ঐশ্বর্যে ভরপুর এদেশে জন্মগ্রহণ করে
কবি নিজেকে সার্থক বলে মনে করেন। মাতৃভূমির সব কিছুই কবির প্রিয়। বনের ফুল,
সূর্যের আলো, চাঁদের হাসি সবকিছুর মাঝেই আমরা কবির মুগ্ধ দৃষ্টির
উপস্থিতি দেখতে পাই। এদেশের প্রকৃতির উজ্জ্বল আলোতে নয়ন রেখে তিনি
শেষবারের মতো চোখ মুদতে চান অর্থাৎ মৃত্যুবরণ করতে চান। এখানে কবির
মাতৃভূমির প্রতি গভীর মমত্ববোধ ও ভালোবাসার আবেগ প্রকাশ পেয়েছে। উদ্দীপকের
কবির মধ্যেও তা প্রকাশ পেয়েছে।
পরিশেষে বলা যায়, উদ্দীপকে মাতৃভূমির
প্রতি যে ভালোবাসা ও টান প্রকাশ পেয়েছে ‘জন্মভূমি’ কবিতায়ও একই ভাবের
সামগ্রিক প্রতিফলন দেখা যায়।
প্রশ্ন- ৫ বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
ভোরে
সূর্যের সোনালি আলোয় জেগে ওঠে দেশ। পাখি ডাকে, দোয়েল শিস দেয়। কৃষাণি দুয়ার
খোলে, কৃষক মাঠে যায়, মাঝি নোঙর তোলে। বাতাসে দোলে ফসলের মাঠ। যেদিকে
তাকাই সেদিকে দেখি সবুজের সমারোহ, চিরসবুজের এই দেশের নাম বাংলাদেশ। এ দেশ
আমার প্রিয় জš§ভূমি।
[বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,
চট্টগ্রাম; বরগুনা কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয়; ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড
কলেজ, ঢাকা; রাজশাহী বোর্ড একাডেমি]
ক. ‘শিশু ভোলানাথ’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কী ধরনের রচনা? ১
খ. ‘ওই আলোতে নয়ন রেখে মুদব নয়ন শেষে’ বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন? ২
গ. উদ্দীপকটি ‘জš§ভূমি’ কবিতার সাথে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘উদ্দীপক এবং ‘জš§ভূমি’ কবিতার মূলভাব পুরোপুরি এক নয়।’ মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার কর। ৪
খ. ‘ওই আলোতে নয়ন রেখে মুদব নয়ন শেষে’ বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন? ২
গ. উদ্দীপকটি ‘জš§ভূমি’ কবিতার সাথে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘উদ্দীপক এবং ‘জš§ভূমি’ কবিতার মূলভাব পুরোপুরি এক নয়।’ মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার কর। ৪
উত্তর
ক ‘শিশু ভোলানাথ’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিশুতোষ রচনা।
খ
‘ওই আলোতে নয়ন রেখে মুদব নয়ন শেষে’ বলতে কবির মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত
পর্যন্ত স্বদেশের আলো-বাতাসে নিজের শরীর জড়িয়ে রাখার ইচ্ছাকে বোঝানো হয়েছে।
জš§ভূমির
বিচিত্র সৌন্দর্যের অফুরন্ত উৎস হচ্ছে বাগানের ফুল, চাঁদের জ্যোৎস্না,
সূর্যের আলো। এসব কবির মনকে আকুল করে। এদেশের মাটিতে কবির জš§। এর
সূর্যালোকে কবির চোখ জুড়িয়েছে। তাই তিনি এই আলোতেই, এই দেশের মাটিতেই
চিরনিদ্রায় শায়িত হতে চান। কবির মৃত্যুপূর্ব ইচ্ছা ব্যক্ত হয়েছে আলোচ্য
উক্তিটিতে।
গ উদ্দীপকটি ‘জš§ভূমি’ কবিতায় বর্ণিত বাংলার রূপবৈচিত্র্যের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
একটি
দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ওই দেশের মানুষের মনের আনন্দকে বাড়িয়ে দেয়।
তাঁরা জš§ভূমির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়, দেশকে আত্মার সাথে বেঁধে ফেলে। দেশের
ফুল-পাখি, নদী-পাহাড়, সবুজ ফসলের মাঠ তাদের একান্ত নিজের হয়ে ওঠে। প্রিয়
স্বদেশ ছেড়ে তারা কোথাও যেতে চায় না। উদ্দীপকেও বাংলাদেশের প্রাকৃতিক
সৌন্দর্যের সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিদিন সূর্য ওঠার সাথে সাথে
জনজীবনে যে সাড়া জাগে সে সম্পর্কে ইঙ্গিত করা হয়েছে। বাংলার কৃষকের
দৈনন্দিন কাজ, মাঝির নোঙর ফেলা, মুক্ত মাঠে বাতাসের দোলা সবই চিরসস্মরণীয়।
উদ্দীপকের
এই বর্ণনার সাথে ‘জš§ভূমি’ কবিতায় বর্ণিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনাটি
সাদৃশ্যপূর্ণ। কবিতাটিতে জš§ভূমির বিচিত্র সৌন্দর্যের অফুরন্ত উৎস হচ্ছে
বাগানের ফুল, চাঁদের স্নিগ্ধ আলো, সূর্যের উত্তাপ প্রভৃতি। কবিতায় এসবের
বর্ণনা দেওয়ার পাশাপাশি আমৃত্যু দেশেই কাটাবার প্রত্যাশা ব্যক্ত হয়েছে।
সুতরাং উক্তিটি সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ “উদ্দীপক এবং ‘জš§ভূমি’ কবিতার মূলভাব পুরোপুরি এক নয়।” মন্তব্যটি যথার্থ।
স্বদেশপ্রেম
মানবচরিত্রের এক স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। স্বদেশের মানুষ স্বদেশের
রূপ-প্রকৃতি, পশুপাখি, প্রতিটি ধূলিকণা তার সন্তানের কাছে পরম প্রিয় বস্তু।
ফুলে ও ফসলে, কাঁদা মাটি-জলে এ দেশ তার সন্তানদের কাছে গর্বের অহংকারের।
যা ‘জন্মভূমি’ কবিতায় প্রকাশিত হলেও উদ্দীপকে অনুপস্থিত।
উদ্দীপকে
বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনা স্থান পেয়েছে। সেখানে গ্রামবাংলার
প্রাত্যহিক জীবনপ্রবাহের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। ভোরে সূর্যালোকিত হওয়ার
সাথে সাথে চারপাশে যে প্রাণের সাড়া পড়ে যায় তার নিখুঁত চিত্র উপস্থাপিত
হয়েছে। এই সৌন্দর্য বর্ণনাটি ‘জš§ভূমি’ কবিতার একটি অংশকে নির্দেশ করে। সে
অংশটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অংশ। কিন্তু ‘জš§ভূমি’ কবিতায় কবির যে শেষ
ইচ্ছাটি রয়েছে সে বিষয়ে উদ্দীপকে কোনো ইঙ্গিত নেই। এখানেই উদ্দীপকের
অপূর্ণতা।
উদ্দীপকে কেবল বাংলাদেশের রূপসৌন্দর্যের বর্ণনা স্থান
পেয়েছে। আর ‘জš§ভূমি’ কবিতায় জš§ভূমির বৈচিত্র্যময়তার সাথে কবির জীবনবোধ,
ভালোবাসা এবং তা থেকে জš§ভূমির প্রতি অকৃত্রিম দরদ ফুটে উঠেছে। কবি
জš§ভূমির মায়া কিছুতেই কাটিয়ে উঠতে পারেন না। তাই তিনি এই দেশেতেই মরতে
চেয়েছেন। উদ্দীপকে এ ধরনের কোনো প্রত্যাশা নেই। তাই বলা যায় যে, উদ্দীপকে
‘জš§ভূমি’ কবিতার আংশিক বিষয়ই উঠে এসেছে, পুরোপুরি নয়।
Photo source by Google
This is a excellent .............
ReplyDelete