পঞ্চম শ্রেণি, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, অধ্যায়:৮, নারী- পুরুষ সমতা, প্রশ্নোত্তর


অধ্যায়: ৮

    প্রশ্নোত্তর

    নারী- পুরুষ সমতা


সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:


০১।    নারী নির্যাতনের দুটি কারণ উল্লেখ কর।
উত্তর:    নারী নির্যাতেরন দুটি কারণ হলোÑ
(র)    যৌতুক
(রর)    ধর্মীয় কুসংস্কার।
০২।    নারী নির্যাতনের দুটি কুফল উল্লেখ কর।
উত্তর:    নারী নির্যাতনের দুটি কুফল হলোÑ
(র)    নারী নির্যাতনের ফলে নির্যাতিত নারীর শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি হয়।
(রর)    যেসব পরিবারে মায়েরা নির্যাতনের শিকার হয় সেসব পরিবারের শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হয়।
০৩।    বেগম রোকেয়া সম্পর্কে তিনটি বাক্য লেখ।
উত্তর:    বেগম রোকেয়া সম্পর্কে তিনটি বাক্য হলোÑ
(র)    ভারতীয় উপমহাদেশে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার অগ্রদূত।
(রর)    ১৯০৫ সালে ভাগলপুরে একটি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
(ররর)    নারী অধিকার প্রতিষ্টায় তিনি লেখনী ধারণ করেন।



অতিরিক্ত সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:

০১।    ভারতীয় উপমহাদেশে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার অগ্রদূত বলা হয় কাকে?
উত্তর:    ভারতীয় উপমহাদেশেনারী অধিকার প্রতিষ্ঠার অগ্রদূত বলা হয় বেগম রোকেয়াকে।
০২।    কাকে নারী জাগরণের অগ্রদূত বলা হয়?
উত্তর:    বেগম রোকেয়া নারী জাগরণের অগ্রদূত বলা হয়।
০৩।    বেগম রোকেয়া কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর:    বেগম রোকেয়া রংপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
০৪।    বেগম রোকেয়া কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর:    বেগম রোকেয়া ১৮৮০ সালের ৯ই ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন।
০৫।    বেগম রোকেয়া কোন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখেন?
উত্তর:    বেগম রোকেয়া নারী শিক্ষার বিসয়ে সমাজে অসামান্য অবদান রাখেন।
০৬।    কোন মহিয়সী নারী আজীবন নারী শিক্ষার অগ্রগতির জন্য চেষ্টা চালিয়ে গেছেন?
উত্তর:    মহিয়সী নারী বেগম রোকেয়া নারী শিক্ষার অগ্রগতির জন্য আজীবন চেষ্টা চালিয়ে গেছেন।
০৭।    বেগম রোকেয়ার প্রতিষ্ঠিত বালিকা বিদ্যালয়টি ভাগলপুর থেকে পরবর্তীতে কোথায় স্থানান্তর করা হয়?
উত্তর:    বেগম রোকেয়া প্রতিষ্ঠিত বালিকা বিদ্যালয়টি ভাগফল থেকে পরবর্তীতে কলকাতায় স্থানান্তর করা হয়।
০৮।    মহিয়সী নারী  বেগম রোকেয়া কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর:    মহিয়সী নারী বেগম রোকেয়া ১৯৩২ সালের ৯ই ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
০৯।    নারী দিবস কখন পালিত হয়?
উত্তর:    ৮ই মার্চ নারী দিবস পালিত হয়।
১০।    বেগম রোকেয়া স্মরণে প্রতিবছর কোন সময়ে বাংলাদেশে রোকেয়া দিবস পালিত হয়?
উত্তর:    বেগম রোকেয়া স্মরণে প্রতিবছর ৯ই ডিসেম্বর বাংলাদেশে রোকেয়া দিবস পালিত হয়।
১১।    কার অক্লান্ত পরিশ্রমে আমাদের দেশের মেয়েরা ধীরে ধীরে শিক্ষার আলো পেতে থাকে?
উত্তর:    বেগম রোকেয়ার অক্লান্ত পরিশ্রমে আমাদের দেশের মেয়েরা ধীরে ধীরে শিক্ষার আলো পেতে থাকে।
১২।    বিশ্ব জুড়ে ৮ই মার্চকে কোন দিবস হিসেবে পালন করা হয়?
উত্তর:    বিশ্বজুড়ে ৮ই মার্চকে ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।
১৩।    ১৮৫৭ সালে নিউইয়র্কের নারী শ্রমিকেরা কিসের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করেন?
উত্তর:    ১৮৫৭ সালে নিউইয়র্কের নারী শ্রমিকেরা ন্যায্য মজুরি ও দৈনিক আট ঘণ্টা ¤্রমের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করেন।
১৪।    ১৯০৮ সালে নিউইয়র্কে শ্রমিক ইউনিয়নের নারীরা কিসের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন?
উত্তর:    ১৯০৮ সালে নিউইয়র্কে শ্রমিক ইউনিয়নের নারীরা কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত শ্রম ও শিশুশ্রম বন্ধের দাবেিত প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
১৫।    বেগম রোকেয়া কোনসালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর:    বেগম রোকেয়া ১৮০০ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
১৬।    দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় কত সালে?
উত্তর:    দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯১০ সালে।
১৭।    সর্বপ্রথম নারী দিবস ঘোষনার দাবি জানান কে?
উত্তর:    জার্মান সমাজতাত্ত্বিক ক্লারা জেটকিন সর্বপ্রথম নারী দিবস ঘোষণার দাবি জানান।
১৮।    রাশিয়া কত সাল থেকে নারী দিবস পারন করে আসছে?
উত্তর:    ১৯১৩ সাল থেকে রাশিয়া নারী দিবস পালন করে আসছে।
১৯।    ৮ই মার্চকে ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ হিসেবে পালনের ঘোষণা দেওয়া হয় কত সালে?
উত্তর:    ৮ই মার্চকে ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ হিসেবে পালনের ঘোষণা দেওয়া হয় ১৯৭৭ সালে।
২০।    বাংলাদেশে প্রতি ঘণ্টায় কতজন নারী নির্যাতনের শিকার হন?
উত্তর:    বাংলাদেশে প্রতি ঘণ্টায় অন্তত একজন নারী নির্যাতনের শিকার হন।
২১।    কখন একটি দেশের উন্নয়ন বাধাপ্রাপ্ত হয়?
উত্তর:    নারী ও পুরুষের সমান অংশগ্রহণনা থাকলে একটি দেশের উন্নয়ন বাধাপ্রাপ্ত হয়।
২২।    আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ২০১৩ এর প্রতিপাদ্য স্লোগান কী ছিল?
উত্তর:    আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ২০১৩ এর প্রতিপাদ্য স্লোগান ছিলÑ “নারী ও কন্যা শিশুর প্রতি সকল প্রকার নির্যাতন প্রতিরোধ ও নির্মূল করতে হবে।”
২৩।    বাংলাদেশে নারী নির্যাতনের অন্যতম কারণ কোনটি?
উত্তর:    বাংলাদেশে নারী নির্যাতনের অন্যতম কারণ এদেশে নারীদের নি¤œ সামাজিক মর্যাদা।
২৪।    যৌতুকের জন্যনারী নির্যাতনের ঘটনায় কোন বিষয়টি অনুধাবন করা যায়?
উত্তর:    যৌতুকের জন্য নারী নির্যাতনের ঘটনায় একটি অনুধাবন করা যায় যে সমাজে নারীদের বোঝা হিসেবে গণ্য করা হয়।
২৫।    নারী নির্যাতেরন কারণে মেয়েরা কোন দিক দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়?
উত্তর:    নারী নির্যাতনের ফলে মেয়েরা শারীরিক, মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তাদের শিক্ষাগ্রহণ, বাইরের কাজের দক্ষতা বা সুযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
২৬।    নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সরকারের কোন মন্ত্রণালয় কাজ করছে?
উত্তর:    নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

২৭।    মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নিপীড়নের শিকার নারী ও শিশুদের জন্য কী করছে?
উত্তর:    মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নিপীড়নের শিকার নারী ও শিশুদের চিকিৎসাসেবা, আইন সহায়তা এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শসেবা প্রদান করছে।
২৮।    নারী নির্যাতন দমনের জন্য কোন নীতিটি প্রবর্তন করা হয়েছে?
উত্তর:    নারী নির্যাতন দমনের জন্য জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি প্রবর্তন করা হয় ২০১৩ সালে।
২৯।    ১৯০৮ সালের নিউইয়র্ক প্রতিবাদ সমাবেশ কত দিন ধরে চলে?
উত্তর:    ১৯০৮ সালে নিউইয়র্কে গার্মেন্টস শ্রমিক ইউনিয়নের নারীরা যে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন তা ১৪ দিন ধরে চলে।


বর্ণনামূলক প্রশ্নোত্তর:

০১।    বাংলাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার ছাত্রছাত্রীর অনুপাত কত?
উত্তর:    শিক্ষা আমাদের মৌলিক অধিকার। কিন্তু বাস্তবতা হলো আমাদের দেশে অনেক শিমু বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে না। এক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাই, বাংলাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার ছাত্রছাত্রীর অনুপাত ৮৪ : ৮১ (ছাত্রী: ছাত্র)।
০২।    বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষা সফলভাবে সমাপ্ত করে এমন ছাত্রছাত্রীর অনুপাত কত?
উত্তর:    বাংলাদেশে পঞ্চম শ্রেণি উত্তীর্ণ হওয়াকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত বলা হয়। এক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাই, পঞ্চম শ্রেণি উত্তীর্ণ কিন্তু ফলাফর ভালো নয় এমন শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রী ২৮% এবং ছাত্র ২৫%। এছড়াা ভালো ফলাফর নিয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ সংখ্যা ছাত্রী ২৮% এবং ছাত্র ২৫%। সুতরঅং বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা সফলভাবে সমাপ্ত করে এমন ছাত্রছাত্রীর অনুপাতÑ
ছাত্রী : ছাত্র = (২৮ + ২৮ : ২৮ + ২৩) বা, ৫৬ : ৫৩।
০৩।    আন্তর্জাতিক নারী দিবসের তাৎপর্য কী?
উত্তর:    আন্তর্জাতিক নারী দিবসের তাৎপর্য হলোÑ
(র)    এ দিনটি নারীর অধিকার নিশ্চত করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে উৎসাহ যোগায়।
(রর)    দিনটিকে কেন্দ্র করে সমাজের নারী-পুরুষের সমতা অর্জনে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়।
(ররর)    বিশ্বব্যাপী নারীর প্রতি যে অন্যায়-অবিচার চলছে তা নিরসনে দৃঢ়প্রত্যয় ঘোষণা করা হয়।
(রা)    নারী অধিকারকে মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া।
(া)    সর্বোপরি আন্তর্জাতিক নারী দিবসে নারীদের সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার উৎসাহ দান করে।


অতিরিক্ত বর্ণনামূলক প্রশ্নোত্তর:


০১।    আশালতা বৈদ্য সমাজের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের সমাজ উন্নয়নে তার ন্যায় নারীদের পাঁচটি অবদান উল্লেখ কর।
উত্তর:    বাংলাদেশের সমাজ উন্নয়নে আশালতা বৈদ্যের ন্যায় নারীদের পাঁচটি অবদান নিচে উল্লেখ করা হলোÑ
(র)    বাংলাদেশে স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিনিধি থেকে শুরু করে জাতীয় সংসদের সদস্য এমনকি প্রধানমন্ত্রী পদে পর্যন্ত নারীর পদচারণা রয়েছে।
(রর)    প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে ও সম্প্রসারণে নারীদের থেকে ৬০ ভাগ শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
(ররর)    বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বৈদিশিক মুদ্রা অর্জনকারী শিল্প পোশাক শিল্পের সিংহভাগ শ্রমিক হলো নারী।
(রা)    বিভিন্ন ধরনের সামাজিক আন্দোলনের সাথে নারীরা সরাসরি সম্পৃক্ত থেকে এমনকি নেতৃত্ব দিয়ে আন্দোলনেক বেগবান করেছে।
(া)    বর্তমানে নারী শিক্ষার হার বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সমাজ থেকে নানা ধরনের কুসংস্কার দূরীভূত হয়ে উন্নয়নের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
০২।    বেগম রোকেয়া কে ছিলেন নারীদের লেখাপড়া ও উন্নয়নের জন্য বেগম রোকেয়া কর্তৃক সম্পাদিত চারটি কাজের নাম লেখ।
উত্তর:    বেগম রোকেয়া একজন মহীয়সী নারী ও নরী জাগরণের অগ্রদূত ছিলেন। বেগম রোকেয়া কর্তৃক সম্পাদিত চারটি কাজের নামÑ
(র)    বহু প্রবন্ধ ও পুস্তক রচনা করেন।
(রর)    নারী শিক্ষার প্রসার ঘটান।
(ররর)    নারী-পুরুষ সমতা আনয়ন করেন।
(রা)    সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।
০৩।    তাকে নারী জাগরণের অগ্রদূত বলা হয়ে থাকে। তিনি কে? তার জীবনে কীভাবে শিক্ষাগ্রহণের ব্যবস্থা হয়ে ওঠে, চার বাক্যে লেখ।
উত্তর:    তিনি বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন। তাকে নারী জাগরণের অগ্রদূত বলা হয়। তাঁর জীবনে যেভাবে শিক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা হয়ে ওঠে, তা চার বাক্যে নিচে উল্লেখ করা হলোÑ
(র)    শিমুকাল থেকে ভাইদের লেখাপড়া দেখে বিদ্যা শিক্ষার প্রতি বেগম রোকেয়ার আগ্রহ জন্মে।
(রর)    কিন্তু সেসময় বাঙালি মুসলমান মেয়েদের শিক্ষার কোনো সুযোগ ছিল না।
(ররর)    তাই রোকেয়ার শিক্ষার প্রতি অনুরাগ দেখে তাঁর বড় ভাই তাঁকে বাড়িতে লেখাপড়ার শেখাতে শুরু করে।
(রা)    আর এভাবে বেগম রোকেয়ার জীবনে শিক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা হয়ে ওঠে।
০৪।    যৌতুকের কারণে নছিমনকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। এরূপ নারী নির্যাতনের পাঁচটি নেতিবাচক প্রভাব লেখ।
উত্তর:    নছিমনের ন্যায় নারীরা প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। নারী নির্যাতনের নানা ধরনের নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। নিচে এ ধরনের পাঁচটি প্রভাব তুলে দরা হলোÑ
(র)    পারিবারিকভাবে নারী নির্যাতন হলে নির্যাতিত নারীর মানসিক ক্ষতি হয়।
(রর)    যেসব পরিবারের মায়েরা নির্যাতনের শিকার হয় সেসব পরিবারের শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধা পায়।
(ররর)    নির্যাতিত নারী সময়মতো কাজে যেতে পারে না। ফলে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়।
(রা)    নারী নির্যাতনের ফলে নির্যাতিত নারীর অনেক সময় অঙ্গহানি হয়।
(া)    নির্যাতিত নারী নানা দরনের রোগাক্রান্ত হয়।
০৫।    বেগম রোকেয়াকে নারী জাগণের অগ্রদূত বলা হয় কেন? পাঁচ বাক্যে লেখ।
উত্তর:    বেগম রোকেয়ার সময় বাঙালি মুসলমান মেয়েদের শিক্ষার কোনো সুযোগ ছিল না। বিয়ের পর স্বামীর সহযোগিতায় তাঁর শিক্ষার প্রসার ঘটে। ধীরে ধীরে তিনি বহু প্রবন্ধ ও পুস্তক রচনা করেন। সেখানে তিনি নারী-পুরুষ সমতা ও নারী শিক্ষার বিষয়ে সমাজকে সচেতন করতে অসামান্য অবদান রাখেন। তাঁর অবদানের কারণে তাকে নারী জাগরণের অগ্রদূত বলা হয়।
০৬।    সারী শিক্ষায় বেগম রোকেয়ার পাঁচটি অবদান লেখ।
উত্তর:    নারী শিক্ষায় বেগম রোকেয়ার পাঁচটি অবদান নি¤œরূপÑ
(র)    তিনি নারী শিক্ষার বিসয়ে সমাজকে সচেতন করতে অসামান্য অবদান রাখেন।
(রর)    নারী শিক্ষার প্রসারে গার্লস স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।
(ররর)    বাড়ি বাড়ি ঘুরে নারীদের বিদ্যালয়ে ভর্তি করাতেন।
(রা)    নারীদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলা নালী-পরুষের সমতা আনয়নে অবদান রাখেন।
(া)    লেখনীর মাধ্যমে নারী শিক্ষার প্রসারে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আনয়নে অবদান রাখেন।
০৭।    নারী নির্যাতনের পাঁচটি কারণ উল্লেখ কর।
উত্তর:    নারী নির্যাতনের পাঁচটি কারণ নি¤œরূপÑ
(র)    পুরুষের তুলনায় নারী বা মেয়েদের নি¤œ সামাজিক মর্যাদা।
(রর)    শিক্ষাক্ষেত্রে নারীদের অনগ্রসরতা।
(ররর)    যৌতুক প্রথা।
(রা)    পুরুষ শাসিত সমাজব্যবস্থা।
(া)    বিভিন্ন দরনের কুসংস্কার।


০৮।    নারী নির্যাতনের পাঁচটি নেতিবাচক প্রভাব লেখ।
উত্তর:    সমাজের নারী নির্যাতনের পাঁচটি ক্ষতিকর প্রভাব নিচে উল্লেখ করা হলোÑ
(র)    পারিবারিকভাবে নারী নির্যাতন হলে নির্যাতিত নারীর শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি হয়।
(রর)    যেসব পরিবারে মায়েরা নির্য়াতনের শিকর হয় সেসব পরিবারে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে বাধাগ্রস্ত হয়।
(ররর)    নির্যাতিত নারী সময়মত কাজে যেতে পারে না।
(রা)    যৌতুকের মতো নির্যাতনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সমাজের ওপরই।
(া)    অনেক নারী অকালে মৃত্যুবরণ করে এবং সন্তানরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত হয়।
০৯।    নারী দিবস সম্পর্কে কী জান? পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর:    ১৮৫৭ সালের ৮ই মার্চ নিউইয়র্ক শহরের পোশাক কারখানার নারী শ্রমিকেরা ন্যায্য মজুরি ও আট ঘণ্টা শ্রমের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করেন। পরবর্তীতে ১৯০৮ সালের এদিনটিকে নিউইয়র্ক শহরে হাজার হাজার নারী শ্রমিক রাস্তায় নামে। তারা শিশুশ্রম বন্ধ ও নারীর ভেটাধিকারের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এরপর ১৯১০ সালে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সমাজতাত্ত্বিক সম্মেলনে জার্মান নারী নেত্রী ক্লারা জেটকিন ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব দেন। সে মোতাবেক ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘ ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
১০।    নারী ও শিশু পাচার বন্ধ হওয়া প্রয়োজন কেন? পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর:    নারী ও শিশু পাচার বন্ধ হওয়া প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কিত পাঁচটি বাক্যে দেওয়া হলোÑ
(র)    মানবাধিকার বাস্তবায়নের জন্য।
(রর)    নারী ও শিশুদের নিরাপত্তার জন্য।
(ররর)    সুন্দর জীবনযাপনের জন্য।
(রা)    ঝুঁকিপূর্ণ ও অমানবিক কাজ বন্ধ করার জন্য।
(া)    পরিবারের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করার জন্য।
Previous Post Next Post

نموذج الاتصال