অধ্যায়: ৭
প্রশ্নোত্তর
মানবাধিকার
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:
০১। অটিস্টিক শিশুর তিনটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তর: অটিস্টিক শিমুর তিনটি বৈশিষ্ট্য হলোÑ
(র) কোনো একটি বিশেষ জিনিসের প্রতি প্রবল আকর্ষন থাকে এবং সেটি সবসময় সাথে রাখে।
(রর) সকল কাজ বা বিষয় একই নিয়মে করতে চায়। দৈনিক কাজের রুটিন বদল হলে খুবই উত্তেজিত হয়।
(ররর) তারা হয়তো কোনো খেলনা নিয়ে না খেলে বরং শক্ত করে ধরে বসে থাকে। গন্ধ নেয় বা ঘণ্টার পর ঘণ্টা সেগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকে।
০২। শিশু অধিকার লঙ্ঘনের তিনটি উদাহরণ দাও।
উত্তর: শিশু অধিকার লঙ্ঘনের তিনটি উদাহরণ হলোÑ
(র) ১৮ বছরের নিচে কোনো শিশুকে শিশুশ্রমে নিয়োগ করা।
(রর) শিশুদের শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা।
(ররর) কোনো অনৈতিক কাজে নিয়োগের জন্য শিশুদের পাচার করা।
০৩। নারী অধিকার লঙ্ঘনের তিনটি উদাহরণ দাও।
উত্তর: নারী অধিকার লঙ্ঘনের তিনটি উদাহরণ হলোÑ
(র) শিক্ষা ক্ষেত্রে মেয়েদের ছেলেদের ন্যায় সমান সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা।
(রর) চাকরি ক্ষেত্রে মেয়েদের ছেলেদের ন্যায় সমান মজুরি না দেওয়া।
(ররর) যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও মেয়েদেরকে চাকরি থেকে বঞ্চিত করা।
অতিরিক্ত সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:
০১। মানবাধিকার কাকে বলে?
উত্তর: সকল সুযোগ-সবিধা পাওয়ার অধিকারগুলো হচ্ছে মানবাধিকার।
০২। কোন সংস্থা ‘মানবাধিকার সার্বজনীন ঘোষণাপত্র’ অনুমোদন করেছে?
উত্তর: জাতিসংঘ ‘মানবাধিকার সার্বজনীন ঘোষণাপত্র’ অনুমোদন করেছে।
০৩। মানবাধিকার সার্বজনীন ঘোষণাপত্রে কাদের অধিকারের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: মানবাধিকার সার্বজনীন ঘোষণাপত্রে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বয়স, নারী-পুরুষ, আর্থিক অবস্থাভেদে বিশ্বের সব দেশের, সব মানুষের অধিকারের কথা বলা হয়েছে।
০৪। মানুষ জন্মগতভাবে কিরূপ?
উত্তর: মানুষ জন্মগতভাবে স্বাধীন।
০৫। কাদের স্বাধীনভাবে চলাফেলা করার অধিকার রয়েছে?
উত্তর: দেশের প্রতিটি নাগরিকের স্বাধীনভাবে চলাফেরা করার অধিকার রয়েছে।
০৬। জাতিসংঘ কত সালে মানবাধিকার সার্বজনীন ঘোষণাপত্র অনুমোদন করেছে?
উত্তর: জাতিসংঘ ১৯৪৮ সালে মানবাধিকার সার্বজনীন ঘোষণাপত্র অনুমোদন করেছে।
০৭। শিক্ষা গ্রহণের অধিকার মানুষের কোন ধরনের অধিকার?
উত্তর: শিক্ষা গ্রহণের অধিকার মানুষের মৌলিক মানবিক অধিকার।
০৮। কাদের নিরাপত্তা লাভের অধিকার রয়েছে?
উত্তর: প্রতিটি ব্যক্তির নিরাপত্তা লাভের অধিকার রয়েছে।
০৯। নির্যাতন ও অত্যাচার থেকে নিজেকে রক্ষা করার অধিকার কোন ধরনের অধিকার?
উত্তর: নির্যাতন ও অত্যাচার থেকে নিজেকে রক্ষা করার অধিকার মৌলিক মানবিক অধিকার।
১০। কেউ যদি মানবাধিকারবিরোধী কোনো কাজ করে তাবে কী করা প্রয়োজন?
উত্তর: কেউ যদি মানবাধিকারবিরোধী কোনো কাজ করে তবে আমরা তাকে এ বিষয়ে সচেতন করব এবং প্রয়োজনে প্রতিবাদ করব।
১১। অটিজম কী?
উত্তর: যে মানসিক অবস্থার কারণে শিমুরা অন্যদের সাথে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে না তাকে অটিজম বলে।
১২। প্রতিটি শিশু একে অপরের থেকে কিরূপ হয়?
উত্তর: প্রতিটি শিশু একে অপরের থেকে আলাদা হয়।
১৩। কোন ধরনের শিশুরা একই কাজ একটানা করতে থাকে?
উত্তর: অটিস্টিক শিশুরা একই কাজ একটানা করতে থাকে।
১৪। অটিস্টিক শিশুদের একটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তর: অটিস্টিক শিশুদের একটি বৈশিষট্য হলো একাকী চুপচাপ থাকে।
১৫। কোন ধরনের শিশুরা আলো, শব্দ, গতি, স্পর্শ, ঘ্রাণ বা স্বাদের ক্ষেত্রে অতি সংবেদনশীল থাকে?
উত্তর: অটিস্টিক শিশুরা আলো, শব্দ, গতি, স্পর্শ, ঘ্রাণ বা স্বাদের ক্ষেত্রে সংবেদনশীল থাকে।
১৬। মানবাধিকার লঙ্ঘন কোন ধরনের কাজ?
উত্তর: মানবাধিকার লঙ্ঘন একটি ঘৃণ্য কাজ।
১৭। কোনো কোনো অটিস্টিক শিশু কোন কোন ক্ষেত্রে চমৎকার প্রতিভার অধিকারী হয়ে থাকে?
উত্তর: কোনো কোনো অটিস্টিক শিমু ছবি আঁকা, অঙ্ক করা, গান গাওয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে চমৎকার প্রতিভার অধিকারী হয়ে থাকে।
১৮। একটি অটিস্টিক শিমুর সাথে তুমি কেমন আচরণ করবে?
উত্তর: অটিস্টিক শিশুটির বৈশিষ্ট্য বুঝে তার অনুকূল আচরণ করব।
১৯। কত বছরের কম বয়সী শিশুরা কাজ করলে তা শিশুশ্রম হিসেবে গণ্য হয়?
উত্তর: ১৮ বছরের কম বয়সী শিশুরা কাজ করলে তা শিশুশ্রম হিসেবে গণ্য হয়।
২০। শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হলে কোন অধিকারের লঙ্ঘন ঘটে?
উত্তর: শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হলে মৌলিক মানবিক অধিকারের লঙ্ঘন ঘটে।
২১। কোন ধরনের শিশুদেরকে অটিস্টিক শিশু বলে?
উত্তর: অটিজম নামক বিকাশগত সমস্যায় আক্রান্ত শিশুদের অটিস্টিক শিশু বলে।
২২। শিশুদের বিদেশে পাচার করা কোন ধরনের কাজ?
উত্তর: শিশুদের বিদেশে পাচার করা মানবতাবিরোধী কাজ।
২৩। বাড়িতে কাজে সহায়তাকারীদের শারীরিক নির্যাতন করা কী ধরনের কাজ?
উত্তর: বাড়িতে কাজে সহয়তাকারীদের শারীরিক নির্যাতন করা মানবতাবিরোধী কাজ।
২৪। মেয়েরা ছেলেদের মতো শিক্ষার সমান সুযোগ না পাওয়ায় তাদের কোন অধিকার লঙ্ঘন হয়?
উত্তর: মেয়েরা ছেলেদের মতো শিক্ষার সমান সুযোগ না পাওয়ায় তাদের নারী শিক্ষা লঙ্ঘন হয়।
২৫। আমাদের সমাজে কোন কোন ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য করা হয়?
উত্তর: আমাদের সমাজে শিক্ষা, চাকুরি, খাদ্য, মজুরি ইত্যাদি ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য করা হয়।
২৬। সমাজে সবার সমান মর্যাদা পাওয়ার অধিকার কোন ধরনের অধিকার হিসেবে স্বীকৃত?
উত্তর: সমাজে সবার সমান মর্যাদা পাওয়ার অধিকার মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃত।
২৭। শিশু ও নারী পাচার কী ধরনের কাজ?
উত্তর: শিশু ও নারী পাচার মানবাধিকারবিরোধী কাজ।
২৮। পাচারকৃত নারী ও শিশুদের দিয়ে বিদেশে কী ধরনের কাজ করানো হয়?
উত্তর: পাচারকৃত নারী ও শিশুদের দিয়ে বিদেশে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ ও অমানবিক কাজ করানো হয়।
২৯। মেয়েদের সমান অধিকার নিশ্চিতকরণে কাদের কাজ করা উচিত?
উত্তর: মেয়েদের সমান অধিকার নিশ্চিতকরণে আমাদের সকলেরই কাজ করা উচিত।
৩০। বাড়িতে কাজে সহায়তাকারীরা কোন কোন ক্ষেত্রে বঞ্চিত হয়?
উত্তর: বাড়িতে কাজে সহায়তাকারী যথাযথ পারিশ্রমিক, শিক্ষা, খাবার ও স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়।
বর্ণনামূলক প্রশ্নোত্তর:
০১। কোন প্রতিষ্ঠান মানবাধিকারকে প্রথম স্বীকৃত প্রদান করে? কখন?
উত্তর: মানুষের ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার অধিকারই হলো মানবাধিকার। জাতিসংঘ মানবাধিকারকে প্রথম স্বীকৃত প্রদান করে। মানবাধিকারকে স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘ ১৯৪৮ সালের ১০ই ডিসেম্বর ‘মানবাধিকার সার্বজনীন ঘোষণাপত্র’ অনুমোদন করে। এ ঘোষণাপত্র অনুযায়ী জাতি, ঘম, বর্ণ, বয়স, নারী-পুরুষ আর্থিক অবস্থাভেদে বিশ্বের সম দেশের সব মানুষের এ অধিকারগুলো আছে।
আমরা সবার মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করব এবং এ বিষয়ে সকলকে সচেতন করব। কেউ কোনো মানবাধিকার বিরোধী কাজ করলে প্রয়োজনে প্রতিবাদ করব।
০২। শিশুশ্রমের কারণে শিশুরা কোন অধিকারগুলো থেকে বঞ্চিত হয়?
উত্তর: বাংলাদেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ১৮ বছরের নিচে কোনো শিশুকে কর্মে নিয়োজিত করা হলে তা শিশুশ্রম হিসেবে গণ্য হবে। শিশুশ্রমের কারণে শিশুরা যেসব অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে তা হলোÑ
(র) শিশুশ্রমের কারণে শিশুরা শিক্ষাগ্রহণের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।
(রর) সামান্য কারণে বা বিনা কারণে শিশুদের শারীরিক নির্যাতন করা হয়, এতে তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়।
(ররর) অনেক শিশুকে বিদেশে পাচার করে দেওয়া হয়। এটি মানবাধিকার বিরোধী কাজ।
০৩। মানব পাচার বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: কোনো ধরনের অনৈতিক কাজে ব্যবহার কিংবা যেকোনো অনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য বিশেষত নারী ও শিশুদেরকে বিদেশে পাচার করাকে মানব পাচার বলা হয়। মানব পাচার অতি গর্হিত ও মানবতাবিরোধী কাজ।
অতিরিক্ত বর্ণনামূলক প্রশ্নোত্তর:
০১। বস্তি এলাকার শিশুরা ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে না। এসব সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার অধিকারকে কী বলে? এরূপ অধিকারের চারটি গুরুত্ব উল্লেখ কর।
উত্তর: বস্তি এলাকার শিশু তথা মানুষের ভালোভাবে বেঁচে তাকার জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার অধিকারকে মানবাধিকার বলে। মানবাধিকারের ৪টি গুরুত্ব নিচে উল্লেখ করা হলোÑ
(র) মানবাধিকারগুলো আমাদের জীবনকে ভালোভাবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
(রর) লেখাপড়া শিখে যোগ্যতা ও মর্যাদার সাথে সমাজে বসবাসের সুযোগ করে দেয়।
(ররর) মানুষের ভালো গুণগুলোকে বিকশিত হতে সাহায্য কলে।
(রা) মানুষে মানুষে সম্প্রীতি তৈরি করে।
০২। আমরা কোথা থেকে মানবাধিকারগুলো পেয়ে থাকি?মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় নাগরিক হিসেবে তোমার দায়িত্বগুলো চার বাক্যে লেখ।
উত্তর: আমরা পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে মানবাধিকার পেয়ে থাকি। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আমার দায়িত্বÑ
(র) পৃথিবীর সব মানুষের কল্যাণ ও সমান উন্নয়নের জন্য আমাদের অবশ্যই সবার অধিকারকে শ্রদ্ধা করতে হবে।
(রর) বাড়িতে, বিদ্যালয়ে এবং প্রতিবেশীদের মধ্যে কেউ যদি মানবাধিকার বিরোধী কোনো কাজ করে থাকে তাকে এ বিষয়ে সচেতন কর।
(ররর) প্রয়োজন হলে প্রতিবাদ করব।
(রা) মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন কাজে অংশগ্রহণ করব।
০৩। আনু স্কুলে না গিয়ে ইটের ভাটায় কাজ করে। আনুর কাজকে কী বলা যায়? এটি কোন ধরনের কাজ? আনুদের ক্ষেত্রে কী ঘটে, তিন বাক্যে লেখ।
উত্তর: আনুর কাজটি শিশুশ্রম হিসেবে গণ্য হবে। শিশুশ্রম একটি উল্লেখযোগ্য একটি মানবাধিকারবিরোধী কাজ।
আনুদের মতো শিশু শ্রমিকরা সাধারণত লেখাপড়ার সুযোগ পায় না। অনেক ক্ষেত্রে মজুরি ঠিকমতো পায় না। এমনকি খাওয়া থাকার জায়, চিকিৎসা সুবিধা, পোশাক ইত্যাদি প্রতিটি ক্ষেত্রে এদের প্রতি বৈষম্য করা হয়।
০৪। তোমার বিদ্যালয়ে একটি অটিস্টিক শিশু রয়েছে। তাকে চেনার জন্য শিশুদের তিনটি বৈশিষ্ট্য লেখ। তার সাথে তুমি কীরূপ ব্যবহার করবে তার দুটি লেখ।
উত্তর: আমার বিদ্যালয়ে অটিস্টিক শিশুটিকে চেনার সম্ভাব্য উপায় হলোÑ
(র) শিশুটি একাকী চুপচাপ থাকতে পছন্দ করে, খুব সহজে অন্যের সাথে মিশতে চায় না।
(রর) সে সকল কাজ একই নিয়মে করতে চায়, দৈনিক কাজের রুটিন বদল হলে সে ভীষণ রেগে যায়।
(ররর) কোনো একটি বিশেষ খেলনা বা জিনিসের প্রতি তার প্রবল আকর্ষন থাকে এবং সে উহা কাউকেই দিতে চায়না।
অটিস্টিক শিশুটির প্রতি আমার ২টি ব্যবহার হবে নি¤œরূপÑ
(র) সব সময় তার প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করবে।
(রর) তাকে সবসময় প্রয়োজনীয় সহায়তা দেব।
০৫। মানবাধিকারের পরিচয় পাঁচ বাক্যে সংক্ষেপে লেখ।
উত্তর: মানুষ হিসেবে আমাদের সবার সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার অধিকার আছে। এজন্য আমাদের কিছু সুযোগ-সুবিধার প্রয়োজন হয়। যেমনÑ আমরা লেখাপড়া করি, স্বাধীনভাবে চলাফেরা করি, সবই নিজ নিজ ধর্ম পালন করি। সমাজের সদস্য হিসেবে এরকম আরও অনেক সুযোগ-সুবিধা আমাদের প্রয়োজন। মানুষের ভালোভাবে বেঁচে তাকার জন্য প্রয়োজনীয় এসব সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার অধিকারগুলোকে বলা হয় মানবাধিকার।
০৬। মানবাধিকার কেন প্রয়োজন? পঁচাটি বাক্যে সংক্ষেপে লেখ।
উত্তর: মানবাধিকারগুলো মানুষের জীবনকে ভালোভাবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে। লেখাপড়া শিখে যোগ্যতা ও মর্যাদার সাথে সমাজে বসবাসের সুযোগ করে দেয়। মানুষের ভালো গুণগুলোকে বিকশিত হতে সাহায্য করে। মানুষে মাুনষে সম্প্রীতি তৈরি করে এবং সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করে। কাজেই সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকা ও শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য মানবাধিকারের বিকল্প নেই।
০৭। মানুষ হিসেবে আমাদের অধিকারগুলো কী কী? পাঁচটি অধিকারের নাম লেখ।
উত্তর: মানুষ হিসেবে আমাদের পাঁচটি অধিকারের নাম হলোÑ
(র) প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাদ্য লাভের অধিকার।
(রর) প্রয়োজনীয় বস্ত্র লাভের অধিকার।
(ররর) অসুস্থ হলে চিকিৎসা লাভের অধিকার।
(রা) শিক্ষা গ্রহণের অধিকার।
(া) বাসস্থানের অধিকার।
০৮। নারী ও শিশু পাচার বন্ধ হওয়া প্রয়োজন কেন? পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর: আমাদের দেশ থেকে প্রায়ই নারী ও শিশুদের বিদেশে পাচার করা হয়। সেখানে তাদের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ ও অমানবিক কাজে ব্যবহার করা হয়। এসব কাজ করতে গিয়ে অনেকে আহত হয়, কেউবা মারা যায়। তাদের পরিবারের সদস্যরাও এতে অনেক কষ্ট পায়। তাই নারী ও শিশু পাচার বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।
০৯। মানবাধিকার রক্ষায় আমাদের করণীয় পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর: পৃথিবীর সব মানুষের কল্যাণ ও সমান উন্নয়নের জন্য আমাদের অবশ্যই সবার অধিকারকে শ্রদ্ধ করতে হবে। আমরা যদি প্রত্যেকেই এগুলো মেনে চলার অভ্যাস করি তাহলে আমাদের সমাজটা অনেক সুন্দর হবে। এজন্য আমরা সবার মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করব। বাড়িতে, বিদ্যালয়ে এবং প্রতিবেশীদের মধ্যে কেউ যদি মানবাধিকার বিরোধী কোনো কাজ করে তবে তাকে এ বিষয়ে সচেতন করব। প্রয়োজন হলে প্রতিবাদ করব।
১০। সমাজের সদস্য হিসেবে আমাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থাকা প্রয়োজন কেন?
উত্তর: মানুষ হিসেবে আমাদের সবার সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেঁচে তাকার অধিকার আছে। এজন্য আমাদের কিছু সুযোগ-সুবিধা প্রয়োজন হয়। যেমনÑ আমরা লেখাপড়া করি; স্বাধীনভাবে চলাচল করি; মত প্রকাশ করি। সবাই নিজ নিজ ধর্ম পালন করি। বিপদে পড়লে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত লোকজন আমাদের বিপদ থেকে মুক্ত হতে সাহায্য করে। তাই সমাজের সদস্য হিসেবে এরকম আরও অনেক সুযোগ-সুবিধা আমাদের প্রয়োজন।
১১। মানবাধিকার রক্ষায় আমাদের পঁচাটি করণীয় বর্ণনা কর।
উত্তর: মানবাধিকার রক্ষায় আমাদের করণীয় পাঁচটি দিক নিচে তুলে ধরা হলোÑ
(র) বাড়িতে, বিদ্যালয়ে এবং প্রতিবেশীদের মধ্যে কেউ যদি মানবাধিকার বিরোধী কোনো কাজ করে তবে তাকে এ বিষয়ে সচেতন করব।
(রর) মানবাধিকার রক্ষার লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক প্রণীত আইন মেনে চলা।
(ররর) মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন কাজে অংশগ্রহণ করা।
(রা) কারও প্রতি নির্যাতন ও অত্যাচার করা থেকে নিজে বিরত থাকা এবং অন্য কেউ কররে তার প্রতিবাদ করব।
(া) অন্যের মতামতের গুরুত্ব দেব।
১২। মানবাধিকার কাকে বলে? মানবাধিকারের চারটি প্রয়োজনীয়তা লেখ।
উত্তর: মানুষের ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার অধিকারগুলোকে মানবাধিকার বলা হয়।
মানবাধিকারের ৪টি গুরুত্ব ও প্রয়োজনীযতা নি¤œরূপÑ
(র) মানবাধিকার মানুষের জীবনেক ভালোভাবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
(রর) লেখাপড়া শিখে যোগ্যতা ও মর্যাদার সাথে বসবাসের সুযোগ করে দেয়।
(ররর) মানুষের ভালো গুণগুলোকে বিকশিত হতে সাহায্য করে।
(রা) মানুষে মানুষে সম্প্রীতি তৈরি করে।