পঞ্চম শ্রেণি, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, অধ্যায়:৬,জলবায়ু ও দুর্যোগ, প্রশ্নোত্তর


অধ্যায়: ৬  

  প্রশ্নোত্তর

    জলবায়ু ও দুর্যোগ

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:


০১।    দুর্যোগের দুটি প্রাকৃতিক কারণ উল্লেখ কর।
উত্তর:    দুর্যোগের দুটি প্রাকৃতিক কারণ হলোÑ
(র)    প্রাকৃতিক বা ভৌগোলিক অবস্থান এবং
(রর)    জলবায়ুগত অবস্থা।
০১।    দুর্যোগের দুটি মানবসৃষ্ট কারণ উল্লেখ কর।
উত্তর:    দুর্যোগের দুটি মানবসৃষ্ট কারণ হলোÑ
(র)    অধিকহারে বৃক্ষ নিধন এবং
(রর)    শিল্প কলকারখানা ও যানবাহনের ধোঁয়া।
০১।    বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের তিনটি কারণ উল্লেখ কর।
উত্তর:    বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের তিনটি কারণ হলোÑ
(র)    ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে।
(রর)    অধিক জনসংখ্যার জন্য বাসস্থান নির্মাণ করতে গিয়ে ব্যাপকহারে বৃক্ষ নিধন করা হচ্ছে।
(ররর)    উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে নগরায়ণ দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে।


অতিরিক্ত সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর:

০১।    জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ কিসের ঝুঁকি রয়ে?ে
উত্তর:    জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও ভূমিকম্পের মতো নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি রয়েছে।
০২।    জলবায়ু পরিবর্তনের ফরে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় কী গটছে?
উত্তর:    জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় একদিকে বরফ গলে যাচ্ছে, অন্যদিকে জলাশয় শুকিয়ে যাচ্ছে।
০৩।    দুর্যোগ কাকে বলে?
উত্তর:    দুর্যোগ একটি মারত্মক পরিস্থিতি যা প্রাচী এবং পরিবেশের অনেক ক্ষতি করে।
০৪।    বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন হওয়ার কারণ কী?
উত্তর:    বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তন হওয়ার কারণ হলো শিল্প কলকারখানা ও যানবাহনের নির্গত ধোঁয়া, বনজঙ্গলের পরিমাণ কমে যাওয়া, নদী ধ্বংস হওয়া, জলাধার ভরাট ইত্যাদি।
০৫।    আবহাওয়া কাকে বলে?
উত্তর:    কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কোনো নির্দিষ্ট স্থানের আকাশ ও বায়ুম-লের সাময়িক অবস্থাকে আবহাওয়া বলে।
০৬।    জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কী সমস্যা হচ্ছে?
উত্তর:    জলবায়ু পরিবর্তনের ফরে বাংলাদেশ নানা দুর্যোগের সম্মুখীন হচ্ছে।
০৭।    বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের ফরে ২০ শতাংশ এলাকা কত সালের মধ্যে সমুদ্রে তলিয়ে যেতে পারে?
উত্তর:    বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ২০ শতাংশ এলাকা ২০৫০ সালের মধ্যে সমুদ্রে তলিয়ে যেতে পারে।
০৮।    জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশে কী হচ্ছে?
উত্তর:    জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশে নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংঘটিত হচ্ছে।
০৯।    নদীভাঙনের ফলে কী হয়?
উত্তর:    নদী ভাঙনের ফলে ঘরবাড়ি, কৃষিজমি এমনকি পুরো গ্রাম, সড়ক, রেলপথ নদীতে বিলীন হয়ে যায়।
১০।    বাংলাদেশের খরাপ্রবণ এলাকা কোনগুলো?
উত্তর:    বাংলাদেশের খরাপ্রবণ এলাকা হলো দিনাজপুর, রংপুর, রাজশাহী, বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলীয় অঞ্চল।
১১।    বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সাম্প্রতিককালের দুটি দুর্যোগের নাম লেখ।
উত্তর:    বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সাম্প্রতিককালের দুটি দুর্যোগের নাম হলোÑ সিডর ও আইলা।
১২।    নদীভাঙনের প্রাকৃতিক কারণ কী?
উত্তর:    নদীভাঙনের প্রাকৃতিক কারণ হলো বন্যা, খরা, জোয়ার ভাটা ইতাদি।
১৩।    নদীভাঙনের মানবসৃষ্ট কারণ লেখ।
উত্তর:    নদীভাঙনের মানবসৃষ্ট কারণ হলো বালি উত্তোলন, নদী তীরবর্তী গাছাপারা কেটে ফেলা, অপরিকল্পিত নদী খনন ইত্যাদি।
১৪।    বাংলাদেশের কোন সরকারি সংস্থা নদীর পাড় রক্ষায় জন্য দায়বদ্ধ?
উত্তর:    বাংলাদেশের পানি উন্নয়ন বোর্ড নামক সরকারি সংস্থা নদীর পাড় রক্ষার জন্য দায়বদ্ধ।
১৫।    জলবায়ু কাকে বলে?
উত্তর:    কোনো স্থানের আবহাওয়া পরিবর্তনের নির্ষ্টি ধরাকেই জলবায়ু বলে।
১৬।    দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের মতে বাংলাদেশে খরার কারণে আমন ধানের কী পরিমাণ ক্ষতি হতে পারে?
উত্তর:    বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের মতে, বর্ষা মৌসুমের প্রধান ফসল আমন ধানের শতকরা ১৭ ভাগের বেশি সাধারণত এক বছরের খরার কারণে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
১৭।    বাংলাদেশের কয়েকটি দুর্যোগের নাম লেখ।
উত্তর:    বাংলাদেশের কয়েকটি দুর্যোগ হলোÑ
(র)    নদীভাঙন
(রর)    খরা এবং
(ররর)    ভূমিকম্প প্রভৃতি।
১৮।    বন্যা প্রতিরোধে বিভিন্ন এলাকায় কী তৈরি করা হয়?
উত্তর:    বন্যা প্রতিরোধের বিভিন্ন এলাকায় বাঁধ নির্মাণ করা হয়।
১৯।    বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে খরার প্রবণতা বেশি?
উত্তর:    বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে খরার প্রবণতা বেশি।
২০।    খরার প্রাকৃতিক কারণ কী?
উত্তর:    খরার প্রাকৃতিক কারণ হলো দীর্ঘকাল ধরে শুষ্ক আবহাওয়া, অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত ও অল্পসংখ্যক নদী।
২১।    খরার মানবসৃষ্ট কারণ কী?
উত্তর:    খরার মানবসৃষ্ট কারণ হলো বৃক্ষ নিধন, অধিক হারে ভবন নির্মাণ, বায়ু দূষণের ফলে পরিবেশ শুষ্ক হয়ে যাওয়া।
২২।    খরা গবাদি পশুর উপর কিরূপ প্রভাব ফেলে?
উত্তর:    খরার ফলে গবাদি পশুর খাদ্য সংকট দেখা দেয়।
২৩।    কোন পরিস্থিতিতে সুনামি ও বন্যা হতে পারে?
উত্তর:    বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে এর দ্বিতীয় ঝুঁকি হিসেবে সুনামি ও বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
২৪।    ভূমিকম্পের সময় কীভাবে থাকতে হবে?
উত্তর:    ভূমিকম্পের সময় পুরোপুরি শান্ত থাকতে হবে। আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি করা যাবে না।
২৫।    ভূমিকম্পের সময় কোথায় আশ্রয় নিতে হবে?
উত্তর:    ভূমিকম্পের সময় কাঠের টেবিলের নিবে বা পাকা দালানে থাকলে বিমের পাশে আশ্রয় নিতে হবে।
২৬।    ভূমিকম্পের সময় কী থেকে দূরে থাকতে হবে?
উত্তর:    ভূমিকম্পের সময় বারান্দা, আলমারি, জানালা বা ঝোলানো ছবি থেকে দূরে থাকতে হবে।

২৭।    খরার ফলে কী ঘটে?
উত্তর:    খরার ফলে পুকুর, নদী, খাল, বিল ও জলাশয় শুকিয়ে যায়; যার ফলে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হয় এবং মানুষের অর্থনৈতিক জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
২৮।    বাংলাদেশের অধিক ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা কোনগুলো?
উত্তর:    বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলা কুড়িগ্রাম শেরপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগহ্জ ইত্যাদি অধিক ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা।
২৯।    বাংলাদেশের কোন অঞ্চল কম ভূমিকম্পপ্রবণ?
উত্তর:    ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা-৩ অর্থাৎ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল তুলনামূলক কয় ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল।
৩০।    মৃদু ভূমিকম্প থেকে কীভাবে রক্ষা পাওয়া সম্ভব?
উত্তর:    মৃদু ভূমিকম্প মোকাবিলায় ভনন নির্মাণের ক্ষেত্রে সরকারি নীতি ও সতর্কতা অবলম্বন করলে বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।



বর্ণনামূলক প্রশ্নোত্তর:

০১।    বাংলাদেশের কোন অঞ্চলগুলোতে নদীভাঙনের প্রবণতা রয়েছে? কেন?
উত্তর:    বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্যমতে, পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘন অববাহিকায় প্রায় ১২০০ কিলোমিটারজুড়ে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। আরও প্রায় ৫০০ কিলোমিটার এলাকায় নতুন করে ভাঙন দেখা দিতে পারে।
বাংলাদেশে সাধারণত বর্ষাকালে উজানে প্রচুর বৃষ্টিপাতের দরুন নদীর পানি বেড়ে যায় এবং তা তীব্রগতিতে সমুদ্রের দিকে ধাবিত হয়। এসময় উপকূলীয় অঞ্চলের নদীসংলগ্ন স্থলভাগে পানির তীরব্র তোড়ে সৃষ্টি হয় নদীভাঙনের। এছাড়া সাধারণত নদী তার পানির গতিপথে কোনো বাধা পেলে তাতে তীব্র আঘাত করে। নদী গতিপথ বদলাবার সময় যেদিকে গতি বদলায়, সেদিকের পাড়ে বারবার তীব্র গতিতে আঘাত করতে থাকে। এতেও নদীভাঙনের সৃষ্টি হয়।

০২।    বাংলাদেশের কোন অঞ্চলগুলোতে খরা বেশি হয়?
উত্তর:    বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে দীর্ঘকাল ধরে শুষ্ক আবহাওয়া ও অপর্যাÍ বৃষ্টিপাত এবং অল্পসংখ্যক নদী থাকার কারণে খরার প্রবণতা বেশি। বাংলাদেশে খরাপ্রবণ অঞ্চলগুলোর মধ্যে রয়েছে রাজশাহী বিভাগের দিনাজপুর, রংপুর, পাবনা, নাটোর, রাজশাহী, বগুড়া, জয়পুরহাট ও নওগাঁ জেলা।
বাংলাদেশের খরাপ্রবণ অঞ্চলগুলো বরেন্দ্রভূমি বলয়ে অপস্থিত। বরেন্দ্রভূমিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় তুলনামূলক ভাবে কম।

০১।    বাংলাদেশের কোন অঞ্চলগুলো ভূমিকম্পপ্রবণ?
উত্তর:    ভূমিকম্প ঝুঁকি অনুযায়ী ভূতাত্ত্বিকভাবে বাংলাদেশকে তিনটি প্রধান অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। যথাÑ
ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা ১: দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল তুলনামূলকভাবে কম ভূমিকম্পপ্রবণ।
ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা ২: ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ইত্যাদি জেলা মাঝারি ঝুঁকিপ্রবণ অঞ্চলে রয়েছে।
ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা ৩: সিলেট বিভাগসহ নেত্রকোনা, শেরপুর, কুড়িগ্রাম জেলা এবং ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, জামালপুর, গাইবান্ধা, রং পুর ও লালমনিরহাট জেলার অংশবিশেষ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মধ্যে রয়েছে।






অতিরিক্ত বর্ণনামূলক প্রশ্নোত্তর:

০১।    দুর্যোগ কাকে বলে? একটি বন্যা তোমাদের এলাকায় ধেয়ে আসছে। এক্ষেত্রে তুমি এবং তোমার পরিবারের চারটি করণীয় লেখ।
উত্তর:    দুর্যোগ হলো একটি মারাত্মক পরিস্থিতি যা প্রাণী এবং পরিবেশের অনেক ক্ষতি করে।
বন্যার সময় আমি ও আমার পরিবারের করণীয় হলোÑ
(র)    উঁচু ও নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিব;
(রর)    শুকনো খাবার সাথে রাখব;
(ররর)    বিশুদ্ধ পানি সংরক্ষণ করব এবং
(রা)    প্রয়োজনীয় ঔষধ সাথে রাখব।
০২।    ভূমিকম্পের সময় আমাদের করণীয় সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখ।
উত্তর:    ভূমিকম্পের সময় আমাদের করণীয় হলোÑ
(র)    পুরোপুরি শান্ত থাকতে হবে।
(রর)    আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি করা যাবে না।
(ররর)    বিছানায় থাকলে বালিশ দিয়ে মাথা ঢেকে রাখতে হবে।
(রা)    বারান্দায়, আলমারি, জানালা বা ঝোলানো ছবি থেকে দূরে থাকতে হবে।
(া)    পাকা দালানে থাকলে বিমের পাশে দাঁড়াতে হবে।
০৩।    নদীভাঙনে বিধবা রহিমা বেগম তার ঘরবাড়ি হরিয়ে আজ পথে নেমেছেন। এরূপ প্রাকৃতিক দুযেৃাগের পাঁচটি কারণ লেখ।
উত্তর:    নদী ভাঙনের পাঁচটি কারণ হলোÑ
(র)    বন্যা নদীভাঙনের একটি অন্যতম প্রাকৃতিক কারণ।
(রর)    বন্যার অতিরিক্ত পানির ¯্রােত ও ঢেউ নদীর পাড়ে আঘাত হানে, এতে পাড় ভেঙে যায়।
(ররর)    নদী থেকে বালি উত্তোলন।
(রা)    অপরিকল্পিতভাবে নদী খনন করা।
(া)    নদী তীরবর্তী গাছপালা কেটে ফেলা।
০৪।    সম্প্রতি জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ পূর্বাপেক্ষা অনেক বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশের আবহাওয়া ও পরিবেশবিদগণ বেশ উদ্বিগ্ন। তাদের উদ্বিগ্নতার পঁচাটি কারণ লেখ।
উত্তর:    আবহাওয়া ও পরিবেশবিদগণের উদ্বিগ্নতার পাঁচটি কারণ হলোÑ
(র)    জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের গড় তাপমাত্রা এখন আগের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
(রর)    বাংলাদেশে পূর্বের তুলনায় ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
(ররর)    জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশে এখন প্রায় প্রতি বছরই ভয়াবহ বন্যা নানা দরনের সংকটে পড়েছে।
(রা)    জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মাটির লবণাক্ততা বেড়ে কৃষি জমির অনেক ক্ষতি করছে যার ফলে খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
(া)    জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে।
০৫।    সোহানদের বাড়ি রংপুর জেলায়। জলবায়ু তার এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার যে প্রভাব বিস্তার করবে তা পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর:    জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে রংপুরের বাসিন্দা সোহানের এলাকার মানুষের জীবনযাত্রায় যে প্রভাব পড়বে তা পাঁচটি বাক্যে নি¤েœ উপস্থাপন করা হলোÑ
(র)    গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে।
(রর)    বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যাবে।
(ররর)    ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর আরও নিচে নেমে যাবে এবং মাটি আর্দ্রতা কমে যাবে।
(রা)    খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিবে।
(া)    গবাদি পশুর খাদ্য সংকট দেখা দিবে।

০৬।    বাংলাদেশের একটি সরকারি সংস্থা নদীর পাড় রক্ষায় জন্য দায়বদ্ধ। এখানে কোন সংস্থার কথা বলা হয়েছে? তাদের কাজ চারটি বাক্যে লেখ।
উত্তর:    এখানে বাংলাদেশের সরকারি সংস্থা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কথা বলা হয়েছে যারা নদীর পাড় রক্ষার জন্য দায়বদ্ধ। এ সংস্থার চারটি কাজ হলোÑ
(র)    বন্যা প্রতিরোধে বাঁধ তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণ।
(রর)    সেচের জন্য কালভার্ট ও স্লুইস গেইট নির্মাণ ও নিয়ন্ত্রণ।
(ররর)    বন্যায় সতর্কতা অবলম্বনের জন্য নানা ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া।
(রা)    পানি বণ্টন, পানি দূষণ রোধ ও নদী ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়ন।
০৭।    রেডিওর মাধ্যমে তোমার এলাকায় দুদিন পর একটি ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত হানার খবর প্রচার করছে। সেক্ষেত্রে দুযোগের হাত থেকে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমানোর পাঁচটি উপায় লেখ।
উত্তর:    দুর্যোগের হাত থেকে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য উল্লেখযোগ্য পাঁচটি উপায় হলোÑ
(র)    ঘূর্ণিঝড় তথা দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন যথাযথ পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তার বাস্তবায়ন।
(রর)    দুর্যোগকালীন করণীয় সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে মাঝে মাঝে মহড়ার আয়োজন করা।
(ররর)    টেলিভিশন, রেডিও ইত্যাদি মাধ্যমে দুর্যোগের পূর্বাভাস জানতে পারলে তা সাথে সাথে মাইকযোগে এলাকায় প্রচার করা।
(রা)    প্রত্যেকের বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা।
(া)    সর্বোপরি দুর্যোগকালীন আতঙ্কিত না হলে শান্তভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা।
০৮।    বিভিন্ন দুর্যোগে শিশুদের লেখাপড়ায় কী কী সমস্যা হয় তা প৭াচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর:    বিভিন্ন দুর্যোগে শিশুদের লেখাপড়ায় সেব সমস্যা হয়Ñ
(র)    বন্যা, ঘূর্ণিঝড়ের সময় বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যেতে হয় বলে শিশুরা বিদ্যালয়ে যেতে পারে না। ফলে তাদের লেখাপড়ার ক্ষতি হয়।
(রর)    নদীভাঙনের ফলে মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। ফলে শিশুদের শিক্ষাজীবনের অনেক ক্ষতি হয়।
(ররর)    খরার সময় অত্যধিক গরমে শিশুরা বিদ্যালয়ে যেতে পারে না। এসময় অনেক শিশু বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়।
(রা)    ভূমিকম্পের ফলে ঘরবাড়ি, দালানকোঠাসহ অনেক কিছু ধ্বংস হয়। ফলে শিশুদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
(া)    জলোচ্ছ্বাসের ফলে শিশুদের স্কুলেও যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে শিশুদের লেখাপড়ার ক্ষতি হয়।
০৯।    খরা কী? চারটি বাক্যে খরার ফলাফল লেখ।
উত্তর:    ‘খরা’ বলতে শুস্ক ও বৃষ্টিহীন আবহাওয়াকে বোঝায়। নি¤েœ চারটি বাক্যে খরার ফলাফল লেখা হলো:
(র)    মাঠে ফসল ফলাতে কষ্ট হয়।
(রর)    পুকুর, নদী, খাল ও বিল শুকিয়ে যায়।
(ররর)    গবাদি পশুর খাদ্যসংকট দেখা যায়।
(রা)    খাবার পানির অভাব দেখা দেয়।
১০।    জলবায়ু কাকে বলে? জলবায়ু পরিবর্তনের দুইটি কারণ ও দুটি প্রভাব লেখ।
উত্তর:    সাধারণত ৩০ বছরের বেশি সময়ের আবহাওয়ার গড়কেই জলবায়ু বলে।
জলবায়ু পরিবর্তনের দুইটি কারণ হলো:
(র)    শিল্পকারখানা এবং যানবাহনের ধোঁয়া।
(রর)    বন-জঙ্গলের পরিমাণ কমে যাওয়া।
জলবায়ু পরিবর্তনের দুইটি প্রভাব হলো:
(র)    গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় অতিবৃষ্টি বা অনাবৃষ্টি।
(রর)    মাটির লবণাক্ততা বেড়ে কৃষিজমির ক্ষতি সাধান হয়।
Previous Post Next Post

نموذج الاتصال