পঞ্চম শ্রেণি - ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা, দ্বিতীয় অধ্যায়- এবাদত


                                                                    অধ্যায়:  ১১

    প্রশ্নোত্তর 

   বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী


সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:


০১।    পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পোশাকের উদাহরণ দাও।
উত্তর:    পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পোশাক হলোÑ
(র)    গারো: গারো নারীদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকের নাম দকবান্দা বা দকসারি। পুরুষেরা শার্ট, লুঙ্গি, ধুতি ইত্যাদি পরেন।
(রর)    খাসি: খাসি মেয়েরা কাজিম পিন নামক ব্লাউজ ও লুঙ্গি পড়েন। আর ছেলেরা পকেট ছাড়া শার্ট ও লুঙ্গি পরেন যার নাম ফুঙ্গ মারুং।
(ররর)    ¤্রাে: ¤্রাে মেয়েদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকের নাম ওয়াংলাই। পুরুষেরা খাটো সাদা কাপড় পরেন।
(রা)    ত্রিপুরা: ত্রিপুরা মেয়েদের পোশাকের নিচের অংশকে রিনাই এবং উপরের অংশকে রিসা বলে। ছেলেরা ধুতি, গামছা, লুঙ্গি, জামা পরেন।
(া)    ওঁরাও: পুরুষেরা ধুতি, লুঙ্গি শার্ট ও প্যান্ট পরেন। আর মেয়েরা মোটা কাপড়ের শাড়ি ও ব্লাউজ পরেন।
০২।    পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর উৎসবের উদাহরণ দাও।
উত্তর:    পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর উৎসব হলোÑ
(র)    গারো: গারোদের ঐতিহ্যবাহী উৎসবের নাম ওয়াংগালা।
(রর)    খাসি: পূজা পার্বণ, বিয়ে, খরা, অতিবৃষ্টি ইত্যাদি অনুষ্ঠানে নাচ, গান, উৎসবের আয়োজন করে।
(ররর)    ¤্রাে: জন্ম, বিয়ে, মৃত্যু ইত্যাদি অনুষ্ঠানে ¤্রােরা বিভিন্ন আচর অনুষ্ঠান পালন করে। তিন বছর বয়স হলে শিশুদের কানে ছিদ্র করা হয়।
(রা)    ত্রিপুরা: জন্ম, বিয়ে, মৃত্যু ইত্যাদি অনুষ্ঠানে উৎসবের আয়োজন করে। বিশু তাদের নববর্ষ উৎসব।
(া)    ওঁরাও:Ñ ওঁরাওদের প্রধান উৎসবের নাম ফাগুয়া যা ফাল্গুন মাসের শেষ তারিখে পালন করা হয়।
০৩।    পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর খাদ্যে উদাহরণ দাও।
উত্তর:    পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর খাদ্যের উদাহরণ হলোÑ
(র)    গারো: গারোদের পধান খাবার ভাত, মাছ, মাংস ও বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি। বাঁশের কোড়ল দিয়ে তৈরি খাবার তাদের ঐতিহ্যবাহী খাবার।
(রর)    খাসি: খাসিদের প্রধান খাদ্য ভাত, মাংস, শুঁটকি মাছ, মধু ইত্যাদি।
(ররর)    ¤্রাে: ¤্রােদের প্রধান খাদ্য ভাত, শুঁটকি মাছ ও বিভিন্ন ধরনের মাংস। নাপ্পী তাদের অন্যতম সুস্বাদু খাবার।
(রা)    ত্রিপুরা: ত্রিপুরাদের প্রধান খাবার ভাত, রুটি, শাকসবজি ও বিভিন্ন ধরনের মসলা জাতীয় খাবার।
(া)    ওঁরাও: ওঁরাওদের প্রধান খাবার ভাত। এছাড়া তাঁরা গম, ভুট্টা, মাছ, মাংস ও বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি খেয়ে থাকেন।


বর্ণনামূলক প্রশ্নোত্তর:


০১।    ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতি আমরা কীভাবে গণতান্ত্রিক মনোভাব প্রকাশ করতে পারি?
উত্তর:    বাংলাদেশে বাঙালিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। পক্ষান্তরে, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর যারা রয়েছেন, তারা সংখ্যালঘু। সংখ্যালঘু হলেও তারা আমাদের আপনজন। মহান মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিসয়ে রয়েছে তাদের অসামন্য অবদান। আমরা তাদের প্রতি সদাচরণ করব। শিক্ষাসহ যেকোনো সামাজিক ও রাজনৈতিক সকল ক্ষেত্রে আমরা তাদের সিদ্ধান্তকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করব। তাদেরকে কখনো অবহেলা করব না। আমরা সকল ক্ষেত্রে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করব।
০২।    তিনটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ধর্ম সম্পর্কে লেখ।
উত্তর:    তিনটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ধর্ম সম্পর্কে আলোচনা করা হলোÑ
(র)    গারো: গারো নৃ-গোষ্ঠীর আদি ধর্মের নাম সাংসারেক। তবে বর্তমানে বেশিরভাগ গারো খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী।
(রর)    খাসি: খাসি নৃ-গোষ্ঠীর লোকেরা বিভিন্ন দেবতার পূজা করেন। তাদের প্রধান দেবতার নাম উব্লাই নাংথউ, যাকে তারা পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা মনে করেন।
(ররর)    ¤্রাে: ¤্রাে জনগোষ্ঠীর ধর্মের নাম তোরাই। এছাড়া ক্রামা নামে তাদের আরেকটি ধর্মমত আছে। ¤্রােরা সাধারণত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। তাদের কেউ কেউ খ্রিস্টধর্মও গ্রহণ করেছেন।
০৩।    কোনো একজন মানুষ যে ভিন্ন গোষ্ঠীর তা তুমি কীভাবে বুঝবে?
উত্তর:    কোনো একজন মানুষ যে ভিন্ন গোষ্ঠীর তা সাধারণত দেহের রং ও দৈহিক গঠন ইত্যাদি দেখে আমি বুঝতে পারব। তাছাড়া ভিন্ন গোষ্ঠীর মানুষের ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, ভৌগোলিক অবস্থান ইত্যাদিও ভিন্ন হয়ে থাকে। কাজেই কোনো একজন মানুষ যে ভিন্ন গোষ্ঠীর তা আমি বুঝব মানুষটির রং, দৈহিক গঠন, ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, ভৌগোলিক অবস্থান ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করে।


অতিরিক্ত সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:


০১।    গারো জনগোষ্ঠী কত বছর পূর্বে তিব্বত থেকে এসে বাংলাদেশে বসবাস শুরু করে?
উত্তর:    গারো জনগোষ্ঠী প্রায় ৪০০ বছর পূর্বে বাংলাদেশে বসবাস শুরু করে।
০২।    গারোরা কোন ভাষায় কথা বলে?
উত্তর:    গারো আচিক ভাষায় কথা বলে।
০৩।    গারোদের নিজস্ব ভাষার নাম কী?
উত্তর:    গারোদের নিজস্ব ভাষার নাম আচিক।
০৪।    গারোদের আদি ধর্মের নাম কী?
উত্তর:    গারোদের আদি ধর্মের নাম সাংসারেক।
০৫।    গারোদের বেশিরভাগ বর্তমানে কোন ধর্মাবলম্বী?
উত্তর:    গারোদের বেশিরভাগ বর্তমানে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী।
০৬।    গারো সমাজ কোন ধরনের?
উত্তর:    গারো সমাজ মাতৃতান্ত্রিক।
০৭।    গারোদের ঐতিহ্যবাহী খাবারের নাম কী?
উত্তর:    গারোদের ঐতিহ্যবাহী খাবারের নাম বাঁশের কোড়ল।
০৮।    গারো নারীদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকের নাম কী?
উত্তর:    গরো নারীদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকের নাম দকবান্দা বা দকসারি।
০৯।    গারোদের প্রধান উৎসবের নাম কী?
উত্তর:    গারোদের প্রধান উৎসবের নাম ওয়াংগালা।
১০।    গারোদের সূর্য দেবতার নাম কী?
উত্তর:    গারোদের সূর্য দেবতার নাম সালজং।

১১।    খাসি জনগোষ্ঠী কোথায় বাস করে?
উত্তর:    খাসি জনগোষ্ঠী সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় বাস করে।
১২।    খাসিদের নিজস্ব ভাষার নাম কী?
উত্তর:    খাসিদের নিজস্ব ভাষার নাম মনখেমে।
১৩।    খাসিদের প্রধান খাদ্য কী?
উত্তর:    কাসিদের প্রধান খাদ্য ভাত, মাংস, শুঁটকি মাছ, মধু ইত্যাদি।
১৪।    খাসি মেয়েরা কোন ধরনের পোশাক পরে?
উত্তর:    খাসি মেয়েরা কাজিম পিন নামক ব্লাউজ ও লুঙ্গি পরে।
১৫।    খাসি সমাজের প্রধান দেবতার নাম কী?
উত্তর:    কাসি সমাজের প্রধান দেবতার নাম উব্লাই নাংখউ।
১৬।    ¤্রাে জনগোষ্ঠী ধর্মের নাম কী?
উত্তর:    ¤্রাে জনগোষ্ঠীর ধর্মের নাম তোরাই।
১৭।    ¤্রােরা কোন ধর্মাবলম্বী?
উত্তর:    ¤্রােরা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী।
১৮।    ¤্রাে পরিবারের প্রধান কে?
উত্তর:    ¤্রাে পরিবারের প্রধান হলেন পিতা।
১৯।    ¤্রােরা তাদের বাড়িকে কীবলে?
উত্তর:    ¤্রােরা তাদের বাড়িকে কিম বলে।
২০।    ¤্রােরা কী দিয়ে বাড়ি তৈরি করে?
উত্তর:    ¤্রােরা সাধারণত বাঁশের বেড়া ও ছনের চাল দিয়ে মাচার ওপর বাড়ি তৈরি করে।
২১।    ¤্রােদের অন্যতম সুস্বাদু খাবারের নাম কী?
উত্তর:    ¤্রােদের অন্যতম সুস্বাদু খাবারের নাম নাপ্পি।
২২।    ¤্রাে মেয়েদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকের নাম কী?
উত্তর:    ¤্রাে মেয়েদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকের নাম ওয়াংলাই।
২৩।    কত বছর বয়স হলে ¤্রােরা ছেলে ও মেয়েদের কানে ছিদ্র করে?
উত্তর:    তিন বছর বয়স হলে ¤্রােরা ছেলে ও মেয়েদের কানে ছিদ্র করে।
২৪।    ত্রিপুরাদের ভাষার নাম কী?
উত্তর:    ত্রিপুরাদের ভাষার নাম বকবরক ও উমোই।
২৫।    ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী কোন জেলায় বাস করে?
উত্তর:    ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলায় বাস করে।
২৬।    বাংলাদেশের ত্রিপুরারা কোন সমাজের অধিকারী?
উত্তর:    বাংলাদেশের ত্রিপুরারা পিতৃতান্ত্রিক সমাজের অধিকারী।
২৭।    ত্রিপুরারা কোন ধর্মের অনুসারী?
উত্তর:    ত্রিপুরারা সনাতন ধর্মের অনুসারী।
২৮।    ত্রিপুরারা গ্রামের সকল লোকের মঙ্গলের জন্য কী পূজা করে?
উত্তর:    ত্রিপুরারা গ্রামের সকল লোকের মঙ্গলের জন্য কের পূজা করে।
২৯।    ত্রিপুরা মেয়েদের পোশাকের নিচের অংশকে কী বলা হয়?
উত্তর:    ত্রিপুরা মেয়েদের পোশাকের নিচের অংশকে রিনাই বলা হয়।
৩০।    ত্রিপুরা মেয়েদের পোশাকের উপরের অংশকে কী বলা হয়?
উত্তর:    ত্রিপুরা মেয়েদের পোশাকের উপরের অংশকে রিসা বলা হয়।
৩১।    ত্রিপুরারা নববর্ষের সময় কী উৎসব পালন করে?
উত্তর:    ত্রিপুরারা নববর্ষের সময় বিশু উৎসব পালন করে।
৩২।    ওঁরাও জনগোষ্ঠীর বেশিরভাগ কোন অঞ্চলে বসবাস করে?
উত্তর:    ওঁরাও জনগোষ্ঠীর বেশিরভাগ রাজশাহী, রংপুর ও দিনাজপুর অঞ্চলে বসবাস করে।

৩৩।    ওঁরাওদের ভাষার নাম কী?
উত্তর:    ওঁরাওদের ভাষার নাম কুডুখ ও সাদ্রি।
৩৪।    ওঁরাওদের পরিবারের প্রধান কে?
উত্তর:    ওঁরাওদের পরিবারের প্রধান হলেন পিতা।
৩৫।    ওঁরাওদের প্রধান দেবতার নাম কী?
উত্তর:    ওঁরাওদের প্রধান দেবতার নাম ধরমী বা ধরমেশ।
৩৬।    ওঁরাওদের প্রধান উৎসবের নাম কী?
উত্তর:    ওঁরাওদের প্রধান উৎসবের নাম ফাগুয়া।
৩৭।    ওঁরাওদের প্রধান খাবার কী?
উত্তর:    ওঁরাওদের প্রধান খাবার ভাত।


অতিরিক্ত বর্ণনামূলক প্রশ্নোত্তর:


০১।    গারোর চারশ বছর পূর্বে তিব্বত থেকে বাংলাদেশে এসে বসবাস শুরু করেছে। তাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখ।
উত্তর:    গারোদের সংস্কৃতিÑ
(র)    গারোদের নিজস্ব ভাষার নাম আচিক।
(রর)    তাদের প্রধান খাবার ভা, মাছ, মাংস ও বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি।
(ররর)    গারো নারীদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক হলো দকবান্দা বা দকসারি।
(রা)    তাদের সমাজব্যবস্থা মাতৃতান্ত্রিক।
(া)    ওয়াংগালা তাদের ঐতিহ্যবাহী উৎসব।
০২।    সমাজ ও সভ্যতার উন্নয়নের সাথে সাথে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনযাত্রাও পরিবর্তিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে গারো জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রায় যে পরিবর্তন এসেছে তা পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর:    গারো জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার পরিবর্তনÑ
(র)    বর্তমানে বেশির ভাগ গারো খ্রিস্টধর্মে বিশ্বাসী;
(রর)    তারা সমতল ভূমিতে বাড়ি তৈরি করছে;
(ররর)    তাদের মধ্যে শিক্ষার হার বাড়ছে;
(রা)    গারো নারীরা বাঙালি নারীদের মতোই সালোয়ার কামিজ পরিধান করছে;
(া)    তাদের মধ্যে পেশাগত পরিবর্তনও লক্ষ করা যায়।
০৩।    পিউ ¤্রাে জনগোষ্ঠীর অধিবাসী। পিউদের ধর্মের নাম কী? তাদের সমাজ ব্যবস্থার চারটি দিক উল্লেখ কর।
উত্তর:    পিউদের ধর্মের নাম তোরাহ। ¤্রােদের সমাজ ব্যবস্থা সম্পর্কে চারটি বাক্য হলোÑ
(র)    ¤্রাে পরিবারের প্রধান হলেন পিতা।
(রর)    তাদের রয়েছে গ্রামভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা।
(ররর)    ¤্রােদের বাড়ি ‘কিম’ নামে পরিচিত।
(রা)    ¤্রােরা সাধারণত বাঁশের বেড়া ও ছনের চাল দিয়ে মাচার উপরে বাড়ি তৈরি করে।
০৪।    পাঁচটি বাক্যে গারোদের বাসস্থানের বর্ণনা দাও।
উত্তর:    গারোদের বাসবস্থান সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য হলোÑ
(র)    পূর্বে গারোরা নদীর তীরে বাসস্থান নির্মাণ করত।
(রর)    তাদের বাড়িগুলো ছিল দুচালাবিশিষ্ট দীর্ঘ আকারের।
(ররর)    তাদের বাড়ির নাম ছিল নকমান্দি।
(রা)    বর্তমানে তারা সমতল ভূমিতে বাড়ি নির্মাণ করে।
(া)    তারা বাড়ি তৈরির উপকরণ হিসাবে করোগেটেড টিন এবং অন্যান্য উপকরণ ব্যবহার করে।

০৫।    খাসিদের ভাষার নাম লেখ। খাসি ছেলেরা কোন ধরনের পোশাক পরে? তাদের খাদ্য সম্পর্কে তিনটি বাক্য লেখ
উত্তর:    খাসিদের ভাষার নাম হলো মনখেমে। খাসি সম্প্রদায়ের ছেলেরা পকেট ছাড়া শার্ট ও লুঙ্গি পরেন যার নাম ফুংগু মারুং। খাসিদের খাদ্য সম্পর্কে তিনটি বাক্য হলোÑ
(র)    খাসিদের প্রধান খাদ্য ভা, মাংস, শুঁটকি মাছ, মধু ইত্যাদি।
(রর)    পান-সুপারিকে তারা পবিত্র বলে মনে করেন।
(ররর)    বাড়িতে অতিথি এলে পান-সুপারি এবং চা দিয়ে আপ্যায়ন করেন।
০৬।    বিশু কাদের উৎসব? তাদের ধর্ম সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখ।
উত্তর:    বিশু ত্রিপুরাদের উৎসব। ত্রিপুরাদের ধর্ম সম্পর্কে চারটি বাক্যে হলোÑ
(র)    পার্বত্য চট্টগ্রামের ত্রিপুরারা সনাতন ধর্মের অনুসারী।
(রর)    তারা হিন্দুধর্মের দুর্গাপূজা উৎসব পালন করেন।
(ররর)    তারা নিজস্ব কিছু দেবদেবীর উপাসনাও করে থাকেন।
(রা)    গ্রামের সকল লোকের মঙ্গলের জন্য ত্রিপুরারা ‘কের’ পূজা করেন।
০৭।    মাহাতো কী? ওঁরাও সমাজ ব্যবস্থা সম্পর্কে চারটি দিক উল্লেখ কর।
উত্তর:    মাহাতো ওঁরাওদের গ্রামপ্রধানের নাম। ওঁরাও সমাজ ব্যবস্থার চারটি দিক হলোÑ
(র)    ওঁরাও সমাজ ব্যবস্থা পিতৃতান্ত্রিক।
(রর)    গ্রামাঞ্চলে তাদের একজন গ্রামপ্রধান থাকে যিনি ’মাহাতো’ নামে পরিচিত।
(ররর)    ওঁরাওদের প্রধান দেবতার নাম ধরমী।
(রা)    ওঁরাওদের প্রধান উৎসবের নাম ফাগুয়া।
০৮।    গারো সমাজ ব্যবস্থা সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখ।
উত্তর:    গারো সমাজ ব্যবস্থা সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য হলোÑ
(র)    গারো সমাজ মাতৃতান্ত্রিক।
(রর)    নারীরাই পরিবারের প্রধান।
(ররর)    নারীরাই পারিবাহিক সম্পত্তি উত্তরাধিকারী।
(রা)    বাবা পরিবারের দেখাশোনা করেন এবং
(া)    মায়েদের সূত্র ধরেই তাদের দল, গোত্র ও বংশ গড়ে ওঠে।
০৯।    ওঁরাও জাতিসত্তার সমাজ ব্যবস্থা সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখ।
উত্তর:    ওঁরাও জাতিসত্তার সমাজ ব্যবস্থা সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য হলোÑ
(র)    ওঁরাও সমাজ ব্যবস্থা পিতৃতান্ত্রিক।
(রর)    তাদের গ্রামপ্রধানকে মাহাতো বলে।
(ররর)    তাদের আঞ্চলিক পরিষদ আছে।
(রা)    ওঁরাওদের আঞ্চাীরক পরিষদের নাম পাহতো।
(া)    উক্ত পরিষদে কয়েকটি গ্রামের প্রতিনিধিরা থাকেন।
১০।    ওঁরাওদের উৎসব ও পোশাক সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখ।
উত্তর:    ওঁরাওদের উৎসব ও পোশাক সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য হলোÑ
(র)    ওঁরাওদের প্রধান উৎসব ফাগুয়া।
(রর)    ফাগুয়া ফাল্গুন মাসের শেষ তারিখে পালন করা হয়।
(ররর)    তারা প্রতি মাসে ও প্রতি ঋতুতে বিভিন্ন ধর্মীয় ব্রত অনুষ্ঠান পালন করে।
(রা)    পুরুষরা ধুতি, লুঙ্গি, শার্ট ও প্যান্ট পরেন।
(া)    মেয়েরা মোটা কাপড়ের শাড়ি ও ব্লাউজ পরেন।




১১।    ¤্রােদের ভাষা ও বাড়ি সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখ।
উত্তর:    ¤্রােদের ভাষা ও বাড়ি সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য হলোÑ
(র)    ¤্রােদের নিজস্ব ভাষা রয়েছে, যার লিখিত রূপ আছে।
(রর)    ইউনেস্কো ¤্রাে ভাষাকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছে।
(ররর)    ¤্রােদের বাড়িকে কিম বলে।
(রা)    বাঁশের বেড়া ও ছনের চাল দিয়ে এই বাড়ি তৈরি করা হয়।
(া)    ¤্রােরা মাচার উপর বাড়ি তৈরি করে।
১২।    খাসিদের ভাষা ও উৎসব সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখ।
উত্তর:    খাসিদের ভাষা ও উৎসব সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য হলোÑ
(র)    খাসিদের নিজস্ব ভাষা আছে যার নাম ‘মনখেমে’।
(রর)    এই ভাষার কোনো লিখিত বর্ণমালা নেই।
(ররর)    কাসি সমাজের মধ্যে নাচ-গান খুবই প্রিয়।
(রা)    সকল ধরনের অনুষ্ঠান মেযনÑ পূজা-পার্বণ, বিয়ে, খরা, অতিবৃষ্টি, ফসলহানি প্রভৃতির আয়োন করে।
(া)    মৃতের সৎকারে তারা নাচ, গান উৎসবের আয়োজন করে।
১৩।    খাসিদের সমাজ ব্যবস্থা সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখ।
উত্তর:    খাসিদের সমাজব্যবস্থা সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য হলোÑ
(র)    খাসি সমাজ মাতৃতান্ত্রিক।
(রর)    মায়েদের সূত্র ধরেই তাদের দল, গোত্র ও বংশ গড়ে ওঠে।
(ররর)    পারিবারিক সম্পত্তির বেশির ভাগের উত্তরাধিকারী হয় পরিবারের সবচেয়ে ছোট মেয়ে।
(রা)    খাসিরা সাধারণত কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে।
(া)    খাসি জনগোষ্ঠীর সদস্যরা বেশির ভাগই পান চাষ করে।
১৪।    ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর নারী ও পুরুষের পোশাক সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখ।
উত্তর:    ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর নারী ও পুরুষের পোশাক সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য হলোÑ
(র)    ত্রিপুরা ছেলে ও মেয়েদেরা নানা রং ও নকশার পোশাক পরে।
(রর)    নারীদের পোশাকের নিচের অংশকে ‘রিনাই’ ও উপরের অংশকে ‘রিসা’ বলা হয়।
(ররর)    গ্রামে পুরুষরা ধুতি, গামছা, লুঙ্গি, জামা পরে।
(রা)    নারীরা নানা ধরনের অলংকার, পুঁতির মালা পরে।
(া)    কারনে ‘নাতং’ নামে এক প্রকার দুল পরে থাকে।
১৫।    পাঁচটি বাক্যে ত্রিপুরাদের উৎসবের বর্ণনা দাও।
উত্তর:    ত্রিপুরাদের উৎসব সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য হলোÑ
(র)    ত্রিপুরা সমাজে জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে উপলক্ষে নানা আচার-অনুষ্ঠান ও উৎসব পালন করা হয়।
(রর)    নববর্ষের প্রথম দিনে ত্রিপুরারা বিশু উৎসব পালন করে।
(ররর)    গ্রামবাসীরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়ায়।
(রা)    নারীরা মাথায় ফুল দিয়ে সুন্দর করে সাজে।
(া)    ত্রিপুরা শিশুরাও সুন্দর করে সাজে এবং গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়ায়।
Previous Post Next Post

نموذج الاتصال