দ্বিতীয় অধ্যায়
পরিবেশ দূষণ
প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর:
০১। পরিবেশ দূষণ বলতে কী বোঝ?উত্তর: পরিবেশের বিভিন্ন পরিবর্তন যখন জীবের জন্য ক্ষতিকর হয়, তখন তাকে পরিবেশ দূষণ বলে।
০২। বায়ু দূষণের ফলে কী হয়?
উত্তর: বায়ু দূষণের ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়, এসিড বৃষ্টি হয় এবং মানুষ ফুসফুস ও শ্বাসজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়।
০৩। চার ধরনের পরিবেশ দূষণ কী কী?
উত্তর: চার ধরনের পরিবেশ দূষণ হলোÑ
(১) বায়ু দূষণ
(২) পানি দূষণ
(৩) মাটি দূষণ
(৪) শব্দ দূষণ
০৪। পরিবেশ দূষণের উৎসসমূহ কী?
উত্তর: যে কারণগুলো পরিবেশের ক্ষতি করে, সেগুলোই পরিবেশ দূষণের উৎস। যেমন: বায়ু দূষণের উৎসÑ শিল্পকারখানা, যানবাহন। পানি দূষণের উৎসÑ অপরিকল্পিত পয়ঃনিষ্কাশন, কারখানার বর্জ্য। মাটি দূষণের উৎসÑ সার, কীটনাশক। শব্দ দূষণের উৎসÑ গাড়ির হর্ণ, লাউড স্পিকার, মাইক ইত্যাদি।
০৫। পরিবেশ সংরক্ষনের ৫টি উপায় লেখ।
উত্তর: পরিবেশ সংরক্ষণের ৫টি উপায় হলোÑ
(১) জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করা।
(২) পায়ে হেঁটে বা সাইকেল চলাচল করা।
(৩) পানির অপচয় রোধ করা।
(৪) গাছ লাগানো।
(৫) জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা।
অতিরিক্ত সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর:
০১। পরিবেশ দূষণের ২টি কারণ লেখ।উত্তর: পরিবেশ দূষণের ২টি কারণ হলোÑ শিল্পায়ন ও জনসংখ্যা বৃদ্ধি।
০২। পরিবেশ দূষণের কারণে মানুষের কী কী রোগ হয়?
উত্তর: পরিবেশ দূষণের কারণে মানুষের ক্যান্সার, কলেরা, ডায়রীয়া, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি রোগ হয়।
০৩। সমুদ্রের পানির উচ্চতা বাড়ছে কেন?
উত্তর: বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বাড়ছে।
০৪। বায়ু দূষণের উৎস কী?
উত্তর: বিভিন্ন ক্ষতিকর গ্যাস, ধূলিকণা, কলকারখানার কালো ধোঁয়া ইত্যাদি বায়ু দূষণের উৎস।
০৫। বায়ু দূষণ কী?
উত্তর: বিভিন্ন ক্ষতিকর গ্যাস, ধূলিকণা, কলকারখানার কালো ধোঁয়া ইত্যাদি বায়ুতে মিশে যে দূষণ সৃষ্টি করে তাই বায়ু দূষণ।
০৬। বায়ু দূষণের ফলে মানুষের কী কী রোগ হয়?
উত্তর: বায়ু দূষণের ফলে মানুষ ফুসফুসের ক্যান্সার, শ্বাসজনিত রোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়।
০৭। পানি দূষণের উৎস কী?
উত্তর: অপরিকল্পিত পয়ঃনিষ্কাশন, গৃহস্থালির বর্জ্য, কলখারখানার ক্ষতিকর বর্জ্য ইত্যাদি পানি দূষণের উৎস।
০৮। পানি দূষণ কী?
উত্তর: পানিতে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ মিশ্রিত হয়ে যে দূষণ সৃষ্টি করে তাকে পানি দূষণ বলে।
০৯। পানি দূষণের ফলে মানুষের কী কী রোগ হয়?
উত্তর: পানি দূষনের ফলে মানুষের কলেরা বা ডায়রিয়ার মতো পানিবাহিত রোগ এবং বিভিন্ন চর্মরোগে আক্রান্ত হয়।
১০। মাটি দূষণের উৎস কী?
উত্তর: কৃষিকাজে ব্যবহৃত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক, গৃহস্থালি ও হাসপাতালের বর্জ্য, কলকারখানার বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ ইত্যাদি মাটি দূষণের উৎস।
১১। মাটি দূষণ কী?
উত্তর: বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর বস্তু, যেমনÑ কৃষিকাজে ব্যবহৃত রাসায়নিক সার, কীটনাশক, কলকারখানার বর্জ্য ইত্যাদি। মাটিতে মেশার ফলে যে দূষণ সৃষ্টি হয় তাকে মাটি দূষণ বলে।
১২। মাটি দূষণ মানুষের উপর কীরূপ প্রভাব ফেলে?
উত্তর: মাটি দূষণ মানুষের স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। দূষিত মাটিতে উৎপন্ন ফসল খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করলে মানুষ ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়।
১৩। শব্দ দূষণ কী?
উত্তর: বিনা প্রয়োজনে হর্ণ বাজিয়ে, উচ্চস্বরে গান বাজিয়ে, লাউড স্পিকার বা মাইক অথবা ইত্যাদি বিভিন্নভাবে উচ্চমাত্রার শব্দ সৃষ্টির মাধ্যমে মানুষ যে দূষণের সৃষ্টি করে তাকে শব্দ দূষণ বলে।
১৪। শব্দ দূষণের ফলে মানুষের কী কী সমস্যা হয়?
উত্তর: শব্দ দূষণের ফলে মানুষের অবসন্নতা, শ্রবণ শক্তি হ্রাস, ঘুমে ব্যাঘাত সৃষ্টি, কর্মক্ষমতা হ্রাস ইত্যাদি সমস্যার সৃষ্টি হয়।
১৫। পরিবেশ সংরক্ষণ কী?
উত্তর: প্রাকৃতিক সম্পদের সুরক্ষা এবং যথাযথ ব্যবহারই হচ্ছে পরিবেশ সংরক্ষণ।
১৬। গাছ লাগানোর মাধ্যমে আমরা পরিবেশে কীরূপ ভূমিকা রাখতে পারি?
উত্তর: গাছ লাগানোর মাধ্যমে আমরা পরিবেশ সংরক্ষণ করতে পারি।
১৭। পায়ে হেঁটে বা সাইকেলে চলাচলের মাধ্যমে আমরা পরিবেশে কীরূপ ভূমিকা রাখতে পারি?
উত্তর: পায়ে হেঁটে বা সাইকেলে চলাচলের মাধ্যমে আমরা পরিবেশ সংরক্ষণ করতে পারি।
বর্ণনামূলক প্রশ্নের উত্তর:
০১। পরিবেশ দূষণের ক্ষতিকর প্রভাবসমূহ ব্যাখ্যা কর।উত্তর: পরিবেশ দূষণের ফলে মানুষ, জীবজন্তু ও পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হয়। দূষণের কারণে মানুষ বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়। যেমনÑ ক্যান্সার, শ্বাসজনিত রোগ, পানিবাহিত রোগ, ত্বকের রোগ ইত্যাদি। পরিবেশ দূষণের ফলে জীবজন্তুর আবাসস্থল নষ্ট হয়, খাদ্যশৃঙ্খল ধ্বংস হয়। ফলে অনেক জীব পরিবেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায়। এছাড়া বায়ু দূষণের ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে হিমবাহ গলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে।
০২। আমরা কীভাবে শব্দ দূষণ প্রতিরোধ করতে পারি?
উত্তর: আমরা যখন তখন গাড়ির হর্ন না বাজিয়ে এবং উচ্চ শব্দ সৃষ্টি না করে শব্দ দূষণ প্রতিরোধ করতে পারি। বিনা প্রয়োজনে গাড়ির হর্ন বাজিয়ে ও উচ্চস্বরে গান বাজিয়ে, লাউড স্পিকার বা মাইক বাজিয়ে আমরা শব্দ দূষণ করি। কলকারখানায় বড় বড় যন্ত্রপাতির ব্যবহারও শব্দ দূষণের কারণ। তাই আমরা শব্দ দূষণ প্রতিরোধে নি¤েœাক্ত পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করতে পারিÑ
(১) বিনা প্রয়োজনে গাড়ির হর্ন না বাজানো।
(২) গাড়িতে উচ্চ শব্দ সৃষ্টিকারী হর্ন (হাইড্রোলিক হর্ন) ব্যবহার না করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা।
(৩) উচ্চস্বরে গান না বাজানো।
(৪) লাউড স্পিকার বা মাইক বাজানোর ক্ষেত্রে সচেতন হওয়া।
(৫) কলকারখানার শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকারি বিধিবিধান কার্যকর করা।
(৬) জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা চালানো।
০৩। পরিবেশ সংরক্ষণ কী?
উত্তর: প্রাকৃতিক সম্পদের সুরক্ষা এবং যথাযথ ব্যবহারই হচ্ছে পরিবেশ সংরক্ষণ।
আমাদের অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ হলো পানি, বাতাস, মাটি, গাছপালা, তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ ইত্যাদি। জীবন ধারণের জন্য প্রতিটি সম্পদ গুরুত্বপূর্ণ। বাতাস-পানি না থাকলে আমরা যেমন বাঁচতে পারব না, তেমনি তেল-গ্যাস ও গাছপালা ছাড়াও বেঁচে থাকা অসম্ভব। কিন্তু আমরা বিভিন্নভাবে পরিবেশকে দূষিত করি, প্রাকৃতিক সম্পদ বিনষ্ট করি। ফলে অনেক সময় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে বিনষ্ট হয়। তাই পরিবেশের ভারসাম্য স্বাভাবিক রাখতে আমাদেরকে প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা করতে হবে। আর প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা করাই হলো পরিবেশ সংরক্ষণ। সুতরাং বলা যায়, মানুষ ও অন্যান্য জীবের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদের সুরক্ষা ও যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করাই হলো পরিবেশ সংরক্ষণ।
০৪। মাটি দূষণ কেন মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?
উত্তর: দূষিত মাটিতে উৎপন্ন ফসল খাদ্য হিসেবে গ্রহণের ফলে মানুষ ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। তাই মাটি দূষণ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
কৃষিকাজে ব্যবহৃত সার ও কীটনাশক, গৃহস্থালি ও হাসপাতালের বর্জ্য, কল-কারখানার বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ ইত্যাদি ক্ষতিকর বস্তু মাটিতে মেশার ফলে মাটি দূষিত হয়। দূষিত মাটির উর্বরতা নষ্ট হয়, জৈব পদার্থের পরিমাণ হ্রাস পায়। মাটিতে নাইট্রোজেন সংযোজনকারী ব্যাকটেরিয়ার পরিবর্তে বিভিন্ন ক্ষতিকর অণুজীবের উপস্তিতি পরিলক্ষিত হয়। তাই দূষিত মাটিতে উৎপন্ন ফসল খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
০৫। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে কেন পরিবেশ দূষিত হয়?
উত্তর: জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে পরিবেশে জীবের জন্য ক্ষতিকর পরিবর্তন ঘটে। এর ফলে পরিবেশ দূষিত হয়। বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে পরিবেশে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয়। বাড়তি জনসংখ্যার চাহিদা মেটানোর জন্য মানুষ পরিবেশের উপাদানকে নানাভাবে ব্যবহার করে। বাড়তি পণ্য উৎপাদনের জন্য স্থাপিত কল কারখানা বায়ু দূষণ ঘটায়, কলকারখানার বর্জ্য পানি দূষণ ঘটায়। ঘনবসতিপূর্ণ পানি দূষণ ঘটায়। অতিরিক্ত জনগোষ্ঠীর খাদ্য চাহিদা মেটাতে জমিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক মাটি ও পানি দূষণ ঘটায়। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে অধিক যানবাহেরন হর্ন, মাইক ইত্যাদি শব্দ দূষণ ঘটায়। তাই বলা যায়, জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে পরিবেশ দূষিত হয়।
০৬। মাটি এবং পানি দূষণের সাদৃশ্য কোথায়?
উত্তর: মাটি ও পানি দূষণের সাদৃশ্য নি¤œরূপÑ
(১ মাটি ও পানি দুটিই পরিবেশের উপাদান। তাই উপাদান দুটি দূষিত হলে পরিবেশও দূষিত হয়।
(২) দুটি দূষণের একটি বড় কারণ হলো জনসংখ্যা বৃদ্ধি। প্রয়োজনীয় খাদ্য ও প্রাকৃতিক সম্পদের জন্য মানুষ মাটি ও পানি উভয়ই দূষিত করে।
(৩) দুটি দূষণ মানুষের দৈনন্দিন কর্মকা-ের ফরে হয়ে থাকে।
(৪) রাসায়নিক সার, কীটনাশক, গৃহস্থালির বর্জ্য, রাসায়নিক বর্জ্য ইত্যাদি ক্ষতিকর পদার্থ মাটি ও পানি উভয় ধরনের দূষণ ঘটায়।
(৫) উভয় দূষণই মানুষের বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী।
অতিরিক্ত সাধারণ ও যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নোত্তর:
০১। পরিবেশ সংরক্ষণের ৫টি উপায় লেখ।উত্তর: পরিবেশ সংরক্ষণের ৫টি উপায় নিচে দেওয়া হলোÑ
(১) বিদ্যুৎ বা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে।
(২) গাড়িতে চড়ার পরিবর্তে পায়ে হেঁটে বা সাইকেলে চলাচল করে।
(৩) প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার কমিয়ে, পুনঃব্যবহার করে এবং রিসাইকেল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
(৪) ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে এবং গাছ লাগানোর মাধ্যমে।
(৫) পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধি করে।
০২। শব্দ দূষণের কারণ, প্রভাব ও প্রতিরোধের উপায় আলোচনা কর।
উত্তর: শব্দ দূষণের কারণÑ
(১) বিনা প্রয়োজনে গাড়ির হর্ণ বাজানো।
(২) লাউড স্পিকার বা মাইক বাজানো।
শব্দ দূষণের তিনটি প্রভাব
(১) শ্রবণ শক্তি হ্রাস পাওয়া।
(২) অবসন্নতা সৃষ্টি হওয়া।
(৩) কর্মক্ষমতা হ্রাস পাওয়া।
আমরা যখন তখন গাড়ির হর্ন না বাজিয়ে এবং উচ্চ শব্দ সৃষ্টি না করে শব্দ দূষণ প্রতিরোধ করতে পারি।
০৩। তোমাদের পুকুরের পানি দূষিত হয়েছে। এ পানি পান করলে তোমার কী কী রোগ হতে পারে? তোমাদের পুকুরের পানি দূষণের চারটি কারণ উল্লেখ কর।
উত্তর:
আমাদের পুকুরের দূষিত পানি পান করলে আমার কলেরা বা ডায়রিয়ার মতো পানিবাহিত রোগ এবং বিভিন্ন চর্মরোগ হতে পারে।আমাদের পুকুরের পানি দূষণের চারটি কারণ হলোÑ
(১) পুকুরের পাড়ে অপরিকল্পিত পয়ঃনিষ্কাশন।
(২) পুকুরে কাপড় ধোয়া ও গোসল করা।
(৩) পুকুরে গরুÑছাগল গোসল করানো।
(৪) গৃহস্থালির বর্জ্য পুকুরে ফেলা।
০৫। মাটি দূষণ কাকে বলে? মাটি দূষণের কারণ কী? মাটি দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে তোমার ধারণা লেখ।
উত্তর:
বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর বস্তু মাটিতে মেশার ফলে যে দূষণের সৃষ্টি হয়, তাকে মাটি দূষণ বলে।
কৃষিকাজে ব্যবহৃত রাসায়নিক সার, কীটনাশক, গৃহস্থালি ও হাসপাতালের বর্জ্য, কল কারখানার বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ, তেল ইদ্যাদি মাটিতে মেশার কারণে মাটি দূষিত হয়।মাটি দূষণের ফলে জমির উর্বরতা নষ্ট হয়। গাছপালা, পশুপাখি মারা যায়, তাদের বাসস্থান ধ্বংস হয়। দূষিত মাটিতে উৎপন্ন ফসল খাদ্য হিসেবে গ্রহণের ফলে মানুষের ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগ হয়।
০৬। শব্দ দূষণের একটি কারণ লেখ। হঠাৎ উচ্চশব্দের কারণে মানবদেহে সৃষ্ট দুইটি প্রভাব লেখ। শব্দ দূষণ থেকে রক্ষা পাওয়ার দুইটি উপায় লেখ।
উত্তর: শব্দ দূষণের একটি কারণ হলোÑ যখন তখন যেকোনো স্থানে মাইক ব্যবহার করা।
হঠাৎ উচ্চ শব্দের কারণে মানব দেহে সৃষ্ট প্রভাব:
(১) মানুষের মানসিক সমস্যা সৃষ্টি হয়।
(২) মানুষের শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হয়।
শব্দ দূষণ থেকে রক্ষা পাওয়ার দুটি উপায় হলো:
(১) যেখানে সেখানে মাইক বাজানো বন্ধ করা।
(২) লোকালয় থেকে কলকারখানা দূরে স্থাপন করা।
০৭। শব্দ দূষণ রোধে তুমি কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পার তা পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর:
শব্দ দূষণ রোধে আমি নিচের পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে পারি:(১) যেখানে সেখানে মাইক বাজানো বন্ধ করতে পারি।
(২) উচ্চ স্বরে গান বাজানো বন্ধ করতে পারি।
(৩) গাড়ির চালকদেরকে জোরে হর্ন না বাজাতে সচেতন করতে পারি।
(৪) কলকারখানাকে লোকালয় থেকে দূরে স্থাপন করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে সচেতন করতে পারি।
(৫) উচ্চ আওয়া ও শোরগোল না করতে সবাইকে অনুরোধ করতে পারি।