চতুর্থ শ্রেণি, বিজ্ঞান, অধ্যায়-বায়ু, প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর:
০১। মানুষ কীভাবে বায়ুপ্রবাহকে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করে?উত্তর: দৈনন্দিন জীবনে মানুষ নি¤œলিখিত উপায়ে বায়ুপ্রবাহকে ব্যবহার করেÑ
(র) বড় চড়াক বা টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা।
(রর) ফসল ঝেড়ে ময়লা দূর করা।
(ররর) পালতোলা নৌকা চালানো।
(রা) চুল শুকানোর যন্ত্রের মাধ্যমে ভেজা চুল শুকানো।
(া) ভেজা কাপড় শুকানো।
০২। মানুষের স্বাস্থ্যের উপর বায়ু দূষণের ক্ষতিকর প্রভাবসমূহ কী?
উত্তর: বায়ু দূষণ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এর ফলে মানুষ ফুসফুসের ক্যান্সার, শ্বাসজনিত রোগ, হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়।
০৩। বায়ু দূষণ প্রতিরোধের তিনটি উপায় লেখ।
উত্তর: বায়ু দূষণ প্রতিরোধের তিনটি উপায় হলো:
(র) শক্তির ব্যবহার কমিয়ে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো এবং নবায়নযোগ্য মুক্তির ব্যবহার বাড়ানো।
(রর) ব্যাপক হারে গাছপালা লাগানো।
(ররর) প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার কমিয়ে, পুনঃব্যবহার করে এবং রিসাইকেল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জ্বালানির ব্যবহার কমানো।
০৪। বায়ু দূষণের কারণ কী?
উত্তর: বায়ু দূষণের কারণ হলো মানুষের বিভিন্ন রকম কর্মকা-। এর ফলে বিভিন্ন ধরনের পদার্থ, যেমনÑ রাসায়নিক পদার্থ, গ্যাস, ধূলিকণা, ধোঁয়া অথবা দুর্গন্ধ বায়ুতে মিশে বায়ু দূষিত করে।
অতিরিক্ত সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:
০১। উদ্ভিদ খাদ্য তৈরিতে বায়ুর কোন উপাদান ব্যবহার করে?
উত্তর: উদ্ভিদ খাদ্য তৈরিতে বায়ুর কার্বন ডাইঅক্সাইড ব্যবহার করে।
০২। প্রাণী শ্বাস গ্রহণের জন্য বায়ুর কোন উপাদান গ্রহণ করে?
উত্তর: প্রাণী শ্বাস গ্রহণের জন্য বায়ুর অক্সিজেন গ্রহণ করে।
০৩। বায়ু প্রবাহের ফলে ভেজা কাপড় শুকায় কেন?
উত্তর: বায়ুপ্রবাহ ভেজা কাপড় থেকে দ্রুত পানি সরিয়ে নিতে সাহায্য করে বলে বায়ুপ্রবাহের ফলে ভেজা কাপড় শুকায়।
০৪। পর্বতারোহী কোন গ্যাস ব্যবহার করে?
উত্তর: পর্বতারোহী অক্সিজেন গ্যাস ব্যবহার করে।
০৫। ইউরিয়া সার তৈরিতে কোন গ্যাস লাগে?
উত্তর: ইউরিয়া সার তৈরিতে নাইট্রোজেন গ্যাস লাগে।
০৬। টিনের কৌটায় মাংস সংরক্ষণ করতে কোন গ্যাস লাগে?
উত্তর: টিনের কৌটায় মাংস সংরক্ষণ করতে নাইট্রোজেন গ্যাস লাগে।
০৭। কোমল পানীয়তে কোন গ্যাস ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: কোমল পানীয়তে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস ব্যবহার করা হয়।
০৮। কোমল পানীয়তে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস ব্যবহার করা হয় কেন?
উত্তর: কোমল পানীয়তে ঝাঁঝালো ভাব ধরে রাখার জন্য কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস ব্যবহার করা হয়।
০৯। অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রে কোন গ্যাস ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস ব্যবহার করা হয়।
১০। বায়ু দূষণের বড় কারণ কী?
উত্তর: বায়ু দূষণের বড় কারণ হলো মানুষের বিভিন্ন কর্মকা-।
১১। ডুবুরিরা কোনো কিছু খুঁজতে নদীর পানির নিচে গেলে সাথে করে কী নিয়ে যান?
উত্তর: ডুবুরিরা কোনো কিছু খুঁজতে নদীর পানির নিচে গেলে সাথে করে অক্সিজেনের সিলিন্ডার নিয়ে যান।
১২। প্যাকেটজাত খাদ্য সংরক্ষণে কোন গ্যাস ব্যবহৃত হয়?
উত্তর: প্যাকেটজাত খাদ্য সংরক্ষণে নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহৃত হয়।
১৩। বোতলে কোমল পানীয়র সাথে উচ্চচাপে কোন গ্যাস মেশানো হয়?
উত্তর: বোতলে কোমল পানীয়র সাথে উচ্চচাপে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস মেশানো হয়।
১৪। বায়ু দূষণ কী?
উত্তর: বায়ুর স্বাভাবিক উপাদানের পরিবর্তন যদি আমাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় তবে তাকে বায়ু দূষণ বলে।
১৫। বায়ু প্রধানত কীভাবে দূষিত হয়?
উত্তর: বায়ু প্রধানত মানুষের কর্মকা-ের ফলে দূষিত হয়।
১৬। বায়ুতে কোন গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে গেলে বায়ু দূষিত হয়?
উত্তর: বায়ুতে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে গেলে বায়ু দূষিত হয়।
১৭। বায়ু দূষণ জনিত ২টি মারাত্মক রোগের নাম লেখ।
উত্তর: বায়ু দূষণজনিত ২টি মারাত্মক রোগের নাম হলোÑ হৃদরোগ ও ফুসফুসের ক্যান্সার।
১৮। বায়ু দূষণ রোধের একটি উপায় লেখ।
উত্তর: বায়ু দূষণ রোধের একটি উপায় হলোÑ কালো ধোঁয়া উৎপাদন করে এমন যানবাহনের ব্যবহার বন্ধ করা।
১৯। পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি কারণ কী?
উত্তর: বায়ুতে কার্বন ডাইঅক্সাইড ও অন্যান্য ক্ষতিকর গ্যাস বেড়ে যাওয়ার কারণে পৃথিবীর উষ্ণতা বেড়ে যায়।
২০। এসিড বৃষ্টির কারণ কী?
উত্তর: কলকারখানা থেকে সৃষ্ট বিভিন্ন ধরনের গ্যাস মেঘের সাথে মিশে যাওয়ার ফলে এসিড বৃষ্টি হয়।
২১। এসিড বৃষ্টি কী?
উত্তর: কয়লা পোড়ালে এতে মিশ্রিত থাকা সালফার পুড়ে বায়ুতে সালফারের অক্সাইড উৎপন্ন হয় যা বৃষ্টির পানিতে মিশে পানিকে এসিডযুক্ত করে। এই এসিডযুক্ত বৃষ্টিকে বলে এসিড বৃষ্টি।
২২। বায়ুর দুটি উপাদানের নাম লেখ।
উত্তর: বায়ুর দুটি উপাদান হলো অক্সিজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইড।
বর্ণনামূলক প্রশ্নের উত্তর:
০১। ভেজা কাপড় যত দ্রুত সম্ভব শুকানো প্রয়োজন। কিন্তু বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। ঘরের ভেতর কীভাবে আমরা দ্রুত কাপড় শুকাতে পারি।
উত্তর: ঘরের ভেতরে বায়ুপ্রবাহ সৃষ্টি করে আমরা দ্রুত কাপড় শুকাতে পারি। বৃষ্টিতে বাইরে ভেজা কাপড় শুকাতে দেওয়া যাবে না। তাই ঘরের ভেতরে বায়ুপ্রবাহ সৃষ্টি করে কাপড় ছড়িয়ে দিতে হবে। এতে কাপড় দ্রুত শুকিয়ে যাবে। কারণ বায়ুপ্রবাহ ভেজা কাপড় থেকে দ্রুত পানি সরিয়ে নিতে সাহায্য করে। ঘরের ভেতরে কাপড় ছড়িয়ে দিয়ে বৈদ্যুতিক পাখা চালিয়ে ঘরের ভেতরে কাপড় ছড়িয়ে দিয়ে বৈদ্যুতিক পাখা চালিয়ে বা দরজা জানালা খুলে দিয়ে বায়ুপ্রবাহ সৃষ্টি করলে কাপড় দ্রুত শুকিয়ে যাবে।
০২। রিসাইকেল প্রক্রিয়া কীভাবে বায়ু দূষণ কমাতে পারে?
উত্তর: রিসাইকেল প্রক্রিয়ায় জীবাশ্ম জ্বালানি কম পোড়ানো হয় বলে বায়ু দূষণ কম হয়।
বিভিন্ন ধরনের পাত্র, বোতল ইত্যাদি তৈরি করার সময় বিভিন্ন রকম শক্তির দরকার হয়। যেমনÑ বিদ্যুৎশক্তি, তাপশক্তি। এসব পাত্র বা বোতল একবার ব্যবহার করে ফেলে দিলে পুনরায় নতুন করে তৈরি করতে হয়। এতে বিদ্যুৎশক্তি ও জীবাশ্ম জ্বালানির অপচয় হয় এবং নতুন করে প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ করতে হয়। ফরে বায়ু দূষণ ঘটে। কিন্তু এসব সামগ্রী যদি বারবার ব্যবহার করা যায়, তাহলে নতুন করে তৈরি করতে হয় না। আবার রিসাইকেল পদ্ধতিতে পুরাতন সামগ্রী গলিয়ে নতুন সামগ্রী তৈরি করা হয়। এক্ষেত্রে মূল উপাদান থেকে সম্পূর্ণ নতুনভাবে সামগ্রীটি উৎপাদনের চেয়ে কম শক্তি ব্যবহার করতে হয়। ফরে বায়ুর দূষণও কম হয়। তাই বলা যায় রিসাইকেল প্রক্রিয়া বায়ু দূষণ কমাতে পারে।
০৩। কী কী কারণে বায়ু দূষিত হয়? মানুষ কীভাবে বায়ু দূষণ করছে?
উত্তর: বায়ুর স্বাভাবিক উপাদানের পরিবর্তন যদি আমাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় তবে তাকে বায়ু দূষণ বলে। বায়ু দূষণের কারণ নিচে উল্লেখ করা হলোÑ
(র) শুকনা গাছের ডাল ও পাতা পোড়ানো, ইটের ভাটা, কলকারখানা, যানবাহন থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া।
(রর) সিগারেটের ধোঁয়া।
(ররর) ঘনবসতিপূর্ণ ঐলাকায় যত্রতত্র আবর্জনা ও মলমূত্র ত্যাগ।
(রা) অপরিকল্পিতিভাবে বাসগৃহ ও কলকারখানা স্থাপন।
প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মানুষই বায়ু দূষণের জন্য দায়ী। মানুষের কর্মকা-ের কারণেই বায়ু দূষিত হচ্ছে। মানুষ নানা প্রয়োজনে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করছে। যানবাহন বা কলকারখানার সৃষ্ট কালো ধোঁয়া বায়ু দূষিত করছে। এছাড়া মানুষ অপ্রয়োজনে বৃক্ষ নিধন করছে, ময়লা আবর্জনা যেখানে সেখানে ফেলছে। ফলে বায়ু দূষিত হচ্ছে।
অতিরিক্ত বর্ণনামূলক প্রশ্নোত্তর:
০১। বায়ুর উপাদানের পাঁচটি ব্যবহার লেখ।
উত্তর: বায়ুর বিভিন্ন উপাদান আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানাবিধ কাজে লাগে। বায়ুর উপাদানের পাঁচটি ব্যবহার হলো:
(র) বায়ুর অক্সিজেন শ্বাসকষ্টের রোগী, ডুবুরি এবং পর্বতারোহী সিলিন্ডারের মাধ্যমে ব্যবহার করে।
(রর) বায়ুর নাইট্রোজেন ইউরিয়া সার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
(ররর) প্যাকেট বা টিনের কৌটায় বিভিন্ন রকম খাদ্য, যেমনÑ মাছ, মাংস, চিপস ইত্যাদি সংরক্ষণে বায়ুর নাইট্রোজেন ব্যবহার করা হয়।
(রা) বিভিন্ন কোমল পানীয়তে ঝাঁঝালো ভাব ধরে রাখার জন্য কার্বন ডাই অক্সাইড ব্যবহার করা হয়।
(া) আগুন নেভানোর জন্য অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রে কার্বন ডাইঅক্সাইড ব্যবহার করা হয়।
০২। বায়ু দূষণের পাঁচটি প্রভাব লেখ।
উত্তর: বায়ুর স্বাভাবিক উপাদানের পরিবর্তন যদি আমাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় তবে তাকে দূষণ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। মানুষ এবং পরিবেশের উপর বায়ু দূষণের প্রভাব রয়েছে। যেমন:
(র) বায়ু দূষণ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এর ফলে মানুষ ফুসফুসের ক্যান্সার, শ্বাসজনিত রোগ, হৃদরোগসহ বিভিœন রোগে আক্রান্ত হয়।
(রর) বায়ু দূষণের ফলে বায়ুতে কার্বন ডাইঅক্সাইড ও অন্যান্য ক্ষতিকর গ্যাস বেড়ে যায়, যা পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি করে।
(ররর) বায়ু দূষণের ফলে এসিড বৃষ্টি হয় যা জীবের ক্ষতি সাধন করে এবং এতে জীব মারা যেতে পারে।
(রা) বায়ু দূষণের ফলে পৃথিবীর মেরু অঞ্চলের জমাট বরফ গলে যায়।
(া) এ দূষণের ফরে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পায় এবং পৃথিবীর অনেক নি¤œাঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে যায়।
০৩। ধূমপান ক্ষতিকর কেন? বায়ুদূষণ রোধের ৫টি উপায় লেখ।
উত্তর: ধূমপানের ফলে কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গত হয় যা বায়ুকে দূষিত করে ও বৈশ্বিক উষ্ণায়নের অন্যতম প্রধান কারণ। ধূমপায়ী ব্যক্তি মুখে ঘা, ফুসফুস ক্যান্সারসহ নানারকম জটিল রোগে ভোগে। ধূমপানকারী ব্যক্তির আশে পাশে থাকা লোকজনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই বলা যায়, ধূমপান সবার জন্যই ক্ষতিকর।
বায়ুদূষণ রোধের উপায়:
(র) কালো ধোঁয়া উৎপাদন করে এমন যানবাহন ব্যবহার বন্ধ করা।
(রর) ইটের ভাটা লোকালয় থেকে দূরে স্থাপন করা।
(ররর) কম জ্বালানি ব্যবহৃত হয়, এমন উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা।
(রা) ধূমপান না করা, বিশেষ করে জনসমাগমে ও দ্ধ স্থানে ধূমপান না করা।
(া) বনভূমি সংরক্ষণ করা ও গাছ লাগিয়ে নতুন বনভূমি সৃষ্টি করা।
০৪। বায়ু প্রবাহকে আমরা কী কী কাজে ব্যবহার করতে পারি তা পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর: বায়ুপ্রবাহকে আমরা যে সকল কাজে ব্যবহার করতে পারি সেগুলো হলোÑ
(র) বড় চড়কা বা টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা।
(রর) ফসল ঝেড়ে ময়লা দূর করা।
(ররর) পালতোলা নৌকা চালানো।
(রা) চুল শুকানোর যন্ত্রের মাধ্যমে ভেজা চুল শুকানো।
(া) ভেজা কাপড় শুকানো।
(ার) হাত পাখা ও বৈদ্যুতিক পাখার মাধ্যমে আমাদের শরীরকে ঠা-া রাখা।
০৫। পৃথিবীর বায়ুম-লে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস বেড়ে যাওয়ার কারণগুলো পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর: পৃথিবীর বায়ুম-লে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস বেড়ে যাওয়ার কারণ:
(র) যানবাহনে জ্বালানি পোড়ানোর ফলে বায়ুম-লে কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গত হয়।
(রর) কলকারখানায় কয়লা, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহারের কারণে কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন হয়।
(ররর) পরিবেশে শুকনা গাছের ডাল, পাতা ইত্যাদি পোড়ালে কার্বন ডাইঅকআসইড উৎপন্ন হয় যা পরিবেশ দূষিত করে।
(রা) বনজঙ্গল ধ্বংসের কারণে গাছপালা সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় খাদ্য উৎপাদনে পরিবেশের কার্বন ডাইঅক্সাইড ব্যবহার করতে পারে না।
(া) ইটের ভাটা থেকে নির্গত কার্বন ডাইঅক্সাইড বায়ুম-লে গ্যাসটির পরিমাণ বৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
০৬। বায়ু দূষণ কী? বায়ু দূষণ রোধের চারটি উপায় লেখ।
উত্তর: বায়ুর স্বাভাবিক উপাদানের পরিবর্তন হওয়াকে বায়ুদূষণ বলে। বায়ু দূষণ রোধের চারটি উপায় হলো:
(র) কালো ধোঁয়া উৎপাদন করে এমন যানবাহনের ব্যবহার বন্ধ করা।
(রর) ইটের ভাটা লোকালয় থেকে দূরে স্থাপন করা।
(ররর) কলকারখানায় কম জ্বালানি ব্যবহৃত হয়, এমন উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা।
(রা) বনভূমি সংরক্ষণ করা ও গাছ লাগিয়ে নতুন বনভূমি সৃষ্টি করা।
০৭। তোমাদের এলাকার ইটের ভাটা, যানবাহন, কলকারখানা ও অন্যান্য উৎস থেকে প্রচুর পরিমাণে কালো ধোঁয়া নির্গত হয়। এই পরিস্থিতিতে তোমার নেওয়া পাঁচটি পদক্ষেপ লেখ।
উত্তর: আমাদের এলাকায় ইটের ভটা, যানবাহন, কলকারখানা ও অন্যান্য উৎস থেকে সৃষ্ট কালো ধোঁয়া বায়ু দূষণ ঘটায়। এ দূষণ রোধে আমার নেওয়া পাঁচটি পদক্ষেপ হলোÑ
(র) কালো ধোঁয়া নির্গত হয় এমন যানবাহন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে তা বন্ধের জন্য উদ্যোগ নেওয়া।
(রর) ইটের ভাটায় উন্নত প্রযুক্তি প্রয়োগ করে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে সচেতন করা, যাতে কালো ধোঁয়া না নির্গত হয়।
(ররর) ধূমপায়ীদের ধূমপানে নিরুৎসাহিত করা।
(রা) যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধ করার জন্য জনগণকে সচেতন করা।
(া) গাছ লাগিয়ে নতুন বনভূমি সৃষ্টি করা, যা কার্বন ডাই অক্সাইডের ব্যবহার বৃদ্ধি করে বায়ু দূষণ কমাবে।
০৮। বায়ুর একটি গ্যাস উদ্ভিদের খাদ্য তৈরির জন্য এবং অপর একটি গ্যাস প্রাণীর শ্বাস গ্রহণের জন্য প্রয়োজন হয়। উদ্ভিদের খাদ্য তৈরির প্রয়োজনীয় গ্যাসটির দুটি এবং প্রাণীর জন্য প্রয়োজনীয় গ্যাসটির তিনটি ব্যবহার লেখ।
উত্তর: উদ্ভিদের খাদ্য তৈরির জন্য ব্যবহৃত গ্যাসটি হলো কার্বন ডাই অক্সাইড। এর দুটি ব্যবহার হলোÑ
(র) আগুন নেভানোর জন্য অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রে কার্বন ডাই অক্সাইড ব্যবহার করা হয়।
(রর) বিভিন্ন কোমল পানীয়তে ঝাঁঝালোভাব ধরে রাখার জন্য কার্বন ডাই অক্সাইড ব্যবহার করা হয়।
প্রাণীর শ্বাস গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয গ্যাসটি হলো অক্সিজেন। এর তিনটি ব্যবহার হলো:
(র) শ্বাসকষ্টের রোগীদের সহজে শ্বাস নেওয়ার জন্য সিলিন্ডার থেকে অক্সিজেন দেওয়া হয়।
(রর) পর্বতারোহীরা সাথে করে নেওয়া সিলিন্ডার থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে।
(ররর) নদী বা সমুদ্রের নিচে শ্বাস নেওয়ার জন্য ডুবুরিরা সিলিন্ডারে করে অক্সিনে নেয়।
০৯। বায়ুর কোন উপাদানটি আগুন নেভাতে ব্যবহার করা হয়? ইউরিয়া সারের মাধ্যমে গাছের বৃদ্ধিতে আমরা বায়ুর কোন উপাদান ব্যবহার করি? একজন মাঝি কীভাবে বায়ুপ্রবাহকে কাজে লাগায় তা একটি বাক্যে লেখ।
উত্তর: বায়ু কার্বন ডাই অক্সাইড আগুন নেভাতে ব্যবহার করা হয়।
ইউরিয়া সারের মাধ্যমে গাছের বৃদ্ধিতে আমরা বায়ুর নাইট্রোজেন ব্যবহার করি।
একজন মাঝি পাল তোলা নৌকা চালানোর মাধ্যমের বায়ু প্রবাহকে কাজে লাগায়। দৈনন্দিন কাজে বায়ু প্রবাহের দুটি ব্যবহার হলো:
(র) বায়ু প্রবাহকে ব্যবহার করে ঘুড়ি উড়ানো যায়।
(রর) গাড়ির চাকায় হাওয়া দেওয়া যায়।