তৃতীয় শ্রেনি - বাংলা ২য় পত্র

১। শব্দার্থ লিখ:

ঝক ঝকাঝক = ঝকাঝক শব্দ।    সুরেলা =  খুব মধুর সুর।
রাত দুপুরে    = মাঝরাতে।    মুগ্ধ      = বিভোর, অভিভূত।
জিরোয়        = বিশ্রাম নেয়।    জাতীয়  = জাতির নিজস্ব।
ফের           = আবার।    প্রার্থনা    = কোন কিছু চাওয়া।
পেরুলেই      = পার হলেই।    রহিম     = যাঁর (আল্লাহ্) অনেক দয়া।
বাজনা         = বাদ্য বাজানোর শব্দ।    রহমান    = করুনাময় আল্লাহ।
বেশ           = ভালো।    ধরনী      = পৃথিবী।
ঝাঁকড়া        = ঘন গোছা।    মোদের     = আমাদের।
বাদাড়         = জঙ্গল।    কন্ঠ          = গলা।
টলটলে        = পরিস্কার।    মমতা        = মায়া, ¯েœহ।
মকতব = ছোটদের আরবি শেখার মাদ্রাসা।    মধুর         = খুব মিষ্টি।
সৎ          =  ভালো।    কৌশল         = উপায়।
ডাঁশা           = পাকা ও কাঁচার মাঝামাঝি।    খামার      = পশু পালন বা ফসল
খামার          = পশুর খাবার।                    ফলানোর জায়গা।
ভূষি            = ছোলা বা গমের খোসা।    সপ্তাহ      = সাত দিন।
গোয়াল         = গরু রাখার ঘর।    মুক্তিযুদ্ধ   = দেশকে স্বাধীন করার লড়াই।
দানা            = বিচি, বীজ।    মুক্তিসেনা   = স্বাধীন করার জন্য যে লড়াই।
রুপ             = শোভা।    ঘাঁটি       = সৈন্যদের থাকার জায়গা।
প্রচন্ড           = ভয়ানক।    শহীদ      = মহৎ কাজে যিনি জীবন দেন।
রুপালি         = রুপার মতো।    আহরণ     = যোগাড়।
সন্ধ্যা           = দিন ও রাতের মিল হয়    কিচিরমিচির    = পাখির ডাক।
                     যে সময়।    তৃণলতা     = ঘাস ও লতা।   
সুন্দর           = ভাল, উত্তম।    পিপীলিকা    = পিঁপড়ে।
গন্ধ             = সুবাস।    দলবল       = দলের সবাই।
গাঢ়             = ঘন, জমাট বাঁধা।    পিলপিল     = পিঁপড়ের চলা
নবান্ন           = নতুন ধান থেকে তৈরি         উৎসব          = আনন্দের অনুষ্ঠান।
                    চালের পিঠা ইত্যাদি।          কৌশল         = উপায়।

     

২। বাক্য গঠন/রচনা:

    রাত দুপুরে     = রাত দুপুরে শেয়াল ডাকে।
    ঝক ঝকাঝক   = ঝক ঝকাঝক শব্দ করে ট্রেন চলে।
    জিরোয়         = কাজ শেষে তারা জিরোয়।
    বাজনা        = বাজনা বাজানো ভালো নয়।
    ফের        = এখানে আমি ফের আসব।
    বেশ        = এখানে আমি বেশ আছি।
    টলটলে        = নদীর পানি টলটলে।
    মুগ্ধ         = ছেলেটির ব্যবহারে সবাই মুগ্ধ।
    মকতব         = গ্রামে মকতব থাকে।
    ঝাঁকড়া         = লোকটির মাথায় ঝাঁকড়া চুল।
    জাতীয়         = শাপলা আমাদের জাতীয় ফুল।
    রহিম         = আল্লাহর এক নাম রহিম।
    ধরনী         = আমাদের ধরনী ফুলে ফলে ভরা।
    প্রার্থনা         = আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি।
    সৎ         = আমরা সৎ পথে চলব।
    মমতা         = মায়ের সবচেয়ে বেশি মমতা।
    মধুর         = পাখির মধুর সুর।
    দানা         = কবুতরকে দানা ছিটিয়ে দাও।
    গোয়াল         = গরু গোয়ালে থাকে।
    রুপালি          = আকাশে রুপালি চাঁদ দেখা যায়।
   
   
৩। শূন্যস্থান পূরণ :
   
        মাঠ পার হলেই বন।
        পুলের উপর বাজনা বাজে।
        মজার গাড়ি হঠাৎ  থামল।
        ট্রেন দেশ বিদেশে ঘুরে বেড়ায়।
        এখানে আমি  বেশ  আছি।
        রাত দুপুরে  শেয়াল ডাকে।
        কাজ শেষে তারা জিরোয়  ।
        এখানে আমি ফের আসব।
        নদীর পানি  টলটলে ।
        বনে  বাদাড়ে  সাপ থাকে।
        লোকটির মাথায় ঝাঁকড়া  চুল।
        আমাদের গ্রামে একটা  মকতব আছে।
        দুখু মিয়ার গানে  সবাই মুগ্ধ।
        আল্লাহর এক নাম রহিম।
        এ ধরনী ফুলে ফলে ভরা।
        বাংলা ভাষা মোদের গরব।
        আমরা সৎ পথে চলবো।
        তিনি সুরেলা কন্ঠে গান করেন।
        আল্লাহর আরেক নাম রহমান।
        মায়ের মমতার তুলনা হয় না।
        কোকিল মধুর সুরে গান গায়।
        আমরা আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি।
        খামারে অনেক গরু আছে।
        গরু গোয়ালে থাকে।
        হেমন্ত কালে নবান্ন উৎসব হয়।
        ১৯৭১ সালে এদেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল।
        পাখি তৃণলতা দিয়ে বাসা বানায়।
        পিঁপড়া পিলপিল করে চলে।
        পাখিরা কিচিরমিচির ডাকে।
        কারো ক্ষতি করা ভালো নয়।
   

৪। প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:

   প্রশ্ন: দুখুর আসল নাম কি?

    উত্তর: দুখুর আসল নাম কাজী নজরুল ইসলাম।
    প্রশ্ন: দুখু দেখতে কেমন ছিল?
    উত্তর: দুখুর মাথায় ঝাঁকড়া চুল এবং চোখ দুটো বড় বড় ছিল।
    প্রশ্ন: সকালে কিসের ডাকে দুখুর ঘুম ভাঙ্গে?
    উত্তর: সকালে পাখির ডাকে দুখুর ঘুম ভাঙ্গে।
    প্রশ্ন: দুখু দলবল নিয়ে কি করে?
    উত্তর: দুখু ভরদুপুরে ছেলেদের নিয়ে পাড়া মাতিয়ে বেড়ায়।  দলবল নিয়ে বনে-বাদাড়ে ঘুড়ে বেড়ায় সবাই মিলে ঝাঁপিয়ে পড়ে তালপুকুরে সাঁতারকাটে।
    প্রশ্ন: আমাদের জাতীয় কবির নাম কি?
    উত্তর: আমাদের জাতীয় কবির নাম কাজী নজরুল ইসলাম।
    প্রশ্ন: গ্রামের পাশের নদীটির নাম কি?
    উত্তর: গ্রামের পাশের নদীটির নাম তিতাস।
    প্রশ্ন: রিতা কবুতরকে কি খেতে দেয়?
    উত্তর: রিতা কবুতরকে গম ও মটর খেতে দেয়।
     প্রশ্ন:  ছাগলছানারা কি করে?
    উত্তর: ছাগলছানারা লাফালাফি করে।
    প্রশ্ন: লালঝুঁটি মোরগ দেখতে কেমন?
    উত্তর: লালঝুঁটি মোরগ দেখতে    খুব সুন্দর।
    প্রশ্ন: মতিবিবি কি বেঁচে টাকা পান?
    উত্তর: মতিবিবি মুরগির ডিম বেঁচে অনেক টাকা পান।
    প্রশ্ন: খামারের মোরগ ও মুরগির পাহারাদার কে?
    উত্তর: খামারের মোরগ এবং মুরগির পাহারাদার মতিবিবির পোষা কুকুর।
    প্রশ্ন: পুকুরে হাঁসগুলো কি কি করে?
    উত্তর: হাঁসগুলো পুকুরে দলবেঁধে নামে সাঁতার কাটে ও শামুক খায়।
    প্রশ্ন: ট্রেন চলার সময় কেমন শব্দ করে?
    উত্তর: ট্রেন চলার সময় ঝক ঝকাঝক শব্দ কের।
    প্রশ্ন: মাঠ পেরুলেই কি দেখা যায়?

    উত্তর: মাঠ পেরুলেই বন দেখা যায়।
   প্রশ্ন: পুলের উপর ট্রেন কেমন শব্দ করে?
    উত্তর: পুলের উপর ট্রেন ঝনঝনা ঝনঝন শব্দ করে।
    প্রশ্ন: ট্রেন কোথায ঘুরে বেড়ায়?
    উত্তর: ট্রেন দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়ায়।
    প্রশ্ন: ইচ্ছে হলে ট্রেন কি করে?
    উত্তর: ইচ্ছে হলে ট্রেন বাঁশি বাজায়।
    প্রশ্ন: ট্রেন কেমন শব্দ করে থামে?
    উত্তর: ট্রেন কাশির শব্দ খক খক করে থামে।
    প্রশ্ন: ধরনী কে দান করেছেন?
    উত্তর: ধরনী দান করেছেন রহিম রহমান।
    প্রশ্ন: আমরা কেমন পথে চলতে চাই?
    উত্তর: আমরা সরল-সহজ সৎপথে চলতে চাই।
    প্রশ্ন: বাংলা বারো মাসের নাম লিখ?
    উত্তর: ১. বৈশাখ  ২. জ্যৈষ্ঠ  ৩. আষাঢ়  ৪. শ্রাবণ  ৫. ভাদ্র  ৬. আশ্বিন
            ৭. কার্তিক  ৮. অগ্রহায়ন  ৯. পৌষ  ১০. মাঘ  ১১. ফাল্গুন  ১২. চৈত্র।
    প্রশ্ন: ছয় ঋতুর নাম লিখ?
    উত্তর: ১. গ্রীষ্ম  ২. বর্ষা  ৩. শরৎ  ৪. হেমন্ত  ৫. শীত  ৬.  বসন্ত।

    প্রশ্ন: শরৎ ঋতু সম্পর্কে তিনটি বাক্য লিখ?
    উত্তর: শরৎ ঋতু সম্পর্কে তিনটি বাক্য নিচে দেয়া হলো।
            ১. ভাদ্র ও আশ্বিন মাস মিলে হয় শরৎ ঋতু।
              ২. এ ঋতুতে আকাশের রং হয়ে ওঠে গাঢ় নীল।
              ৩. বাতাসে শিউলি ফুলের মিষ্টি গন্ধ পাওয়া যায়।

৫। বিপরীত শব্দ:
   

 মূল শব্দ

 বিপরীত শব্দ

 মূল শব্দ

 বিপরীত শব্দ

 রাত

 দিন

 ক্ষতি

 লাভ

 দেশ

 বিদেশ

 গাঢ়

 পাতলা

 ছোটা

 থামা

 হালকা

ভারী 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 
    রাত        = দিন।                                                        ক্ষতি        = লাভ।
    দেশ        = বিদেশ।                                                      গাঢ়         =  পাতলা।
    ছোটা      = থামা।                                                       হালকা      = ভারী।
    সাদা        = কালো।                                                     রোদ         = বৃষ্টি।
    শীত        = গ্রীষ্ম।                                                       অল্প          = প্রচুর।
    গরম        = ঠান্ডা।                                                     কম          = বেশি।
    যুদ্ধ         = শান্তি।                                                       শুরু         = শেষ।
    বেশি       = কম।                                                        বন্ধু    = শত্রু।
    ঘন         = তরল।                                                       সকাল       = বিকাল।
    ঢাকা       = খোলা।                                                      গ্রাম         = শহর।
    মুক্তিসেনা     = শত্রুসেনা।                                           সুখ          = দুঃখ।
    জীবন      = মরণ।                                                         আলসে      = কর্মঠ।
    শত্রু        = মিত্র।                                                          নতুন        = পুরাতন।
    সঞ্চয়       = অপচয়।                                                     মিষ্টি         = টক।
    গরিব       = ধনী।
  

৬। যুক্ত বর্ণ আলাদা করে শব্দ গঠন:

 যুক্ত বর্ণ

 যুক্ত বর্ণ বিশ্লেষন

 ২ টি করে শব্দ গঠণ

ক্ক
ক্ত
ক্ষ
জ্ঞ
ঞ্চ
ট্ট
ত্ত
দ্ধ
ন্ঠ
ন্ত
ন্দ
ন্ধ
প্ত
ব্ব
ম্প
ম্ভ
ল্ল
শ্চ
ষ্ট
স্ত
স্থা
স্প
স্ব
 ম্ম
ন্ম
ত্ন
দ্ভ
ত্র
ক্ষ্ম
ত্ত্ব
ন্ত্র
ক+ক
ক+ত
ক+ষ
জ+ঞ
ঞ+চ
ট+ট
ত+ত
দ+ধ
ন+ঠ
ন+ত
ন+দ
ন+ধ
প+ত
ব+ব
ম+প
ম+ভ
ল + ল
শ+চ
ষ+ট
স+ত
স+থ
স+প
স+ব
ম+ম
ন+ম
 ত+ন
দ+ভ
ত+র
ক+ক্ষ+ম
 ত+ত+ব
 ন+ত+র
মক্কা, ধাক্কা
মুক্ত, যুক্ত
ক্ষমা, ক্ষতি
বিজ্ঞান, অজ্ঞান
পঞ্চম, পঞ্চাশ
ছোট্ট, ভূট্টা
উত্তম, উত্তর
সিদ্ধ, বদ্ধ
কন্ঠ, লুন্ঠন
শান্ত, দিগন্ত
আনন্দ, পছন্দ
বন্ধন, সন্ধান
সুপ্ত, সপ্তম
আব্বা, মহব্বত
সম্পদ, সম্পর্ক
সম্ভব, আরম্ভ
আল্লাহ, কেল্লা
পশ্চিম, পশ্চাৎ
কষ্ট, নষ্ট
রাস্তা, সস্তা
স্থান, সুস্থ
স্পর্ধা, স্পর্শ
স্বদেশ, স্বাধীন
আম্মা, মুহাম্মদ
জন্ম, তন্ময়
রত্ন, যত্ন
উদ্ভব, সদ্ভাব
ছাত্র, মাত্র
লক্ষ্মি, সূক্ষ্ম
 তত্ত্ব, মহত্ত্ব
যন্ত্র, মন্ত্র
    

৮.  ছড়া/কবিতা লেখা কবির নাম সহ।
         
(১) ট্রেন।   (২) প্রার্থনা   (৩) কাজের আনন্দ।
          
৯.  বাংলা ব্যাকরণ অংশ:
প্রশ্ন: বর্ণ কাকে বলে? বর্ণ কত প্রকার ও কি কি?    উত্তর: মনের ভাব লিখে প্রকাশ করার জন্য মানুষের উচ্চারিত ধ্বনিগুলোর যেসব চিহ্ন বা প্রতীক ব্যবহার করা হয়, সেগুলোকে বর্ণ বলে।
বাংলা বর্ণগুলো দুই ভাগে বিভক্ত। যথা: ক. স্বরবর্ণ ও খ. ব্যঞ্জন বর্ণ।

প্রশ্ন: বর্ণমালা কাকে বলে?
উত্তর: বাংলা ভাষায় ব্যব  ত বর্ণগুলোকে একত্রে বর্ণমালা বলে।
প্রশ্ন: যুক্তবর্ণ কাকে বলে?
উত্তর: বাংলা ভাষায় এমন অনেক বর্ণ আছে যেগুলো অন্য বর্ণের সাথে যুক্ত হয়ে একটি নতুন বর্ণের সৃষ্টি করে। এ নতুন বর্ণটিকে যুক্তবর্ণ বলে। যেমন: ক+ত = ক্ত, গ+ ধ = গ্ধ ইত্যাদি।
   

প্রশ্ন: ধ্বনি কাকে বলে? ধ্বনি কত প্রকার ও কি কি?

    উত্তর: মনের ভাব প্রকাশের জন্য যে আওয়াজ করা হয়, তাকে ধ্বনি বলে।
    বাংলা ভাষার ধ্বনিগুলো দুই ভাগে বিভক্ত। যথা ক. স্বরধ্বনি  ও খ.  ব্যঞ্জনধ্বনি।

    প্রশ্ন: শব্দ কাকে বলে।
    উত্তর: দুই বা ততোধিক ধ্বনি বা বর্ণ মিলিত হয়ে কোনো অর্থ
          প্রকাশ করলে তাকে শব্দ বলে। যেমন- বল, বই, কলম ইত্যাদি।

    প্রশ্ন: বাক্য কাকে বলে? বাক্যের কয়টি অংশ ও কি কি?
    উত্তর: দুই বা ততোধিক শব্দ পাশাপাশি বসে মনের একটি পূর্ণ ভাব প্রকাশ
              করলে তাকে বাক্য বলে। প্রতিটি বাক্যে দুটি অংশ থাকে।
              যথা: ১. উদ্দেশ্য ও  ২. বিধেয়।

    প্রশ্ন: পদ কাকে বলে? পদ কত প্রকার ও কি কি?
    উত্তর: বাক্য ব্যবহৃত প্রতিটি বিভক্তিযুক্ত শব্দকে পদ বলে। পদ পাঁচ প্রকার।
    যথা: ১. বিশেষ্য  ২. বিশেষণ,  ৩. সর্বনাম,  ৪. অব্যয়,  ৫. ক্্িরয়া।
   
Previous Post Next Post

نموذج الاتصال