চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্নোত্তর খাদ্য
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর
০১। ভিটামিন ‘স’ এর উৎস কী?উত্তর: ভিটামিন ‘সি’ এর উৎস হলো বিভিন্ন ধরনের ফল, যেমনÑ পেয়ারা, আমলকী, কমলা, লেবু এবং শাকসবজি, যেমনÑ টমেটো, বাঁধাকপি, ব্রোকলি ইত্যাদি।
০১। ভিটামিন ‘এ’ এর কাজ কী?
উত্তর: ভিটামিন ‘এ’ এর কাজ হলো স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি বজায় রাখা, সুস্থ ত্বক ও দাঁত গঠন করা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করা।
০১। ভিটামিনের অভাবে হতে পারে এমন তিনটি রোগের নাম লেখ।
উত্তর: ভিটামিনের অভাবে হতে পারে এরূপ তিনটি রোগ হলোÑ
(র) ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবে রাতকানা।
(রর) ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স এর অভাবে বেরিবেরি এবং
(ররর) ভিটামিন ‘স’ এর অভাবে স্কার্ভি হয়।
অতিরিক্ত সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর:
০১। পুষ্টি উপাদান কত প্রকার?
উত্তর: পুষ্টি উপাদান পাঁচ প্রকার।
০১। কোন ভিটামিনের অভাবে অ্যানিমিয়া হয়?
উত্তর: ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স এর অভাবে অ্যানিমিয়া হয়।
০১। ভিটামিন ‘কে’ এর উৎস কী?
উত্তর: ভিটামিন ‘কে’ এর উৎস হলো পাতাবিশিষ্ট সবুজ শাকসবজি, পালংশাক, টমেটো, বাঁধাকপি, সয়াবিন, ঢেঁড়স ইত্যাদি।
০১। ভিটামিনের অভাবে কী হয়?
উত্তর: বিটামিনের অভাবে বিভিন্ন রোগ, যেমনÑ রাতকানা, মুখের ঘা, রিকেটস, বেরিবেরি ইত্যাদি রোগ হয়।
০১। কোন কোন খাদ্যদ্রব্য হতে শর্করা পাওয়া যায়?
উত্তর: চাল, গম, আলু, ভুট্টা ইত্যাদি খাদ্যদ্রব্য হতে শর্করা পাওয়া যায়।
০১। খাদ্য কী?
উত্তর: যেসব দ্রব্য শরীরের পুষ্টিসাধন করে তাকে খাদ্য বলে।
০১। ভিটামিনের অভাবজনতি রোগগুলোর নাম উল্লেখ কর।
উত্তর: ভিটামিনের অভাবজনিত রোগগুলো হলো মুখে ঘা, শিশুর পায়ের হাড় বেঁকে যাওয়া, রাতকানা, রিকেটস ইত্যাদি।
০১। উদ্ভিজ্জ আমিষ কাকে বলে?
উত্তর: যেসব আমিষ উদ্ভিদদেহ থেকে পাওয়া যায় তাকে উদ্ভিজ্জ আমিষ বলে।
০১। প্রাণিজ আমিষ কাকে বলে?
উত্তর: যেসব আশি প্রাণিদেহ থেকে পাওয়া যায় তাকে প্রাণিজ আমিষ বলে।
০১। ভিটামিন কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর: দেহে সুনির্দিষ্ট কাজ ও বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ভিটামিন ছয় প্রকার। যথা: ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’, ‘ডি’, ‘ই’ এবং ‘কে’।
বর্ণনামূলক প্রশ্নোত্তর:
০১। সুষম খাদ্য কেন প্রয়োজন ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: সুষম খাদ্যের এক একটি খাদ্য উপাদান এক একটি কাজ করে। সুষম খাদ্য দেহের ক্ষয়পূরণ, দেহের বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি প্রবৃতিতে সহায়তা করে। এছাড়া সুষম খাদ্য শরীরে প্রয়োজনীয় কাজের শক্তি জোগায়। পরিমিত সুষম খাবার না খেলে মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হয়। তাই সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য সুষম খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
০১। পর্যাপ্ত পুষ্টি উপাদান পাওয়ার সহজ উপায় বর্ণনা কর।
উত্তর: পর্যাপ্ত পুষ্টি উপাদান পাওয়ার সহজ উপায় হলো সহজ ও স্বল্পমূল্যের সুষম খাদ্য গ্রহণ। সুষম খাদ্যে শর্করা, আমিষ, চর্বি, ভিটামিন এবং খনিজ লবণ এই পাঁচ ধরনের পুষ্টি উপাদানই থাকে। বিভিন্ন দরনের খাদ্যে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান যেমনÑ ভাত, রুটি, চিনি, মধু ইত্যাদিতে শর্করা; মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, কলিজা, ডাল, শিমের বিচি ইত্যাদি আমিষ; ঘি, মাখন, গরু ও খাসির চর্বি, তেল ইত্যাদিতে চর্বি এবং শাক-সবজি ফলমূল ইত্যাদি ভিটামিন ও খনিজ লবণ। এছাড়া এ সকল পুষ্টি উপাদানের পাশাপাশি নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করতে হবে। নলকূল থেকে বা অন্য কোনো উৎসের পানি ফুটিয়ে সহজেই নিরাপদ পানি পাওয়া যায়।
০১। ভিটামিন ‘এ’ এর পঁচাটি কাজ উল্লেখ কর।
উত্তর: ভিটামিন ‘এ’ এর পাঁচটি কাজ নি¤েœ উল্লেখ করা হলোÑ
(র) দৃষ্টি শক্তি স্বাভাবিক রাখা।
(রর) খাদ্যদ্রব্য পরিপাকে সহায়তা করা।
(ররর) রক্তের স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখা।
(রা) দেহের পুষ্টি ও বৃদ্ধিতে সাহায্য করা।
(া) দেহকে বিভিন্ন সংক্রামক রোগের হাত থেকে রক্ষা করা।
০১। ভিটামিনের প্রকারভেদ লেখ। ভিটামিনের চারটি কাজ লেখ।
উত্তর: ভিটামিন ছয় প্রকার। যথাÑ ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’, ‘ডি’, ‘ই’ এবং ‘কে’।
ভিটামিনের চারটি কাজ হলোÑ
(র) দেহ কার্যক্ষম রাখতে সাহায্য করে।
(রর) দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
(ররর) দেহের বৃদ্ধিসাধনে সাহায্য করে।
(রা) চোখ ও হাড়সহ দেহের বিভিন্ন অঙ্গের কাজ সম্পাদনে সহায়তা করে।
০১। আমিষ জাতীয় খাদ্য কী? আমিষ জাতীয় খাদ্যের প্রকারভেদ উল্লেখ কর। আমিষ জাতীয় খাদ্যে উৎস তিনটি বাক্যে লেখ।
উত্তর: যে খাদ্য দেহের গঠন, বৃদ্ধিসাধন ও ক্ষয়পূরণ করে তাকে আমিষ জাতীয় খাদ্য বলে।
উৎস অনুযায়ী আমিষ জাতীয় খাদ্য দুই প্রকার। যথাÑ
(র) উদ্ভিজ্জ আমিষ এবং
(রর) প্রাণিজ আমিষ।
আমিষ জাতীয় খাদ্যের উৎস তিনটি বাক্যে লেখা হলোÑ
আমিষ জাতীয় খাদ্য উদ্ভিদ ও প্রাণী উভয় উৎস থেকে পাওয়া যায়। উদ্ভিদ থেকে আমরা যেসব আমিষ জাতীয় খাদ্য পেয়ে থাকি যেমনÑ ডাল, শিম, মটরশুঁটি, বরবটি প্রবৃতি তাকে উদ্ভিজ্জ আমিষ বলে। প্রাণী থেকে আমরা যেসব আমিষ জাতীয খাবার পেয়ে থাকি যেমনÑ মাছ, মাংস, ডিম, দুধ প্রভৃতি তাকে প্রাণিজ আমিষ বলে।
০১। খাদ্যের ভিটামিন কোন কোন রোগ প্রতিরোধ করে তা পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর: খাদ্যের ভিটামিন দেহকে বিভিন্ন রোগমুক্ত রাখে। যেমনÑ ভিটামিন ‘এক’ শিশুদের রাতকানা রোগ হতে রক্ষা করে। ভিটামিন ‘ডি’ রিকেটস রোগ বা হাড় বেঁকে যাওয়া হতে রক্ষা করে। ভিটামিন ‘ই’ রক্তকোষগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে রক্ষা করে এবং ভিটামিন ‘কে’ রক্ত জমাটবাঁধার ক্ষমতা বাড়ায়। ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স বেরিবেরি, মুখে ও জিহ্বায় ঘা, অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা থেকে রক্ষা করে। ভিটামিন ‘সি’ স্কার্ভি, দাঁতের মাড়ির অসুখ হতে রক্ষা করে।
০১। খাদ্যের উপাদান কয়টি? খাদ্যের উপাদানগুলোর নাম লেখ। খাদ্যের উপাদানগুলোর মধ্যে যেকোনো তিনটি উৎস লেখ।
উত্তর: খাদ্যের উপাদান ছয়টি। খাদ্যের উপাদানগুলো হলো শর্করা, আমিষ, ¯েœহ ও চর্বি, ভিটামিন, খনিজ লবণ এবং পানি। খাদ্যের উপাদানগুলোর মধ্যে নিচে তিনটি খাদ্য উপাদানের উৎস দেওয়া হলোÑ
শর্করা: চাল, গাম, আলু, ভুট্টা, মধু, চিনি, চিড়া, মুড়ি ইত্যাদি।
আমিষ: মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, ডাল, মটর, ছোলা, শিমের বিচি ইত্যাদি।
¯েœহ বা তেল: ঘি, মাখন, চর্বি, বাদাম, সয়াবিন তেল, সরিষার তেল, নারিকেল তেল ইত্যাদি।
০১। আদর্শ খাদ্য তালিকা সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখ।
উত্তর: আদর্শ খাদ্য তালিকা আমাদের প্রতি বেলার খাবারে প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টি উপাদান রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করে। এই খাদ্য তালিকা থেকে আমরা বুঝতে পারি প্রতি বেলায় কোন খাদ্য কতটুকু খেতে হবে। এ খাদ্য তালিকা অনুযায়ী আমাদের প্রতি বেলার মোট খাবারের প্রায় অর্ধেক শাকসবজি ও ফল খেতে হবে। অল্প পরিমাণে তেল ও চর্বি জাতীয় খাবার খেতে হবে। এর সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণ নিরাপদ পানি পান করতে হবে।