রাজধানীর রামপুরার ডিআইটি রোডে অনাবিল পরিবহনের একটি বাসচাপায় মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয় (১৭) নামে এক শিক্ষার্থী মারা গেছেন। এ সময় মাইনুদ্দিনের সঙ্গে তার দুলাভাই সাদ্দামও ছিলেন। তিনি আহত অবস্থায় বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পরপরই উত্তেজিত জনতা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করেছে । এ সময় জনতা অনাবিল পরিবহন, রাইদা, ভিক্টর পরিবহনসহ অর্ধ শতাধিক বাস ভাংচুর করে এবং কয়েকটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়।
সোমবার রাত আনুমানিক ১০.৩০ মিনিটের দিকে রামপুরা কাঁচা বাজার ও টেলিভিশন ভবনের মাঝামাঝি সোনালী ব্যাংকের সামনে পলাশবাগ রাস্তার মুখে এ দূর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, অনাবিল পরিবহনের একটি বাসচাপায় রামপুরা কাঁচা বাজার ও টেলিভিশন ভবনের মাঝামাঝি সোনালী ব্যাংকের সামনে পলাশবাগ রাস্তার মুখে একজন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা সড়ক অবরোধ করে বেশ কয়েকটি বাস ভাংচুর করে ও কয়েকটিতে আগুন দিয়েছে।নিহত কিশোর ছাত্রের নাম মাঈনুদ্দীন। সে এবার স্থানীয় রামপুরা একরামুন্নেসা স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, বাসের চাকায় ওই শিক্ষার্থীর মাথা একেবারে থেতলে গেছে। গলা থেকে মাথার কোন চিহ্লই অবশিষ্ট নেই। পরে ঘটনাস্থলে উত্তেজিত জনতা অনাবিল পরিবহনের বাসটিসহ বেশ কয়েকটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়।
রামপুরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ মারুফ বলেন, 'রাত ১০.৩০ এর দিকে রামপুরা কাঁচা বাজারের সামনে অনাবিল বাসের চাপায় একজন নিহত হন। নিহতের সম্পূর্ণ পরিচয় এখনো জানা যায়নি। তবে এটুকু জানা গেছে, নিহতের বাসা পূর্ব রামপুরা তিতাস রোড এ। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা কয়েকটি বাসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। ফায়ার সার্ভিসকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে।'
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদর দফতর কন্ট্রোল কর্মকর্তা লিমা খানম বলেন, রামপুরায় কয়েকটি বাসে আগুন দিয়েছে জনতা। খবর পেয়ে তাদের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদর দফতর কন্ট্রোল কর্মকর্তা লিমা খানম বলেন, রামপুরায় কয়েকটি বাসে আগুন দিয়েছে জনতা। খবর পেয়ে তাদের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গেছে।