------------------------------------------------------------------------------------------
কারোনা ভাইরাস! চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বী মিয়া জানান; কা’রোনাভাই’রাস সং’ক্রমণের ক্ষেত্রে বন্দর নগর চট্টগ্রাম জেলা এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি ঝুঁ’কিতে আছে । কেননা আমাদের দুটি বন্দর, ১)একটি বিমানবন্দর ও ২)অপরটি সমুদ্র বন্দর। দু’টি বন্দর দিয়েই সং’ক্রমণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তাই এন্ট্রি পয়েন্টেই যদি সং’ক্রমণকারীকে ঠেকিয়ে দেয়া না যায়, তাহলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে না বলে ধারণা করা যাচ্ছে।’
১)একটি বিমানবন্দর
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বী মিয়া জানান; ইতালিফেরত প্রবাসীদের কারণে চট্টগ্রামে ঝুঁকির পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে । ১৬ মার্চ সোমবার বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ‘হাম-রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২০’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন। সিভিল সার্জন তিনি বলেন, ‘আমাদের শাহ আমানত বিমানবন্দরে ইতিমধ্যেই থা’র্মাল স্ক্যানার বসানো হয়েছে। ক’রোনাদু’র্গত এলাকার মধ্যে ইতালি থেকেই সবচেয়ে বেশি প্রবাসীরা ফিরছেন। সাধারণত একজন ক’রোনা আ’ক্রান্ত রোগীর উপসর্গ দেখা দিতে ২ থেকে ১৪ দিন সময় লাগে। তাই বিমানবন্দরে স্ক্রি’নিংয়ে ক’রোনায় সং’ক্রমিত ব্যক্তি বেরিয়েও যেতে পারে। এ সব কারণে আমরা বিমানবন্দর থেকে প্রতি মুহূর্তে আপডেট তথ্য নিচ্ছি এবং প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে কাজ করছি।’
ফজলে রাব্বী মিয়া, ‘এছাড়া করোনাদুর্গত এলাকা থেকে আগত প্রবাসীদের কারও যদি শরীরে তাপমাত্রা বেশি পাওয়া যায় তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই বিমানবন্দর থেকে তাকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’হোম কোয়ারেন্টাইনের বিষয়ে সিভিল সার্জন বলেন, ‘চট্টগ্রামের হোম কোয়ারেন্টাইন তদারকিতে একটি শক্তিশালী কমিটি কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘হোম কোয়ারেন্টাইনের ক্ষেত্রে পরিবারকে বেশি সচেতন হতে হবে। প্রবাস থেকে আগত সদস্যকে একটি আলাদা ঘরে ১৪ দিনে জন্য আলাদা করে রাখতে হবে। বাড়ির পাশের মানুষদের বলব, আপনারা প্রবাসীদের শ’ত্রু ভাববেন না। তারা তো দেশের জন্যই অর্থ উপার্জন করেন। তারা মূলত, একটি বৈশ্বিক পরিস্থিতির শিকার। তাই তাদের সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করুন। প্রয়োজনে তাদের পরিবারের সদস্যদের বাজার-সদাই করে দিন। এ ক্ষেত্রে যোগাযোগ হবে অবশ্যই মোবাইলে। কোনোভাবেই যেন তারা রেসিজমের (বর্ণবাদ) শিকার না হন।’
২)অপরটি সমুদ্র বন্দর:
যেহেতু এটি একটি ভয়াবহ রোগ। কেননা এর ভয়াবহের মূল কারণই হচ্ছে এটি এক ধরণের ছোয়াচে রোগ,যা অতি দ্রুত একজনের থেকে অন্যজনের নিকট ছরিয়ে পরছে। চীন থেকে ভয়াবহ আকারে ছড়ানো করোনাভাইরাস ভারতীয় বিস্তার লাভ করেছে বাংলাদেশেও । তাই করোনা প্রকোপ ঠেকাতে সকল অঞ্চলেরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
গণজমায়েত বন্ধ করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হলেও মানুষ এটিকে ছুটি কাটানোর উপলক্ষ্য হিসেবে বেছে নিয়েছেন। ফলে বর্তমানে ভিড় বাড়ে চলেছে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে। পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলী শাহ এ তথ্য প্রকাশ করে হতাশা ব্যক্ত করেছেন। পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলী শাহ বলেন, রাজ্যকে করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত রাখতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে।
কিন্তু মানুষকে শুরু থেকেই সমুদ্র সৈকতে ভিড় করতে দেখা যাচ্ছে।এর মধ্যে মুরাদ আলী শাহ আরও জানান, মানুষের প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়া কোনভাবেই মেনে নেয়া হবে না।সেটি করলে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলেও হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। এছাড়া সমুদ্রবন্দরে হ্যান্ড থা’র্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হচ্ছে।
-----------------------------------------------------------------------------------------
আমাদের এ লেখাটি যাদ আপনার ভালে লাগে, তাহলে অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকবেন। যদি আরো কিছু জানার থাকে তাহলে আমার এই পোস্টের নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করবেন, আমি আমার সাধ্যমত আপনাদেরকে সঠিক তথ্যটি জানানোর চেষ্টা করব। আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক বাটন ক্লিক করে পরবর্তী নিউজের সাথে আপডেট থাকবেন। বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ সবাইকে। ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
Image Source: www.google.com