সৌদিগামী ৬৮ বাংলাদেশিকে ফিরতে হচ্ছে বিমানবন্দর থেকেই

চীনে মহামারী রূপ নেওয়ার পর বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। এরই মধ্যে বিশ্বের ৯৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। আর এই করোনাভাইরাসের কারণেই যাতায়াত বন্ধ করায় বাহরাইন বিমানবন্দরে আটকা পড়েছেন সৌদি আরবগামী ৬৮ বাংলাদেশি। ০৯ মার্চ সোমবার ২০২০ইং ট্রানজিট যাত্রী হিসেবে বাহরাইনে অবতরণ করেন তাঁরা। সংযোগ ফ্লাইটে তাঁদের কর্মস্থল সৌদি আরবে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সৌদি আরব আগেই বাহরাইনের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।



ওই ৬৮ যাত্রীর মধ্যে ৬২ জন পুরুষ ও ৬ জন নারী। তাঁদের মধ্যে ১৫ জন নতুন ভিসায় ও ৫৩ জন দেশে ছুটি কাটিয়ে নিজ কর্মস্থলে ফিরছিলেন বলে জানা যায়। সৌদি আরব যেতে না পারায় তাঁদের বাংলাদেশে ফেরত আসতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে বাহরাইনে বাংলাদেশ দূতাবাসের লেবার কাউন্সেলর শেখ মো. তৌহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, ‘সোমবার কয়েকজন যাত্রীকে গালফ এয়ারে করে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। এবং অন্যদের মঙ্গলবার রাতের ফ্লাইটে বাংলাদেশে পাঠানো হবে।’

বাহরাইনের স্থানীয় সময় সোমবার ভোর সোয়া পাঁচটার দিকে গালফ এয়ারের একটি ফ্লাইটে করে ট্রানজিট যাত্রী হিসেবে বাংলাদেশের এই নাগরিকেরা বাহরাইনে অবতরণ করেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ প্রতিরোধে বাহরাইনসহ ১৪টি দেশ থেকে সব ধরনের আকাশপথ, স্থলপথ ও নৌপথে যোগাযোগ স্থগিত করে সৌদি আরব। ফলে এই ৬৮ বাংলাদেশি বাহরাইন বিমানবন্দরে আটকা পড়েন।

আটকে পড়া বাংলাদেশি মোহাম্মদ খোরশেদ জানান, তিনি ১০ বছর সৌদি আরব আছেন। তিন মাসের ছুটিতে বাংলাদেশে যান। বর্তমান ভিসার মেয়াদ মাত্র চার দিন বাকি আছে। এ সময় এই বিড়ম্বনায় চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে আছেন।


যশোরের মাহফুজা আক্তার ও কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, তিনি লক্ষাধিক টাকা ঋণ নিয়ে কাজের জন্য প্রথমবারের মতো সৌদি আরব যাচ্ছেন। কিন্তু এখন দেশে ফিরে গেলে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। এমনটা হলে ভিটেমাটি বিক্রি করা ছাড়া আর পথ দেখছেন না তিনি।

লেবার কাউন্সেলর শেখ মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘খবর আসা মাত্র আমরা এয়ারপোর্টে যোগাযোগ করে আটকে পড়া যাত্রীদের খাবারদাবারের ব্যবস্থা করি। গালফ এয়ার লাইনসের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করি।’

রিয়াদে অবস্থানরত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যেহেতু মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের থেকে সৌদি আরবের ফ্লাইট বন্ধ, সেহেতু সৌদি আরবে কেউ ফেরত আসতে চাইলে সরাসরি ঢাকা থেকে সৌদি আরব এলে কোনো ধরনের সমস্যা হবে না। অন্যথায় তাঁরা ভোগান্তিতে পড়তে পারেন। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যদি এই সাময়িক নিষেধাজ্ঞাকালে কারও ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ হয়, তবে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে জোর প্রচেষ্টা চালানো হবে যাতে ওই প্রবাসীকে ফেরত আনা যায়।

আমাদের এ লেখাটি যাদ আপনার ভালে লাগে, তাহলে অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকবেন। যদি আরো কিছু জানার থাকে তাহলে আমার এই পোস্টের নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করবেন, আমি আমার সাধ্যমত আপনাদেরকে সঠিক তথ্যটি জানানোর চেষ্টা করব। আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক বাটন ক্লিক করে পরবর্তী নিউজের সাথে আপডেট থাকবেন। বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ সবাইকে। ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

Image Source: www.google.com
Previous Post Next Post

نموذج الاتصال