বর্তমানে বড়দের দেখে ফ্যাশন-সচেতন হচ্ছে শিশুরাও। একেকজনের পছন্দ যেন একেক রকম হয়ে থাকে। কারও জিন্স বা টুইলের সাথে শার্ট পছন্দ, তো কারও পলো-শার্ট। ছোট্ট মামনির চাই রঙিন ফ্রক বা তাতে ফুলেল নকশা আছে কি না, স্কার্টের ঘের কতখানি? সবই পছন্দসই হওয়া চাই। সব ছাপিয়ে অভিভাবকেরা অবশ্য শিশুর আরাম ও স্বাচ্ছন্দ্যবোধের ওপর জোর দেন। এখন বসন্তকালীন গ্রীষ্মের সময় অনেক বেশি ঘরোয়া পার্টি বা অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। তাই এখন বড়দের পাশাপাশি ছোটদেরও দরকার হয় ফ্যাশনেবল পোশাকের।
এসময়টায় শিশুদের পোশাকের ট্রেন্ড নিয়ে কথা বলেন জেন্টল পার্কের চেয়ারম্যান ও চীফ ডিজাইনার শাহাদাৎ হোসেন বাবু। তিনি বলেন, আমরা বাড়ির ছোট্ট সোনামনিদের জন্য নতুন ব্র্যান্ড এনেছি, নাম পাপপা । জেন্টল পার্ক স্টোরেই শূন্য থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত শিশুদের জন্য পোশাক মিলবে এখানে। এবার গরমের সময় হালকা কাজের সুতি ও নিটের কাপড়ের ওপর পোশাক তৈরি করা হয়েছে। রঙের ক্ষেত্রে উজ্জ্বল ও হালকা উভয়ই প্রাধান্য পেয়েছে। ছেলে শিশুদের জন্য ডেনিম ও জিন্স প্যান্টের পাশাপাশি টুইলের প্যান্টও রাখা হয়েছে।
এসব কাপড় শিশুদের জন্য আরামদায়ক। ফুলপ্যান্ট, থ্রি কোয়ার্টারের মধ্যে নানা শেডের প্যান্ট পাবেন। টি-শার্ট, খাটো হাতার শার্ট ও পোলো শার্টও থাকছে। টি-শার্টে নানা ধরনের কার্টুন- মোটিফসহ নকশার ব্যাবহার করা হয়েছে। এসময়ে ফুলেল মোটিফের শার্টও পরতে পারে শিশুরা। পলো শার্টও মিলবে বড়দের মতোই নিট ডিজাইনে। মেয়ে শিশুদের পোশাকে পাশ্চাত্য কাট ছাড়াও থাকবে দেশীয় ডিজাইনের অনুপ্রেরণা।
শাহাদাৎ হোসেন বাবু আরও জানান, গতবারের মতো এবারও মেয়েশিশুদের স্কার্টে কয়েক স্তরের ঘের থাকছে। ফ্রকে ব্যবহার হয়েছে সাটিন, লেইস ও ফ্রিল। তাতে ব্যবহার হচ্ছে রং-বেরঙের নকশা। মেয়ে শিশুদের জন্যও থাকছে প্যান্ট-টপস। টিউনিকের মতো টপসের সঙ্গেও লেগিংস পরতে পারবে। ছেলেশিশুদের পাঞ্জাবিতে এবার বোল্ড মোটিফ থাকছে। অর্থাৎ সব মোটিফই একটু বড় আকৃতির।
ডিজাইনার শাহীন আহম্মেদ জানান, এবার অঞ্জন’স ছোটদের পোশাকগুলোতে বড় পরিবর্তন আসবে হেমলাইন আর নেকলাইনে। লেয়ার থাকবে, হাই-লো কাট থাকবে, পাশাপাশি পোশাকে পছন্দের খেলনার মতো অনুষঙ্গগুলোও যোগ হতে পারে। পোশাকে বেশি থাকবে নীল, হলুদ, কালো, রানি কমলার মতো উজ্জ্বল রং। মেয়েদের সিঙ্গেল ও টু পিসের পাশাপাশি ছেলেদের জন্য থাকছে আফগানি প্যান্ট, ফতুয়া, বডি ফিটেড পাঞ্জাবি।
তবে শিশুর পোশাক যতই আধুনিক হোক, টেকসই রং আর আরামের কথা মাথায় রেখে পোশাক বেছে নেওয়ার পরামর্শ দিলেন ডিজাইনাররা। কেমন পোশাকে আরামদায়ক হবে শিশুর এসময়ের ফ্যাশন তা নিয়ে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ডিজাইনারদের কথার সূত্র ধরেই এবার থাকছে কিছু গাইডলাইন ট্রিকস।
তন্তু: সুতি কাপড় বাতাস চলাচলে সক্ষম এবং দ্রুত পানি শোষণ করতে পারে। শিশুরা যেহেতু বেশি ছোটাছুটি করে তাই ঘাম হয় বেশি। একারণে গরমকালে শিশুদের পোশাক নির্বাচনে সুতির কাপড় বেছে নিন। বিভিন্ন ধরনের ভয়েল, পাতলা তাঁত কাপড় আরামদায়ক।
রং: গরমকালে শিশুদের হালকা রংয়ের পোশাক যেমন- আকাশি, হালকা সবুজ, হালকা গোলাপি, সাদা, ধূসর, বাদামি ইত্যাদির উপর রঙিন ছাপা বা প্রিন্টের পোশাক বেছে নিতে পারেন। এতে শিশুদের দেখতে বেশ ভালো লাগে। তবে তারা যেহেতু খেলাধুলা বা ছোটাছুটি করে বেশি, তাই রঙিন পোশাক পরাতে চাইলে ব্লুক বা বাটিকের পাতলা সুতি পোশাক বেছে নিতে পারেন।
ছাপা বা প্রিন্ট: শিশুদের জন্য ছোট বা মাঝারি প্রিন্টের পোশাক বেশি মানানসই। ফুল, পাতা, পাখি, জ্যামিতিক নকশা বা বল প্রিন্টের পোশাক পরাতে পারেন। এতে শিশুদের প্রাণবন্ত ও উচ্ছ¡ল লাগে।
পোশাকের ধরণ: ছেলে শিশুদের সুতি কাপড়ের হাফ হাতা বা হাতা কাটা ফতুয়া, শার্ট, টি-শার্ট ইত্যাদি পরাতে পারেন। মেয়ে শিশুদের জন্য সুতি বা লিনেনের ফ্রক, স্কার্ট, শার্ট, টি-শার্ট, টপস ইত্যাদি বেছে নিতে পারেন।
মডেল: সায়ান, আয়াত, আরিশ, আলভিনা ও মানহা
পোশাক: পাপপা ( জেন্টল পার্ক) আলোকচিত্রী: সাগর হিমু
Image Source: www.google.com
আমাদের এ লেখাটি যাদ আপনার ভালে লাগে, তাহলে অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকবেন। যদি আরো কিছু জানার থাকে তাহলে আমার এই পোস্টের নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করবেন, আমি আমার সাধ্যমত আপনাদেরকে সঠিক তথ্যটি জানানোর চেষ্টা করব। আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক বাটন ক্লিক করে পরবর্তী নিউজের সাথে আপডেট থাকবেন। বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ সবাইকে। ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।