ছুটি সীমিত, বন্ধ হবে নববর্ষের সব অনুষ্ঠান: প্রধানমন্ত্রী

করোনাভাইরাস প্রতিরোধের লক্ষ্যে চলমান কার্যক্রম সমন্বয় করতে আয়োজিত ভিডিও কনফারেন্সে দেশে করোনা পরিস্থিতিতে ছুটি বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেক্ষেত্রে আগামী ৯ তারিখ পর্যন্ত ছুটি বাড়বে বলে জানান তিনি। 
 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা অনুযায়ী, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে সরকারের ঘোষণা করা ছুটির মেয়াদ সীমিত আকারে বাড়বে। দেশের ৬৪টি জেলার জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে আজ ৩১ মার্চ মঙ্গলবার সকালে আয়োজিত ভিডিও কনফারেন্সে এ ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এ বছরের নববর্ষের সব অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে। আজ সকাল ১০টায় এ ভিডিও কনফারেন্স শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে কনফারেন্সে যোগ দিয়েছেন।  
 

কোয়ারেন্টাইনের সময় কত তারিখ পর্যন্ত হবে- এ সময় জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। তখন পাশে থেকে কোনো কর্মকর্তা জানান ৯ এপ্রিল পর্যন্ত। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৯ তারিখ পর্যন্ত...এই ছুটিটা সীমিত আকারে আমাদের বাড়াতে হবে। সেটা বাড়ানোর সাথে সাথে আমাদের সীমিত আকারে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে।’ 

সরকারর রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, এ পর্যন্ত দেশে ৪৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন পাঁচজন। মোট ১ হাজার ৩৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি অফিসে টানা ১০ দিনের ছুটি চলছে। আজ ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী নববর্ষের সব অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার অনুরোধ জানান।আর ১৩ দিন পর পহেলা বৈশাখ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নববর্ষের অনুষ্ঠান আমরাই শুরু করেছিলাম। কিন্তু তাও আবার আমাদেরকেই বন্ধ রাখতে হচ্ছে। তাই দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এমন সিদ্ধান্ত দেন প্রধানমন্ত্রী। মানুষের কল্যাণেই এ অনুষ্ঠান না করার অনুরোধ আপনাদের।’ভিডিও কনফারেন্সে জেলা প্রশাসকেরা তাঁদের নিজ নিজ জেলার প্রস্তুতির অবস্থা প্রধানমন্ত্রীকে জানান। তাঁদের কথার সূত্র ধরে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন পরামর্শ দেন।


এ সময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ছুটি ঘোষণার কারণে দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষের সমস্যা হচ্ছে। কৃষক, চা শ্রমিক, হিজড়া, বেদে সম্প্রদায়ের মানুষ বেশি কষ্ট পাচ্ছে। তারা দৈনন্দিন কাজে যেতে পারছে না। তাদের বাঁচিয়ে রাখা আমাদের সামাজিক কর্তব্য। সেখানে ১০ টাকা কেজি চালসহ নানা সহযোগিতা করা হয়েছে। তাদের কাছে সাহায্য ও খাদ্যদ্রব্য পাঠাতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি সবাইকে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। প্রতিটি ওয়ার্ড অনুযায়ী তালিকা করতে হবে। সেই অনুযায়ী সবাই যাতে সাহায্য পায়। কেউ যাতে বাদ না পড়ে।’


কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের বক্তব্যের পর শেখ হাসিনা বলেন, ‘কক্সবাজারে যেন পর্যটক না যেতে পারে, সে বিষয়ে তৎপর থাকতে হবে। আর রোহিঙ্গা শিবির নিয়ে আমাদের বড় চিন্তা। সেখানে যাতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে না পারে, সে ব্যাপারে সচেষ্ট থাকতে পারে।’


আমাদের এ লেখাটি যাদ আপনার ভালে লাগে, তাহলে অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকবেন। যদি আরো কিছু জানার থাকে তাহলে আমার এই পোস্টের নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করবেন, আমি আমার সাধ্যমত আপনাদেরকে সঠিক তথ্যটি জানানোর চেষ্টা করব। আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক বাটন ক্লিক করে পরবর্তী নিউজের সাথে আপডেট থাকবেন। বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ সবাইকে। ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

Image Source: www.google.com

Previous Post Next Post

نموذج الاتصال