পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে শহীদ হলেন যারা

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে কিছু বিপথগামী সেনা ঘাতকের পিস্টনের উল্লাসে বুলেটের আঘাতে শাহাদত বরণ করলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে এই পরিবারের আরও ১৬ জন। যা ইতিহাসে কালো অধ্যায় হিসাবে রয়ে গেছে।




সেই কালো রাতে শহীদ হলেন যারাঃ
১। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
২। বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা
৩। বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে শেখ কামাল
৪। বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় ছেলে শেখ জামাল
৫। বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলে শেখ রাসেল
৬। বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই শেখ আবু নাসের
৭। শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল খুকু
৮। শেখ জামালের স্ত্রী পারভীন জামাল রোজী
৯। বঙ্গবন্ধুর সেজ বোনের স্বামী আবদুর রব সেরনিয়াবাত
১০। বঙ্গবন্ধুর মেজ বোনের বড় ছেলে শেখ ফজলুল হক মনি
১১। শেখ ফজলুল হক মনির অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মনি
১২। বঙ্গবন্ধুর প্রধান নিরাপত্তা অফিসার কর্ণেল জামিল উদ্দিন আহমেদ
১৩। আবদুর রব সেরনিয়াবাতের ছোট মেয়ে বেবী সেরনিয়াবাত
১৪। আবদুর রব সেরনিয়াবাতের কনিষ্ঠ পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত
১৫। আবদুর রব সেরনিয়াবাতের নাতি সুকান্ত আবদুল্লাহ বাবু
১৬। আবদুর রব সেরনিয়াবাতের ভাইয়ের ছেলে শহীদ সেরনিয়াবাত এবং
১৭। আওয়ামী লীগ নেতা আমীর হোসেন আমুর খালাতো ভাই আবদুল নঈম খান রিন্টু।

বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ রেহানা ও শেখ হাসিনা সেই সময় বিদেশ থাকার কারণে প্রাণে বেঁচে যান। ঘাতকেরা তাদেরকেও হত্যার করার জন্য খুঁজছিল। নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের পর সেদিন বাংলার আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে ওঠেছিল। জনমনে নেমেছিল শোকের ছায়া। আজও সেই শোকের ছায়া বয়ে চলছে প্রতিটি বাঙালির হৃদয় জুড়ে। তাইতো শোকাবহ আগস্ট মাস এত বেদনাদায়ক। স্বাধীনতা বিরোধী চক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি। বিচার বন্ধ করার জন্য কালো আইন জারি করেছিল।

বঙ্গবন্ধু পরিবার হত্যায় চক্রান্তকারীগণ
কর্নেল (সেই সময়ে মেজর) সৈয়দ ফারুক রহমান, খন্দকার আবদুর রশীদ, শরীফুল হক (ডালিম), মহিউদ্দিন আহমেদ, এ.কে.এম মহিউদ্দিন আহমেদ, বজলুল হুদা এবং এস.এইচ.এম.বি নূর চৌধুরী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভিজ্ঞতাসম্পন্ন মেজর ছিলেন। বিদেশি গোয়েন্দাদের থেকে ইঙ্গিত পেয়ে তারা সরকারকে উৎখাত করে নিজেদের সামরিক সরকারের শাসন প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করে। মুজিবের মন্ত্রিপরিষদের আওয়ামী লীগের একজন মন্ত্রী, খন্দকার মোশতাক আহমেদ রাষ্ট্রপতির পদ গ্রহণে সম্মত হন। তবে মোশতাক ও সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি চক্রান্তে জড়িত ছিল বলে  সাংবাদিক লরেন্স লিফশুলজ দাবি করেন। কথিত আছে, তৎকালীন সেনাপ্রধান কে এম শফিউল্লাহ, ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স এবং এয়ার ভাইস মার্শাল আমিনুল ইসলাম খান মুজিব হত্যার চক্রান্ত সম্পর্কে অবহিত ছিলেন। -সুত্রঃ উইকিপিডিয়া।
 
অবশেষে বাংলার মাটিতে একটু দেরিতে হলেও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে সফল হতে পারেনি। কারণ বিনম্র শ্রদ্ধা ও স্মরণে বঙ্গবন্ধু প্রতিটি বাঙালির হৃদয় জুড়ে আছে। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার পরিজনের প্রতি বাঙালির হৃদয় নিংড়ানো গভীর ভালবাসা মিশ্রিত দুর্বলতা অনন্তকাল ধরে থাকবে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন মহাসড়কে এগিয়ে চলছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অদম্য বাংলাদেশ।
আমাদের এ লেখাটি যাদ আপনার ভালে লাগে, তাহলে অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকবেন। যদি আরো কিছু জানার থাকে তাহলে আমার এই পোস্টের নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করবেন, আমি আমার সাধ্যমত আপনাদেরকে সঠিক তথ্যটি জানানোর চেষ্টা করব। আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক বাটন ক্লিক করে পরবর্তী নিউজের সাথে আপডেট থাকবেন। বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ সবাইকে। ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
Image Source: www.google.com
Previous Post Next Post

نموذج الاتصال