মিনু
বন্যা
সারা সকাল মিসেস সালমার
বাসায় কাজ করে, তাকে
খালম্মা বলে ডাকে ।
সে মিসেসে সালমার যাবতীয়
কাজে সাহায্য করার চেষ্টা করে
। দিবা শাখার
একটি স্কুলেও সে পড়ে ।
পড়ালেখায় সে পিছিয়ে নেই
। শুধু প্রকৃতির কোনো কিছুর সক্সেগ
তার সখ্য গড়ে ওঠে
নি, সে সময়ই বা
তার কোথায় ? তার নিজের জীবন
আর কাজ নিয়েই সে
ব্যস্ত। প্রকৃতিতে
নয়, নিজের কাজেই সে
শান্তি খুজে পায়। বন্যা
তার কাজ দিয়ে, কথা
দিয়ে মিসেস সালমাকে
এমন আপন করে নিয়েছে
যে, মিসেস
সালমাও বন্যাকে পরিবারের অন্য সদস্যের মতোই
মনে করে।
ক. মিনু কার বাড়িতে
থাকত?
খ, ষষ্ঠ ইনিদ্রয় বলতে
কী বোঝানো হয়েছে ?
গ, অবস্থানগত দিক থেকে উদ্দীপকের
বন্যা ও মিনুর মধ্যে
যে বৈসাদৃশ্য লক্ষ করা যায়। তা
ব্যাখ্যা কর।
ঘ, বন্যার শিক্ষা ছিল
প্রতিষ্ঠানিক , আর প্রকৃতি হচ্ছে
মিনুর পাঠশালা বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্নের উত্তরঃ
ক. মিনু তার দূরসম্পর্কের
এক পিসি অর্থাৎ, খালার
বাড়িতে থাকত ।
খ. ষষ্ঠ ইন্দ্রীয় বলতে
চোখ, নাক, কান, জিহ্বা
, ত্বক এবং ্এর বাইরের
বিশেষ অঙ্গকে ষষ্ঠ
ইন্দ্রীয় বলে। ষষ্ঠ
ইন্দ্রীয় সম্পর্কে লেখক, মিনু গল্পের
চরিত্র মিনু বোবা কালা,
ঠোট নাড়া আর মুখের
ভাব থেকে অন্যরা কি
বলছে সে বুঝতে পারে
। এমন একটি
বিশেষ গুণ বা ক্ষমতা
যার সাহায্যে এমন সব জিনিস মনে
সৃষ্টি করা হয় যার
মানে হয় না ।
গ. উদ্দীপকের বন্যা ও গল্পের
মিনুর মধ্যে অবস্থাগত কিছু
বৈসাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। মিনু
তার দূরসম্পর্কের এক খালার বাসায় আশ্রিত
এবং সেখানে সে
ঘরকন্যার কাজ করে।
আর বন্যা মিসেস সালমার
বাসায় সকালে কাজ করে
এবং মিসেসে সালমাকে খালা
বলে সম্বোধন করে। মিনু
পড়াশুনা করে না।
কিন্তু বন্যা একটি স্কুলে
পড়াশুনা করে। মিনু
বোবা এবং সামান্য কালাও
কিন্তু বন্যা কথা বলতে
পারে। কাজে
অবস্থানগত দিক থেকে উদ্দীপকের বন্যাও
গল্পের মিনুর মধ্যে যে
বেসাদৃশ্য রয়েছে তা স্পষ্ট
হয়ে উঠেছে।
ঘ. উদ্দীপকের বন্যা তার কাজের পাশাপাশি
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা লাভ করেছে। কিন্তু
মিনুর সে অবস্থা হয়
নি। যে প্রকৃতি
থেকেই শিক্ষা লাভ করেছে
বন্যা শুধু কাজ করে
নয়। ভালো
ব্যবহার দিয়েও সবাইকে জয়
করার চেষ্টা অব্যাহত রাখে। প্রাতিষ্ঠানিক
শিক্ষার প্রভাব পরিলক্ষিত হয়।
যার জন্যে কাজকর্মের ফাঁকে ফাঁকে
নিজেকে গড়ার জন্যও সে
সচেষ্ট থাকে। অন্যদিকে
গল্পের মিনু শান্ত প্রকৃতির
মেয় । কখনো
তার পিসিকে খুশি করার
জন্য এমন কিছু করেছ্
েতা ফুটে ওঠে নি। তবে
কর্তব্য কাজে কখনো অবহেলা
করে নি। সকাল
থেকে সন্ধ্যাা অবধি হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে প্রকৃতির মতো
প্রতিদান দিয়েছে উপরিউক্ত আলোচনার আলোকে
বলতে পারি প্রশ্নোক্ত উক্তিটি
যথার্থ ।
প্রশ্ন: ২
পল্লি
প্রকৃতির কোলে বেড়ে ওঠা
বিধবা মায়ের ডানপিটে সন্তান
ফটিক। নতুনের
আকর্ষণে সে চলে আসে
কলকাতার মামার বাড়িতে।
কিন্তু মামি
তাকে মোটেও আপন কে
র নিতে পারে নি.
বরং অনাবশ্রক ঝামেলা মনে করে
তাকে ¯েœহ থেকে
বঞ্চিত করে। একদিকে
প্রকৃতির টান ও মায়ের
ভালোবাসা পাওয়ার আকাক্সক্ষা অন্যদিকে
মামির অবহেলা, অনাদর, তিরস্কার তার
মনেকে পীড়িত করে।
ফলে এ পৃথিবী থেকে
তাকে অসময়ে বিদায় নিতে
হয়।
ক. মিনুর বয়স কত?
খ. শুৃকতারাকে মিনু স্ ুমনে
করে কেন? ব্যাখা কর।
গ. উদ্দীপকের ফটিক ও মিনু
গল্পের মিনুর মধ্যে বৈসাদৃশ্য
ব্যাখ্যা কর ।
ঘ. ফটিক ও মিনুর
পরিণতি ভিন্ন হলেও উভয়ের
বেড়ে ওঠার পরিবেশ ছিল
প্রতিকূল । উক্তিটির
যথার্থতা যাচাই কর।
প্রশ্নের উত্তর:
ক. মিনুর বয়স দশ
বছর।
খ. নিজের প্রতিকুলতার সাথে
তুলনা করে মিনু শুকতারকে
নিজের সই মনে করে। আমাদের
জগৎ সংসার যাদের সাথে
মিল থাকে তাকেই আমরা
বন্ধু করি। আচার,
আচরণ ও চরিত্রের মিলই
একে অপরের আপন করে। তেমনি
মিনুর কাছে ও শুকতারাকে
তার জীবনের সাথে মিলিয়ে সই
মনে করেছে।
গ. উদ্দীপকের ফটিক ও বনফুলের
মিনু গল্পের মিনুর মধ্যে
বেশকিছু বৈসাদৃশ্য রয়েছে। ফটিক
ছিল ডানপিটে আর চঞ্চল কিন্তু
মিনু ছিল নীরব
শান্তশিষ্ট একটি মেয়ে মিনু
বাব মা মরা অনাথ,
ফটিক অনাথ কিন্তু তার
মা আছে। মিনু
পিসির বাসায় আশ্রিত।
অপরদিকে ফটিক মামার বাসায়
পড়াশুনার জন্য গিয়েছিল ।
মিনু পিসির বাসায় ।
গৃহপরিচারিকার কাজ করতে কিন্তু
ফটিকের ক্ষেত্রে তা নয়।
ঘ. সমস্ত গ্রাম চুষে বেড়ানো দুরন্ত ফটিক যখন
কলকাতায় এসে বাঁধা পড়েছ্
ে। আর
মিনু আত্মীয়ের আশ্রয় নিয়েছে। পিতৃমাতৃহীন
মিনু নিরুপায় হয়ে দুর সম্পর্কের
পিসির সংসারে আশ্রয় নিয়েছে। এ
সুযোগ কাজে লাগিয়ে পিসি
এ্ দশ বছরের শিশু মেয়েটিকে
দিয়ে সংসারে সব কাজ
করিয়ে নেয়। তা
বলে সে
জীবনকে তুষ্ট মনে করে
নি, সেভাবে একদিন তার
বাবা ফিরে আসবে ।
সংসারে অমানুষিক পরিশ্রম , আদর যতেœর
প্রত্যাশী, পিতার সাথে সাক্ষাতের
আকাঙক্ষা মিনুকে ধীরে ধীরে তাকে
করুণ পরিণতির দিকে এগিয়ে নিয়ে
যায়। ফটিক
যেভাবে অনাদর, অবহেলা গঞ্জনা সহ্য করে
করুণ পরিণতির দিকে এগিয়ে যায়। এখানে
ফটিক আর
মিনুর করুণ পরিণতির ক্ষেত্র
ভিন্ন হলেও দুজন্ েতাদের
ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রায় বন্ধি
জীবন অতিবাহিত করে । এ
দিক থেকে উক্তিটি
যথার্থ ।
প্রশ্ন ৩ঃ
ছোট্র
মেয়ে নিশি । তার
মা তাকে একটি বাসায় রেখে এসেছে। সেখানে
সে গৃহপরিচারিকার কাজ করে ।
তার বাবা তাকে এবং
তার মাকে ছেড়ে অন্যত্র
চলে গেছে। বাসার দুজন সদস্য
নিশিকে তালাবদ্ধ করে রেখে কাজে
চলে যায়। সারাদিন বন্দী জীবন কাটায় আর
মনে মনে ভাবে তাঁর বাবা
একদিন এসে এখান থেকে
তাকে নিয়ে যাবে।
(ক) মিনুর পিসে মশায়ের
নাম কী ?
(খ) মিনুকে খুব ভোরে
ঘুম থেকে উঠতে হতো
কেন ?
(গ) উদ্দীপকের নিশি আর মিনু
গল্পের মিনুর মধ্যে তুলনা
কর।
(ঘ) মিনুর বাবার প্রতি
ভাবনা আর নিশির বাবার
প্রতি ভাবনা একরূপ নয়Ñ
কথাটির যৌক্তিকতা বিশ্লেণষণ কর।
প্রশ্নের উত্তরঃ
ক. মিনুর পিসে মশায়ের
নাম যোগেন বসাক।
খ. মিনুকে খুব ভোরে
কয়লা ভাঙতে হবে ।
বাসনকোসন পরিষ্কার করতে হবে ।
উনুন জ্বালাতে হবে । এগুলো
সেরে তাঁকে পিসে
মশায় ও পিসিরে জন্য
রান্না করতে হবে ।
মূলত মিনু সকাল বেলা
কাজকর্ম করার জন্য খুব
ভোরে ঘুম থেকে উঠতে
হতো।
গ. উদ্দীপকের নিশি আর মিনু
গল্পের মিনুর মধ্যে বেশকিছু
মিল ও অমিল দেখা
যায়। মিনু
এবং নিশির পরিচয় হলো
দুজনেই গৃহপরিচারিকা। মিনুর
পিতামাতা ক্ েন্ ে। মিন
অনাথা । সে
দুর সম্পর্কের পিসির বাড়িতে আশ্রিত
। সেখানে সে
একজন গৃহপরিচারিকার মতো কাজ করে
। অবস্থার
পরিপ্রেক্ষিতে তাকেও গৃহপরিচারিকর কাজে
যোগ দিতে হয়েছে ।
মিনু তা পিসির ২৪
ঘণ্টার কাজের মেয়ে ।
কিন্তু মিনুকে নিশির মতো
বন্দি অবস্থায়থাকতে হতো না।
সুতরাং
দেখা যায়, নিশির চেয়ে
গল্পের মিনুর ভাবনা ব্যতিক্রম তাদের
ভাগ্যে পার্থক্যে
ইঙ্গত দেয়।
ঘ. পরিস্থিতিই মিনু গল্পের মিনুর
জীবনে অনেক দুঃখ এনে
দিয়েছে। পক্ষান্তরে
নিশির মাÑ বাবাই তার
মনে দুঃখ দিয়েছে।
একটি গৃহপরিচারিকার জীবনকাহিনি চমঃকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন
প্রখ্যাত লেখক বনফুল তার
মিনু গল্পে ।
মিনুকে তার পিসি বলেছিল,
তার বাব বিদেশ গেছে। একদিন
তাকে এসে এখান থেকে
নিয়ে যাবে । প্রকৃতপক্ষে
তার বাব মারা গিয়েছিল
। মিনু তার
পিসির মনে পিসির
মন ভুলানো কথায় ্
বিশ্ব্াস করেছিল । তার
বিশ্বাসজন্মে œছিল কাঁঠালগাছের মরা
ডালটায় যেদিন হলুদ পাখি
বসবে সেদিন তার বাবা
ফিরে আসবে । কিন্তু
তার সে আশা কোনোদিন
পুর্ণ হয়
নি। অপরদিকে
নিশির বাব বেঁচে আছে
কিন্তু তাঁকে ও তার
মাকে ছেড়ে অন্য সংসার
বেঁধেছে। সেক্ষেত্রে
বাবাকে নিয়ে নিয়ে নিশি
যা ভাবত তাও হয়
নি নিশির ভাবনা ও
মিনুর ভাবনা এক্ষেত্রে একরুপ
নয়।
সুতরাং উক্তিটি যথার্থ।
প্রশ্ন:-৩:
দরিদ্র
না হলে কেউ কারও
সন্তানকে অন্যের বাড়িতে ভৃত্যের
কাজ করতে দেয় না
। কিন্তু অবস্থার
চাপে পড়ে অনেকেই সে
কাজটি করতে হয় ।
আর যখনই এ কাজ
করতে যায় তখনই তার
সঙ্গে অমানুষের ন্যায় ব্যবহার করা
হয় । ক্ষেত্রবিশেষে
শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারও
করা হয় । এমনকি
তাদেরকে করুণ পরিণতির দিকে
ঠেলে দেওয়া হয় ।
(ক) মিনু কয়টার সময়
ঘুম থেকে জেগে উঠত
?
(খ) মিনু কাঁঠাল গাছের
সরু ডালটার দিকে সাগ্রহে
চেয়ে থাকত কেন?
(গ) উদ্দীপকটির বক্তব্য মিনু গল্পের মিনু
চরিত্রটির ক্ষেত্রে কতটুকু প্রযোজ্য মন্তব্য
কর।
(ঘ)মিনুকে তার আশ্রয়দাতারাই
করুণ পরিণতির দিকে ঠেলে দিয়েছেÑ
উক্তিটির যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্নের উত্তর :
(ক) মিনু চারটার সময়
ঘুম থেকে জেগে উঠত
।
(খ) মিনু কাঁঠাল গাছের
সরু ডালটার দিকে সাগ্রহে
চেয়ে থাকত কারণ সে
তার পিসিমার কাছ থেকে জেনেছে,
তার বাবা বিদেশে থাকে
। একদিন তার
বাবা তার কাছে আসবে। বাবার
ফিরে আসার প্রত্যাশায় মিনু
সরু ডালটির দিকে সাগ্রহে
চেয়ে থাকে ।
(গ) ‘মিনু’
গল্পটিতে লেখক বনফুল মিনুর
জীবনের করুণ কাহিনীকে চমৎকারভাবে
বর্ণনা করেছেন। উদ্দীপকের
বক্তব্যটুকু ‘মিনু’
গল্পের মিনু চরিত্রটির সাথে
সম্পূর্ণভাবে মিলে না ।
মিনু তার পিসির বাসায়
আশ্রিত ছিল এবং সেখানে
তাকে গৃহপারচারিকার কাজ করতে হতো
। মিনুর সাথে
খারাপ ব্যবহার কেউ করত এই
রকম কোনোকিছু গল্পে উল্লেখ নেই
তবে যেভাবে সে কাজ
করত তার বর্ণনায় অমানুষিক
পরিশ্রমের উল্লেখ পাওয়া যায়
। শারীরিক ও
মানসিক অত্যাচার তার ওপর করা
হয় নি। এছাড়া
তহার পিসি ও পিসে
মশায় তাকে কখনো আদর-¯েœহ করেছে
এমন কথা আমরা গল্পের
কোথাওা দেখতে পাই নি। একটি
দশ বছরের মেয়ের অনাদর
অবহেলায় তার মনের অবস্থা
কী হতে পারে তা
কার বুঝতে বাকি থাকে
না যার জন্য তাকে
করুণ পরিণতি বরণ করতে
হয়েছেল ।
(ঘ) মিনু দশ বছরের
মেয়ে । শিশু
বয়সে মা বাবাকে হারিয়ে
নিঃস্ব হয়ে পিসি আর
পিসে মশায়ের আশ্রয়ে দিনাতিপাত
করতে লাগল । এখানে
নেই কোনো আদর, নেই
কোনো ভালোবাসা । অনাদার
অবহেলায় জীবন সংগ্রামে অবতীর্ণ
। সূর্য উদগয়ের
পূর্ব থেকে সূর্যাস্তপর্যন্ত পিসিমার
ঘরসংসারের কাজকর্ম নিয়ে তাকে ব্যস্ত
থাকতে হয়েছে। অবসর
কী জিনিস সে বুঝে
নি। পিসির
কাছে শুনেছে তার বাবা
বিদেশে আছে। কোনো
একদিন তার কাছে ফিরে
আসবে। পিসির
মনভুলানো কথায় বিশ্বাস করে
প্রতি মুহূর্তে প্রতিক্ষণ অপেক্ষায় থাকে পিতার ফিরে
আসার দিনক্ষণের জন্য । একটি
দশ বছরের মেয়ের মনের
মধ্যে পিতৃ¯েœহের আকাক্সক্ষা,
সংসারের অমানুষিক কাজকর্ম, নিজের আত্মীয়-স্বজন,
পিতামাতার আদর-¯েœহ
থেকে বঞ্চিত হয়ে মিনু
ধীরে ধীরে করুণ পরিণতির
দিকে এগিযে যায় ।
যদি তার পিসি ও
পিসে মশায় এতটুকু আদর-যতœ করত তাহলে
হয়তো তার এ পরিণতি
হতো না । সেজন্য
উক্তিটি যথার্থ ।
প্রশ্ন: ০৪:
“মৌমাছি,
মৌমাছি
কোথা যাও নাচি নাচি
দাঁড়াও
না একবার ভাই।
ওই ফুল ফোটে বনে
ঐাই মধু আহরণে
দাঁড়াবার
সময় তো নাই।”
(ক) মিনু কাদের উপর
হাতুড়ি চালিয়ে তৃপ্ত হয়
?
(খ) ‘শানু’
শব্দটি দ্বারা কী বোজানো
হয়েছে?
(গ) উদ্দীপকের মৌমাছির মাঝে ‘মিনু’ গল্পের
মিনু চরিত্রের কোন দিকটি ফুটে
উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) “মিনু’
গল্পের মিনু এবং উদ্দীপকের
মৌমাছি উভয়েই অত্রন্ত পরিশ্রমী
হলেও পরিশ্রম করার কারণে দুয়ের
মাঝে ভিন্নতা আছে। মন্তব্যটি
বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্নের উত্তর
(ক) মিনু তার শত্রু
কয়লাগুলোর উপর হাতুড়ি চালিয়ে
তৃপ্ত হয় ।
(খ) শানু শব্দটি দ্বারা
কয়লা ভাঙ্গার পাথরকে বোঝানো হয়েছে। মিনু
প্রত্যেক দিন গৃহপরিচারিকার কাজ
করার জন্য অনেক ভোরবেলায়
ঘুম থেকে ওঠে ।
দিনের প্রথম কাজ হিসেবে
চুলা ধরানোর জন্য জ্বালানি
কয়লা ভাঙার কাজ শুরু
কওে সে । কয়লাগুলোরক
সে তার শত্রু মনে
মনে করে পাথরের উপর
রেখে প্রচন্ড আঘাতে তা ভাঙতে
থাকে । এ
পাথরটি শানের মতো শক্ত
। এদিকেই মিনু
নাম দেয় শানু।
(গ) উদ্দীপকের মৌমাছির মাঝে ‘মিনু’ৎ
গল্পের মিনু চরিত্রের পরিশ্রমের
দিকটি ফুটে উঠেছে ।
নিজের কাজ নিজে করার
মাঝে আনন্দ আছে।
এতে অসম্মানিত হওয়ার কিছু থাকে
না। বরং
আরও বেশি আনন্দ হয়
। এভাবে কাজ
করলে মানসিক প্রশান্তি আসে।
উদ্দীপকে
বর্ণিত হয়েছে পরিশ্রমী ও
উপকারী মৌমাছির কথা । তারা
দিন-রাত নিরলস পরিশ্রম
করে মধু আহরণ করে
। এতেই বড়
বেশি আনন্দিত হয় । ‘মিনু
তার দুরসম্পর্কের পিসিমার বাড়িতে দিনরাত অক্লান্তভাবে
গুহপরিচারিকার কাজ করে।
এ কাজের মাধ্যমে আনন্দ
খুঁজে উদ্দীপকের মৌমাছি এবং ‘মিনু’
গল্পের মিনু উভয়েই ক্লান্তিহীনতায়
দিন-রাত পরিশ্রম কওে
সময় কাটায় ।
“মিনু’
গল্পের মিনু এবং উদ্দীপকেরর
মৌমাছি উভয়েই অত্যন্ত পরিশ্রমী
হলেও পরিশ্রম করার কারণে দুয়ের
মাঝে ভিন্নতা আছে।”মন্তব্যটি
যৌক্তিক ।
কঠিন সংগ্রামে যা কিছু অর্জিত
হয় তার ফল হয়
অনেক বেশি ভালো লাগার
ও আনন্দেও । কেউ
ভালো লাগা থেকে পরিশ্রম
করে দিন-রাত , আবার
কাউকে বাধ্য করা হয়
পরিশ্রম করতে । তবে
পরিশ্রমের আনন্দ চিরন্তন ।
উদ্দীপকে
বর্ণিত মৌমাছি ফুল থেকে
মধু আহরণ করতে নিজেকে
দিন-রাত ব্যস্ত রাখে। এভাবে
মধু সংগ্রহ করার মাঝেই
এরা জীবনের আনন্দ খুঁজে
পায় ফলে সব ক্লান্তি
ও কষ্ট তুচ্ছ করে
মৌমাছি এভাবে মধু সংগ্রহ
করাকে জীবনের দায়িত্ব হিসেবে
মেনে নেয় । মিনু
গল্পের মিনু অসহায় অবস্থায়
আশ্রিত হয় তার দূরসম্পর্কেও
এক পিসিমার বাড়িতে । কাজের
লোক হিসেবে তাকে সারাদিন
গৃহের সব কাজ অক্লান্তভাবে
করতে হয় কাজের মান
খারাপ হলে তার উপর
নেমে আসতে পাওে শারীরিক
ও মানসিক অত্যাচার ।
এসব ভেবে সে দায়িত্বেও
সাথে কাজ করে।
উদ্দীপকের মৌাছি মনের আনন্দে
দিন-রাত পরিশ্রম করে
গৃহকর্তা-কর্ত্রীর বকা-ঝকা থেকে
বাঁচার জন্য । এখানে
মিনুর দায়িত্বশীলতার পরিচয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। অতএব
মন্তব্যটি যৌক্তিক।
প্রশ্ন-৫:
কামাল
সাহেরব নির্ভেজাল মানুষ । অফিসে
নিজের মত এসে কাজ
কওে বাসায় চলে যান। অচবসর
পেলে নিজের পকেটের কলম
বের কওে তার সাথে
কথা বলেন, “আহা, তোমাকে
কী –না কষ্ট দেই
আমি। এত
কালি খরচ, এত লেখা,
এত সাইন, জানি তোমার
অনেক কষ্ট । কিন্তু
তিনি তাও লেখা থামতে
পারেন না । তাই
কলমকে বোঝান এ জগৎবড়ই
বৈচিত্র্যময়, সবাই সুখ পেতে
ব্যাকুল । ভোগ
করতে চায়, ত্যাগ করতে
নয় ।
(ক) মিনুর বাবা কবে
মারা গেছেন?
(খ) মিনু মনে মনে
বলেÑএই ঠিক সময়েই
উঠেছে দেখছি”
ব্যাখ্যা কর।
(গ) উদ্দীপকের কামাল সাহেবের কলমের
সাথে মিনুর থালাবাসনের সাদৃশ্য
উল্লেখ কর।
(ঘ) ‘মিনুর এবং কামাল
সাহেবের কর্মক্ষেত্র আলাদা হলেও চিন্তা
চেতনায় দুজনের অভিন্œতা
রয়েছে’-মূল্যায়ন কর।
প্রশ্নের উত্তর :
(ক) মিনুর বাবা তার
জন্মের আগেই মারা গেছেন।
(খ) মিনু ভোরবেলা ঘুম
থেকে উঠে আকাশে শুকতারা
দেখে আলোচ্য কথাটি বলে
উঠে ।
ডমনু বাক ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী
হলেও মনে মনে আলাদা
একটি অগৎ তৈরি করেছে
সে । সে
ভোর চারটায় ঘুম থেকে
উঠে পূব আকাশে দপ
দপ কওে জ্বলা শুকতারাকে
দেখে ভাবে, শুকতারাও তারই
মতো আকাশের পিসেমশায়ের উনুন
ধরানোর জন্য জেগে উঠেছে। তাই
মিনু তার সঙ্গে মিল
থাকার জন্য শুকতারাকে দেখে
তাই মনে মনে বলে
ওঠে , সহ ঠিক সময়েই
উঠেছ দেখি ।
(গ) মিনুর রান্নাঘরের থালাবাসনগুলোর
প্রতি যে ভালোবাসা, কামাল
সাহেবের তার কলমের প্রতিও
একই ভালোবাসা লক্ষ করা যায়
।
ডমনু মা-বাবামরা বাক
ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী একটি মেয়ে ।
কিন্তু নিজে নিজে সে
একটি অভিনব জগৎ সৃষি
কওে চলেছে। আকাশের
শুকতারা তার সই আবার
তার রান্নাঘরের বাসনগুলোও তার বন্ধু ।
প্রতিটি জিনিসের আলাদা আলাদা নাম
দিয়েছে মিনু । পুটি
নামেরা আদরের ঘটিটা একদিন
তার হাত থেকে পড়ে
তুবড়ে যায় । এতে
মিনু অনেক কান্নাকাটি কওে
এাবং তোবড়ানো স্থানে প্রতিদিন সে
হাত বুলিয়ে আদও কওে
দেয় ।
উদ্দীপকের
কামাল সোহেব মিনুর মতো
সহজ-সরল ও নির্ভেজাল
একজন মানুষ । অফিসে
তিনি সারা দিন কলম
দিয়ে কাজ করলেও কলমের
প্রতি তার এক ধরনের
মায়া কাজ করে।
তিনি ভাবেন, সারাদিন কাজের
সময় ব্যস্ত রেখে কলমকে
তিনি অনেক কষ্ট দেন। তাই
অবসর পেলেই তিনি কলমের
সঙ্গে কথা বলে তার
কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করেন। পারতপক্ষে
তিনি তার ব্যবহৃত কলমকে
মিনু যেভাবে তার থালা-বাসনরেক ভালোবাসে, তেমনই ভালোবাসেন।
কাজেই ভালোবাসার দিক থেকে উদ্দীপকের
কামাল সাহেবের কলমের সাথে মিনুর
থালা-বাসনের সাদৃশ্য রয়েছে।
(ঘ) মিনু এবং কামাল
সাহেব দুজনই সহজ ও
অত্যন্ত নির্ভেজাল মনের মানুষ ।
‘মিনু’
গল্পের মিনু শ্রবণ ও
বাকপ্রতিবন্ধী বাবা-মা মরা
এতিম অসহায় এক শিশু
। মিনুর আপন
বলতে কেউ নেই বলে
পিসেমশায়ের বাড়িতে থাকে এবং
বাড়ির প্রতিটি কাজ অত্যন্ত মনোযোগ
ও যত্বেও সঙ্গে সে
সম্পাদন করে। তার
কর্মনিষ্ঠা এককথায় অতুলনীয় ।
মনে মনে আলাদা একটি
অভিনব জগৎ তৈরি করেছে
মিনু। সেই
জগতে প্রকৃতির জড় পদার্থগুলোর সঙ্গে
সে তৈরি কওে নিয়েছে
একটি হৃদ্যতার্পূর্ণ সম্পর্ক । শুকতারাকে
সে তার সই ভাবে
আর রান্নাঘরের প্রতিটি বানপত্র তার বন্ধু ।
মূলত সহজ-সরল মনের
অধিকারী বলে মিনু জড়বস্তুও
সঙ্গে এরকম একটি প্রাণবন্ত
সম্পর্কেও জগৎ তৈরি কওে
নিতে পেরেছে।
উদ্দীপকের
কামাল সাহেব একটি অফিসে
কাজ করেন । তিনি
সারা দিন অফিসের কাজে
কলম ব্যবহার করেন। কিন্তু
কলমের প্রতি ভীষণ মায়া
তার । তিনি
ভাবেন, সারাদিন কাজ করিয়ে কলমটিকে
তিনি কষ্ট দেন ।
তাই অবসর পেলে কলমের
সাথে সুখ-দুঃখের কথা
বলা শুরু করেন তিনি। উদ্দীপকের
কামাল সাহেবের কর্মক্ষেত্র আলাদা হলেও চিন্তচেতনার
দিক দিয়ে তাদের মধ্যে
কোনো ভিন্নতা নেই ।
Tags
বাংলা ১ম পত্র