পঞ্চম শ্রেণি, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, অধ্যায়:১০, গণতান্ত্রিক মনোভাব, প্রশ্নোত্তর


অধ্যায়: ১০

    প্রশ্নোত্তর

    গণতান্ত্রিক মনোভাব


সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর:


০১।    বিদ্যালয়ে এমন দুটি কাজের কথা উল্লেখ কর যেখানে গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
উত্তর:    বিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এমন দুটি কাজ হলোÑ
(র)    শ্রেণিনেতা বা ক্যাপ্টেন নির্বাচন ও
(রর)    ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন।
০২।    বাড়িতে এমন দুট কাজের কথা উল্লেখ কর যেখানে গণতান্ত্রিকৃ চর্চার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
উত্তর:    বাড়িতে গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এমন দুটি কাজ হলোÑ
(র)    আমরা যে খাবারটি খাব ও
(রর)    উৎসব অনুষ্ঠানে যা করব।
০৩।    বিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের চারটি ধাপ উল্লেখ কর।
উত্তর:    বিদ্যালয়ে শ্রেণিনেতা নির্বাচন করতে গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের চারটি ধাপ হলোÑ
(র)    আগ্রহী প্রাণীদের নামের তালিকা বোর্ডে লিখব।
(রর)    শিক্ষার্থীরা পছন্দের প্রাণীর নাম লিখে শিক্ষকের নিকট জমা দেবে।
(ররর)    সকলের মতামত দেওয়া হলে শিক্ষক কাগজগুলো খুলে গণনা করবেন।
(রা)    কার পক্ষে কতজন মত দিয়েছে, শিক্ষক তা বোর্ডে লিখবেন।
(া)    যে সবচেয়ে বেশি ভোট পাবে সে হবে প্রথম শ্রেণিনেতা এবং যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছে সে হবে দ্বিতীয় শ্রেণিনেতা।
বর্ণনামূলক প্রশ্নোত্তর:

০১।    মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্রের বিজয় কীভাবে অর্জিত হয়েছিল?
উত্তর:    বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। কিন্তু ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বরের আগে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক রাষ্ট ছিল না। পাকিস্তানের শাসনাধীন ছিল। আমরা প্রতি মুহূর্তে শোষণ-বঞ্চনার শিকার হতাম। পাকিস্তানিদের নিপীড়ন যখন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছিল তখন বাঙালির মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের সকল স্তরের জনগণকে বাংলার মুক্তির জন্য ডাক দিলেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে বাংলার গণতন্ত্র অর্জনের জন্য এদেশের সর্বস্তরের জনগণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ল। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর এবং ৩০ লক্ষ শহিদের প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয় বাংলার স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য। প্রতিষ্ঠা পায় বাংলার স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র। আর এভাবেই মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলার গণতন্ত্র অর্জিত হয়েছিল।
০২।    কর্মক্ষেত্রে কীভাবে গণতন্ত্রের চর্চা করা যায়?
উত্তর:    কর্মক্ষেত্রে সর্বস্তরের সহকর্মীদের সাথে যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা উচিত। এর ফলে সকলেই এর গুরুত্ব বুঝতে পারবে। নিজেদের মত প্রকাশে উৎসাহিত হবে। বস্তুত যেকোনো বিষয়ে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন মত থাকতে পারে। তাই কর্মক্ষেত্রে সকলের মতামত শুনে অধিকাংশের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করলে যেকোনো কাজে সফল হওয়া যায়। এভাবেই কর্মক্ষেত্রে গণতন্ত্রের চর্চা করা যায়।
০৩।    তোমার পাড়ায় গণতন্ত্রের চর্চা করা প্রয়োজন কেন?
উত্তর:    আমার পাড়াকে সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য গণতন্ত্রের চর্চা করা প্রয়োজন। বস্তুত গণতান্ত্রিক মনোভাব একটি ব্যক্তিগত ও সামাজিক গুণ। এতে অধিকাংশের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ফলে শান্তি বিরাজ করে। আমার পাড়ায় যেকোনো সমস্যা সমধান কিংবা গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয়ে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন মত থাকতে পারে। তাই পাড়ার সকলের মতামত শুনে অীধকাংশের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিলে পাড়ার যেকোনো কাজে সফল হওয়া যাবে। পাড়ায় শান্তি-সম্প্রীতি বিরাজ করবে। এজন্য আমার পাড়ায় গণতন্ত্রের চর্চা করা প্রয়োজন।

অতিরিক্ত সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
০১।    গণতন্ত্রের অর্থ কী?
উত্তর:    গণতন্ত্রের অর্থ জনগণের শাসন।
০২।    গণতান্ত্রিক মনোভাব কোন ধরনের গুণ?
উত্তর:    গণতান্ত্রিক মনোভাব একটি ব্যক্তিগত ও সামাজিক গুণ।
০৩।    শ্রেণিনেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া শিক্ষার্থী কী নির্বাচিত হবে?
উত্তর:    শ্রেণিনেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া শিক্ষার্থী প্রথম শ্রেণিনেতা নির্বাচিত হবে।
০৪।    গণতান্ত্রিক মনোভাব কী?
উত্তর:    অধিকাংশের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা এবং সম্মান করাকে বলে গণতান্ত্রিক মনোভাব।
০৫।    শ্রেণিনেতাদেরকে সবাই হাসিমুখে বরণ করে নেয় কেন?
উত্তর:    সবার মতামতে নির্বাচিত হওয়ার শ্রেণিনেতাদেরকে সবাই হাসিমুখে বরণ করে নেয়।
০৬।    অধিকাংশের মতামতকে কী করা উচিত?
উত্তর:    অধিকাংশের মতামতকে গ্রহণ ও সম্মান করা উচিত।
০৭।    সমাজের সকল সদস্যের কোন গুণটি থাকা উচিত?
উত্তর:    সমাজের সকল সদস্যের ‘গণতান্ত্রিক মনোভাব’ এ গুণটি থাকা উচিত।
০৮।    শ্রেণিনেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে কিরূপ মনোভাব দেখাতে হবে?
উত্তর:    শ্রেণিনেতা নির্বচানের ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক মনোভাব দেখাতে হবে।
০৯।    বাড়িতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কী করা প্রয়োজন?
উত্তর:    বাড়িতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একে অপরের মতামত শোনা প্রয়োজন।
১০।    শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনের জন্য কোনটি অপরিহার্য?
উত্তর:    শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনের জন্য গণতান্ত্রিক মনোভাব অপরিহার্য।
১১।    আমরা ঘরের আসবাবপত্র কেনার আগে কী করব?
উত্তর:    পরিবারের সদস্যরা মিলে আলৈাচনা করে সিদ্ধান্ত নিব।
১২।    আমাদের দেশের গণতন্ত্র আরও শক্তিমালী হবে কীভাবে?
উত্তর:    গণতান্ত্রিক আচরণের মাধ্যমে আমাদের দেশের গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হবে।
১৩।    গণতান্ত্রিক মনোভাব অপরিহার্য কেন?
উত্তর:    শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে গণতান্ত্রিক মনোভাব অপরিহার্য।
১৪।    কোন দিক দিয়ে বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র?
উত্তর:    রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।
১৫।    কর্মক্ষেত্রে সকলেই সকলের গুুত্ব বুঝতে পারব কীভাবে?
উত্তর:    কর্মক্ষেত্রে সর্বস্তরের সহকর্মীদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করলে সকলেই সকলের গুরুত্ব বুঝতে পারব।
১৬।    আমরা কোথায় গণতান্ত্রিক আচরণ করব?
উত্তর:    আমরা বাড়ি, বিদ্যালয, খেলার মাঠ, কর্মক্ষেত্রে সব জায়গায় গণতান্ত্রিক আচরণ করব।
১৭।    পরস্পরের মতের প্রতি আমাদের কী করা উচিত?
উত্তর:    পরস্পরের মতের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত।
Previous Post Next Post

نموذج الاتصال