শিশুর পেটে কৃমি হলে কী করবেন?

শিশুর পেটে কৃমি কী করবেন?
শিশুদের কৃমির বিষয়টি আমরা সঠিকভাবে ক্লীয়ার না। কখন কৃমির ওষুধ খেতে হবে? তবে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে, বর্তমানে এক বছর বয়সের আগে কোন শিশুকে কোন কৃমিনাশক ওষূধ দেওয়া হয় না। শিশুদের কৃমিনাশক ওষূধ দেওয়ার বয়স হলো ২ বছর এর পর থেকে। তবে ১-২ বছরের মধ্যে যদি কোন অভিভাবক বুঝতে পারেন যে, তার শিশুর কৃমির সমস্যা হচ্ছে তাহলে শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা যেতে পারে।

কিভাবে বুঝবেন বাচ্চার পেটে কৃমি হয়েছে?
১। যাদের কৃমির সমস্যা হয়, তাদের পেটে গ্যাস হয়।
২। বাচ্চা খুব চিকন বা লিকলিকে হয়ে যায়।
৩। বাচ্চা খাবার খেতে পারে না, বমি বমি ভাব হয়।
৪। পেট ফাপা থাকে, পেটে ব্যথা করে, মনে হয় গলা পর্যন্ত খাবার চলে আসছে।

পেটের সমস্যার জন্য ভালো কোন ফিজিশিয়ান এর পরামর্শ মোতাবেক চিকিৎসা নিতে হবে। সাধারণত ২ বছর এর পর ডাক্তাররা কৃমিনাশক যে ডোজ দিয়ে থাকেন, ৩-৬ মাস পর পর তা রেগুলার করতে বলেন।
 
গর্ভবতী মা কী কৃমিনাশক ওষুধ খেতে পারবেন?
না, গর্ভাবস্থায় কোনভাবেই কৃমির ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়। ডাক্তাররা গর্ভাবস্থায় কৃমির ঔষধ খাওয়ার অনুমতি  কখনোই দেন না। কারণ গর্ভাবস্থায় কৃমির ঔষধ খেলে গর্ভের শিশু ও মায়ের ক্ষতির প্রবল আশংকা থাকে। এক্ষেত্রে গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবন থাকে।
 

গর্ভাবস্থায় কৃমি হলে কী করা উচিৎ / গর্ভবতী নারীদের কৃমি দূর করার উপায়
১। গর্ভধারণের আগে কৃমির ঔষধ খাওয়াঃ গর্ভধারণের আগে কৃমির ঔষধ সেবন করা, তাহলে অন্তত গর্ভধারণের প্রথম ৫/৬ মাস কৃমিমুক্ত থাকা যাবে।

২। তিতা জাতীয় খাবারঃ তিতা জাতীয় খাবার যেমন- করলা, উচ্ছে বেশি বেশি করে খাওয়া। প্রতিদিনের খাবারের রুটিনে করলা বা উচ্ছে রাখা।

৩। নিম পাতার পানিঃ কৃমি যন্ত্রনা খুব বেশি হলে নিমের পাতা পানির ভিতর দিয়ে জালিয়ে নীল রং এলে পাতা ফেলে ঠাণ্ডা করে পানি খেতে পারেন। তবে এটা প্রতিদিন না করে দুয়েক দিন পর পর খেতে হবে।

৪। কৃমির উপদ্রবে কুমড়ার বিচিঃ গর্ভকালীন সময়ে কৃমি থেকে উপশম পাওয়ার জন্য মিষ্টি কুমড়ার বিচি খুবই উপকারি। দুই টেবিল চামচ মিষ্টি কুমড়োর বীচির গুঁড়ো তিন কাপ পানিতে ৩০ মিনিট ধরে সিদ্ধ করে সকালে খালি পেটে খেতে হবে।

Previous Post Next Post

نموذج الاتصال