জাপানিদের ভয়াবহ জীবনী ও একটি পর্যালোচনা





পরিসংখ্যানে জানা যায়, জাপানের প্রতি দশ জনে এক জন একাকি মৃত্যু বরণ করে। এমনকি একটি রুমে মানুষ মরে পঁচে গলে গন্ধ বের হলে লোকে জানতে পারে এই ঘরে একাকী বাস করা মানুষটি মারা গেছে! এরই জন্য জাপানে সাফা নামক অসংখ্য কোম্পানি গড়ে উঠেছে।


যারা কিনা পোকা-মাকড়, মশা-মাছিতে ভরপুর এসব মৃত দেহ পরিষ্কার করে থাকে। মৃত্যুর আগে অনেক বৃদ্ধ এসব কোম্পানীর সাথে চুক্তি করে রাখেন যাতে তারা মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করতে পারে।

শান্তিতে মরা কত গুরুত্বপূর্ণ একটু খেয়াল করে দেখুন! আধুনিক সমাজে সবচেয়ে বড় সমস্যা একাকীত্ব! বিয়ে করেও একা, না করেও একা!

বেশির ভাগ মানুষেরই টাকা-পয়সা, বাড়ি-গাড়ি সব আছে। শুধু একাকীত্ব গোছানোর মানুষ নেই, ছোট বেলায় আমাদের গ্রাম বাংলাতে দেখতাম মানুষ মানুষে কত একটা মেলামেশা ছিলো! এখন তার কিছুই যেন নেই! ঈদ কোরবানীতেও এখন আর সেই আমেজ এর দেখা মেলে না ।

এছাড়া শহরের কথা কি আর বলবো! কাছে থেকেও যেনো কাছের মানুষগুলো সব অচেনা!

এমনই এক ঘটনা, "এক রিক্সা চালককে জনৈক লোক বলছে, ভাই এখানে থেকে ওখানে কত কাছে, চোখেই তো দেখা যাচ্ছে রাস্তা, তুমি এতো ভাড়া কেনো বলছো? রিক্সা চালক বললো, 'দেখা গেলে কি সব কিছুকে কাছে বলা যায়! চাঁদও তো দেখা যায় কিন্তু তা তো কত দূরে....!' সত্যি ভাই বর্তমান যুগে আমরা ও মনে হচ্ছে খুব কাছাকাছি আছি কিন্তু সবাই কাছে থেকেও অনেক দূরে সরে গেছি আমরা!




ফেসবুকের চ্যাট খুললেই সব আপন বন্ধুরা নীল/সবুজ হয়ে জ্বলজ্বল করছে কিন্তু খবর নেওয়া হয় না। কারণ এমন খবর নিয়ে কি হবে, যে খবরে গায়ের গন্ধ পাওয়া যায় না! পৃথিবী হাতের মুঠোয় চলে আসছে কিন্তু হাতের দৈর্ঘ্য এতো বেশী যে প্লেন দিয়েও এপাশ থেকে ওপাশ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না!



এমনকি আমি এখনকার সমাজে একাকী মরে যাওয়া বাবাদেরকে দেখি যারা মরে যাওয়ার খবর শুনেও তার সন্তানরা দেশে আসতে পারে না, ইউরোপ-ল্যাটিন আমেরিকার কোন দেশ থেকে ভিডিও কলে বাবার লাইভ জানাযা / শেষকৃত্য দেখে জন্মদাতার বিদায় অবলোকন করেন! জীবন এখন চোখে দেখা যায় কিন্তু হাতে ছোঁয়া যায় না! কি আজব দেশ বাংলাদেশ! কি আজব বিশ্ব!

এইতো কিছুদিন আগের কথা, অভিনেত্রী তাজিনের একাকী মৃত্যু ভাইরাল হয়েছিলো, এক দিন মরে গিয়ে কঙ্কাল হয়ে থাকবো আমরাও, কারণ পরিবার ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে!





চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির ক্লাসে শ্রদ্ধেয় মঈনুল ইসলাম স্যারের কথা মনে পড়ছে, যার মতে পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইন্ডাস্ট্রী হলো পরিবার! যা ভেঙ্গে গেলে দেশও একদিন ভেঙ্গে যাবে!

বর্তমানে পৃথিবীর উন্নত উন্নত দেশগুলোতে একটি সন্তান মানে একটি দেশ বাঁচার আশা। ওদের দেশেগুলোতে চলছে " বেশী করে সন্তান জন্ম দেন, দেশ বাঁচান "


আমাদের এ লেখাটি যাদ আপনার ভালে লাগে, তাহলে অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক  দিয়ে আমাদের সাথে থাকবেন। যদি আরো কিছু জানার থাকে তাহলে আমার এই পোস্টের নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করবেন, আমি আমার সাধ্যমত আপনাদেরকে সঠিক তথ্যটি জানানোর চেষ্টা করব। আমাদের ফেসবুক পেজ এ লাইক বাটন ক্লিক করে পরবর্তী নিউজের সাথে আপডেট থাকবেন। বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
ধন্যবাদ সবাইকে। ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ। 
Image Source: www.google.com


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Previous Post Next Post

نموذج الاتصال