সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
১. কঠিন পদার্থের তিনটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তর : কঠিন পদার্থের তিনটি বৈশিষ্ট্য হলো-
১) এর নির্দিষ্ট আকার আছে।
২) এর নির্দিষ্ট আয়তন আছে।
৩) এর নির্দিষ্ট ওজন আছে।
২. কঠিন পদার্থের সাথে তরল পদার্থের মূল পার্থক্য কোথায়?
উত্তর : কঠিন পদার্থের সাথে তরল পদার্থের মূল পার্থক্য হলোÑ কঠিন পদার্থের অবশ্যই নির্দিষ্ট আকার, আয়তন ও ওজন থাকে। কিন্তু তরল পদার্থের নির্দিষ্ট আয়তন ও ওজন থাকলেও নির্দিষ্ট আকার নেই।
৩. তরল পদার্থের তিনটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তর : তরল পদার্থের তিনটি বৈশিষ্ট্য হলো
১) এর নির্দিষ্ট ওজন আছে।
২) এর নির্দিষ্ট আয়তন আছে।
৩) এর নির্দিষ্ট কোনো আকার নেই।
৪. আমরা যেসব বস্তু দেখতে পাই ও ব্যবহার করি তাদের কয়টি শ্রেণিতে ভাগ করতে পারি ও কী কী?
উত্তর : আমরা যেসব বস্তু দেখতে পাই ও ব্যবহার করি তাদের তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করতে পারি। যেমনÑ কঠিন, তরল ও বায়বীয়।
৫. পানির তিন অবস্থা কী কী? এদের উদাহরণ দাও।
উত্তর : পানির তিনটি অবস্থা হলোÑ কঠিন, তরল ও বায়বীয়। কঠিন অবস্থায় পানি বরফ হয়, স্বাভাবিক অবস্থায় পানি তরল থাকে এবং বায়বীয় অবস্থায় পানি বাষ্পে পরিণত হয়।
৬. বায়বীয় পদার্থের তিনটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তর : বায়বীয় পদার্থের তিনটি বৈশিষ্ট্য হলো
১) এর নির্দিষ্ট ওজন আছে।
২) এর নির্দিষ্ট আয়তন নেই।
৩) এর নির্দিষ্ট আকার নেই।
উত্তর : কঠিন পদার্থের তিনটি বৈশিষ্ট্য হলো-
১) এর নির্দিষ্ট আকার আছে।
২) এর নির্দিষ্ট আয়তন আছে।
৩) এর নির্দিষ্ট ওজন আছে।
২. কঠিন পদার্থের সাথে তরল পদার্থের মূল পার্থক্য কোথায়?
উত্তর : কঠিন পদার্থের সাথে তরল পদার্থের মূল পার্থক্য হলোÑ কঠিন পদার্থের অবশ্যই নির্দিষ্ট আকার, আয়তন ও ওজন থাকে। কিন্তু তরল পদার্থের নির্দিষ্ট আয়তন ও ওজন থাকলেও নির্দিষ্ট আকার নেই।
৩. তরল পদার্থের তিনটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তর : তরল পদার্থের তিনটি বৈশিষ্ট্য হলো
১) এর নির্দিষ্ট ওজন আছে।
২) এর নির্দিষ্ট আয়তন আছে।
৩) এর নির্দিষ্ট কোনো আকার নেই।
৪. আমরা যেসব বস্তু দেখতে পাই ও ব্যবহার করি তাদের কয়টি শ্রেণিতে ভাগ করতে পারি ও কী কী?
উত্তর : আমরা যেসব বস্তু দেখতে পাই ও ব্যবহার করি তাদের তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করতে পারি। যেমনÑ কঠিন, তরল ও বায়বীয়।
৫. পানির তিন অবস্থা কী কী? এদের উদাহরণ দাও।
উত্তর : পানির তিনটি অবস্থা হলোÑ কঠিন, তরল ও বায়বীয়। কঠিন অবস্থায় পানি বরফ হয়, স্বাভাবিক অবস্থায় পানি তরল থাকে এবং বায়বীয় অবস্থায় পানি বাষ্পে পরিণত হয়।
৬. বায়বীয় পদার্থের তিনটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তর : বায়বীয় পদার্থের তিনটি বৈশিষ্ট্য হলো
১) এর নির্দিষ্ট ওজন আছে।
২) এর নির্দিষ্ট আয়তন নেই।
৩) এর নির্দিষ্ট আকার নেই।
কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর
১. আইসক্রিম কোন ধরনের পদার্থ? এর বৈশিষ্ট্য লেখ।উত্তর: আইসক্রিম কঠিন পদার্থ। কিন্তু বাইরের পরিবেশের তাপ পেলে আইসক্রিম তরল হয়ে যায়।
নিচে আইসক্রিমের কঠিন ও তরল অবস্থার বৈশিষ্ট্য দেওয়া হলোÑ
কঠিন অবস্থায় বৈশিষ্ট্য :
১) নির্দিষ্ট আকার আছে
২) নির্দিষ্ট আয়তন আছে
৩) নির্দিষ্ট ওজন আছে
তরল অবস্থায় বৈশিষ্ট্য :
১) নির্দিষ্ট আয়তন আছে
২) নির্দিষ্ট ওজন আছে
৩) নির্দিষ্ট আকার নেই
২. তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটলে পানির অবস্থার পরিবর্তন ঘটে কীভাবে?
উত্তর : পানি তিন অবস্থায় থাকতে পারে। যেমন-কঠিন, তরল ও বায়বীয়। তাপ দিলে তরল পানি জলীয় বাষ্পে পরিণত হয়। এটা পনির বায়বীয় অবস্থা। জলীয় বাষ্প ঠাণ্ডা হলে আবার পানিতে পরিণত হয়। পানিকে যদি অনেক বেশি ঠাণ্ডা করা হয় তবে তা বরফে পরিণত হয়। এটা পানির কঠিন অবস্থা। আবার তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে বরফ গলে পানিতে পরিণত হয়। এভাবেই তাপমাত্রা কম-বেশি হলে পানির অবস্থার পরিবর্তন ঘটে।
যোগ্যতাভিত্তিক
৩. গরম দুধ ভর্তি গøাস থেকে তুমি ধোঁয়া উঠতে দেখলে। গরম দুধ কী ধরনের পদার্থ? ধোঁয়া উঠার কারণ লেখ। তোমার দেখা খাবার থেকে ধোঁয়া উঠার ৫টি উদাহরণ দাও।
উত্তর : গরম দুধ তরল পদার্থ।
দুধ বেশি গরম করলে বুদবুদ উঠতে থাকে। বুদবুদে পানির অদৃশ্য জলীয় বাষ্প বাহিরের ঠাণ্ডা বাতাসের সংস্পর্শে ঠাণ্ডা হলে ছোট ছোট পানি কণা জমে দৃশ্যমান হওয়াই ধোঁয়া উঠার কারণ।
আমার দেখা খাবার থেকে ধোঁয়া উঠার ৫টি উদাহরণ হলোÑ
১) গরম চা বা কফি থেকে ধোঁয়া বের হয়
২) তরকারি রান্নার সময় ধোঁয়া দেখা যায়।
৩) পানি ফোটানোর সময় ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়।
৪) ভাত রান্নার সময় ধোঁয়া দেখা যায়।
৫) গরম পিঠা থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়।